ঢাকা ৯ ভাদ্র ১৪৩১, শনিবার, ২৪ আগস্ট ২০২৪

ইমরানের দলকে নিষিদ্ধ করছে পাকিস্তান সরকার

প্রকাশ: ১৫ জুলাই ২০২৪, ১০:০০ পিএম
আপডেট: ১৫ জুলাই ২০২৪, ১০:০১ পিএম
ইমরানের দলকে নিষিদ্ধ করছে পাকিস্তান সরকার
ছবি: সংগৃহীত

ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) নিষিদ্ধের পরিকল্পনা করেছে দেশটির সরকার। সোমবার (১৫ জুলাই) দেশটির তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার এ বিষয়ে জানান। 

নতুন এ পরিকল্পনার খবর সামনে আসার কয়েক দিন আগেই পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট পিটিআই আইনপ্রণেতাদের ২০টি সংরক্ষিত আসন দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন। তারা দেশটির নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়াই করে বিজয়ী হয়েছেন।

পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আতার সোমবার বলেন, ‘দেশকে যদি সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হয়, তাহলে তা পিটিআইয়ের অস্তিত্ব রেখে করা সম্ভব নয়।’ পিটিআইয়ের বিরুদ্ধে সহিংস প্রতিবাদ ও গোপনীয় তথ্য ফাঁসের অভিযোগ তুলে তারার আরও বলেন, ‘সব প্রমাণ দেখার পর সরকার পিটিআইকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দলটিকে নিষিদ্ধ করার জন্য আমরা একটি মামলা করব।’

তারার আরও জানান, সুপ্রিম কোর্টে মামলাটি নিয়ে যাওয়া হবে। এ ছাড়া ইমরান খান ও পিটিআইয়ের আরও দুই জ্যেষ্ঠ নেতার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহী মামলা দায়েরের পরিকল্পনা করেছে সরকার। ওই দুই জ্যেষ্ঠ নেতা হলেন পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি ও ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির সাবেক ডেপুটি স্পিকার কাশেম সুরি।  

পিটিআই নেতাদের সংরক্ষিত আসন দেওয়ার বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট যে আদেশ দিয়েছেন, সেটির বিরুদ্ধেও আপিল আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছেন তারা।

এদিকে সরকারের পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়ায় পিটিআইয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ওই সিদ্ধান্তের কারণে ‘দেশের ভিত্তি নির্মূল হয়ে যেতে পারে’। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে পিটিআই বলেছে, কোনো দেশপ্রেমিক দেশের সবচেয়ে বড় ও জনপ্রিয় দলকে নিষিদ্ধ করার কথা ভাবতে পারে না। এটি করার বিষয়টি পাকিস্তানের ভিত্তি নির্মূলের শামিল এবং দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দেবে।’

পিটিআইয়ের জ্যেষ্ঠ নেতা সৈয়দ জুলফিকার বুখারি সরকারের সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে বলেন, ‘আদালতকে হুমকি দিতে বা চাপে রাখতে বা বিচারকদের ব্ল্যাকমেইল করতে পারবে না- এমনটি বোঝার পর সরকার মন্ত্রিসভার মাধ্যমে এসব করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমাদের দমানোর যত প্রচেষ্টা চালিয়েছে তারা, সেগুলোকে আদালত অবৈধ বলে ঘোষণা করেছেন।’

আল-জাজিরার খবর বলছে, গত সপ্তাহে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট পিটিআইকে রাজনৈতিক দল হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে এবং বলেছে, দলীয় নির্বাচনি প্রতীক না থাকার বিষয়টি মাঠপর্যায়ের প্রার্থীদের বৈধ অধিকারকে প্রভাবিত করছে না। 

আগামীতে পিটিআইকে নিষিদ্ধ করা হলে সুপ্রিম কোর্টের সংরক্ষিত আসনসংক্রান্ত সিদ্ধান্তের ওপর কোনো প্রভাব পড়বে কি না, তা এখনো স্পষ্ট নয়। সূত্র: আল-জাজিরা, ডন

জার্মানিতে উৎসবে ছুরিকাঘাতে নিহত ৩, আহত ৪

প্রকাশ: ২৪ আগস্ট ২০২৪, ১২:৫৫ পিএম
আপডেট: ২৪ আগস্ট ২০২৪, ০৩:৩৭ পিএম
জার্মানিতে উৎসবে ছুরিকাঘাতে নিহত ৩, আহত ৪
ছবি: সংগৃহীত

জার্মানির জোলিঙ্গেন শহরে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন আরও চারজন। 

শুক্রবার (২৩ আগস্ট) স্থানীয় সময় রাত পৌনে ১০টার দিকে পশ্চিমাঞ্চলের এই শহরটিতে এই হামলার ঘটনা ঘটে। হামলাকারী এখনও পলাতক।

জোলিঙ্গেনের নিকটবর্তী ডাসেলডর্ফ পুলিশের এক মুখপাত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

জার্মানির স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, জোলিঙ্গেন শহরের ৬৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত উৎসবে যোগ দিয়েছিলেন সেখানকার বাসিন্দারা। শুক্রবার শুরু হয়ে আগামী রবিবার ওই উৎসব শেষ হওয়ার কথা ছিল। সেখানেই হামলাটি চালানো হয়। পুলিশ সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তারের জন্য বড় ধরনের অভিযান শুরু করেছে। 

পুলিশের মুখপাত্র আরও জানান, হামলাকারীকে আটকের জন্য পুলিশ ‘বিস্তৃত এলাকা’ ঘিরে রেখেছে।

উৎসবে উপস্থিত লোকজনের ওপর এক হামলাকারী এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করেন বলে জানিয়েছে জার্মান সংবাদপত্র ‘বিল্ড’। সূত্র: বিবিসি

ইসরাত চৈতী/

বাংলাদেশে বন্যা নিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর উদ্বেগ প্রকাশ

প্রকাশ: ২৪ আগস্ট ২০২৪, ১২:৪৯ পিএম
বাংলাদেশে বন্যা নিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর উদ্বেগ প্রকাশ
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ

বাংলাদেশে বন্যায় প্রাণহানি ও ধ্বংসযজ্ঞের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ।

শুক্রবার (২৩ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক বার্তায় তিনি এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন। বার্তায় তিনি বাংলাদেশের জনগণ ও নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। 

নিজের এক্স পেজে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই দুর্যোগপূর্ণ সময়ে বাংলাদেশের পাশে আছে পাকিস্তান। আমি বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের সহনশীল জনগণ তাদের দৃঢ়তা ও সক্ষমতায় এই কঠিন পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠবে।’

ত্রিপুরায় বন্যা ও ভূমিধসে ২২ জনের মৃত্যু

প্রকাশ: ২৪ আগস্ট ২০২৪, ১১:১১ এএম
ত্রিপুরায় বন্যা ও ভূমিধসে ২২ জনের মৃত্যু
ছবি: সংগৃহীত

ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা এরই মধ্যে ১৭ লাখ ছাড়িয়েছে। রাজ্যটিতে বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছেন ৬৫ হাজারের বেশি মানুষ। 

ভারতের সংবাদমাধ্যমের বরাতে জানা গেছে এসব তথ্য। ত্রিপুরা সরকারের ত্রাণ, পুনর্বাসন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের পক্ষ থেকেও নিশ্চিত করা হয়েছে বিষয়টি। তাদের দেওয়া তথ্যানুসারে, অবিরাম বর্ষণ থেকে বন্যার সৃষ্টি হয়েছে।

এ ছাড়া রাজ্যটির ২ হাজার ৩২টি স্থানে ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। দলাই, খোয়াই, দক্ষিণ ত্রিপুরা, পশ্চিম ত্রিপুরা, উত্তর ত্রিপুরা ও উনাকোট জেলার ছয়টি স্থানে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, এবারের বন্যায় ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলার ৮০ ভাগ তলিয়ে গেছে এবং এরকম ভয়াবহ বন্যা ১৯৫৬ সালের পর এবার প্রথম দেখল ত্রিপুরা।

রাজ্যটিতে এরই মধ্যে উদ্ধার তৎপরতা শুরু হয়েছে। ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বন্যাকবলিতদের জন্য আর্থিক সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে ৪০ কোটি রুপির সহায়তা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন।

তিনি লিখেছেন, ত্রিপুরায় বন্যা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে কেন্দ্র। নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে এরই মধ্যে কেন্দ্র ৪০ কোটি রুপির আগাম সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে। এই অর্থ ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ ও পরিবারকে সহায়তা করবে।

এর আগে গত বুধবার ত্রিপুরার জন্য কেন্দ্রের কাছে আর্থিক সহায়তা চেয়েছিলেন রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী মানিক।

বর্তমান পরিস্থিতিতে ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলা থেকে সব ধরনের রেল সেবা স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে টেলিযোগাযোগও ব্যাপকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এর মধ্যে দক্ষিণ ত্রিপুরা ও গোমতীতে যোগাযোগে সমস্যা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম।

ত্রিপুরার এক সরকারি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ত্রিপুরায় ৮টি জেলায় সাড়ে ৪০০ আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। সেগুলোতে প্রায় ৬৫ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। সূত্র: এনডিটিভি, হিন্দুস্তান টাইমস, নিউজ১৮

ইন্দিরা গান্ধীর মুক্তির জন্য বিমান ছিনতাই করা ভোলানাথ পান্ডে মারা গেছেন

প্রকাশ: ২৪ আগস্ট ২০২৪, ১০:৫৫ এএম
আপডেট: ২৪ আগস্ট ২০২৪, ১২:০৬ পিএম
ইন্দিরা গান্ধীর মুক্তির জন্য বিমান ছিনতাই করা ভোলানাথ পান্ডে মারা গেছেন
ভোলানাথ পান্ডে
ভারতের প্রবীণ কংগ্রেস নেতা এবং উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন বিধায়ক ভোলানাথ পান্ডে মারা গেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। তিনি ১৯৭৮ সালে ইন্দিরা গান্ধীর মুক্তির দাবিতে একটি খেলনা বন্দুক দিয়ে ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি বিমান ছিনতাই করেছিলেন।
 
শুক্রবার (২৪ আগস্ট) তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তার মরদেহ লখনউতে তার বাড়িতে রাখা হয়েছে। আজ শনিবার সকালে দাহ করা হবে।
 
ভোলানাথ পান্ডে উত্তরপ্রদেশের দোয়াবা (বর্তমানে বাইরিয়া) বিধানসভার দুইবারের বিধায়ক ছিলেন।
 
ভোলানাথ পান্ডেকে শুধু রাজনীতিতে তার অবদানের জন্যই স্মরণ করা হয় না। তিনি ইন্দিরা গান্ধীর মুক্তির দাবিতে একটি খেলনা বন্দুক দিয়ে ১৯৭৮ সালের ২০ ডিসেম্বর ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট IC410 ছিনতাই করার সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছিলেন।
 
গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ঠ ভোলানাথ পান্ডে তার সহযোগী দেবেন্দ্র পান্ডেকে নিয়ে একটি খেলনা বন্দুক এবং একটি বল দিয়ে ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটটি ছিনতাই করেছিলেন। তারা পাইলটকে ফ্লাইটটি নেপালে নিয়ে যেতে বলেন। কিন্তু পাইলট জ্বালানির ঘাটতির কথা বলে তা প্রত্যাখ্যান করেন। পরে ফ্লাইটটি বারানসীতে অবতরণ করানো হয়। এই ফ্লাইটে ১৩২ জন আরোহী এবং দুই প্রাক্তন মন্ত্রী এ কে সেন এবং ধরম বীর সিনহা ছিলেন।
 
ভারতীয় এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটটি যেভাবে হাইজ্যাক করা হয়েছিল
কলকাতা (বর্তমানে কোলকাতা) থেকে ফ্লাইটটি দিল্লির উদ্দেশে রওনা হয়েছিল। এটি লখনউ থেকে বিকেল ৫টা ৪৫ মিনিটে যাত্রা শুরু করেছিল। পরে ফ্লাইটটি দিল্লি পৌঁছানোর মাত্র ১৫ মিনিট আগে ১৫তম সারিতে গোলমাল শুরু হয়। পরে ভোলানাথ পান্ডে এবং দেবেন্দ্র পান্ডে তাদের আসন থেকে সোজা ককপিটে চলে যান।
 
ককপিটে ঢোকার পর তারা ফ্লাইট ক্যাপ্টেনকে দিয়ে ঘোষণা করান যে, ফ্লাইটটি হাইজ্যাক করা হয়েছে এবং দিল্লির পরিবর্তে পাটনা যাচ্ছে। কিছুক্ষণ পরে ফ্লাইটটি বারানসীতে যাবে বলে ঘোষণা আসে।
 
ফ্লাইট ক্যাপ্টেন এম এন ভাট্টিওয়ালা এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, উভয় পান্ডে পাইলটদের প্রথমে নেপালে উড়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু তা প্রত্যাখ্যান করায় তারা তখন বাংলাদেশে উড়ে যেতে বলেছিল। পরে তা-ও প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। তখন ভোলানাথ পান্ডে এবং দেবেন্দ্র পান্ডে ইন্টারকমে বক্তৃতা দেন এবং যুব কংগ্রেসের সদস্য হিসেবে নিজেদের পরিচয় দেন। তারা বলেছিল যে তারা অহিংসায় বিশ্বাসী এবং যাত্রীদের কোনো ক্ষতি হবে না।
 
ভোলানাথ পান্ডে ইন্দিরা গান্ধীর ছেলে সঞ্জয় গান্ধীর বিরুদ্ধে সব মামলা প্রত্যাহার করারও দাবি করেছিলেন। তারা ফ্লাইটে ইন্দিরা জিন্দাবাদ এবং সঞ্জয় জিন্দাবাদ স্লোগান তোলেন, যা যাত্রীদের কাছ থেকে হাততালি ও উল্লাস করেন। খবরে বলা হয়েছে, বেশিরভাগ যাত্রীই ছিনতাইকে গুরুত্বের সঙ্গে নেননি।
 
ফ্লাইটটি বারানসীতে পৌঁছলে ভোলানাথ পান্ডে এবং দেবেন্দ্র পান্ডে উত্তরপ্রদেশের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী রাম নরেশ যাদবের সঙ্গে দেখা করেন, যিনি কেন্দ্রে ক্ষমতায় থাকা জনতা পার্টির সদস্য ছিলেন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা আলাপ-আলোচনা এবং ইন্দিরা গান্ধীকে মুক্তি দেওয়ার আশ্বাসের পর ফ্লাইটটিকে ছেড়ে যেতে দেওয়া হয়। ভোলানাথ পান্ডে এবং দেবেন্দ্র পান্ডে পরে আত্মসমর্পণ করেন।
 
১৯৮০ সালে ইন্দিরা গান্ধী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রত্যাহার করা হয় এবং একই বছর উভয়কে কংগ্রেস উত্তরপ্রদেশ থেকে বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য টিকিট দেয়।
 
পরে ভোলানাথ পান্ডে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, তাদের ছিনতাইয়ের বিষয়টি একটি প্রতিবাদ ছিল। যার উদ্দেশ্য ছিল ইন্দিরা গান্ধীকে মুক্তি দেওয়ার জন্য জনতা পার্টির সরকারকে চাপ দেওয়া।
 
অমিয়/

নেপালের বাস দুর্ঘটনায় ৪১ ভারতীয় নিহত

প্রকাশ: ২৪ আগস্ট ২০২৪, ০৯:৪২ এএম
আপডেট: ২৪ আগস্ট ২০২৪, ১০:১৭ এএম
নেপালের বাস দুর্ঘটনায় ৪১ ভারতীয় নিহত
ছবি : সংগৃহীত

নেপালের বাস দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪১ জনে পৌঁছেছে। দুর্ঘটনাকবলিত বাসটি ভারতীয় যাত্রীদের নিয়ে পোখরা থেকে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর উদ্দেশে যাচ্ছিল। 

শুক্রবার (২৩ আগস্ট) রাতে মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী গিরিশ মহাজন এ তথ্য নিশ্চিত করে সংবাদমাধ্যমকে জানান, ওই বাসে অধিকাংশ যাত্রীই ছিলেন মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা। তাদের মরদেহ দেশে ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

সংবাদ সংস্থা এএনআই জানায়, নেপালে দুর্ঘটনাকবলিত বাসটিতে মোট ৪৩ জন যাত্রী ছিলেন। বাসটি উত্তরপ্রদেশ থেকে নেপালে গিয়েছিল। শুক্রবার পোখরা থেকে কাঠমান্ডুর যাওয়ার পথে তনহুঁ জেলার মারশিয়াংড়ি নদীতে হঠাৎ বাসটি উল্টে যায়। খরস্রোতা নদীতে বাসটিকে পড়ে থাকতে দেখা গেছে। পরে শুরু হয় উদ্ধারকাজ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুর্ঘটনাকবলিত বাসের যাত্রীরা নেপালে ঘুরতে গিয়েছিলেন। পোখরা শহরের একটি রিসর্টে ছিলেন তারা। শুক্রবার সকালে তাদের নিয়ে বাসটি কাঠমান্ডুর উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল।

কীভাবে বাসটি রাস্তা থেকে নদীতে পড়ে গেল, তা এখনো স্পষ্ট নয়। নেপাল প্রশাসন বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। সূত্র: আনন্দবাজার

অমিয়/