ঢাকা ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪
English
বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন মেয়েদের ভোট কার বাক্সে?

প্রকাশ: ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ১০:২৫ এএম
মেয়েদের ভোট কার বাক্সে?
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

এই প্রতিবেদনটি যখন লিখছি তখন যুক্তরাষ্ট্রের ভোটাররা ভোট দেওয়া শুরু করে দিয়েছেন। কিন্তু ভোটের পরিস্থিতি ভালো করে দেখার আগেই আমাকে এই রিপোর্টটি পাঠাতে হচ্ছে। আগামীকাল যখন এটি খবরের কাগজে প্রকাশিত হবে, তার আগেই আপনারা ভোট দেওয়ার বিষয়টি আরও অনেকখানি জেনে যাবেন। আমি বরং সোমবার যাদের সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলেছি, তাদের কথাই বলি।

আমি সম্ভাব্য ভোটারদের সঙ্গে আলাপ করার জন্য গতকাল বিকেলে বের হয়েই দেখি কনকনে শীতল হাওয়ার ছুরি যেন দাঁত বের করে শান দিচ্ছে।
সত্তরের মতো বয়সী এক শ্বেতাঙ্গিনী, পথ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। বিনীতভাবে তার সঙ্গে কথা বলতে চাইলে সঙ্গে সঙ্গে রাজি হলেন। তার নাম টেরিসা। গর্ভপাত ও নারীর অধিকারের প্রশ্নে ডেমোক্র্যাটদের কমলাই তার একমাত্র পছন্দ। অতীতে ফিন্যান্সিয়াল অ্যানালিস্ট হিসেবে কাজ করলেও বর্তমানে তিনি অবসরপ্রাপ্ত। 

নির্বাচনি লড়াইতে এখন পর্যন্ত অবস্থা প্রায় ৫০:৫০, অর্থাৎ ফিফটি-ফিফটি! তবে আশা করি কমলাই জিতবে, টেরিসা বললেন। এবারের নির্বাচনে তার কাছে গুরুত্বপূর্ণ তিন ইস্যু হচ্ছে নারী অধিকার, অর্থনীতি এবং সামাজিক নিরাপত্তা। 

এই ভদ্রমহিলা আমাকে পেরিয়ে যেতেই দেখলাম এক কৃষ্ণাঙ্গ তরুণীকে। এ দেশে আসার পর এই নির্বাচন কাভার করার কাজেই সাদা-ল্যাটিনো-আরব-দক্ষিণ এশীয়সহ যত জাতির মানুষকে প্রশ্ন করেছি, তারা সবাই উত্তর দিলেও কেন যেন আফ্রো-আমেরিকান বা কৃষ্ণাঙ্গদের কেউই কখনো মুখ খোলেননি, খোলাতে পারিনি। আজ একজন দক্ষিণ এশীয়ই জানালেন, এরা আমাদের বহু আগে থেকে এ দেশে বসবাস শুরু করলেও যেহেতু আমেরিকায় আজও কৃষ্ণাঙ্গরাই সবচেয়ে বেশি নিগৃহীত জনগোষ্ঠী, তাই নিজেদের কম্যুনিটি ছাড়া বাইরের মানুষের কাছে তারা কম মুখ খোলেন। সব সময়ই তারা খুব ভয়ে থাকেন। 

যা-ই হোক, টেরিসার পরই নানা জাতিসত্তার বেশ কয়েকজন পথচারী আমার কথায় সাড়া না দিয়ে বা মাথা ঝাঁকিয়ে, হাল্কা হেসে চলে গেলেন।

তারপরই অনেকটা আমাদের মতো মিশ্র বর্ণের ছিপছিপে, মাঝারি উচ্চতার সম্ভবত এক আরব নারীকেই দেখা গেল। বয়স পঁয়তাল্লিশ থেকে পঞ্চাশের ভেতর হবে। তিনি অবশ্য কথা বলতে রাজি হলেন। শার্ট ও ট্রাউজারের সঙ্গে মাথায় হিজাব পরা, নাম কেরিমা। কেরিমা জানালেন তিনি মিসরের মেয়ে। গত নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটদের ভোট দিলেও এবার গাজা গণহত্যার কারণে ভোট দিচ্ছেন গ্রিন পার্টিকে। 

কেরিমার সঙ্গে কথার পরপরই আলাপ হলো এমিলির সঙ্গে। তিনিও শ্বেতাঙ্গ। এমিলি জানালেন, নারীর গর্ভপাত প্রশ্নে ট্রাম্পের পুরুষতান্ত্রিক অবস্থান তিনি মানেন না। কাজেই ডেমোক্র্যাটদের ব্যালট বাক্সে ইতোমধ্যে তার ভোট তিনি পুরে দিয়েছেন। এমিলি পেশায় শিক্ষক। বোঝা গেল, চিরন্তন ব্লু স্টেট বা নীল প্রদেশ নিউইয়র্কের শিক্ষিত ও অগ্রসর চিন্তার নারীরা ক্ষোভে ফুঁসছেন। 

এদিকে গত শনিবারই যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে হাজার হাজার নারী ‘আমরা ফিরে যাব না’ বাণীসংবলিত স্লোগান এবং ব্যানারসহ সমবেত হয়েছিলেন। অবশ্য শুধু ওয়াশিংটন ডিসি নয়, দেশজুড়েই এই পদযাত্রার আয়োজন করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সচেতন নারীরা। 

ওয়াশিংটন ডিসিতে গত শনিবারের এই পদযাত্রায় বক্তা ও অংশগ্রহণকারীরা হোয়াইট হাউস অভিমুখে যাত্রা শুরু করার আগে ফ্রিডম প্লাজায় অংশ নেন এবং সেখানে তারা বন্দুক-সন্ত্রাস থেকে গাজা যুদ্ধসহ নানা বিষয়েই কথা বলেন। 

‘এবারের নির্বাচন নিছক রাজনীতির বিষয় নয়। এটা আমাদের অস্তিত্বেরও বিষয়’, ২০১৯ সালে ফ্লোরিডার মার্জোরি স্টোনম্যান ডগলাস হাইস্কুল থেকে গ্র্যাজুয়েশন করা আলায়াহ ইস্টমন্ড বলেন, ওই স্কুলে একজন বন্দুকধারী ঢুকে হুট করে ১৭ জন ছাত্র এবং স্কুল স্টাফকে হত্যা করেছিল। 

‘আক্ষরিক অর্থেই আমাদের জীবন এখন ব্যালট বাক্সের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করে’ আলায়াহ বলেন। 

ফ্রিডম প্লাজায় সমবেত এই নারীরা’ বলেছেন হোয়াইট হাউসে একজন নারী যাতে আসীন হতে পারেন, সেই লক্ষ্যে ভোট দিন। ‘আপনার মেয়ের জীবন এর ওপর নির্ভর করছে’ জাতীয় স্লোগানসংবলিত ব্যান্ড হাতে পরে তারা জড়ো হয়েছিলেন। এ ছাড়াও নারীর জন্য গর্ভপাতের অধিকারসহ নানা টি-শার্ট, মোজাও কিছু টেবিল থেকে বিতরণ করা হয়েছে। 

ওই পদযাত্রায় ৭০ বছরের মোনা ওয়েলস তার দুই বান্ধবীর সঙ্গে অংশ নেন এবং নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, আমি জানি না যে কীভাবে আমরা পেছনের দিকে হাঁটব। কেন হাঁটব। 

গ্লোরিয়া অলরেড নামে নারী অধিকারের নামি প্রবক্তা বলেন, কীভাবে কয়েক দশক আগে ধর্ষণের শিকার হয়ে গর্ভবতী হওয়ার পর এক হাতুড়ে ডাক্তারের কাছে গর্ভপাত করাতে গিয়ে তিনি অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের মুখে পড়েন। সে সময় একজন তরুণী, একক মা এবং শিক্ষক হিসেবে অলরেড জানতে পারেন, কোনো নারীকে গর্ভপাতে সাহায্য করাটা ডাক্তারদের জন্য বেআইনি ছিল। গর্ভপাতের পর ১০৬ ডিগ্রি জ্বর নিয়ে হাসপাতালে থাকার সময় এক সেবিকা তাকে বলেছিলেন, ‘গ্লোরিয়া, আশা করি তুমি একটি শিক্ষা পেয়েছ।’ 

‘হ্যাঁ আমি যে শিক্ষা পেয়েছি সেটা হলো গর্ভপাতকে নিরাপদ, আইনসম্মত এবং সবার জন্য অভিগম্য করতে হবে’, অলরেড বলেন অপেক্ষমাণ জনতাকে। 

তিনি ‘আপনারা কি মনে করেন ট্রাম্প নারীদের রক্ষা করবেন?’ 

‘না,’ নারীরা সমবেত কণ্ঠে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে কথাটা উচ্চারণ করেছেন। 

বক্তৃতা শেষে এই সমাবেশটি ‘নারীর অধিকার রক্ষার জন্য লড়াই করি’ এবং ‘নারীর অধিকার মানবাধিকার’, স্লোগান কণ্ঠে নিয়ে হোয়াইট হাউসের উদ্দেশে রওনা করেছিলেন।

বাংলাদেশ-ভারত মতবিরোধ সমাধানে যা বলল যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:১৭ পিএম
বাংলাদেশ-ভারত মতবিরোধ সমাধানে যা বলল যুক্তরাষ্ট্র
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার

ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে যেসব বিষয়ে মতবিরোধ রয়েছে, তা শান্তিপূর্ণ উপায়ে নিরসনের আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। 

স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানান মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। 

বাংলাদেশে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রির সাম্প্রতিক সফর নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মিলার বলেন, ‘আমরা চাই সংশ্লিষ্টরা শান্তিপূর্ণ প্রক্রিয়ায় নিজেদের মতবিরোধ দূর করুক।’

এদিনের ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশনে হামলার ঘটনা সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়া জানতে চান। তিনি বলেন, ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বাংলাদেশ সফর করেছেন। ভারত ও বাংলাদেশ উভয়েই সম্প্রতি ভারতের অভ্যন্তরে বাংলাদেশি কূটনৈতিক মিশনের ওপর সহিংস হামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। হামলার সেই ঘটনা এবং বাংলাদেশকে লক্ষ্য করে (ভারত থেকে) ক্রমবর্ধমান আগ্রাসী বক্তব্য সম্পর্কে আপনার (মিলারের) কোনো মন্তব্য আছে?

জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আশা করে, বাংলাদেশ ও ভারত শান্তিপূর্ণভাবে তাদের মধ্যকার বিবাদমান মতপার্থক্য দূর করবে। তার ভাষায়, ‘দেখুন, সব পক্ষ তাদের মতবিরোধ শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করুক, এটিই আমরা দেখতে চাই।’

বাংলাদেশ সফরে এসে বিক্রম মিশ্রি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন ও পররাষ্ট্রসচিব জসীম উদ্দিনসহ বেশ কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এটাই ছিল দুই দেশের মধ্যে প্রথম উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক।

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় অবস্থিত বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে সম্প্রতি হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলার সময় উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা সেখানে ভাঙচুর চালায় এবং বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা নামিয়ে ছিঁড়ে ফেলার পাশাপাশি অবমাননা করে।

আত্মঘাতী হামলায় তালেবান সরকারের শরণার্থী মন্ত্রী নিহত

প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৫৬ পিএম
আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:১২ পিএম
আত্মঘাতী হামলায় তালেবান সরকারের শরণার্থী মন্ত্রী নিহত
তালেবান সরকারের শরণার্থী মন্ত্রী খলিল উর-রহমান হাক্কানি। ছবি: সংগৃহীত

আফগানিস্তানের তালেবান সরকারের শরণার্থী মন্ত্রী খলিল উর-রহমান হাক্কানি আত্মঘাতী বিস্ফোরণে নিহত হয়েছেন। বিস্ফোরণে তার কমপক্ষে চারজন সহকর্মীও মারা যায়।

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) কাবুলে শরণার্থী মন্ত্রণালয়ের সদর দপ্তরে এ ঘটনা ঘটে।

খলিল উর-রহমান হাক্কানি বর্তমান তালেবান সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সম্পর্কে চাচা এবং হাক্কানি নেটওয়ার্কের প্রতিষ্ঠাতা জলালুদ্দিন হাক্কানির ভাই। সংগঠনটিতে ব্যাপক প্রভাব ছিল তার।

তালেবান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, আত্মঘাতী হামলাকারী শারীরিক প্রতিবন্ধীর ভান করে মন্ত্রীর কাছে পৌঁছেছিল। হামলায় দায়ী ব্যক্তি বা গোষ্ঠীকে খুঁজে বের করতে তদন্ত চলছে। ২০২১ সালে তালেবান সরকার ক্ষমতায় বসার পর এটি তালেবানের জন্য সবচেয়ে বড় আঘাত। তার মৃত্যু তালেবানের জন্য একটি বড় ক্ষতি বিশেষত হাক্কানি নেটওয়ার্কের নেতৃত্বের জন্য। যদিও সংগঠন দুটি আফগান সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছে তবুও তাদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ ক্ষমতার লড়াই চলছে।

আফগানিস্তানে এরকম হামলা করে সাধারণত ইসলামিক স্টেট (আইএস) ও ইসলামিক স্টেট খোরাসান। তবে বিস্ফোরণের ঘটনা তালেবান ও হাক্কানি নেটওয়ার্কের মধ্যে থাকা দ্বন্দ্বের কারণেও হতে পারে। সূত্র: সিএনএন

মাহফুজ/মেহেদী

সিরিয়ার বিদ্রোহীদের সহায়তা করেছে ইউক্রেন

প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৩১ পিএম
সিরিয়ার বিদ্রোহীদের সহায়তা করেছে ইউক্রেন
সিরিয়ার বিদ্রোহীগোষ্ঠীর সদস্যরা । ছবি: সংগৃহীত

সিরিয়ায় আসাদ সরকারের পতন ঘটাতে বিদ্রোহীগোষ্ঠীকে ইউক্রেন সামরিক ও তথ্য সহায়তা দিয়েছে বলে দাবি করছে দেশটির সামরিক সূত্র।

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) দ্য ওয়াশিংটন পোস্টে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন এ তথ্য জানায়।

রাশিয়াকে কূটনৈতিক বিড়ম্বনায় ফেলার আগ্রহ থেকেই কিয়েভ এই অবস্থান নিয়েছে বলে জানা যায়।

গত ৮ ডিসেম্বর সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ পালানোর কয়েক সপ্তাহ আগেই দেশটির বিদ্রোহীগোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শামকে (এইচটিএস) ২০টি ড্রোন অপারেটর ও ১৫০টি আধুনিক ফার্স্ট পারসন ভিউ ড্রোন দেয় কিয়েভ।   

এ ছাড়া সিরিয়ায় বিদ্রোহী তৎপরতায় ইউক্রেনের গোয়েন্দা সংস্থার বিশেষায়িত দল ‘খিমিক’ সহযোগিতা করেছে বলে নিশ্চিত করেছে বিভিন্ন সূত্র।

‘এ বছর ইউক্রেনের সহায়তায় সিরিয়ায় অবস্থিত রাশিয়ার বেশ কয়েকটি সামরিক ঘাটিতে আক্রমণ করেছে বিদ্রোহীরা’, ইউক্রেনের সংবাদ সংস্থা দ্য কিয়েভ পোস্টকে বলেন দেশটির গোয়েন্দাসংস্থা জিইউআরের এক কর্মকর্তা। 

এ ছাড়া বিভিন্ন পশ্চিমা গোয়েন্দাসূত্র আসাদের পতনে ইউক্রেনের অবদান নিশ্চিত করেছে। তাদের মতে, বিশ্বপরিমণ্ডলে রাশিয়ার কূটনৈতিক অবস্থান নড়বড়ে করে দেওয়ার প্রচেষ্টা থেকেই এই সহায়তা করেছে ইউক্রেন।

এ বিষয়ে ইউক্রেনের গোয়েন্দাসংস্থার প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল কিরিলো বুদানোভ বলেন, ‘রাশিয়ার যুদ্ধাপরাধের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে বিশ্বের যেকোনো দেশকে সহায়তা করবে কিয়েভ।’

এদিকে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী সিরিয়ার ইদলিবে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ‘নোংরা’ সামরিক অভিযান চালিয়েছে, বলছেন রাশিয়ার বেশ কিছু প্রশাসনিক কর্মকর্তা।

তবে আসাদের পতনে ইউক্রেনকে আসল কৃতিত্ব দিতে নারাজ তারা। রাশিয়ার বেশ কিছু সূত্র টেলিগ্রাম বার্তায় জানায়, ‘এইচটিএস অনেক আগেই নিজেদের অভিযান গুছিয়ে রেখেছিল।’

এদিকে সিরিয়ায় সহায়তার আগেও বেশ কয়েকবার রাশিয়ার সামরিক কার্যক্রমের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে কিয়েভ। এর আগে মালিতে রাশিয়াবিরোধী অভিযান চালিয়েছে তারা।

এইচটিএসের সশস্ত্র অভ্যুত্থানে আসাদের পতন বৃহত্তর প্রেক্ষাপটে রাশিয়ার সূক্ষ্ম দুর্বলতাকে স্পষ্ট করেছে, মত বিশ্লেষকদের। 

বার্তাসংস্থা মিডল ইস্ট আই-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, সিরিয়াকে ইউক্রেনের সামরিক সহায়তার বিষয়টি রাশিয়া প্রত্যাখান করেছিল।

সিরিয়ায় ইউক্রেনের গোপন সহায়তাই আসাদের পতন ঘটানোর মূল কারণ না হলেও কিয়েভের তৎপরতা রাশিয়ার মাথাব্যাথার অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। সূত্র: দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট। 

নাইমুর/অমিয়/

ফিলিস্তিনকে সমর্থন, যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বরখাস্ত ভারতীয় ছাত্র

প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:২৩ পিএম
ফিলিস্তিনকে সমর্থন, যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বরখাস্ত ভারতীয় ছাত্র
প্রল্লাদ ইয়েংগার । ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনকে সমর্থন করে রচনা লেখার কারণে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ছাত্র প্রল্লাদ ইয়েংগারকে বরখাস্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যসাচুসেটস ইন্সটটিউট অব টেকনলজি (এমআইটি)। বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যাগাজিন ‘রিটেন রেভ্যুলেশনে’ ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকে সমর্থন করে রচনা লিখেছিলেন ইয়েংগার।

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বার্তাসংস্থা দ্য হিন্দুস্তান টাইমসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২০২৬ সালের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি ন্যাশনাল সায়েন্স ফাউন্ডেশনে তার গবেষণা ফেলোশিপ বাতিল করা হয়েছে।

‘অন প্যাসিফিজম’ শিরোনামে লেখা রচনাটিতে ইয়েংগার ফিলিস্তিনের বিদ্রোহীদের আরও সশস্ত্র অবস্থান নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। 

এমআইটি কর্তৃপক্ষের মতে, লেখায় সহিংসতা উদ্রেগকারী ভাষা ব্যবহৃত হয়েছে।

এ ছাড়া রচনায় যুক্তরাষ্ট্রে জঙ্গী সংগঠন হিসেবে স্বী্কৃত পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অব প্যালেস্টাইনের (পিএফএলপি) ছবি ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানান তারা।

তবে এই ছবি ব্যবহারের অভিযোগ প্রত্যাখান করে ইয়েংগার বলেছেন, ম্যাগাজিনের সম্পাদকীয় বিভাগ লেখা প্রকাশ করার সময় ছবিটি যোগ করেছে।

অভিযোগ প্রসঙ্গে কড়া সমালোচনা করে প্রল্লাদ বলেন, ‘আমাকে বরাখাস্ত ও রিটেন রেভ্যুলেশনকে আক্রমণ করার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বাকস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করেছে কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে অভিযুক্তের আইনজীবী এরিক লি জানান, রচনায় সহিংসতা উদ্রেগ করার মতো কোনো ধরণের ভাষা ব্যবহার করা হয়নি।

এই ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রে বাকস্বাধীনতা বিষয়ক বিতর্ক পুনরোজ্জীবিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলন জোট কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছে। 

এক বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলরের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। আমরা আশা করব যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিবেক আছে, তারা এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলবে।’

এদিকে ইয়েংগারের সমর্থনে সোমবার (৯ ডিসেম্বর) যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজে প্রতিবাদী র্যালি হয়।

এই বিতর্কে নেটিজনদের সমর্থন পাচ্ছেন প্রল্লাদ। এ প্রসঙ্গে একজন লিখেছেন, ‘বিবেক ও মানবিক জায়গা থেকে প্রল্লাদ তার অবস্থান প্রকাশ করেছেন। এটা কোনো অপরাধ হতে পারে না।’
  
এদিকে সমালোচকদের একপক্ষ বলছে, যেকোনো ধরণের জঙ্গী তৎপরপতা ঠেকাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পদক্ষেপ অন্যায় কিছু নয়। 
 
নাইমুর/অমিয়/

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ে পুলিশি অভিযান

প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:১৩ পিএম
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ে পুলিশি অভিযান
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভকারীরা। ছবি: সংগৃহীত

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের কার্যালয়ে তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ। গত ৩ ডিসেম্বর অপ্রত্যাশিত সামরিক আইন জারির পর ইওলকে ঘিরে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) এই অভিযান পরিচালিত হয় বলে নিশ্চিত করেছেন প্রেসিডেন্টের সিকিওরিটি কাউন্সিলের এক কর্মকর্তা।

স্থানীয় সংবাদ সংস্থা ইয়োনহাপের তথ্য অনুযায়ি, অভিযানে সামরিক শাসন ঘোষণা নিয়ে হওয়া আলোচনার যাবতীয় দস্তাবেজ উদ্ধার করতে ১৮ জন গোয়েন্দা কর্মকর্তা তল্লাশি করেন। 

সামরিক শাসন জারি করার পর ইওলের বিরুদ্ধে গণঅসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ে। যদিও তিনি বিক্ষােভের মুখে ছয় ঘণ্টা পর সামরিক শাসন তুলে নেন। সম্প্রতি দেশটির পার্লামেন্টে তার বিরুদ্ধে অভিসংশন প্রস্তাবিত হয়েছে।

সরকারের বিভিন্ন শাখা দেহদ্রোহীতার অভিযোগে প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে তদন্ত চালাচ্ছে বলে জানা গেছে। এ ছাড়া ক্ষমতা ছাড়তে বিভিন্ন মহলের চাপেও রয়েছেন তিনি।

এদিক গ্রেপ্তারের পর আটক অবস্থায় আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন দেশটির সাবেক প্রতিরক্ষা মন্ত্রী কিম-ইওং-হিউন। 

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানী সিউলের একটি ডিটেনশন সেন্টারে অন্তর্বাস ব্যবহার করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি। 

এর আগে রবিবার (৮ ডিসেম্বর) সামরিক আইন জারির বিষয়ে সব দায় স্বীকার করার পর গ্রেপ্তার হন কিম।

বর্তমানে তাকে কঠোর নজরদারিতে রাখা হয়েছে। শারীরিকভাবে তিনি এখন সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

এদিকে ক্ষমতাকাল কমিয়ে দেওয়ার বিষয়ে প্রেসিডেন্ট রাজি হওয়ার পর কেন অভিসংশন প্রস্তাব হবে- এমন প্রশ্ন তুলেছেন ক্ষমতাসীন দলের আইনপ্রণেতারা। 

তবে ইওলের পদত্যাগ বাস্তবায়ন না করার মাধ্যমে পুনরায় দেশদ্রোহী কর্মকাণ্ডের আয়োজন সম্পন্ন হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিরোধী দল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নেতারা।

বর্তমানে ইওলের কার্যত কোনো প্রশাসনিক প্রভাব নেই। 

প্রেসিডেন্ট পদত্যাগের আগে দক্ষিণ কোরিয়ার রাজপথ ছাড়বেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।

ইওলের রিরুদ্ধে তল্লাশির অনুমতি দেওয়া হলেও অভিযানের সময় তাকে কার্যালয়ে পাওয়া যায়নি।

তদন্তের বিষয়ে সিউলের হানকুক ইউনিভার্সিটি অব ফরেন স্টাডিজের অধ্যাপক ম্যাসন রিচি বলেন, ‘তদন্তের প্রতি প্রশাসনের সদিচ্ছার বিষয়টি এই অভিযানের মাধ্যমেই প্রমাণিত হয়।’  সূত্র: বিবিসি

নাইমুর/অমিয়/

'), descriptionParas[2].nextSibling); } if (descriptionParas.length > 6 && bannerData[arrayKeyTwo] != null) { if (bannerData[arrayKeyTwo].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyTwo].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyTwo].file)), descriptionParas[5].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyTwo].custom_code), descriptionParas[5].nextSibling); } } if (descriptionParas.length > 9 && bannerData[arrayKeyThree] != null) { if (bannerData[arrayKeyThree].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyThree].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyThree].file)), descriptionParas[8].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyThree].custom_code), descriptionParas[8].nextSibling); } } });