ঢাকা ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪

সেরা রিপোর্টার পুরস্কার পেলেন খবরের কাগজের মাকসুদ

প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০২৪, ০৭:৪১ পিএম
আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:০৩ এএম
সেরা রিপোর্টার পুরস্কার পেলেন খবরের কাগজের মাকসুদ
খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক দৈনিক খবরের কাগজের খুলনা প্রতিনিধি মাকসুদুর রহমান মাকসুদের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন।

খুলনার স্থানীয় পত্রিকায় ২০২৩ সালে প্রকাশিত অনুসন্ধানী প্রতিবেদন, প্রবন্ধ ও ফিচারে সেরা রিপোর্টার হিসেবে ‘ওয়াদুদুর রহমান পান্না সাংবাদিকতা স্মৃতি পদক’ পেয়েছেন ‘দৈনিক খবরের কাগজের’ খুলনা প্রতিনিধি মাকসুদুর রহমান মাকসুদ। 

বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) খুলনা প্রেসক্লাবের হুমায়ুন কবীর বালু মিলনায়তনে তাকে এই সম্মাননা দেন সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক। প্রতি বছর স্মৃতি পদক দেওয়া হয়।

এবার প্রতিযোগিতায় দৈনিক পূর্বাঞ্চলের স্টাফ রিপোর্টার আবুল হাসান হিমালয় দ্বিতীয় ও দৈনিক আজকের তথ্যের বার্তা সম্পাদক আলমগীর হান্নান তৃতীয় স্থান অর্জন করেছেন।

অনুষ্ঠানে সিটি মেয়র বলেন, ‘সাংবাদিক ওয়াদুদুর রহমান পান্না স্থানীয় সাংবাদিকদের মান উন্নয়নে কাজ করে গেছেন। গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি ভালোবাসা তার জীবদ্দশায় বিভিন্নভাবে প্রকাশ পেয়েছে।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এস এম নজরুল ইসলাম, মকবুল হোসেন মিন্টু, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এস এম জাহিদ হোসেন, ওয়াদুদুর রহমান পান্না সাংবাদিকতা স্মৃতি পদক মনোনয়ন বোর্ডের সদস্যসচিব ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা ডিসিপ্লিনের সহকারী অধ্যাপক মো. শরিফুল ইসলাম ও জোহরা খাতুন শিশু বিদ্যানিকেতন পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. তৌফিক রহমান। 

 

এলআরএফের সভাপতি আশরাফ, সাধারণ  সম্পাদক মিশন

প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৪, ০৮:২৩ পিএম
আপডেট: ২৮ জুন ২০২৪, ০৮:৫৯ পিএম
এলআরএফের সভাপতি আশরাফ, সাধারণ  সম্পাদক মিশন
ল রিপোর্টার্স ফোরামের (এলআরএফ) নব নির্বাচিত সদস্যবৃন্দ। ছবি: সংগৃহীত

আইন, বিচার, সংবিধান এবং মানবাধিকারবিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ল রিপোর্টার্স ফোরামের (এলআরএফ) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (২৮ জুন) সুপ্রিম কোর্ট বারের দক্ষিণ হলে সংগঠনের বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) শেষে নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতি পদে আশরাফ-উল-আলম (আজকের পত্রিকা) ও সাধারণ সম্পাদক পদে মনিরুজ্জামান মিশন (নিউএজ) নির্বাচিত হয়েছেন। ভোট গণনা শেষে ফোরামের প্রধান নির্বাচন কমিশনার স্বপন দাশ গুপ্ত ফল ঘোষণা করেন। এ সময় দুই নির্বাচন কমিশনার সালেহ উদ্দিন ও তোফায়েল হোসেন উপস্থিত ছিলেন। 

নির্বাচিত অন্যরা হলেন- সহসভাপতি হাসান জাবেদ (এনটিভি), যুগ্ম সম্পাদক আলমগীর হোসেন (যুগান্তর), অর্থ সম্পাদক মনজুর হোসাইন (চ্যানেল টোয়েন্টি ফোর), সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম নূর মোহাম্মদ (আজকের পত্রিকা), দপ্তর সম্পাদক জাকের হোসেন (এনটিভি অনলাইন), প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাবিবুল ইসলাম হাবিব (নিউজ টোয়েন্টি ফোর), প্রশিক্ষণ ও কল্যাণ সম্পাদক জাবেদ আখতার (এটিএন নিউজ)। এ ছাড়া কার্যনির্বাহী সদস্য পদে শামীমা আক্তার (দেশ টিভি), এম এ নাছের (চ্যানেল টোয়েন্টি ফোর) ও উৎপল রায় (দেশ রূপান্তর) নির্বাচিত হন।

ফোরামের বিদায়ী কমিটির সভাপতি শামীমা আক্তারের সভাপতিত্বে এজিএমে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি শুক্কুর আলী শুভ এবং সাবেক সভাপতি ইলিয়াস হোসেন, এলআরএফের সাবেক সভাপতি এম বদিউজ্জামান, আশুতোষ সরকার, ওয়াকিল আহমেদ হিরণ ও মাশহুদুল হক। সঞ্চালনা করেন বিদায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান।

বার্ষিক সাধারণ সভায় ৭৬ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। তবে গঠনতন্ত্র সংশোধন বিষয়ে মতবিরোধ হওয়ায় ৬ জন সভা বর্জন করেন।

পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের বিবৃতি প্রত্যাহারের দাবি ক্র্যাবের

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৪, ০৯:৪৯ পিএম
আপডেট: ২৪ জুন ২০২৪, ০৯:৪৯ পিএম
পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের বিবৃতি প্রত্যাহারের দাবি ক্র্যাবের
বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব)

পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের দেওয়া বিবৃতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব)। 

সোমবার (২৪ জুন) এ বিবৃতি দেয় ক্র্যাব।

ক্র্যাব সভাপতি কামরুজ্জামান খান ও সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সই করা বিবৃতিতে বলেন, ‘সাম্প্রতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে পুলিশের কয়েকজন বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তার অস্বাভাবিক সম্পদের মালিক হওয়ার সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। কোনো বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে এই সংবাদ প্রকাশ হয়েছে বলে আমরা মনে করি না। সাংবাদিকরা সব সময় দায়িত্বশীল এবং তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশ করে থাকেন। সম্প্রতি পুলিশের সাবেক ও বর্তমান কয়েকজন কর্মকর্তাকে নিয়ে এসব সংবাদ তারই ধারাবাহিকতা।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘সংবাদ প্রকাশের পর বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন সম্প্রতি বিবৃতি দিয়ে যে ভাষায় প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে, তা স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিপন্থী। ওই বিবৃতির মধ্য দিয়ে কতিপয় কর্মকর্তার ব্যক্তিগত দুর্নীতি উৎসাহিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এসব বিষয় নিয়ে সাংগঠনিক পর্যায়ে পারস্পরিক দোষারোপ করা যৌক্তিক নয়। দেশের স্বার্থে সাংবাদিক ও পুলিশ অপরাধ এবং অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে একসঙ্গে কাজ করে আসছেন। আগামী দিনেও একই সঙ্গে কাজ করবে সাংবাদিক ও পুলিশ।’

এতে বলা হয়, ‘ক্র্যাব সব সময় সংগঠনের সদস্যদের পেশাদারিত্বকে সম্মান করে, সেই সঙ্গে সদস্যদের আত্মমর্যাদা, নিরাপত্তা ও স্বার্থ সংরক্ষণে কাজ করে। ক্র্যাব সদস্যদের প্রতিটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে বরাবরই সত্য উঠে আসে। যা সব মহলে প্রশংসিত। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যনির্ভর প্রতিবেদন প্রকাশ করে ক্র্যাব সদস্যরা নিয়মিত পুরস্কৃত হচ্ছেন। পেশাদার সাংবাদিকদের সম্মান ও আত্মমর্যাদা রক্ষায় সব সময় গুরুত্ব দিয়ে থাকে ক্র্যাব।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “ক্র্যাব মনে করে, যেসব সাবেক ও বর্তমান পুলিশ কর্মকর্তার বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ ও প্রচারিত হয়েছে- তা যদি অসত্য হয়, তা হলে দেশের আইন অনুযায়ী প্রেস কাউন্সিলে যেতে পারেন তারা। তা না করে পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে ঢালাওভাবে সব প্রতিবেদনকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলা স্বাধীন সাংবাদিকতার ওপর হস্তক্ষেপের শামিল। প্রতিবেদন বন্ধ নয় বরং দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের ঘোষিত ‘শূন্য সহিষ্ণু নীতি’ বাস্তবায়নের জন্য সবার সহযোগিতা আশা করে ক্র্যাব। সে জন্য পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের উক্ত বিবৃতি প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছে ক্র্যাব।”

দুর্নীতি-অনিয়মের অনুসন্ধান এবং ক্ষমতার অপব্যবহার উন্মোচন করাও দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার কাজ বলে মনে করে ক্র্যাব। বাধা বিপত্তির মুখেও সাংবাদিক সমাজ তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালন করে যাবেন। স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিবেশ বিঘ্নিত হয়- এমন বক্তব্য প্রদান থেকে সবাইকে বিরত থাকার আহ্বান জানায় সংগঠনটি। কারণ মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং স্বাধীন সাংবাদিকতার অধিকার দেশের সংবিধানেই স্বীকৃত।

সাংবাদিক হাবিবুর রহমান মিলনের ৯ম মৃত্যুবার্ষিকী ১৪ জুন

প্রকাশ: ১৩ জুন ২০২৪, ০৬:৫৮ পিএম
আপডেট: ১৩ জুন ২০২৪, ০৬:৫৮ পিএম
সাংবাদিক হাবিবুর রহমান মিলনের ৯ম মৃত্যুবার্ষিকী ১৪ জুন
হাবিবুর রহমান মিলন

বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কলামিস্ট  হাবিবুর রহমান মিলনের ৯ম মৃত্যুবার্ষিকী আগামীকাল ১৪ জুন।

বহু প্রতিভাসম্পন্ন এই সাংবাদিক বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের (পিআইবি) চেয়ারম্যান ও ঐক্যবদ্ধ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি ছিলেন।

বঙ্গবন্ধু পরিষদের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা হাবিবুর রহমান মিলন ১৯৬৩ সালে দৈনিক সংবাদের মাধ্যমে সাংবাদিকতা জীবন শুরু করেন। ১৯৬৪ সালে দৈনিক পয়গাম ও দৈনিক আজাদে কাজ করার পর ১৯৬৫ সালে প্রখ্যাত সাংবাদিক তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়ার আহ্ববানে দৈনিক ইত্তেফাকে যোগ দেন। মৃত্যর আগ পযর্ন্ত তিনি দৈনিক ইত্তেফাকের উপদেষ্টা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। 

সাংবাদিকতাই ছিল হাবিবুর রহমান মিলনের একমাত্র পেশা। ১৯৩৫ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে জন্ম নেওয়া এই কৃতি সাংবাদিক দৈনিক ইত্তেফাকে ঘরে-বাইরে শিরোনামে কলাম লিখতেন সন্ধানী ছদ্মনামে।

সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের জন্য সরকার ২০১২ সালে তাকে একুশে পদকে ভূষিত করেন। এই প্রথিতযশা সাংবাদিক ২০১৫ সালের ১৪ জুন শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

সালমান/

বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের চতুর্থ জাতীয় সম্মেলন

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৪, ১১:১২ পিএম
আপডেট: ০২ জুন ২০২৪, ১১:১২ পিএম
বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের চতুর্থ জাতীয় সম্মেলন
ছবি : সংগৃহীত

নারীর বিরুদ্ধে সকল প্রকার বৈষম্য, নির্যাতন ও অত্যাচার দূরীকরণে যুথবদ্ধ হয়ে নারী সাংবাদিকদের বলিষ্ঠ ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

রবিবার (২ জুন) ‘নারী পুরুষের সমতা অর্জনে কলম হোক হাতিয়ার’ শীর্ষক বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের চতুর্থ জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। রাজধানীর রমনায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আয়োজিত এবারের সম্মেলনে সারাদেশ আসা কেন্দ্রের শতাধিক সদস্য অংশ নেন।

স্পিকার বলেন, গত কোভিডের সময় নানা ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ফলে নারীরা সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগের শিকার হন। বিশেষ করে চাকরি চলে যাওয়া, আর্থিক সংকটসহ নানা সমস্যার সম্মুখীন হন নারী সাংবাদিকরা। ওই সময়কার দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে নারী সাংবাদিকদের জন্য জীবনবীমা ব্যবস্থা চালুর প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন তিনি।

বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের বিভিন্ন কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করে ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, সারা দেশের নারী সাংবাদিকরা সাংবাদিকতার মতো মহান পেশাকে গ্রহণ করে যে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন এটা সত্যিই প্রশংসনীয়। আপনারা দেশ ও জাতির কল্যাণে যেসব কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে আসছেন এটা নারী হিসেবে আমাদের অনেক গর্বের ও সম্মানের। আমি আশা করছি নারী সাংবাদিক কেন্দ্র আগামীতে আরও সময়োপযোগী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করবেন।  

জাতীয় সংসদের স্পিকার বলেন, নারী সাংবাদিকরা দেশের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে লেখালেখি করেন। কিন্তু নিজেদের যত সমস্যা ও চ্যালেঞ্জে রয়েছে সেগুলো নিয়ে লেখা ও বলার সুযোগ তাদের হয় না।  যেকোনো সমস্যা সাংগঠনিকভাবে একত্রিত হয়ে যথার্থ কর্তৃপক্ষকে জানালে সে সমস্যার সমাধান সহজ হয়।

তিনি আরও বলেন, শুধু সাংবাদিকতা নয় সব পেশাতেই নারীকে নানা প্রতিবন্ধকতা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়। কাজেই দক্ষতা বৃদ্ধিতে প্রশিক্ষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পেশাগত প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে তথ্য প্রযুক্তি জ্ঞানেও নারীর দক্ষতা জরুরি।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সভাপতি নাসিমুন আরা হক মিনু। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের  সাধারণ সম্পাদক পারভীন সুলতানা ঝুমা। শোক প্রস্তাব পেশ করেন কেন্দ্রের কোষাধ্যক্ষ আখতার জাহান মালিক। 

বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সভাপতি নাসিমুন আরা হক মিনু বলেন, ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্র। তখন থেকেই সদস্যরা দেশের নারীদের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন। বর্তমানে বাংলাদেশ  নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সদস্য সংখ্যা প্রায় চারশত। যাদের মধ্যে অনেকে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রতিকূলতার মধ্যেও সাংবাদিকতা করে যাচ্ছেন। নারী সাংবাদিকদের দক্ষতা বৃদ্ধিসহ কর্মক্ষেত্র সুরক্ষা বৈষম্য দূর করার জন্য কেন্দ্র প্রায় ২৪ বছর ধরে কাজ করে যাচ্ছে। নারী সাংবাদিক কেন্দ্র স্বল্পপরিসরে নারী সাংবাদিকদের জন্য কল্যাণ ফান্ড গঠন করেছে।

বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের  সাধারণ সম্পাদক পারভীন সুলতানা ঝুমা বলেন, বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্র একটি স্বচ্ছ ও সৎ সংগঠন। সদস্যদের আন্তরিকতা ও ভালোবাসা নিয়ে সংগঠনটি দীর্ঘ ২৪ বছর নানা রকমের বাধা-বিপত্তির মধ্য দিয়েও সদস্যদের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। গুণগত মান বজায় রেখে সাংবাদিকতায় নারীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে। নীতি নির্ধারণী পদগুলোতে নারীর সংখ্যা খুবই কম। সাংবাদিকতাকে এখনও নারীর পেশা মনে করা হয় না। যোগ্যাতার ভিত্তিতে নারীদের কর্মস্থলে পদোন্নতির দাবি জানান তিনি।

সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে বাংলাদেশ সাংবাদিক কেন্দ্র নাসিমুন আর হক আরা হক মিনুকে সভাপতি ও শাহনাজ সিদ্দীকি সোমা (বাসস) কে সাধারণ সম্পাদক করে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। 

১৯ সদস্য বিশিষ্ট কার্যনির্বাহী কমিটির অন্যান্যের মধ্যে রয়েছেন- সিনিয়র সহ-সভাপতি পারভীন সুলতানা ঝুমা, সহ-সভাপতি মুনিমা সুলতানা (ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস), সহ- সম্পাদক নাজনীন নাহার (টেকওয়ালর্ড বাংলাদেশ), লতিফা আনসারী রুনা (দীপ্ত টিভি), মাশরেখা মনা (বিটিভি), কোষাধ্যক্ষ আখতার জাহান মালিক (সিনিয়র সাংবাদিক), সাংগঠনিক সম্পাদক শাহনাজ পারভীন এলিস (দৈনিক খবরের কাগজ) প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক দিলরুবা খানম (ইত্তেফাক), দপ্তর সম্পাদক আহমেদ মুশফিক নাজনীন (একুশে টিভি), প্রশিক্ষণ সম্পাদক নাসরিন শওকত (ফ্রিল্যান্সার)। 

কার্যনির্বাহী সদস্যরা হলেন- ডেইজি মউদুদ ( দৈনিক বাংলা), অদিতি রহমান ( সিনিয়র সাংবাদিক), বিলকিস সুমি (জিটিভি), ইয়াসমিন রিমা (ডেইলি সান), লাইলী ইয়াসমিন (বৈশাখী টিভি), জাহিদা পারভেজ ছন্দা (সংবাদ) ও রুপম আক্তার (টাইম ওয়াচ)।

এলিস/এমএ/

সাংবাদিক ফরিদের ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে ক্র্যাবের আলটিমেটাম

প্রকাশ: ০৫ মে ২০২৪, ০৮:৫৪ পিএম
আপডেট: ০৫ মে ২০২৪, ০৮:৫৪ পিএম
সাংবাদিক ফরিদের ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে ক্র্যাবের আলটিমেটাম
ছবি : খবরের কাগজ

বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) সদস্য ও দৈনিক যুগান্তরের অপরাধবিষয়ক প্রতিবেদক ইকবাল হাসান ফরিদের ওপর কেমিক্যাল হামলাকারী দুর্বৃত্তদের চিহ্নিত করে আগামী ৭ দিনের মধ্যে গ্রেপ্তারের আলটিমেটাম দিয়েছে ক্র্যাব।

রবিবার (৫ মে) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) চত্বরে ক্র্যাব আয়োজিত মানববন্ধন থেকে ওই আলটিমেটাম দেওয়া হয়।

এদিকে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত এ মামলার উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি নেই। মামলাটি থানা থেকে ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়েছে। ডিবি কাজ শুরু করেছে।

মানববন্ধনে ক্র্যাব সভাপতি কামরুজ্জামান খান বলেন, ‘আগামী ৭ দিনের মধ্যে প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেপ্তার করুন। না হলে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন এবং ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিসহ অন্য সাংবাদিক সংগঠনকে সঙ্গে নিয়ে বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।’

সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘ইকবাল হাসান ফরিদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে গত ১৯ এপ্রিল। দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও মামলার তদন্তে অগ্রগতি নেই। থানা পুলিশ এবং তদন্ত কর্মকর্তার ভূমিকা শুরু থেকেই রহস্যজনক। এখন যেহেতু মামলাটি ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়েছে, তাই আসামিকে গ্রেপ্তারের জন্য ডিবিকে ৭ দিন সময় দিতে চাই। এই সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার না হলে বা তদন্তে অগ্রগতি না হলে আরও কঠিন কর্মসূচি দেওয়া হবে। বাদীর অনেক সন্দেহ থাকতে পারে। তবে পুলিশের কাজ, প্রকৃত অপরাধীদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা।’

মানববন্ধনে ক্র্যাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সরোয়ার আলম, আসাদুজ্জামান বিকু, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক লতিফ রানা ও আতাউর রহমান বক্তব্য রাখেন।

ঢাকায় অফিস শেষে ফেরার পথে গত ১৯ এপ্রিল রাতে সাভারের দক্ষিণ কলমায় সাংবাদিক ফরিদের বাসার কাছে দুর্বৃত্তরা সাভারের দুই জনপ্রতিনিধির নাম বলে এক মাসের মধ্যে এলাকা না ছাড়লে সপরিবারে হত্যার হুমকি দেন। একপর্যায়ে মাথায়, মুখে ঝাঁঝালো কেমিক্যাল ছুড়ে দেন। মানববন্ধনে ক্র্যাব যুগ্ম সম্পাদক দিপন দেওয়ান, অর্থ সম্পাদক হরলাল রায় সাগর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।