![রেশনিংসহ সামাজিক সুরক্ষাখাতে বরাদ্দের দাবিতে বিক্ষোভ](uploads/2024/06/28/kjkdkj55k-1719577127.jpg)
২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে পাচারকারী-অপ্রদর্শিত-অবৈধ সম্পদ মালিকদের কর ছাড় বাতিল এবং পোশাক শ্রমিকসহ নিম্ন আয়ের জনগণের জন্য রেশনিং ও সামাজিক সুরক্ষাখাতে বরাদ্দের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতি।
শুক্রবার (২৮ জুন) সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
সংগঠনের সভাপ্রধান তাসলিমা আখতারের সভাপতিত্বে এবং সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বাবুল হোসেনের সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সহ-সাধারণ সম্পাদক এফ এম নুরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রবীর সাহা, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াদুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় নেতা শামীম হোসন, হযরত বিল্লাল, আকলিমা বেগম, আসলাম শিকদার প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ৭ লক্ষ ৯৭ হাজার টাকার প্রস্তাবিত দেশের ৫৩তম প্রস্তাবিত বাজেটে রপ্তানি আয়ের শীর্ষখাতের কারিগর পোশাক শ্রমিকসহ শ্রমজীবীদের জীবনে স্বস্তির সুবাতাস আনতে পারেনি। এনেছে দুর্ভোগ আর অনিশ্চয়তার শঙ্কা। বাজেটে দ্রব্যমূল্যের কষাঘাত থেকে রক্ষা করতে কোনো সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ প্রস্তাবিত দেখা যায়নি। পোশাক শ্রমিক ও শ্রমজীবীদের জন্য রেশনিং, আবাসনসহ শ্রমখাতে বাজেটে বরাদ্দর দাবি দীর্ঘদিন থেকে উঠলেও প্রস্তাবিত বাজেটে তার ছাপ নেই। নেই দেশের জনগণ ও সৎ করদাতার স্বস্তি বা মূল্যস্ফীতির লাগাম টানার উদ্যোগ। উল্টো অপ্রদর্শিত আয়, সম্পদের মালিক ও পাচারকারীদের জন্য আছে প্রশ্নাতীত কর ছাড়। বৈধ ও প্রদর্শিত আয়কারিদের সর্বোচ্চ কর ৩০ শতাংশ, অন্যদিকে অবৈধ-অপ্রদর্শিত সম্পদ মালিকদেও কর মাত্র ১৫ শতাংশ। ফলে নিয়মিত বৈধ সৎ করদাতা উপর চাপ বাড়বে।
তারা বলেন, এই বিশেষ ছাড় ক্ষমতাবান বিশেষ ব্যক্তি-গোষ্ঠী-প্রতিষ্ঠানকে সরকারের ছত্রছায়ায় রক্ষা পাবার সুযোগ তৈরি করে দিচ্ছে। সরকারের জবাবদিহিতাহীন, অস্বচ্ছ অগণতান্ত্রিক সকল তৎপরতাকে টিকিয়ে রাখতেই দুর্নীতিগ্রস্থদের সুযোগ দেওয়া হয়েছে- যা বাজেটে আরেকবার সামনে এসেছে। অথচ শ্রমজীবীরা বর্তমান বাজারে বেঁচে থাকাই দায় হয়েছে। অবিলম্বে পাচারকারী-অপ্রদর্শিত-অবৈধ সম্পদ মালিকদের তোষণ বন্ধ করে প্রস্তাবিত বাজেটে কর ছাড় বাতিলের দাবি জানান।
পোশাক শ্রমিকসহ নিম্ন আয়ের জনগণের জীবনমান উন্নয়নে এবং শ্রমখাতে যথাযথ নির্দিষ্ট বরাদ্দের দাবি জানিয়ে বক্তারা বলেন, পোশাক শ্রমিকরা যে ১২ হাজার ৫০০ টাকা মজুরি পান তা তাদের মৌলিক চাহিদা পুরণে ব্যর্থ। বর্তমানে বাজারে দ্রব্যমূল্য জনগণের ক্রয়সীমার বাইরে চলে গেছে। অক্লান্ত পরিশ্রম করে ওভারটাইম করেও তারা জীবন নির্বাহ করতে পারছে না। সুচিকিৎসারও ব্যবস্থা নাই। দেশে কোন জাতীয় ন্যুনতম মজুরি নেই। এই পরিস্থিতিতে পোশাক শ্রমিকসহ শ্রমজীবীদের জীবন রক্ষায় বাজেটে বরাদ্দ এখন সময়ের দাবি বলেও অভিহিত করেন।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, এই সংকট থেকে মুক্ত হতে সামাজিক সুরক্ষাখাতে বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনকারী পোশাক শ্রমিকসহ শ্রমজীবীদের রেশনিং, ফ্যামিলি কার্ড ও শ্রমখাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি ছাড়া পথ খোলা নেই। টাকার অঙ্কে সামাজিক সুরাক্ষাখাতে বরাদ্দ বাড়লেও তা সাধারণ মানুষের দৌড়গোড়ায় পৌঁছে না। বর্তমান বাজেটে সামাজিক সুরক্ষাখাত থেকে পোশাক শ্রমিকসহ শ্রমজীবীর জন্য বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবিও জানান নেতৃবৃন্দ।
শফিক/এমএ/