![খেজুরের কাঁচা রস পানে সতর্কবার্তা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের](uploads/2023/12/14/1702560646.dates juicekk.jpg)
শীতকালে নিপাহ ভাইরাসজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। খেজুরের কাঁচা রসে বাঁদুড়ের বিষ্ঠা বা লালা মিশ্রিত হয় এবং তাতে নিপাহ ভাইরাসের জীবাণু থাকে। ফলে খেজুরের কাঁচা রস পান করলে মানুষ নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে। বর্তমান সময়ে বড়দের পাশাপাশি শিশু-কিশোররা নিপাহ ভাইরাসে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। খেজুরের কাঁচা রস সংগ্রহ, বিক্রয় ও বিতরণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট গাছিদের এবং জনসাধারণকে নিপাহ ভাইরাস সম্পর্কে অবহিত করা হলে এ রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।
নিপাহ ভাইরাসের বিষয়ে মানুষকে সচেতন করার উদ্দেশ্যে গতকাল বুধবার জরুরি স্বাস্থ্য বার্তাবিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। বিজ্ঞপ্তিটিতে স্বাক্ষর করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সিডিসির (কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল) জুনোটিক ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রামের ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. শ ম গোলাম কায়ছার।
নিপাহ একটি ভাইরাসজনিত মারাত্মক প্রাণঘাতী রোগ। এই রোগে মৃত্যুর হার প্রায় ৭০ শতাংশেরও বেশি। ২০২২-২৩ সালে দেশে এ রোগে আক্রান্ত ১৪ জনের মধ্যে ১০ জনই মৃত্যুবরণ করেন। তাই প্রতিরোধই হচ্ছে এ রোগ থেকে বাঁচার অন্যতম উপায়।
বিজ্ঞপ্তিতে দেওয়া তথ্যমতে, নিপাহ রোগে আক্রান্ত হলে এর প্রধান লক্ষণগুলো হলো- জ্বরসহ মাথা ব্যথা, খিঁচুনি, প্রলাপ বকা, অজ্ঞান হওয়া এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট হওয়া। নিপাহ রোগ প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কে নির্দেশনায় বলা হয়েছে, খেজুরের কাঁচা রস খাওয়া যাবে না, কোনো ধরনের আংশিক খাওয়া ফল খাওয়া যাবে না, ফলমূল পরিষ্কার পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে খেতে হবে, নিপাহ রোগের লক্ষণ দেখা দিলে রোগীকে অতি দ্রুত নিকটস্থ সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে, আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে আসার পর সাবান ও পানি দিয়ে দুই হাত ভালোভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে।
উল্লেখ্য, খেজুরের কাঁচা রস খাওয়ার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও রস থেকে তৈরি গুড় খেতে কোনো বাধা নেই। কারণ আগুনে জ্বাল দেওয়ার পর রসে জীবাণু থাকলেও তা নষ্ট হয়ে যায়।
এমএ/