![না পুড়েই প্রাণ গেল এত মানুষের!](uploads/2024/03/01/1709311280.Baily_Road2.jpg)
আগে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় যতগুলো বড় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে এবং অনেক মানুষের মৃত্যু ঘটেছে, সেখানে বেশির ভাগ মানুষেরই শরীর পুড়ে গিয়েছিল। অনেক লাশ শনাক্তও করা যায়নি পুড়ে অঙ্গার হয়ে যাওয়ায়। তাজরিন গার্মেন্টস, নিমতলী, চুড়িহাট্টার মতো ঘটনাগুলোতে বেশির ভাগ লাশের শরীর ছিল পুরোপুরি বা আংশিক অগ্নিদগ্ধ। তবে এবারই ঘটেছে ভিন্ন ঘটনা।
শুক্রবার (১ মার্চ) এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজের অগ্নিকাণ্ডে মৃত ৪৬ জনের বেশির ভাগই মারা গেছেন আগুন থেকে সৃষ্ট বিষাক্ত কালো ধোঁয়ার প্রভাবে। তাদের শরীর ছিল অক্ষত। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ধোঁয়ার কুণ্ডলীর মধ্যে আটকে পড়ে শ্বাসনালিতে বিষাক্ত ধোঁয়া ঢুকে পড়ে তাদের। অক্সিজেনের ঘাটতি হয়ে কার্বন মনোক্সসাইড তৈরি হলেই এমনটা হয় বলেও জানান বিশেষজ্ঞরা। আগুনে শুধু তিনজনের শরীর পুড়ে গেছে।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ও বার্ন বিষয়ে দেশের শীর্ষ পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. সামন্ত লাল সেন গতকাল এই অগ্নিকাণ্ডে নিহত ও চিকিৎসাধীন থাকা রোগীদের বিষয়ে গণমাধ্যমকে জানাতে গিয়ে বলেন, যারা এই দুর্ঘটনায় মারা গেছেন তাদের বেশির ভাগের শরীরে পোড়া দাগ নেই। কারও কারও সামান্য পোড়া দাগ থাকলেও তা মৃত্যু ঘটার মতো নয়।
এ সময় তিনি বলেন, যারা জীবিত আছেন তাদের অবস্থাও সংকটাপন্ন। এখনই তাদের পরিণতি বলা যাচ্ছে না।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত চিকিৎসাধীন ছিলেন ১১ জন। তাদের মধ্যে ২৫ বছর বয়সী রাকিব নামের একজন আইসিইউতে রয়েছেন। বাকিদেরও অক্সিজেন সাপোর্টে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া আরও তিনজন এসেছিলেন । তবে তাদের অবস্থা গুরুতর ছিল না বলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. তারিকুল খবরের কাগজকে জানান, ফয়সাল (৩৬), এনায়েত কাজী (২০), ফারদিন (১৮), মেহেদী হাসান (২২), সাদ মোহাম্মদ (২৩), রেড ক্রিসেন্টের কর্মী রাকিব (২৮), সুমাইয়া (৩১), আফজাল (২৪), ফরিদুল (২৭) ও জহিরুল (২৬) এ ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন আছেন। এছাড়া ঢাকা মেডেকেল কলেজ হাসপাতালে আরও দুজন চিকিৎসাধীন আছেন।
তিনি জানান, গতকাল রাতেই আনভিন (২৩), পরীক্ষিত (২৫) ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মী সুজন মোল্লাকে (২৭) প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে কেবল সুজন মোল্লার শরীরে ২ শতাংশ পোড়া দাগ ছিল। তার দুই হাত কিছুটা পুড়েছে।