ঢাকা ২৪ আষাঢ় ১৪৩১, সোমবার, ০৮ জুলাই ২০২৪

শ্রম আইন সংশোধনে আইএলও’র সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ: আইনমন্ত্রী

প্রকাশ: ১৪ মে ২০২৪, ০৭:৪৪ পিএম
আপডেট: ১৪ মে ২০২৪, ০৮:১২ পিএম
শ্রম আইন সংশোধনে আইএলও’র সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ: আইনমন্ত্রী
ছবি : বাসস

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, শ্রম আইন সংশোধনে আইএলও (আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা) প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। শ্রম আইন সংশোধন নিয়ে আইএলও’র ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে টানা তিনদিনের বৈঠক শেষে মঙ্গলবার (১৪ মে) বিকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। 

তিনি বলেন, আমরা তিনদিন ধরে আইএলও প্রতিনিধি দলের বক্তব্য শুনেছি। তাদের প্রত্যেকটা ইস্যু নিয়ে বিশদভাবে আলোচনা করেছি। মতবিনিময় করেছি। আমার মনে হয়, এ রকম মতবিনিময়ের মাধ্যমে আমরা যে সিদ্ধান্ত নিচ্ছি সেটা শুধু স্টেক হোল্ডারদের জন্যই ভালো নয়, এই আলোচনাটাই আন্তর্জাতিক মানের ক্ষেত্রে একটা উদাহরণ হয়ে থাকবে।

তিনি আরও বলেন, আলোচনায় আমাদের উভয় পক্ষের অবস্থান পরিষ্কার হয়েছে এবং উভয় পক্ষই সেই অবস্থা বুঝতে পেরেছে। আইএলও বাংলাদেশ শ্রম আইন সংশোধনের বিষয়ে কিছু সাজেশন দিতে চায়, যাতে আইনটি আরও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন হয়। আইএলও’র কমিটি অব এক্সপার্ট আমাদের আইনটা দেখেছেন, পড়েছেন, সেখানে তারা আন্তর্জাতিক মান নিয়ে কিছু সুপারিশ দিয়েছেন। আমাদের সরকারের পক্ষ থেকে আইএলও-কে যে সহযোগিতা করার কথা, সেটা সরকার করে যাচ্ছে । সেজন্যই মূলত তিনদিন ধরে শ্রম আইন সংশোধনের বিষয়ে 'এক্সারসাইজ' করা হচ্ছে। এখানে কিছু কিছু ইস্যুতে তারা সংশোধনের কথা বলেছেন। যেসব ইস্যু গ্রহণযোগ্য মনে হয়েছে, সেগুলো গ্রহণ করা হয়েছে। এগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু, সেজন্যে এখনই এসব ব্যাপারে বিস্তারিত বলা যাবে না। 

সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, শ্রম আইন সংশোধনের বিষয়ে কিছু বিষয় এসেছিল, যেগুলোর ক্ষেত্রে নীতি-নির্ধারক পর্যায়ের সিদ্ধান্ত প্রয়োজন। তাই নীতি-নির্ধারক পর্যায়ে আলোচনার মাধ্যমে সেগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তাছাড়া কিছু কিছু বিষয় এসেছে, যেগুলোর ক্ষেত্রে ত্রিপক্ষীয় কমিটির সিদ্ধান্ত প্রয়োজন। ওইসব বিষয় আমাদের দেশের বাস্তবতায় গ্রহণযোগ্য হবে কি না তা সেখানে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আমরা যে থ্রেসহোল্ড (ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের ক্ষেত্রে শ্রমিকদের সম্মতির হার) ১৫ শতাংশে নিয়ে এসেছি, তারা এটির প্রশংসা করেছেন। আমরা ২০১৭ সালে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, এটা আমরা ক্রমে ক্রমে নামাবো। কমিটমেন্ট অনুযায়ী আমরা গ্রাজুয়েলি নামাচ্ছি।

আইন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইনমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী, আইন মন্ত্রণালয়ের উভয় বিভাগের সচিব, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং আইএলও’র প্রতিনিধি দলের সদস্যরা অংশ নেন।

মতলু মল্লিক/এমএ/

কোটাবিরোধী আন্দোলন এবার একদফা দাবিতে দেশজুড়ে ব্লকেড কর্মসূচি

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ১১:১৫ পিএম
আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৪, ১২:০৮ এএম
এবার একদফা দাবিতে দেশজুড়ে ব্লকেড কর্মসূচি
ছবি: খবরের কাগজ

সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে চার দফা দাবিতে টানা লাগাতার কর্মসূচি পালন করে আসছে। এবার লাগাতার আন্দোলনের সপ্তম দিনে এসে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি দেশ জুড়ে পালন শেষে এক দফা দাবির ঘোষণা দেন। দাবিটি হলো- সকল গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লেখিত অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটাকে ন্যূনতম পর্যায়ে এনে সংসদে আইন পাস করে সংস্কার করতে হবে। ঘোষিত এই দাবিতে দেশজুড়ে ব্লকেড কর্মসূচি এবং ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচি অব্যাহত থাকার ঘোষণা দেন আন্দোলনকারীদের দুই সমন্বয়ক।

রবিবার (৭ জুলাই) রাত ৮টায় ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দেলন’ এর প্রধান মুখপাত্র ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নাহিদ ইসলাম এবং আরেক সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ এ ঘোষণা দেন। 

হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, এতোদিন ধরে আমাদের চার দফা দাবি ছিল। কিন্তু সোমবার থেকে সারাদেশে এক দফা দাবিতে কার্যক্রম চলবে। আমাদের দাবিটি হচ্ছে— সকল গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লেখিত অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটাকে ন্যূনতম পর্যায়ে এনে সংসদে আইন পাস করে কোটাকে সংস্কার করতে হবে।

এদিকে শাহবাগে অবরোধ চলাকালীন এই আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত সরকারের একটি অংশের সঙ্গে আলোচনা হয়। পরে রাত পৌনে ৮টায় শাহবাগে আন্দোলনকরীদের অস্থায়ী মঞ্চে ফিরে আসেন। ফিরে এসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী এবং প্রধান সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, আমাদের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন আমরা বলেছি আমরা রাজপথ থেকে এই ফয়সালার স্পষ্ট জানতে চাই। কোন আলাপ, সংলাপ, গোলটেবিল হবে না ৷ আমাদেরকে বলা হচ্ছে এটি সাব জুডিশিয়ারি ম্যাটার, একটি আদালতের বিষয়। আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, আমরা নির্বাহী বিভাগ এবং সরকারের কাছে জানতে চেয়েছি কেন ২০১৮ সালের পরিপত্র বাতিল করা হলো। সরকারের কাছে এখনো সুযোগ রয়েছে, নতুন একটি পরিপত্র ঘোষণা করার।

তিনি আরও বলেন, ২০১৮ সালে কোটা সংস্কারের আংশিক সমাধান হয়েছিল, দ্বিতীয় ও চতুর্থ শ্রেণিতে কোটা সংস্কারের যৌক্তিক সমাধান আমরা পাইনি। এবার যখন আমরা রাস্তায় নেমেছি, আমরা এখন সকল গ্রেডের কোটা সংস্কার নিয়ে ঘরে ফিরতে চাই।

পরবর্তী কর্মসূচির প্রসঙ্গে নাহিদ বলেন, আমাদের আন্দেলন নগর থেকে নগরে, মহানগর থেকে মহানগরে সাড়া ফেলেছে। কাল থেকে এই আন্দোলন আরও অধিক বেশি ছড়িয়ে পড়বে। ক্লাস পরীক্ষা বর্জন করে আমাদের যে ছাত্র ধর্মঘট চলছে, সেটি অনির্দিষ্টকালের জন্য অব্যাহত থাকবে এবং আমাদের যে ব্লকেড কর্মসূচি সেটি আরও বৃদ্ধি করে দেশের বিভিন্ন পয়েন্টে পয়েন্টে এর কার্যক্রম চলবে। আজকে আমরা শাহবাগ থেকে কাওরান বাজার পর্যন্ত গিয়েছি, আগামীকাল আমরা ফার্মগেট পার হয়ে যাব। সোমবার সাড়ে তিনটার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে সবাই জমায়েত হয়ে আমরা আবার আমাদের ব্লকেড কর্মসূচি পালন করব। তারা ভেবেছিল আমরা ক্লান্ত হয়ে ফিরে যাব কিন্তু সেটিকে আমরা ভুল প্রমাণিত করব। দাবি না আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা পড়ার টেবিলে ফিরব না। আমরা ’৫২, ’৬৬, ’৭১, ’১৮ সালে হারিনি এবং ’২৪ সালেও হারব না।’

পরে রাত ৮টা ৫ মিনিটে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নিলে শাহবাগে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়। এর আগে পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে বিকেল সোয়া তিনটা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে রাজু ভাস্কর্য-চারুকলা শাহবাগ মোড়ে গিয়ে শিক্ষার্থীরা অবরোধ করেন। 

এদিকে শাহবাগ অবরোধের দশ মিনিট যেতে না যেতে ৪টা ৫ মিনিটে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড় দখল করেন। এসময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জাতীয় পতাকা উড়াতে থাকেন এবং বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।

অন্যদিকে নীলক্ষেত মোড় অবরোধ করে রাখে ইডেন মহিলা কলেজের শিক্ষার্থীরা এবং সায়েন্সল্যাব অবরোধ করে রাখে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী। এছাড়াও রাজধানীর চাঁনখারপুল, মহাখালী-মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারসহ রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ মোড় অবরোধ করে রাখে আন্দোলনকারীরা। পরে রাত আটটার পূর্ব মূহুর্তে বিভিন্ন সময়ে অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন।

এর আগে গত মঙ্গলবার, বুধবার, বৃহস্পতিবার, ও শনিবার (৬ জুলাই) একই দাবিতে শাহবাগ অবরোধ করেন আন্দোলনকারীরা। ঘণ্টা খানেক অবরোধ শেষে শাহবাগ ত্যাগ করেন আন্দোলনকারীরা। গত শনিবার দেড় ঘণ্টার বিক্ষোভ মিছিল এবং আধা ঘণ্টার বেশি সময় ধরে শাহবাগ অবরোধ শেষে রবিবার থেকে সারাদেশের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট ব্লকেড করার ঘোষণা দিয়েছে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনকারীরা এর নাম দেয় ‘বাংলা ব্লকেড।’

আরিফ জাওয়াদ/এমএ/

বন্যার পূর্বাভাসমূলক পদক্ষেপ : ৬২ লাখ ডলার সহায়তা জাতিসংঘের

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ১০:৪০ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ১০:৪০ পিএম
বন্যার পূর্বাভাসমূলক পদক্ষেপ : ৬২ লাখ ডলার সহায়তা জাতিসংঘের
জাতিসংঘ

পূর্বাভাসমূলক পদক্ষেপের উদ্যোগের মাধ্যমে বাংলাদেশের যমুনা অববাহিকার পাঁচটি জেলায় ঝুঁকিপূর্ণ ৪ লাখ মানুষকে ৬২ লাখ ডলার দিয়েছে জাতিসংঘ কেন্দ্রীয় জরুরি ত্রাণ তহবিল (সিইআরএফ)। এটি সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ পরিবারগুলোকে সহায়তা করবে এবং বন্যার প্রভাব প্রশমিত করবে।

রবিবার (৭ জুলাই) জাতিসংঘের বাংলাদেশ অফিসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়। 

এতে বলা হয়, পূর্ব-বিন্যস্ত তহবিল জাতিসংঘের চারটি সংস্থাকে প্রদান করা হয়েছিল। এগুলো হলো খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও), জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউনিসেফ), জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপিএ) এবং বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)। পূর্বাভাস দেওয়া এলাকায় বন্যার আগেই মানুষের কাছে পৌঁছানোর জন্য এসব সংস্থাকে তহবিল দেওয়া হয়েছিল। 

আগাম সতর্কতা ব্যবস্থা এবং দুর্যোগের পূর্বাভাসে বৈজ্ঞানিক অগ্রগতি ব্যবহার করে এই সিইআরএফ বাস্তবায়নকারী অংশীদারদের বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, জামালপুর, বগুড়া এবং সিরাজগঞ্জ জেলায় চার লাখ মানুষের কাছে পৌঁছাতে সক্ষম করেছে, যার মধ্যে ৯২ হাজার ৮৯ জন পুরুষ, ১ লাখ ২৭ হাজার ৯০ জন মহিলা, ১ লাখ ৫৯ হাজার ১২১ জন শিশু এবং ৬ হাজার ৪৫ জন প্রতিবন্ধী আছেন। 

৮০ হাজার পরিবারের প্রত্যেকটি প্রত্যাশিত বহুমুখী নগদ স্থানান্তর, পানি পরিশোধন সরবরাহ, কৃষি সহায়তা, মর্যাদা এবং শিশুর কিট এবং লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার তথ্য পরিষেবা পাবে উল্লেখ করে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস সময়মতো তহবিল বিতরণকে স্বাগত জানিয়েছেন।

দুই বিভাগে স্বাভাবিক অপেক্ষা বেশি বৃষ্টির পূর্বাভাস

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ১০:৩৭ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ১০:৩৭ পিএম
দুই বিভাগে স্বাভাবিক অপেক্ষা বেশি বৃষ্টির পূর্বাভাস
ফাইল ছবি

তিন মাসের মধ্যে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে স্বাভাবিক অপেক্ষা বেশি বৃষ্টিপাত হতে পারে। একই সঙ্গে সামগ্রিকভাবে অন্য বিভাগগুলোতেও একই ধরনের পরিস্থিতি বিরাজ করতে পারে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে (জুলাই, আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাস) এসব তথ্য জানানো হয়েছে। 

পূর্বাভাস অনুযায়ী জুলাই মাসে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৭২০ মিলিমিটার। আর পূর্বাভাস অনুযায়ী বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৬৫০ থেকে ৭৯০ মিলিমিটার। সে ক্ষেত্রে সিলেট বিভাগে স্বাভাবিক ৫৭৯ মিলিমিটারের স্থলে ৫২০-৬৪০ মিলিমিটার বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আগস্ট মাসে চট্টগ্রামে সর্বোচ্চ ৫০০-৬১০ এবং সিলেটে ৪১০-৫০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। সেপ্টেম্বর মাসে সর্বোচ্চ সিলেট বিভাগে ৩৬৫-৪৫০ এবং চট্টগ্রাম বিভাগে ৩৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

সপ্তাহ শেষে বাড়তে পারে বৃষ্টিপাত

আগামীকাল সোমবার (৮ জুলাই) সকাল ৯টা থেকে ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে রংপুর বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। 

এ ছাড়া আগামী মঙ্গলবার (৯ জুলাই) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে রংপুর ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। আগামী ৫ দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে বলে জানানো হয়েছে।

মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফিরেছেন স্পিকার

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ১০:২৯ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ১০:২৯ পিএম
মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফিরেছেন স্পিকার
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। ফাইল ছবি

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর ভ্রমণ শেষে দেশে ফিরেছেন। রবিবার (৭ জুলাই) দুপুরে তিনি দেশে ফেরেন। 

সফরকালে তিনি মালয়েশিয়ার হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভস এর স্পিকার তান সেরি দাতো ড. জোহারি বিন আব্দুল এর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন।   

স্পিকারের সফরসঙ্গী হিসেবে সংসদ সচিবালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ ওয়ারেছ হোসেন এবং স্পিকারের সহকারী একান্ত সচিব (উপসচিব) মো. জসিম উদ্দিনও দেশে ফিরেছেন। 

এলিস/এমএ/

বিএসএমএমইউতে লিভার উৎসব অনুষ্ঠিত

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ১০:১০ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ১০:১১ পিএম
বিএসএমএমইউতে লিভার উৎসব অনুষ্ঠিত
ছবি : সংগৃহীত

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) তৃতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হলো ‘লিভার উৎসব’। 

রবিবার (৭ জুলাই) বিএসএমএমইউর ইন্টারভেনশনাল হেপাটোলজি ডিভিশনের আওতায় সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের অডিটোরিয়ামে দিনব্যাপী এ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। 

এতে কিউবা, জাপান, ভারত ও তুরস্কের বেশ কয়েকজন লিভার বিশেষজ্ঞ ও চিকিৎসা বিজ্ঞানী অংশ নেন। এ ছাড়া সারা দেশ থেকে লিভার বিশেষজ্ঞ, ইন্টারনাল মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ও হেপাটোবিলিয়ারি সার্জনরা উৎসবে যোগ দেন। 

লিভার উৎসব উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মো. নুরুল হক। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা।

উৎসবে উপস্থিত ছিলেন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ডা. জামাল উদ্দিন চৌধুরী, শিক্ষাবিদ ও বিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. জাফর ইকবাল, বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আফতাব আলী শেখ, অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য স্টাডি অব লিভার ডিজিজেজ বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক ডা. সেলিমুর রহমান এবং কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. এজাজুল হক। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইন্টারভেনশনাল হেপাটোলজি ডিভিশনের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল। 

এ ছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ইস্টওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি, ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা কাউন্সিল এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলোজির শিক্ষক ও গবেষকরা।

উৎসবে কয়েকজন লিভার বিশেষজ্ঞকেও সম্মানিত করা হয়। তার মধ্যে বিজ্ঞান গবেষণায় অবদান রাখায় কিউবার সরকারের দেওয়া পুরস্কার ‘অর্ডার, কার্লোস জে. ফিনলে’ প্রাপ্তির জন্য ডা. শেখ মোহাম্মদ ফজলে আকবর, ইন্টারভেনশনে অবদান রাখায় অধ্যাপক ডা. সেলিমুর রহমান, সাউথ এশিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য স্টাডি অব দ্য লিভারস ইউমেন ইন হেপাটোলজির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ায় ডা. রোকসানা বেগমকে সম্মাননা দেওয়া হয়।