![শুভ বুদ্ধপূর্ণিমা আজ](uploads/2024/05/22/buddhopurnima-1716350921.jpg)
বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বুদ্ধপূর্ণিমা বুধবার (২২ মে)। বৌদ্ধ ধর্মের প্রবর্তক গৌতম বুদ্ধ এই দিনে জন্ম নেন। গৌতম বুদ্ধের আবির্ভাব, বোধিপ্রাপ্তি আর মহাপরিনির্বাণ, এই স্মৃতিবিজড়িত দিনটি ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে পালন করবেন বুদ্ধ ভক্তরা।
বৌদ্ধদের বিশ্বাস, খ্রিষ্টপূর্ব ৬২৩ অব্দের এই দিনে গৌতম বুদ্ধ জন্মগ্রহণ করেন, ৫৮৮ খ্রিষ্ট পূর্বাব্দের এ দিনে তিনি বোধিলাভ করেন এবং ৫৪৩ খ্রিষ্ট পূর্বাব্দের এ দিনে তিনি নির্বাণ লাভ করেন। তার জন্ম, বোধিলাভ ও মহাপ্রয়াণ বৈশাখী পূর্ণিমার দিনে হয়েছিল বলে এর অপর নাম দেওয়া হয় ‘বুদ্ধপূর্ণিমা’।
এই দিনে সরকারি ছুটি। দিনটি উদযাপনে বৌদ্ধরা বুদ্ধপূজাসহ পঞ্চশীল, অষ্টশীল, সূত্রপাঠ, সূত্রশ্রবণ, সমবেত প্রার্থনা করেন। আজ বৌদ্ধ বিহারগুলোতে ধর্মীয় সভার আয়োজন করা হয়েছে। বিভিন্ন বিহারে মঙ্গল শোভাযাত্রা, বুদ্ধপূজা, পঞ্চশীল ও অষ্টশীল গ্রহণ, দিবসের তাৎপর্যবিষয়ক ধর্মীয় আলোচনা, সমবেত প্রার্থনা ও প্রদীপ পূজার আয়োজন করা হয়েছে। মানবজাতির সর্বাঙ্গীণ শান্তি ও মঙ্গল কামনায় বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছে বিভিন্ন বিহারে।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘একটি সৌহার্দ্য ও শান্তিপূর্ণ বিশ্ব প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে মহামতি গৌতম বুদ্ধ আজীবন সাম্য ও মৈত্রীর বাণী প্রচার করে গেছেন। সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠায় অহিংস পরম ধর্ম বুদ্ধের এই অমিয় বাণী আজও সমভাবে প্রযোজ্য।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেন, ‘মানুষের কল্যাণে এবং সমাজে শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় মহামতি গৌতম বুদ্ধ প্রচার করেছেন অহিংসা, সাম্য, মৈত্রী ও করুণার বাণী। হিংসায় উন্মত্ত পাশবিক শক্তিকে দমন, মূল্যবোধের অবক্ষয় রোধ ও শান্তিপূর্ণ সমাজ বিনির্মাণে আজকের পৃথিবীতে বুদ্ধের শিক্ষা অনুসরণ করা প্রয়োজন।’
বাংলাদেশ বুড্ডিস্ট ফেডারেশন আজ সন্ধ্যায় রাজধানীর মেরুল বাড্ডার আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহারে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। সকাল ১০টায় বুদ্ধপূজা, শীল গ্রহণসহ, সন্ধ্যা ৬টায় বুদ্ধপূর্ণিমার তাৎপর্য শীর্ষক বিশেষ আলোচনা সভার আয়োজন করেছে। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন ফরিদুল হক খান।
বাসস জানিয়েছে, বুদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন আজ বুধবার বিকেলে বঙ্গভবনের ক্রিডেনশিয়াল হলে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সংবর্ধনা দেবেন। রাষ্ট্রপতি এবং তার সহধর্মিণী ড. রেবেকা সুলতানা বাংলাদেশের বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব উপলক্ষে বৌদ্ধ নেতাদের শুভেচ্ছা জানাবেন। বৌদ্ধ ধর্মীয় নেতারাও বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতিকে ফুলের তোড়া উপহার দেবেন। আট শতাধিক অতিথি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান, পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের নেতারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। পরে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন সারা দেশের বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের উদ্দেশে ভাষণ দেবেন।