ঢাকা ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

কাজী নজরুলের জন্মবার্ষিকীতে তিন দিনব্যাপী ত্রিশালে চলছে নানা আয়োজন

প্রকাশ: ২৪ মে ২০২৪, ০৭:৫৪ পিএম
আপডেট: ২৪ মে ২০২৪, ০৭:৫৪ পিএম
কাজী নজরুলের জন্মবার্ষিকীতে তিন দিনব্যাপী ত্রিশালে চলছে নানা আয়োজন
ছবি : সংগৃহীত

অসাম্প্রদায়িক চেতনা এবং নজরুল’ প্রতিপাদ্য নিয়ে ময়মনসিংহের ত্রিশালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫তম জন্মবার্ষিকী উদযাপিত হচ্ছে। জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় তিন দিনব্যাপী আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিনে নজরুল অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভা শুরু হয় শুক্রবার (২৪ মে) বিকেল চারটায়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ত্রিশালের সংসদ সদস্য আনিছুর রহমান।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জুয়েল আহমেদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইউসুফ খান পাঠান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষা ও আইসিটি  মাহফুজুল আলম মাসুদ, জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ফজলে রাব্বি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান প্রমুখ।

আলোচনা সভা শেষে নজরুলের লেখা গান, কবিতা ও নাটক মঞ্চায়নের জন্য স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ের শিল্পী গোষ্ঠীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়।

এদিকে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বৃস্পতিবার (২৩ মে) সকালে উপজেলার দরিরামপুর নজরুল একাডেমি মাঠে ফিতা কেটে ও বেলুন উড়িয়ে তিন দিনব্যাপী আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান।

ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা নজরুল অডিটোরিয়ামে এদিন উদ্বোধনী আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য শরীফ আহমেদ, ফাহমি গোলন্দাজ (বাবেল), এ বি এম আনিসুজ্জামান, নিলুফার আনজুম পপি, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম এম মোহাইমেনুর রশিদ প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে স্বাগত ও স্মারক বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মাহফুজুল আলম মাসুম ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আশিক সরকার।

আলোচনা সভায় বিদ্রোহী বাঙালির প্রতিচ্ছবি কাজী নজরুল ইসলামের মর্যাদা ও গুরুত্ব তোলে ধরেন বক্তারা। তার কবিতা ও গানের জনপ্রিতা বাংলাভাষী পাঠকের হৃদয়ে জায়গা করে নেওয়ার নানা দিক তুলে ধরা হয়।

এদিকে প্রতিবছরের মতো এবারও কাজী নজরুল ইসলামের স্মৃতিবিজড়িত নজরুল একাডেমি মাঠে বসেছে নজরুল গ্রামীণ মেলা। তিন দিনব্যাপী এবারের মেলায় শতাধিক দোকান বসেছে। মেলায় বিভিন্ন পণ্য নিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসেছেন ব্যবসায়ীরা। আনন্দ উদ্দীপনায় চলছে বেচাকেনা।

কামরুজ্জামান মিন্টু/এমএ/

রিমান্ডে নুর কী তথ্য দিয়েছেন, জানালেন ডিবির হারুন

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৭:৪৫ পিএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৭:৪৫ পিএম
রিমান্ডে নুর কী তথ্য দিয়েছেন, জানালেন ডিবির হারুন
ডিএমপি'র অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেছেন, ‘কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালীন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরকে একজন নেতা চার লাখ টাকা দিয়েছিলেন। সেই টাকা কীভাবে, কীজন্য খরচ করা হয়েছে সেসব বিষয় জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।’

শনিবার (২৭ জুলাই) দুপুরে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

হারুন অর রশীদ বলেন, ‘নুরকে আমরা রিমান্ডে নিয়েছিলাম। তার কাছ থেকে অনেক তথ্য পেয়েছি। সেই তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। নুর একটা কথা স্বীকার করেছেন। আন্দোলন চলাকালীন একজন নেতা তাকে চার লাখ টাকা দিয়েছেন। আমরা সেই নেতাকেও নিয়ে এসেছি। তিনি চার লাখ টাকা নুরকে দিয়েছেন বলে স্বীকার করেছেন।’

কী জন্য সেই নেতা নুরকে এ টাকা দিয়েছেন সেসব বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কোটা আন্দোলনের সমন্বয়কদের সঙ্গে ডিজিটাল যোগাযোগের তথ্য পাওয়া গেছে বলেও জানান হারুন অর রশীদ।

তিনি আরও বলেন, ‘এছাড়া বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির সভাপতি (বিজেপি) ও সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ পাঁচ দিনের রিমান্ডে রয়েছেন আমাদের কাছে। তার কাছ থেকে কিছু বিষয় জানার চেষ্টা করছি।’

এদিকে রাজধানীর বনানীর সেতু ভবনে হামলার ঘটনায় করা মামলায় নুরুল হক নুরকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।

অন্যদিকে নুরের আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাকিল আহম্মদ তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

খাজা/এমএ/

বিমানবন্দরে জমে থাকা কার্গো দ্রুত খালি করার নির্দেশ মন্ত্রীর

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৬:৩২ পিএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৬:৩২ পিএম
বিমানবন্দরে জমে থাকা কার্গো দ্রুত খালি করার নির্দেশ মন্ত্রীর
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান। ফাইল ছবি

ইমপোর্ট কার্গো ভিলেজ ও বিমানবন্দরে দীর্ঘদিন ধরে জমে থাকা কার্গো দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে খালি করার নির্দেশ দিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান।

শনিবার (২৭ জুলাই) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে তিনি এ নির্দেশ প্রদান করেন। এসময় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার কমডোর মোঃ সাদিকুর রহমান চৌধুরী, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম ভূঞা, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মো. কামরুল ইসলাম সহ মন্ত্রণালয়, বেবিচক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। 

মন্ত্রী আরও বলেন, যে সমস্ত কার্গো আমদানির পর দীর্ঘদিন ধরে বিমানবন্দরে পড়ে আছে তা আইন ও যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে নিলামের মাধ্যমে দ্রুত ডিসপোজ অফ করতে হবে। 

ফারুক খান বলেন, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ, ঢাকা কাস্টমস হাউস, বিমান, সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ও সিএন্ডএফ এজেন্টসকে সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করে আমদানিকৃত পণ্যের দ্রুততার সঙ্গে খালাস নিশ্চিত করতে হবে। এক্ষেত্রে কারও অবহেলা সহ্য করা হবে না। কোন আমদানিকারক আমদানিকৃত পণ্য নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে খালাস না করালে দ্রুত আইনি প্রক্রিয়া গ্রহণের মাধ্যমে বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে হবে। 

এছাড়াও, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আমদানিকৃত কার্গো খালাস নিশ্চিতে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে বিভিন্ন অংশীজনের সমন্বয়ে প্রতি মাসে বৈঠকের মাধ্যমে উদ্ভূত সমস্যা নিরসনের নির্দেশনা দেন মন্ত্রী।

বৈঠক শেষে মন্ত্রী বিমানবন্দরের ব্যাগেজ এড়িয়া, লস্ট এন্ড ফাউন্ড শাখা এবং ইমপোর্ট কার্গো ভিলেজ পরিদর্শন করেন। 

তিথি/এমএ/ 

মেট্রোরেল, এক্সপ্রেসওয়ে কবে চালু হবে বলতে পারছি না: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৬:১৮ পিএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৬:১৮ পিএম
মেট্রোরেল, এক্সপ্রেসওয়ে কবে চালু হবে বলতে পারছি না: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি

কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় রাজধানীজুড়ে সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত মেট্রোরেল, এক্সপ্রেসওয়েসহ সড়ক অবকাঠামো কবে নাগাদ চালু করা যাবে তা নিশ্চিত নন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

সহিংসতায় দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে মেট্রোরেলের কাজীপাড়া ও মিরপুর-১০ স্টেশন, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বনানী ও মহাখালী টোল প্লাজা, বনানীর সেতু ভবন ও বিআরটিএর প্রধান কার্যালয় এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) ঢাকা বিভাগীয় প্রকৌশলীর কার্যালয় এখন ব্যবহার অনুপযোগী। বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ (বিবিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মূল ভবনের বাইরে তাবু খাঁটিয়ে এখন অস্থায়ী কার্যালয় স্থাপন করেছেন। সেতু বিভাগ ও বিআরটিএ সব ধরণের নাগরিক সেবা বন্ধ রেখে এখন ধ্বংসযজ্ঞের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের কাজ করছেন। 

শনিবার (২৭ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর বনানীতে ক্ষতিগ্রস্ত সেতু ভবন পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে ওবায়দুল কাদের গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন। মেট্রোরেলসহ বাকি সড়ক অবকাঠামো কবে নাগাদ চালু করা যাবে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিদ্ধান্ত নেবেন। তিনি সবকিছু গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন এবং তিনি প্রত্যক্ষভাবে বিটিভিসহ বিভিন্ন ধ্বংসপ্রাপ্ত স্থাপনায় গেছেন। সব কিছুর ক্ষয়ক্ষতির হিসাব তার কাছে আছে। কী অবস্থায়, কখন, কোনটা চালু করা যাবে আমি এই মুহূর্তে বলতে পারছি না।’

মেট্রোরেল প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের জানান, ‘মেট্রোরেলের কাজীপাড়া ও মিরপুর-১০ স্টেশন ধ্বংসপ্রাপ্ত। এটা এক বছরেও যন্ত্রপাতি এনে সচল করা সম্ভব হবে না বলে এক্সপার্টরা জানিয়েছেন।’

বিএনপি-জামায়াত জোটের বিরুদ্ধে সহিংসতার অভিযোগ এনে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তাদের দীর্ঘ দিনের ব্যর্থতা অবসানের জন্য রাজনৈতিক মতলবে বিএনপি-জামায়াত ছাত্র আন্দোলনের ওপরে ভর করেছে। ২০১৮ সালে তারা ব্যর্থ হয়েছে, নির্বাচনের আগে অক্টোবর মাসে তারা ব্যর্থ হয়েছে, নির্বাচনে হেরে যাওয়ার ভয়ে তারা অংশ নেয়নি—আজকে ক্ষমতার লিপ্সা তাদের পেয়ে বসেছে। এ জন্য আজকে এখন আর তারা গণতন্ত্র মানে না, তারা আগুন নিয়ে নেমেছে, অস্ত্র নিয়ে নেমেছে। আজকে কত মানুষের প্রাণের প্রদীপ নিভে গেছে পুরোপুরি হিসাব আসেনি।’

জয়ন্ত/এমএ/ 

সরকারি-বেসরকারি অফিসের সময়সূচি পরিবর্তন

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৫:৩১ পিএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৫:৩১ পিএম
সরকারি-বেসরকারি অফিসের সময়সূচি পরিবর্তন
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়

কোটা সংস্কার আন্দোলনের পর সরকারি-বেসরকারি অফিসের চলমান সময়সূচি (১১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত) পরিবর্তন করা হয়েছে। আগামীকাল রবিবার থেকে অফিসের সময়সূচি সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে। এই নিয়মে চলবে আগামী মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) পর্যন্ত।

শনিবার (২৭ জুলাই) এ তথ্য জানায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। 

এর আগে সহিংসতা ও বিভিন্ন কারণে গত সপ্তাহের রবি, সোম ও মঙ্গলবার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে বুধ ও বৃহস্পতিবার খুলে দেওয়া হয় অফিস। তবে অফিসের সময়সূচি ছিল বেলা ১১টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত।

অমিয়/

গুজব ছড়িয়ে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ করেছে বিএনপি-জামায়াত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৫:১৩ পিএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৬:০৪ পিএম
গুজব ছড়িয়ে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ করেছে বিএনপি-জামায়াত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ছবি : খবরের কাগজ

কোটা আন্দোলনের সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে বিএনপি-জামায়াত ও জঙ্গিরা ভাঙচুর অগ্নিসংযোগ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

তিনি বলেন, এক দল গুজব ছড়িয়েছে আরেক দল আক্রমণ করেছে। জঙ্গিরা নরসিংদীর কারাগারসহ বিভিন্ন থানা থেকে অস্ত্র লুট করে পুলিশ ও বিজিবির ওপর আক্রমণ করছে।

শনিবার (২৭ জুলাই) দুপুরে দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কসহ নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনাগুলো পরিদর্শন শেষে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের তিন সমন্বয়কের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তাদের মধ্যে একজন তার বাবাকে ফোন করে জানিয়েছেন আত্মগোপনের কথা। তা আবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানিয়েছে। তাই তাকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাদ করা হচ্ছে যে, কারা তাদের আক্রমণ করতে চায়। পরবর্তীতে তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, পুলিশ অনেক ধৈর্য্যের সঙ্গে এগুলো মেকাবিলা করেছে। বাচ্চাদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছে। তাই পুলিশ সময় নিয়ে ব্যবস্থা নিয়েছে। যারা গুজব ছড়িয়েছে তাদের থেকে সবাইকে সকর্ত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত ও জঙ্গি, যারা স্বাধীনতা চায়নি তারা দেশের সম্পদ পুড়িয়েছে। এরা মানুষের শত্রু, দেশের শত্রু। এরা ত্রাণ ভবন, সেতু ভবন, বিটিভি, বিআরটিএ ভবন, মেট্রোরেলের নানা স্থাপনাসহ ঢাকা-নারায়ণগঞ্জে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পুড়িয়ে দিয়েছে। লুটপাট করেছে। থানায় আক্রমণের চেষ্টা চালিয়েছে। সাইনবোর্ডে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে। মা হাসপাতালে তাদের দেওয়া আগুনে তিনজন পুড়ে মারা গেছেন।

তিনি বলেন, তাদের টার্গেট ছিল পুলিশ ও আওয়ামী লীগ। তারা পুলিশকে হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণ করেছে। থানা পুড়িয়ে দিয়েছে। যখন পুলিশ-র‌্যাব ও বিজিবি পারছিল না তখন বাধ্য হয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনতে সেনা মোতায়েন করা হয়। দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দক্ষ ও দেশপ্রমী তাই তারা কোনো ভয় করে না। আমরা বিশ্বাস করি সব কিছু স্বাভাবিক হয়ে আসবে।

এ সময় তিনি পুড়ে যাওয়া বিভিন্ন স্থাপনার ক্ষতির তালিকা তুলে ধরে বলেন, যারা ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে তারা দেশের শত্রু।

এর আগে তিনি যাত্রাবাড়ি-শনির আখড়া, নারায়ণগঞ্জ জেলা পিবিআই কার্যালয়, পাসপোর্ট অফিস, শিল্পপুলিশের ক্যাম্প ও শিমরাইলের মা হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। 

এ সময় পুলিশের মহাপরির্দশক আবদুল্লাহ আল মামুন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার হাবিবুর রহমান ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি নুরুল ইসলামসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। 

বিল্লাল হোসাইন/অমিয়/