কোটা আন্দোলনের সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে বিএনপি-জামায়াত ও জঙ্গিরা ভাঙচুর অগ্নিসংযোগ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
তিনি বলেন, এক দল গুজব ছড়িয়েছে আরেক দল আক্রমণ করেছে। জঙ্গিরা নরসিংদীর কারাগারসহ বিভিন্ন থানা থেকে অস্ত্র লুট করে পুলিশ ও বিজিবির ওপর আক্রমণ করছে।
শনিবার (২৭ জুলাই) দুপুরে দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কসহ নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনাগুলো পরিদর্শন শেষে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের তিন সমন্বয়কের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তাদের মধ্যে একজন তার বাবাকে ফোন করে জানিয়েছেন আত্মগোপনের কথা। তা আবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানিয়েছে। তাই তাকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাদ করা হচ্ছে যে, কারা তাদের আক্রমণ করতে চায়। পরবর্তীতে তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, পুলিশ অনেক ধৈর্য্যের সঙ্গে এগুলো মেকাবিলা করেছে। বাচ্চাদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছে। তাই পুলিশ সময় নিয়ে ব্যবস্থা নিয়েছে। যারা গুজব ছড়িয়েছে তাদের থেকে সবাইকে সকর্ত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত ও জঙ্গি, যারা স্বাধীনতা চায়নি তারা দেশের সম্পদ পুড়িয়েছে। এরা মানুষের শত্রু, দেশের শত্রু। এরা ত্রাণ ভবন, সেতু ভবন, বিটিভি, বিআরটিএ ভবন, মেট্রোরেলের নানা স্থাপনাসহ ঢাকা-নারায়ণগঞ্জে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পুড়িয়ে দিয়েছে। লুটপাট করেছে। থানায় আক্রমণের চেষ্টা চালিয়েছে। সাইনবোর্ডে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে। মা হাসপাতালে তাদের দেওয়া আগুনে তিনজন পুড়ে মারা গেছেন।
তিনি বলেন, তাদের টার্গেট ছিল পুলিশ ও আওয়ামী লীগ। তারা পুলিশকে হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণ করেছে। থানা পুড়িয়ে দিয়েছে। যখন পুলিশ-র্যাব ও বিজিবি পারছিল না তখন বাধ্য হয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনতে সেনা মোতায়েন করা হয়। দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দক্ষ ও দেশপ্রমী তাই তারা কোনো ভয় করে না। আমরা বিশ্বাস করি সব কিছু স্বাভাবিক হয়ে আসবে।
এ সময় তিনি পুড়ে যাওয়া বিভিন্ন স্থাপনার ক্ষতির তালিকা তুলে ধরে বলেন, যারা ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে তারা দেশের শত্রু।
এর আগে তিনি যাত্রাবাড়ি-শনির আখড়া, নারায়ণগঞ্জ জেলা পিবিআই কার্যালয়, পাসপোর্ট অফিস, শিল্পপুলিশের ক্যাম্প ও শিমরাইলের মা হাসপাতাল পরিদর্শন করেন।
এ সময় পুলিশের মহাপরির্দশক আবদুল্লাহ আল মামুন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার হাবিবুর রহমান ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি নুরুল ইসলামসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিল্লাল হোসাইন/অমিয়/