ঢাকা ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪

চট্টগ্রাম-কক্সবাজারের বিশেষ ট্রেন বৃহস্পতিবার থেকে বন্ধ

প্রকাশ: ২৯ মে ২০২৪, ০৯:০০ এএম
আপডেট: ২৯ মে ২০২৪, ০৯:০০ এএম
চট্টগ্রাম-কক্সবাজারের বিশেষ ট্রেন বৃহস্পতিবার থেকে বন্ধ

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে বিশেষ ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল। ইঞ্জিন, লোকোমাস্টার ও জনবল সংকটের কারণে আগামী বৃহস্পতিবার (৩০ মে) থেকে আগামী ১০ জুন পর্যন্ত এই ট্রেন বন্ধ থাকবে।

মঙ্গলবার (২৮ মে) রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের সহকারী প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (এসিওপিএস) কামাল আখতার হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রেলওয়ের মহাপরিচালকের কার্যালয় থেকে কক্সবাজার স্পেশাল-৩ ও ৪ ট্রেনটি আগামী ১০ জুন পর্যন্ত চলাচলের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু যান্ত্রিক বিভাগ থেকে ইঞ্জিন ও লোকোমাস্টারের সংকট থাকার কথা জানানো হয়েছে। এজন্য ৩০ মে থেকে ১০ জুন পর্যন্ত ট্রেন চলাচল বাতিল করা হলো। 

গেল বছরের ১১ নভেম্বর চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত নির্মিত নতুন রেললাইনের উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর গত বছরের ১ ডিসেম্বর ঢাকা থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। প্রথমে শুধুমাত্র ঢাকা থেকেই ট্রেন সার্ভিস চালু করেছিল রেলওয়ে। গত ঈদুল ফিতরের সময় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে সাময়িকভাবে চালু করা বিশেষ একটি ট্রেনের সময় ১০ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল। কিন্তু ইঞ্জিন ও লোকোমাস্টার সংকট দেখিয়ে ঈদুল আজহার আগেই জনপ্রিয় এ ট্রেনটি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় রেলওয়ে। 

রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের সহকারী প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (এসিওপিএস) কামাল আখতার হোসেন জানান, রোজার ঈদে চালু হওয়া ট্রেনটির জনপ্রিয়তা বেশি। যাত্রীদের চাহিদার কারণে দুই দফায় সময় বাড়িয়ে আগামী ১০ জুন পর্যন্ত চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে ট্রেনটি চালু রাখা হয়েছিল। প্রকৌশল বিভাগের পক্ষ থেকে ইঞ্জিন ও চালক সংকটের বিষয়টি জানানোর পর বাধ্য হয়ে কক্সবাজার স্পেশাল ট্রেনের সার্ভিস বন্ধ করতে হচ্ছে। 

চট্টগ্রাম ব্যুরো/অমিয়/

তরুণ প্রজন্ম সৃজনশীলতা-উদ্ভাবনের মধ্য দিয়ে মানবিকতার প্রসার ঘটাবে: প্রতিমন্ত্রী পলক

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:৩৬ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:৩৭ পিএম
তরুণ প্রজন্ম সৃজনশীলতা-উদ্ভাবনের মধ্য দিয়ে মানবিকতার প্রসার ঘটাবে: প্রতিমন্ত্রী পলক
ছবি: সংগৃহীত

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবনের মধ্য দিয়ে দেশের তরুণ প্রজন্ম মানুষের মধ্যে সংহতি, সহমর্মিতা ও মানবিকতার প্রসার ঘটাবে। তিনি বলেন, শান্তি ও সংহতির বার্তা বহনকারী চলচ্চিত্র তরুণ প্রজন্মের মধ্যে মানবিক গুণাবলি বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

রবিবার (৭ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল অডিটরিয়ামে ‘ক্যামেরায় গাঁথি স্মার্ট বাংলাদেশের গল্প’ শীর্ষক প্রতিপাদ্যে ‘শান্তি চলচ্চিত্র উৎসব- ২০২৩’-এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এক ভিডিও বার্তায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক রণজিৎ কুমারের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন, ইউএনডিপি বাংলাদেশের সিনিয়র গভর্ন্যান্স স্পেশালিষ্ট শীলা তাসনীম হক, এটুআইয়ের প্রোগ্রাম স্পেশালিস্ট (উদ্ভাবন) মানিক মাহমুদ ও ফিল্মস ফর পিস ফাউন্ডেশনের সভাপতি শীপা হাফিজা।

প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, ‘আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ বহু জাতি-ধর্ম-গোষ্ঠী-লিঙ্গ-সম্প্রদায়ের মানুষের দেশ। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আমাদের সাংবিধানিক ঘোষণা হচ্ছে সব জাতি-গোষ্ঠীর মানুষ সহনশীলতা ও সম্প্রীতির সঙ্গে সমমর্যাদা ও অধিকার নিয়ে বাঁচবে, গড়ে উঠবে বৈষম্যহীন সমতাভিত্তিক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা।’ তিনি বলেন, ‘সেই চেতনা নিয়েই আমরা স্বাধীনতার তেপ্পান্ন বছর পার করছি।’ 

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ও প্রধানমন্ত্রীর আইসিটিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের পরামর্শে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ শুরু করেছি। কিন্তু প্রযুক্তি ব্যবহার করে মানুষ যখন দৈনন্দিন কাজগুলো করছে, তখন বেশ কিছু হিংসাত্মক মনোভাব মুহূর্তের মধ্যেই আমাদের জাতি, গোষ্ঠীর মধ্যে এক ধরনের বিবেধ, সহিংসতা, ঘৃণা ছড়ানোর অপচেষ্টা করছে। আমরা সেজন্য ডিজিটাল লিটারেসি, সাইবার বুলিংয়ে সচেতনতা গড়ে তুলতে চাই।’ শান্তি, সহনশীলতা ও সম্প্রীতির প্রতি দেশের সুদীর্ঘ অঙ্গীকার রয়েছে বলেও জানান তিনি।

১৭০টি ছবির মধ্যে ২৫টি চলচ্চিত্রকে পুরস্কৃত করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে, ফিকশনে আত্মিক, মিরাকল ইন হ্যাভেন, ফ্রেগরেন্স, হুঁশ, এ নাইট টেইল, সদয় ফকিরের পাঠশালা, নুঅইন, হিউম্যান, নন্দিত নরকে, বেনিয়ান, মরীচিকা, রংপেনসিল, এন্টিটি, চৈতন্য, স্লিপস অব মাইন্ড, ভিডিও কনটেন্ট ম্যাসেঞ্জার, দানবাক্স, অগ্রগামিনী, চাকরি নাই, হাসি, স্ক্রিপ্টে বর্ণমালা, বিফর দ্য বিগিনিং, উধাও।

তিথি/এমএ/

 

বন্যায় ২০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত : ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:২৫ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:২৫ পিএম
বন্যায় ২০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত : ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান

সিলেট অঞ্চলসহ দেশের ১৮ জেলায় বন্যায় ২০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান।

রবিবার (৭ জুলাই) সচিবালয়ে আন্তমন্ত্রণালয় সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ তথ্য জানান।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সভায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে কীভাবে ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করা যায়, সে সম্পর্কে আলোচনা হয়েছে। পাশাপাশি ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের কাজ চলছে। আমরা জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলেছি। গত শনিবার বন্ধের দিনেও আমরা অফিস খোলা রেখেছি এবং কর্মকর্তাদের সঙ্গে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে মতবিনিময় করেছি।’

স্বচ্ছতার সঙ্গে ত্রাণ বিতরণ হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বন্যাদুর্গতদের জন্য ১৮ জেলায় ২১ হাজার ৭০০ টন চাল, নগদ ৫ কোটি ৪৭ লাখ টাকা, সাড়ে ৬৫ হাজার প্যাকেট শুকনো ও অন্যান্য খাবার, শিশুখাদ্যের জন্য ৪০ লাখ টাকা এবং ৪০ লাখ টাকার গোখাদ্য বাবদ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। শেখ হাসিনা সরকারের আমলে একজন মানুষও দুর্ভোগের শিকার হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করবে না। ত্রাণ পর্যাপ্ত মজুত আছে।’

তিন হাজার আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ৪০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। আজকেও আবহাওয়া অফিস ধারণা দিয়েছে যে, এরপর আরেকটা বন্যা হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। সেটাকে মাথায় রেখেই আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী গত একনেক সভায় সম্ভাব্য বন্যা মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার জন্য দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। সে পরিপ্রেক্ষিতে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে বন্যা মোকাবিলায় সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’

বন্যাদুর্গত জেলাগুলো হলো সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, নেত্রকোনা, শেরপুর, রংপুর,  কুড়িগ্রাম, ফেনী, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান, গাইবান্ধা, জামালপুর, লালমনিরহাট, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল ও বগুড়া।

মাতৃসদনে দুর্নীতি : ১৩ ডাক্তারসহ ২১ জনের বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:১৫ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:১৫ পিএম
মাতৃসদনে দুর্নীতি : ১৩ ডাক্তারসহ ২১ জনের বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট
আজিমপুর মাতৃসদন ও শিশুস্বাস্থ্য প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান

সরকারি কেনাকাটায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা আত্মসাতের ৩টি মামলায় রাজধানীর আজিমপুর মাতৃসদন ও শিশুস্বাস্থ্য প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের ১৩ ডাক্তারসহ ২১ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। 

কমিশনের অনুমোদনসাপেক্ষে রবিবার (৭ জুলাই) পৃথক তিনটি চার্জশিট ঢাকা মহানগর বিশেষ জজ আদালতে দাখিল করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও দুদকের সহকারী পরিচালক আতাউর রহমান সরকার এ চার্জশিট দাখিল করেন। 

এ বিষয়ে দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) আকতারুল ইসলাম খবরের কাগজকে বলেন, গত ১৩ জুন চার্জশিটগুলো কমিশনে অনুমোদন দেওয়া হয়। দাপ্তরিক প্রক্রিয়া শেষে সেগুলো আদালতে দাখিল করা হয়েছে। 

তিনটি চার্জশিটে আসামির তালিকায় আছেন, আজিমপুর মাতৃসদন হাসপাতালের সাবেক তত্ত্বাবধায়ক ডা. ইসরাত জাহান, পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকার সাবেক অধ্যক্ষ ডা. পারভীন হক চৌধুরী, মাতৃসদন ও শিশুস্বাস্থ্য প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের সাবেক সিনিয়র কনসালটেন্ট (গাইনি) ডা. রওশন হোসনে জাহান, সাবেক সহকারী কো-অর্ডিনেটর (ট্রেনিং অ্যান্ড রিসার্চ) ডা. লুৎফুল কবীর খান, সাবেক জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মাহফুজা খাতুন, সাবেক সহকারী কো-অর্ডিনেটর ডা. চিণ্ময় কান্তি দাস, মেডিকেল অফিসার (শিশু) ডা. বেগম মাহফুজা, দিলারা আকতার, ডা. নাজরীনা বেগম, সাবেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম, জুনিয়র কনসালটেন্ট (শিশু) ডা. নাদিরা আফরোজ, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সাবেক মেডিকেল অফিসার ডা. রওশন জাহান, সিনিয়র কনসালটেন্ট (শিশু) ডা. মো. আমীর হোচাইন, সাবেক সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা নাছির উদ্দিন, সাবেক মেডিকেল অফিসার ডা. সাইফুল ইসলাম, সাবেক মেডিকেল অফিসার (সনোলজিস্ট/ইমেজিং) ডা. আলেয়া ফেরদৌসি, সাবেক সমাজসেবা কর্মকর্তা বিলকিস আক্তার, রইছা খাতুন, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের সাবেক ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার মো. নাছের উদ্দিন, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এস্টাবলিশমেন্টের মালিক ফাতে নূর ইসলাম, নাফিসা বিজনেস কর্নারের মালিক শেখ ইদ্রিস উদ্দিন (চঞ্চল) এবং সান্ত্বনা ট্রেডার্সের মালিক নিজামুর রহমান চৌধুরী।

তিনটি চার্জশিট অনুযায়ী, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে মেডিসিন অ্যান্ড ইকুইপমেন্ট টেন্ডারের মাধ্যমে ক্রয়ের ক্ষেত্রে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা লঙ্ঘন করেছেন। সেখানে বিদ্যমান বাজারদর আমলে না নিয়ে গঠিত বাজার কমিটির মনগড়া ও ভিত্তিহীন দরকে বিবেচনায় নিয়ে এমআরপি ওয়েবসাইটের উত্তরপত্র মূল্যায়নের মাধ্যমে মালামাল ক্রয় করেছেন। এর মাধ্যমে আসামিরা ৩ কোটি ৬৩ লাখ ৭৯ হাজার ৫২৩ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

২০১৯ সালের ১৫ ডিসেম্বর পৃথক চারটি মামলা করে দুদক। ওই মামলাগুলোতে মোট ৪ কোটি ৯২ লাখ ৪২ হাজার ৭৬৩ টাকার আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছিল। দুদকের উপপরিচালক (বর্তমানে পিআরএল ভোগরত) আবু বকর সিদ্দিক মামলার বাদী ছিলেন। মামলার পরপরই আসামিদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। মামলায় ১৭ জন চিকিৎসক এবং সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরের আটজনকে আসামি করা হয়েছিল। আজিমপুর মাতৃসদন ও শিশুস্বাস্থ্য প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের সাবেক তত্ত্বাবধায়ক ইসরাত জাহানকে চারটি মামলাতেই আসামি করা হয়। একটি মামলায় তদন্ত শেষে ৭ ডাক্তারসহ ১১ জনকে অভিযুক্ত করে ২০২১ সালে চার্জশিট দেয় দুদক।

সাংবাদিকদের সব মিথ্যা প্রত্যাখ্যান ও প্রতিবাদ করতে হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:১৫ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:১৮ পিএম
সাংবাদিকদের সব মিথ্যা প্রত্যাখ্যান ও প্রতিবাদ করতে হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
বক্তব্য রাখেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী আরাফাত। ছবি: সংগৃহীত

দল-মত নির্বিশেষে গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের সব মিথ্যাকে প্রত্যাখ্যান করে তার প্রতিবাদ করার আহ্বান জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

রবিবার (৭ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর সার্কিট হাউজ রোডের তথ্য ভবন মিলনায়তনে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট হতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে তৃতীয় পর্যায়ের কল্যাণ অনুদান/আর্থিক সহায়তার চেক বিতরণের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত এ আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, একদিকে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সরকার গণমাধ্যমকে বিস্তৃত করবেন, তার পরিসর বাড়াবেন, গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের জন্য কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থা করবেন, অন্যদিকে একটা গোষ্ঠী তার বিপক্ষে গণমাধ্যমে অসত্য কথা বলে যাবেন, এটা হতে পারে না। কাজেই আমি অনুরোধ জানাবো দল-মত নির্বিশেষে গণমাধ্যমের সাংবাদিক বন্ধুরা সব মিথ্যাকে প্রত্যাখ্যান করে প্রতিবাদ করুন। অপপ্রচারের বিপক্ষে সবাই রুখে দাঁড়ান, সত্যের পক্ষে থাকুন। অবশ্যই সরকারের ব্যর্থতা-বিচ্যুতির সমালোচনা করবেন। এটা সরকার স্বাগত জানাবে। কিন্তু মিথ্যাচারের মাধ্যমে সমালোচনা করলে সেটা মেনে নেয়া হবে না, সত্য তুলে ধরে জবাব দেওয়া হবে।

প্রতিপ্রন্ত্রী আরও বলেন, এ দেশে মিথ্যা বলারও স্বাধীনতা আছে। যখন-তখন যেভাবে ইচ্ছা সারাক্ষণ মিথ্যা বলারও স্বাধীনতা এ দেশে আছে। গত কিছুদিন ধরে বলা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী ভারতে গিয়েছেন, সমঝোতা স্মারক করে এসেছেন, চুক্তি করে এসেছেন যে বাংলাদেশের ওপর দিয়ে ভারতের ট্রেন যাবে, বাংলাদেশকে বিক্রি করে দিয়ে এসেছেন, এ ট্রেন দিয়ে গোলাবারুদ যাবে বাংলাদেশের এক প্রান্ত থেকে ভারতের অপর প্রান্তে এবং বাংলাদেশ একটি নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়ে যাবে। বিরোধীদলের কিছু নেতা টকশোতে এসব কথা বলেছেন। অথচ এই সমঝোতা স্মারকে আছে ভারতের ওপর দিয়েও বাংলাদেশের ট্রেন চলবে এবং বাংলাদেশের ট্রেন ভারতের ওপর দিয়ে চলে নেপাল-ভুটানে যাবে। নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে আমাদের ৫০ মিলিয়ন ডলারের রপ্তানি আছে। এ সত্য কথা কেউ বলে না। সমঝোতা স্মারকে নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ভারতের গ্রিড লাইন ব্যবহার করে বাংলাদেশে আমদানি করে নিয়ে আসার কথা রয়েছে। যেটা বাংলাদেশের মানুষ ব্যবহার করবে। 

সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে ভারতের বুক চিরে শুধু বাংলাদেশের ট্রেনই চলবে না, ভারতের আকাশ চিরে বিদ্যুৎও আসবে বাংলাদেশে। গণমাধ্যম এই হেডলাইন কেনো করলো না- এ সময় প্রশ্ন রাখেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী।

এ বিষয়ে তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে ভারতের ট্রেন চলবে এই সমঝোতা স্মারক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করেছেন এটা সত্যি। কিন্তু এটা অর্ধেকটা সত্য। পুরো সত্য হচ্ছে, ভারতের ওপর দিয়েও বাংলাদেশের ট্রেন চলবে।

মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, দেশে শুধু মত প্রকাশের স্বাধীনতাই নয়, মিথ্যা বলারও স্বাধীনতা আছে। সরকারের কোনো একটা চুক্তি বা সমঝোতা স্মারক বা সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করার অধিকার যে কারো আছে। কিন্তু মিথ্যা বলে কেনো বিরোধিতা করতে হবে, জনগণকে বিভ্রান্ত করে কেনো বিরোধিতা করতে হবে? এতে মানুষকে ধোঁকা দেওয়া হচ্ছে। এটা মত প্রকাশের স্বাধীনতা নয়, এটা অপরাধ। অথচ বর্তমান সরকারের বিপক্ষে মত প্রকাশের স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতার কথা বলে বিভিন্ন অপপ্রচার করা হয়।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগ। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সাংবাদিক সমাজের যেমন নিবিড় সম্পর্ক ছিল, বঙ্গবন্ধু কন্যার সঙ্গে একইভাবে এক ধরনের নিবিড় সম্পর্ক সব সময়ই ছিল। যে কারণে বঙ্গবন্ধুর মতো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বাস করেন, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য, গণমাধ্যম, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, সাংবাদিক সমাজ এবং তাদের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেজন্য সাংবাদিক সমাজ এবং গণমাধ্যমের পাশে সরকারকে দাঁড়াতে হবে। সাংবাদিকদের জন্য তার চিন্তাভাবনা খুবই ইতিবাচক। যে কারণে কল্যাণ ট্রাস্টের মতো এরকম একটি উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি। এই উদ্যোগ সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যমের জন্য খুবই সহায়ক ভূমিকা নিচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সরকার এবং তার সঙ্গে গণমাধ্যমের সম্পর্ক, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এগুলো নিয়ে বিভিন্ন পর্যায় থেকে সমালোচনা করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু সাংবাদিকদের কল্যাণে, গণমাধ্যমের কল্যাণে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার উদ্যোগগুলো খুব বেশি শোনা যায় না। এগুলো নিয়ে বড় আকারে রিপোর্টও আসে না। এগুলো দেশি ও বিদেশি বিভিন্ন জায়গায় বলা দরকার।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত পনেরো বছরে গণমাধ্যমের আকার দ্বিগুণ হয়েছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা গণমাধ্যমবান্ধব বলেই তিনি গণমাধ্যমের বিস্তৃতির শুধু সুযোগ করে দেননি, গণমাধ্যমকে বিস্তৃত হওয়ার জন্য প্রনোদনা দিয়েছেন, পরিবেশ তৈরি করেছেন। গণমাধ্যমে যারা কাজ করছেন তাদের কল্যাণের জন্য কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করেছেন। এ ইতিবাচক বিষয়গুলো আমরা খুব একটা তুলে ধরতে পারছি না। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন এবং এই কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে দল মত নির্বিশেষে সত্যিকার অর্থে দুস্থ সাংবাদিকদের পাশে দাঁড়ানোর যে প্রচেষ্টা, সেটিই প্রমাণ করে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সরকার গণমাধ্যমবান্ধব সরকার। কাজেই যারা আজ বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সরকারের বিপক্ষে অপপ্রচার করার চেষ্টা করে, এই তথ্যগুলো তুলে ধরে তাদের অপপ্রচারের জবাব দিতে হবে।

প্রতিমন্ত্রী আরও যোগ করেন, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সারাদেশে ৭৮৪ জন সাংবাদিক ও তাদের পরিবারের মাঝে ৬ কোটি ১৫ লাখ ৫০ টাকা কল্যাণ অনুদান প্রদান করা হয়েছে। সর্বশেষ পুরো বাংলাদেশে ২৯৩ জন সাংবাদিক ও তাদের পরিবারের মাঝে ২ কোটি ২২ লাখ টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুভাষ চন্দ্র বাদলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন এমপি, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য ও তথ্য অধিদফতরের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মো. শাহেনুর মিয়া এবং ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী।

আবদুল্লাহ আল মামুন/এমএ/

সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা ডিএনসিসির

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:০৬ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:০৬ পিএম
সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা ডিএনসিসির
বাজেট সভায় কথা বলছেন ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ২০২৪-২৫ অর্থবছরের ৫ হাজার ৫৯৪ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। বাজেট সভায় সর্বসম্মতভাবে এ বাজেট অনুমোদন দেওয়া হয়। 

রবিবার (৭ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর গুলশান-২ নগর ভবনের হলরুমে দ্বিতীয় পরিষদের ২৯তম করপোরেশন সভা ও বাজেট সভায় এই অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটও অনুমোদন দেওয়া হয়। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ১ হাজার ৭৮ কোটি টাকা রেকর্ড রাজস্ব আদায় হয়েছে ডিএনসিসির। গত চার বছরে রাজস্ব আদায় ৭৬ শতাংশ বেড়েছে।

সভায় সভাপতির বক্তৃতায় মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘নিজের পায়ে দাঁড়াতে হলে রাজস্ব আয় বৃদ্ধির বিকল্প নেই। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ডিএনসিসির মোট বাজেটের ৫৩ শতাংশ ব্যয় নিজস্ব তহবিল থেকে জোগান দেওয়া হবে। মোট ব্যয়ের অর্ধেকের বেশি বহন করা হবে ডিএনসিসির নিজস্ব তহবিল থেকে।’

২০১৯-২০, ২০২০-২১, ২০২১-২২ ও ২০২২-২৩ অর্থবছরে যথাক্রমে ডিএনসিসি ৬১২ কোটি, ৬৯২ কোটি, ৭৯৪ কোটি ও ১ হাজার ৫৮ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করেছিল। গত চার বছরে ডিএনসিসির রাজস্ব আদায় প্রায় ৭৬ শতাংশ বেড়েছে।