![মা-শিশু মৃত্যু কমাতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান](uploads/2024/06/12/Untitled-1718208083.jpg)
টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে মা ও শিশুর মৃত্যুহার কমিয়ে আনতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিংয়ের চেয়ারম্যান, সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল আজিজ।
বুধবার (১২ জুন) বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনের পার্লামেন্ট মেম্বারস ক্লাবে বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিং আয়োজিত ‘প্রোমোটিং মেন্টাল অ্যান্ড চাইল্ড হেলথ (এমসিএইচ) সার্ভিসেস ইন বাংলাদেশ: চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড ওয়ে ফরওয়ার্ড’ শীর্ষক সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।
ডা. আব্দুল আজিজ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর সমৃদ্ধ বাংলাদেশ অর্জনে মা ও শিশুর স্বাস্থ্যকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়ন করতে হবে। মা ও শিশু মৃত্যুহার কমিয়ে আনতে হবে। সামগ্রিক স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর সফলতাকে অনুসরণ করতে হবে। সবাই মিলে কাজ করলে ২০৩০ সালের মধ্যে মাতৃ ও শিশু মৃত্যু রোধে আমরা সক্ষম হব।’
সভায় সংসদ সদস্যরা বলেন, ‘সারা দেশের সব মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। মা ও শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সরকার বদ্ধপরিকর। দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে মা ও নবজাতকের স্বাস্থ্যের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া অতি জরুরি। এ জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়সহ আন্তমন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে মা ও শিশুর জীবন রক্ষায় কাজ করতে হবে। জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় রোগ প্রতিরোধকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। মা ও শিশুদের রক্ষায় বাজেট বাড়ানো জরুরি। এ ছাড়া শিশুদের সুরক্ষায় সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি শক্তিশালী করতে আরও কাজ করতে হবে। একই সঙ্গে শিশুদের ঠিক মতো বেড়ে উঠার জন্য সঠিকভাবে মাতৃদুগ্ধ পান করানোসহ পুষ্টি নিশ্চিত করতে হবে।’
সভায় সংসদ সদস্যদের মধ্যে ছিলেন মো. আফতাব উদ্দীন সরকার, ডা. সামিল উদ্দিন আহম্মেদ শিমুল, পংকজ নাথ, বিপ্লব হাসান, ডা. মো. হামিদুল হক খন্দকার, ডা. আবু সালেহ মোহাম্মদ নাজমুল হক, দ্রৌপদী দেবী আগারওয়াল, কানন আরা বেগম, নাদিয়া বিনতে আমিন, কোহেলী কুদ্দুস ও লায়লা পারভীন। এতে আরও ছিলেন বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিংয়ের সমন্বয়ক ড. রফিকুল ইসলাম, স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ডা. নিজাম উদ্দীন আহম্মেদ ও জাপাইগোর কান্ট্রি লিড ড. সিতারা রহমান।