![রাজধানীকে বাসযোগ্য করতে সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন: বিআইপি](uploads/2024/07/04/54-1720077257.jpg)
বড় প্রকল্প নয়, ঢাকাকে বাসযোগ্য করতে সেবা সংস্থাগুলোর সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন বলে মনে করছে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি)।
বুধবার (৩ জুলাই) রাজধানীর বাংলামোটরে প্ল্যানার্স টাওয়ারের বিআইপি কনফারেন্স হলে ‘বাসযোগ্যতা সূচকে ঢাকা কেন এত পিছিয়ে’ শীর্ষক সেমিনারে এ অভিমত তুলে ধরে সংগঠনটি।
এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিআইপি সভাপতি পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান। বিআইপি সাধারণ সম্পাদক পরিকল্পনাবিদ শেখ মুহম্মদ মেহেদী আহসানের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন বিআইপির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. আকতার মাহমুদ, বিআইপির উপদেষ্টা পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ ফজলে রেজা সুমন প্রমুখ।
ড. আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, ‘ঢাকাকে বাসযোগ্য করতে বিগত সময়ে বড় ধরনের প্রকল্পে বিনিয়োগকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। কম গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে নগর সুশাসন, উন্নয়ন প্রকল্পসমূহের কার্যকর সমন্বয়, সেবা সংস্থাসমূহের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি, উন্নয়ন পরিকল্পনায় কমিউনিটির অংশগ্রহণ এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা প্রভৃতি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গগুলোতে। ঢাকার যানজট এবং বায়ু, পানিসহ পরিবেশদূষণ ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সাশ্রয়ী, কার্যকর ও টেকসই সমাধান বের না করতে পারলে ঢাকা বাসযোগ্য হবে না।’
তিনি বলেন, ‘মেট্রোরেলের পাশাপাশি গণপরিবহনব্যবস্থার উন্নয়ন করা প্রয়োজন। এর জন্য মানসম্মত বাস সার্ভিস ও প্যারা ট্রানজিট সার্ভিস নিশ্চিত করা এবং হাঁটার উপযোগী ফুটপাত নিশ্চিত করতে হবে। এলাকাভিত্তিক সবার জন্য প্রবেশগম্য খেলার মাঠ-পার্ক-উদ্যান তৈরি করা এবং বিদ্যমান সুবিধাসমূহ সকলের জন্য উন্মুক্ত করা দরকার।’
অধ্যাপক ড. আকতার মাহমুদ বলেন, ‘এলাকাভিত্তিক প্রাথমিক বিদ্যালয় ও প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজন পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন। শহরের বিশাল জনগোষ্ঠীকে বস্তিতে রেখে বাসযোগ্যতার উন্নতি করা সম্ভব নয়।’
ঢাকার বাসযোগ্যতা বাড়াতে বিআইপির পক্ষ থেকে বেশ কয়েকটি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে, বাসযোগ্যতা, সমতা ও অন্তর্ভুক্তিতাকে প্রাধান্য দিয়ে ঢাকার উন্নয়ন পরিকল্পনা সাজানো, ওয়ার্ডভিত্তিক উন্নয়ন পরিকল্পনা দ্রুত প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ ও অর্থায়ন নিশ্চিত করা, নগর সংস্থাসমূহের মধ্যে কার্যকর সমন্বয়ের মাধ্যমে সকল ধরনের পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন, বায়ু-পানি-শব্দ-মাটিদূষণ রোধে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ, টেকসই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রণয়ন এবং পরিকল্পিত বৃক্ষ রোপণের মাধ্যমে নগর এলাকায় সবুজ এলাকা বাড়ানো, খাল-পুকুর-জলাশয়-জলাভূমি রক্ষা এবং ব্লু ও গ্রিন নেটওয়ার্ক তৈরির মাধ্যমে জলাবদ্ধতা কমানোর কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা।