ঢাকা ৯ ভাদ্র ১৪৩১, শনিবার, ২৪ আগস্ট ২০২৪

শেখ হাসিনার কারাবন্দি দিবস মঙ্গলবার

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৪, ১০:৩৮ এএম
আপডেট: ১৬ জুলাই ২০২৪, ১০:৪২ এএম
শেখ হাসিনার কারাবন্দি দিবস মঙ্গলবার
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

বঙ্গবন্ধুকন্যা ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার কারাবন্দি দিবস মঙ্গলবার (১৬ জুলাই)।

১/১১-এর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হয়রানি ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। খবর বাসসের।

ওই দিন ভোরে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর দুই সহস্রাধিক সদস্য বেআইনিভাবে শেখ হাসিনার ধানমন্ডির বাসভবন ‘সুধা সদন’ ঘেরাও করে। সেই সময় শেখ হাসিনা ফজরের নামাজ আদায় করছিলেন। সকাল সাড়ে ৭টার দিকে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করে সুধা সদন থেকে বের করে নিয়ে আসে। যৌথ বাহিনীর সদস্যরা বন্দি অবস্থায় তাকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করে।

তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নীলনকশা অনুযায়ী মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। শেখ হাসিনা আদালতের গেটে দাঁড়িয়ে প্রায় ৩৬ মিনিটের অগ্নিঝরা বক্তৃতা দেন। তাতে তিনি তৎকালীন সরকারের হীন-রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান।

গ্রেপ্তার হওয়ার আগে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা একটি চিঠির মাধ্যমে দেশের জনগণ এবং আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের গণতন্ত্র রক্ষায় মনোবল না হারিয়ে অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।

এরপর আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য সহযোগী সংগঠন ও গণতন্ত্র-প্রত্যাশী দেশবাসী ক্রমাগত প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তোলে। ওই সময় শেখ হাসিনার মুক্তির দাবিতে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ ২৫ লাখ গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে জমা দেয়। বঙ্গবন্ধুকন্যার আপসহীন ও দৃঢ় মনোভাব এবং দেশবাসীর অনড় দাবির পরিপ্রেক্ষিতে দীর্ঘ ১১ মাস কারাভোগের পর ২০০৮ সালের ১১ জুন তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার শেখ হাসিনাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। শেখ হাসিনার মুক্তির মধ্য দিয়ে এ দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরায় ফিরে আসে। যুগপৎভাবে বিকাশ ঘটে গণতন্ত্র ও উন্নয়নের। 

বন্যা মোকাবিলা এ মুহূর্তে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার: প্রধান উপদেষ্টা

প্রকাশ: ২৪ আগস্ট ২০২৪, ০৮:৪১ পিএম
আপডেট: ২৪ আগস্ট ২০২৪, ০৮:৪২ পিএম
বন্যা মোকাবিলা এ মুহূর্তে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার: প্রধান উপদেষ্টা
ছবি: বাসস

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও দেশবাসীকে বন্যা মোকাবিলায় সরকারের সঙ্গে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এই মুহূর্তে সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার বন্যা মোকাবিলা করা। 

বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা (এনজিও)’র প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ আহ্বান জানান। 

শনিবার (২৪ আগস্ট) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এনজিও প্রতিনিধিরা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেন। উপকূল ও দুর্গত এলাকায় কর্মরত ৪৪টি এনজিওর প্রধানরা বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।

পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, ‘প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, সরকার এই মুহূর্তে বন্যা মোকাবিলাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছে। আমাদের অব্যশই এ পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে। সবাই মিলে এ দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসতে হবে।’

ড. ইউনূস বন্যা মোকাবিলায় উদ্ধার কার্যক্রম ও ত্রাণ বিতরণসহ আনুষঙ্গিক কার্যক্রমের ক্ষেত্রে সমন্বয় বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, ‘বন্যা মোকাবিলায় সরকার, এনজিওসহ যারা যারা কাজ করছেন, তাদের সবার মধ্যে সমন্বয় বাড়াতে হবে। সম্ভব হলে জেলা পর্যায়েও বন্যা মোকাবিলার কাজ সমন্বিতভাবে করতে হবে।’

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, কোটি কোটি মানুষ বন্যায় উদ্ধার কার্যক্রম ও ত্রাণ নিয়ে এগিয়ে আসছে। তাদের মহৎ উৎসাহের যথার্থ ব্যবহার নিশ্চিত করা জরুরি। এজন্য আমাদের সবাইকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে দেশ। বন্যায় বিপর্যস্ত হয়েছে ১১টি জেলা। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে লাখ লাখ মানুষ।

বৈঠকে মুহাম্মদ ইউনূস বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পরে আরও বেশি কাজ করতে হবে বলে উল্লেখ করে বন্যা পরবর্তী খাদ্য ও স্বাস্থ্যঝুঁকিসহ সার্বিক পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব পক্ষকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।

ছাত্র-জনতার অভুত্থানের মাধ্যমে দেশে দ্বিতীয় বিপ্লব সংঘটিত হয়েছে উল্লেখ করে শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. ইউনূস বলেন, ‘তরুণরা আমাদের জন্য মহৎ সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে। দ্রুত এই সুযোগের সর্বোত্তম ব্যবহার করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, কেবল বন্যা মোকাবিলায় গুরুত্ব দিলে হবে না, কীভাবে দেশকে বন্যামুক্ত রাখা যায় সেদিকেও মনোযোগী হতে হবে।

আবদুল্লাহ আল মামুন/এমএ/

সাবেক এমপি সাদেক খান গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ২৪ আগস্ট ২০২৪, ০৭:৫৯ পিএম
আপডেট: ২৪ আগস্ট ২০২৪, ০৮:০০ পিএম
সাবেক এমপি সাদেক খান গ্রেপ্তার
ঢাকা-১৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাদেক খান। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা-১৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাদেক খানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাটের ওপর হামলা মামলার অন্যতম আসামি তিনি। 

শনিবার (২৪ আগস্ট) ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

জানা যায়, আওয়ামী লীগ সরকার পদত্যাগের পর পলাতক ছিল সাদেক খান। এরপর তার বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়। সেই মামলায় রাজধানীর পশ্চিম নাখালপাড়া থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশ।

এর আগে, ২০২৩ সালের ১ অক্টোবর মার্শা বার্নিকাটের গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় নয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে সম্পূরক অভিযোগপত্র জমা দেয় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। এতে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারের শ্যালক মোহাম্মদ ইশতিয়াক মাহমুদ ও মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি নাইমুল হাসান ওরফে রাসেলকে আসামি করা হয়। বাকি আসামিদের অনেকেই আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী।

২০১৮ সালের ৪ আগস্ট রাতে সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারের মোহাম্মদপুরের বাসায় নৈশভোজে অংশ নেন যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট। নৈশভোজ শেষে তিনি গাড়িতে ওঠার সময় হামলাটি হয়।

এই ঘটনায় করা মামলায় ২০২১ সালের মার্চে নয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছিলেন আদালত। তবে পরবর্তী সময়ে রাষ্ট্রপক্ষ অধিকতর তদন্তের আবেদন করে। আবেদনে বলা হয়, অভিযোগকারীসহ পাঁচজন আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। তাদের মধ্যে তিনজন আসামি হিসেবে বাদী বদিউল আলম মজুমদারের শ্যালক ইশতিয়াক মাহমুদের নাম উল্লেখ করেছেন। কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তা তার নাম উল্লেখ করেননি। তাই প্রকৃত অপরাধীকে চিহ্নিত করতে অধিকতর তদন্তের প্রয়োজন।

উল্লেখ্য, মার্শা বার্নিকাট ২০১৫ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তাকে বহনকারী গাড়ির ওপর হামলার তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে বাংলাদেশের কাছে একাধিকবার জানতে চেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। হামলার ঘটনাটিকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়ার এবং এ ব্যাপারে কার্যকর ও নিরপেক্ষ তদন্ত চেয়েছে তারা।

রাষ্ট্রদূতের গাড়িতে হামলার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিচার চেয়ে সেই সময় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কূটনৈতিক পত্রও পাঠিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। ওই কূটনৈতিক পত্রে বলা হয়, রাষ্ট্রদূতের নিরাপত্তা দলের সদস্যরা হামলাকারীদের মধ্যে দুই ব্যক্তিকে শনাক্ত করেন। হামলার সময় ওই দুই ব্যক্তি চিৎকার করে বলছিলেন, বদিউল আলম মজুমদার সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত।

গাড়িবহরের দিকে এগোনোর সময় তাদের বাধা দেওয়া হলে রাষ্ট্রদূতের নিরাপত্তা দলের দুই সদস্যকে ঘুষি মারেন হামলাকারীরা। গাড়িবহর চলে যাওয়ার সময় দুটি গাড়িতে লাঠি দিয়ে আঘাত করেন হামলাকারীরা। হামলার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে সে সময় বাংলাদেশ সরকার বিষয়টিকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলে বিবৃতি দেয়। এতে তদন্ত শেষে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়।

খাজা/এমএ/

তৃতীয় টার্মিনালের ৯৮ শতাংশ কাজ শেষ, দ্রুত শেষ করার নির্দেশ বেবিচক চেয়ারম্যানের

প্রকাশ: ২৪ আগস্ট ২০২৪, ০৭:৩৯ পিএম
তৃতীয় টার্মিনালের ৯৮ শতাংশ কাজ শেষ, দ্রুত শেষ করার নির্দেশ বেবিচক চেয়ারম্যানের
ছবি: সংগৃহীত

৯৮ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে উল্লেখ করে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ-বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের অবশিষ্ট কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন। 

শনিবার (২৪ আগস্ট) সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল পরিদর্শনের সময় এসব কথা বলেন তিনি। 

এসময় তিনি তৃতীয় টার্মিনালে নবনির্মিত চেক ইন কাউন্টার, ইমিগ্রেশন, স্ক্যানার, বোর্ডিং ব্রিজ, এরাইভাল, ডিপার্চার এবং এয়ারক্রাফ্ট পার্কিং এপ্রোন ও রোড নেটওয়ার্কসহ এই প্রকল্পের আওতায় নির্মিত অন্যান্য স্থাপনাসমূহ পরিদর্শন করেন। টার্মিনালের কাজের অগ্রগতি, কাজের মান এবং সময়মতো কাজ সম্পন্ন করার বিষয়ে কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে আলোচনা করেন। 

ইতোমধ্যে ৯৮ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে উল্লেখ করে বেবিচক চেয়ারম্যান জানান যে, দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও বৈশ্বিক যোগাযোগের গেটওয়ে হিসেবে এই টার্মিনালের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। অতঃপর তিনি তৃতীয় টার্মিনালের অবশিষ্ট কাজগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে শেষ করার জন্য গুরুত্বারোপ করেন। এছাড়া বেবিচক চেয়ারম্যান সার্বিক কাজের অগ্রগতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান। 

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন তৃতীয় টার্মিনালের কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত বিদেশি প্রতিনিধিরা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালকসহ বেবিচক এর বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ। 

অন্যদিকে আনসার সদস্যদের কর্মবিরতির পরবর্তী পরিস্থিতি দেখতে গত শুক্রবার রাতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পরিদর্শন করেন বেবিচক চেয়ারম্যান। এ সময় সার্বিক বন্যা পরিস্থিতিতে আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা বাধাগ্রস্থ হওয়ায় আকাশ পথে যাত্রীদের যাতায়াত বৃদ্ধি পেয়েছে উল্লেখ করে বেবিচক চেয়ারম্যান সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষকে কোন বাড়তি ভাড়া আদায় না করার বিষয়েও আহ্বান জানান। এছাড়া এয়ারলাইন্স কোম্পানিগুলোকে বাড়তি ফ্লাইট দিয়ে যাত্রীসেবা বৃদ্ধির ব্যাপারে অনুরোধ করেন এবং সে অনুযায়ী কোম্পানিগুলো ইতোমধ্যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন বলেও জানান তিনি।  

বেবিচক চেয়ারম্যান আরও বলেন, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কর্মরত অঙ্গীভূত আনসার সদস্যরা কর্মবিরতিতে চলে যাওয়ার পর বেবিচক কর্তৃপক্ষ বিমানবন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছে। এভিয়েশন সিকিউরিটি এবং বিমান বাহিনীর সহায়তায় পুরো কার্যক্রম নিরবচ্ছিন্ন রাখা সক্ষম হয়। বিমান বাহিনীর এই সহায়তার জন্য তিনি আন্তরিক ধন্যবাদ জানান বিমান বাহিনী প্রধানকে।  

তিথি/এমএ/

কৃষির ক্ষয়ক্ষতি দ্রুত নির্ধারণ করে পুনর্বাসনের আহ্বান কৃষি উপদেষ্টার

প্রকাশ: ২৪ আগস্ট ২০২৪, ০৬:৩৩ পিএম
আপডেট: ২৪ আগস্ট ২০২৪, ০৬:৫৪ পিএম
কৃষির ক্ষয়ক্ষতি দ্রুত নির্ধারণ করে পুনর্বাসনের আহ্বান কৃষি উপদেষ্টার
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বক্তব্য রাখেন স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)। ছবি: সংগৃহীত

বন্যাদুর্গত এলাকায় কৃষি খাতে ক্ষয়ক্ষতির প্রকৃত পরিমাণ দ্রুত নির্ধারণপূর্বক প্রয়োজনীয় সহযোগিতা ও পুনর্বাসনের আহ্বান জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)।

উপদেষ্টা শনিবার (২৪ আগস্ট) রাজধানীর বাংলাদেশ সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তর-সংস্থার প্রধান ও মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ আহ্বান জানান। কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান এসময় উপস্থিত ছিলেন। 

কৃষি উপদেষ্টা বলেন, আমাদের প্রধান অগ্রাধিকার হচ্ছে বন্যাদুর্গত এলাকায় লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী আমন ধানের উৎপাদন নিশ্চিত করা। তা সম্ভব না হলে শাকসবজিসহ উপযোগী রবিশস্য উৎপাদন বৃদ্ধি করা। তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য হলো কৃষি উৎপাদন যথাসম্ভব বৃদ্ধি করা। সেজন্য আবাদযোগ্য সকল জমি চাষের আওতায় আনতে হবে। উপদেষ্টা এসময় বীজ ও সারসহ অন্যান্য কৃষি উপকরণের যোগান নিশ্চিতকরণ, বীজতলা তৈরি এবং সার্বিক প্রস্তুতি ও করণীয় নির্ধারণ করতে মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা প্রদান করেন।

লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেন, বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসনকালে কৃষি উৎপাদন নিশ্চিতকরণে কৃষি কর্মকর্তাদের সক্রিয়ভাবে মাঠে থেকে কৃষকদের প্রয়োজনীয় সাহায্য-সহযোগিতা করে যেতে হবে। তিনি এ সময় মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নিয়মিত কর্মস্থলে উপস্থিতি নিশ্চিতকরণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। 

কৃষি উপদেষ্টা বলেন, বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর রাস্তাঘাট ও অন্যান্য অবকাঠামোর জন্য কৃষি জমিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হলে তা নিরসনে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট দপ্তর/বিভাগের সহযোগিতা নিয়ে সাময়িকভাবে রাস্তা কেটে বা সুবিধাজনক উপায়ে জলাবদ্ধতা নিরসনের ব্যবস্থা করতে হবে। 

সভায় কৃষি সচিব দেশের বন্যাকবলিত মানুষদের সহায়তায় সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এক দিনের বেতনের সমপরিমাণ অর্থ জমা দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানান। উপদেষ্টা এ সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেন ও সকলকে নিজেদের সাধ্য অনুযায়ী এ দুর্যোগকালীন সময়ে সহযোগিতার আহ্বান জানান।

সভায় দেশের বিভিন্ন এলাকায় চলমান বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় করণীয়/প্রস্তুতি বিষয়ে নিম্নবর্ণিত সিদ্ধান্তসমূহ গৃহীত হয়:

ক) বন্যা কবলিত এলাকার কৃষি ফসলের প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতি বিশেষ করে বন্যার পানি নেমে যাওয়ার অব্যবহিত পরে রোপা আমনের বীজতলা, রোপিত আমন এবং দণ্ডয়মান আউশ ধানসহ অন্যান্য ফসলের ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণ করতে হবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রধান ফসল ধান চাষকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। ধান পুনর্বাসন কর্মসূচি প্রদানের পর প্রয়োজনীয়তার নিরিখে পুনর্বাসনের জন্য আগাম শীতকালীন সবজি কর্মসূচিও দেয়া হবে;
খ) বিভিন্ন দপ্তর/সংস্থা/প্রতিষ্ঠানের আওতাভুক্ত নিজস্ব উঁচু জমিতে রোপা আমন ধানের বীজ তলা দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রস্তুত করার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে;
গ) বন্যায় কৃষির ক্ষয়ক্ষতির তথ্য সংগ্রহের জন্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কন্ট্রোল রুমের কার্যক্রমের অব্যাহত রাখতে হবে;
ঘ) কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তর/সংস্থার নিকট রোপা আমন ধানের বীজের স্টক সংক্রান্ত তথ্যাবলি সংগ্রহ করতে হবে এবং মন্ত্রণালয়ের সাথে সমন্বয় করে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কৃষি পুনর্বাসন/সহায়তা কার্যক্রমের তথ্যাবলি সংগ্রহ করতে হবে;
ঙ) বিএডিসি/বিনাসহ অন্যান্য সকল সরকারি/বেসরকারি প্রতিষ্ঠান আমন বীজ সংগ্রহ করে বীজতলা প্রস্তুতকরণের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত দপ্তর/সংস্থার নিকট অবিলম্বে সরবরাহ করবে;
চ) যথাসম্ভব বন্যা কবলিত এলাকার নিকটতম এলাকায় বীজতলা প্রস্তুত করতে হবে;
ছ) মাঠ পর্যায়ে কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ও উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণকে বন্যাত্তোর কৃষি পুনর্বাসনের কার্যক্রম দ্রুততার সাথে শুরু করার জন্য এখন হতে সক্রিয় রাখতে হবে;
জ) বন্যা কবলিত এলাকায় ব্লক এবং উপজেলা ভিত্তিক পুনর্বাসন পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে;
ঝ) বন্যায় কৃষির ক্ষয়ক্ষতির তথ্যাদি এবং মাঠ পর্যায়ের কৃষকদের সচেতন করার জন্য কৃষি তথ্য সার্ভিসকে সামগ্রিক কৃষি পুর্নবাসন কার্যক্রমের বিষয়ে তথ্য চিত্র প্রস্তুত করতে হবে;
ঞ) সামগ্রিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ অনুবিভাগ) সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করবেন।

জয়ন্ত সাহা/এমএ/

ফেনীতে মোবাইল নেটওয়ার্ক সচল রাখতে জেনারেটরের ডিজেল ফ্রি করার নির্দেশ

প্রকাশ: ২৪ আগস্ট ২০২৪, ০৫:০৫ পিএম
ফেনীতে মোবাইল নেটওয়ার্ক সচল রাখতে জেনারেটরের ডিজেল ফ্রি করার নির্দেশ
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম

ফেনী জেলায় মোবাইল নেটওয়ার্ক টাওয়ার সচল রাখতে মোবাইল অপারেটর কর্তৃক জেলায় নিয়োজিত জেনারেটরগুলোর ডিজেল ফ্রি করার নির্দেশনা দিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

শনিবার (২৪ আগস্ট) বিটিআরসিকে তিনি এ নির্দেশনা দেন।

ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মুহম্মদ জসীম উদ্দিনের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, বিদ্যুৎ না থাকায় ফেনী জেলার ৭৮টি মোবাইল নেটওয়ার্ক টাওয়ার সচল রাখতে প্রচুর ডিজেলের প্রয়োজন হচ্ছে। বর্তমানে বন্যা পরিস্থিতিতে মোবাইল নেটওয়ার্ক টাওয়ারগুলো সচল রাখা অত্যন্ত জরুরি। তাই তিনি বিটিআরসিকে ৭৮টি মোবাইল নেটওয়ার্ক টাওয়ার সচল রাখতে মোবাইল অপারেটর কর্তৃক জেলায় নিয়োজিত জেনারেটরগুলোর প্রয়োজনীয় ডিজেল বিনামূল্যে দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন। 

প্রতি ঘন্টায় পোর্টেবল জেনারেটরে (পিজি) (৭৫ কেভি) ডিজেল ব্যবহৃত হয় ২ দশমিক ৩ লিটার এবং জেনারেটর (ডিজি) (৩০ কেভি) ডিজেল ব্যবহৃত হয় ৪ দশমিক ৪ লিটার। এই হিসেবে ৭৮টি জেনারেটরে প্রতিদিন ৬ হাজার ৫৫২ লিটার ডিজেল ব্যবহৃত হয়। যার মূল্য ৭ লাখ ১৪ হাজার ১৬৮ টাকা এবং ৭ দিনে ৪৫ হাজার ৮৬৪ লিটার যার মূল্য ৪৯ লাখ ৯৯ হাজার ১৭৬ টাকা। 

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টার নির্দেশনায় বিটিআরসির ফান্ড থেকে এই টাকা দেওয়া হচ্ছে।

অমিয়/