ঢাকা ৯ ভাদ্র ১৪৩১, শনিবার, ২৪ আগস্ট ২০২৪

একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি রাজাকার দাবি উগ্র বাসনার কুৎসিত বহিঃপ্রকাশ

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৪, ১১:০৮ এএম
রাজাকার দাবি উগ্র বাসনার কুৎসিত বহিঃপ্রকাশ
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে কোটা পদ্ধতির যৌক্তিক সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা নিজেদের ‘রাজাকার’ হিসেবে দাবি করা তাদের ‘উগ্র বাসনার কুৎসিত বহিঃপ্রকাশ’ বলে মন্তব্য করেছে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি। কমিটি বলছে, এই আন্দোলনের নামে শিক্ষার্থীরা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নানাভাবে অপমান-অপদস্ত করছে। 

সোমবার (১৫ জুলাই) বিকেলে গণমাধ্যমে দেওয়া বিবৃতিতে কমিটি এই মন্তব্য করে।

এতে বলা হয়, কোটা পদ্ধতির যৌক্তিক সংস্কার প্রয়োজন। তবে আন্দোলনের নামে মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের অবমাননাকারীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিলের যে দাবি আন্দোলনকারীরা তুলেছে, তা নিঃসন্দেহে সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। বাংলাদেশের সংবিধানের ২৮(৪) এবং ২৯(৩)(ক) অনুচ্ছেদের নির্দেশনা অনুযায়ী দেশের সব নাগরিকের জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি করতে কোটা পদ্ধতি বহাল থাকতে হবে। পৃথিবীর সব রাষ্ট্রেই সরকারি চাকরি থেকে শুরু করে নাগরিক নানা সুযোগ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে সমতা সৃষ্টির লক্ষ্যে কোটা পদ্ধতি চালু আছে। সে ক্ষেত্রে কোন যুক্তিতে আন্দোলনকারীরা কোটা পদ্ধতি বাতিলের দাবি জানাচ্ছে, তা আমাদের বোধগম্য নয়।

একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি বলেছে, অন্যান্য দেশের সঙ্গে সংগতি রেখে বর্তমান বাস্তবতার নিরিখে কোটা পদ্ধতি সংস্কার করা যেতে পারে, কিন্তু কোনোভাবেই বাতিল করা যাবে না। 

মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অসম্মানজনক বক্তব্য ঔদ্ধত্যের শামিল: সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে অসম্মানজনক বক্তব্য প্রদান করা বা কটাক্ষ করা অগ্রহণযোগ্য ও ঔদ্ধত্যের শামিল বলে মন্তব্য করেছে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট। গতকাল বিকেলে গণমাধ্যমে দেওয়া বিবৃতিতে এই মন্তব্য করেন জোটের নেতারা। তারা বলেন, যেকোনো বিষয়ে মত, ভিন্ন মত থাকতেই পারে। আলাপ-আলোচনা ও শান্তিপূর্ণ পন্থায় দাবি আদায়ের জন্য আন্দোলন করার প্রত্যেক নাগরিকের গণতান্ত্রিক অধিকার রয়েছে। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী রাজাকার বাহিনীর পরিচয়কে আত্মপরিচয় হিসেবে স্লোগান দেওয়ার পর বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা বহন করার নৈতিক অধিকার থাকে কি?

কোটা সংস্কার আন্দোলনে যুক্ত হয়ে যারা ‘বিভ্রান্ত’ হয়েছেন তারা মুক্তিযুদ্ধের মূলধারায় ফিরে আসবেন বলে প্রত্যাশা করে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট।

বন্যায় সহায়তার প্রস্তাব দিয়ে ড. ইউনূসকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর চিঠি

প্রকাশ: ২৪ আগস্ট ২০২৪, ০৯:১৫ পিএম
বন্যায় সহায়তার প্রস্তাব দিয়ে ড. ইউনূসকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর চিঠি
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের বন্যা পরিস্থিতিতে সর্বাত্মক সহযোগিতার প্রস্তাব দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে চিঠি দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। গত শুক্রবার তিনি এই চিঠি দিয়েছেন বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও টিভি।

জিও টিভির খবরে বলা হয়েছে, ‘চিঠিতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বন্যায় বাংলাদেশের যারা স্বজন, বাড়িঘর ও কর্মস্থল হারিয়েছেন, পাকিস্তানের জনগণ তাদের পাশে আছে। আমরা আশা করছি, আপনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ শিগগিরই বর্তমান সংকট কাটিয়ে উঠবে। এই কঠিন সময়ে আমরা বাংলাদেশকে সর্বাত্মকভাবে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত আছি।’

শাহবাজ শরিফ এর আগে গত ১৯ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে আরেকটি চিঠি দিয়েছিলেন। সেই চিঠিতে দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্ক ফের এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। 

শনিবার (২৪ আগস্ট) দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, দেশের ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিলেট, লক্ষ্মীপুর ও কক্সবাজার জেলা বন্যাকবলিত। এসব জেলায় মোট ৯ লাখ ৪৪ হাজার ৫৪৮ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৪৯ লাখ ৩৮ হাজার ১৫৯ জন মানুষ।

সুজনের মানববন্ধনে বক্তারা গণতান্ত্রিক, ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক রাষ্ট্র গঠনে সংস্কারের বিকল্প নেই

প্রকাশ: ২৪ আগস্ট ২০২৪, ০৯:০৭ পিএম
গণতান্ত্রিক, ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক রাষ্ট্র গঠনে সংস্কারের বিকল্প নেই
ছবি: সংগৃহীত

ন্যায়বিচার, সাম্য প্রতিষ্ঠা, মানবিক মর্যাদাসম্পন্ন রাষ্ট্র গড়তে সংস্কারের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে পরামর্শ দিয়েছেন বিশিষ্টজনেরা। ছাত্র-জনতার সাম্প্রতিক অভ্যুত্থানের ফলে নতুন রাষ্ট্র গঠনের যে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে, তা সঠিকভাবে কাজে লাগানোর আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

শনিবার (২৪ আগস্ট) রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তারা এসব কথা বলেন। ‘রাষ্ট্র সংস্কারের মধ্য দিয়ে একটি গণতান্ত্রিক-অসাম্প্রদায়িক ও মানবিক ও রাষ্ট্র বিনির্মাণ’ শীর্ষক কর্মসূচি ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায়ও একযোগে পালন করা হয়। 

মানববন্ধনে সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘অতীতে সাম্য, ন্যায়বিচার, মানবিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠার যে লক্ষ্য নিয়ে বাংলাদেশ নামের মানচিত্র সৃষ্টি হয়েছিল, তা থেকে আমরা এখনো যোজন যোজন দূরে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট স্বৈরশাসকের পতন সম্ভব হয়েছে। এর ফলে দেশ গঠনের যেসব সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে তা যেন ছিনতাই হয়ে না যায়, সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে। ১৯৯১ সালেও এমন সুযোগ সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তী সময়ে তিন জোটের রূপরেখায় তা ছিনতাই হয়ে যায়।’ 

সুজন সম্পাদক বলেন, এই সরকারের ব্যর্থতা মানে সবার ব্যর্থতা। অন্তর্বর্তী সরকারকে একসঙ্গে দুটি কাজ করতে হবে। এক. বিগত সময়ে যারাই দুর্নীতি, দুর্বৃত্তায়ন, হত্যা ও বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিলেন তাদের বিচার নিশ্চিত করা। দুই. রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সব ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করা। 

স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ও সুজনের নির্বাহী সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেন, এবার বাংলাদেশ সেনাবাহিনী অভূতপূর্ব কাজ করেছে। তারা জনগণের মুখোমুখি দাঁড়ায়নি- এটি খুবই ইতিবাচক। এই ভূমিকা তারা না নিলে সরকারের পতন এত সহজে হতো না। কোনো কোনো বিদেশি গণমাধ্যমে বাংলাদেশ সম্পর্কে নানা বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে উল্লেখ করে এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি। 

বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাণা দাশগুপ্ত বলেন, একটি বৈষম্যহীন ও মানবিক সমাজ নির্মাণের স্বপ্ন নিয়ে ছাত্র-জনতা যে পরিবর্তন ঘটিয়েছে, সে জন্য আন্দোলনের নেতৃত্বকে আন্তরিক অভিনন্দন। ছাত্রসমাজের আকাঙ্ক্ষাকে এগিয়ে নিতে হলে নাগরিক সমাজকে সেই স্বপ্নজালে নাগরিকদের ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। ভবিষ্যতের সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে এই সুযোগকে অবহেলা করা যাবে না।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস বলেন, সব কালোটাকা জব্দ এবং বিদেশে পাচার করা টাকা ফিরিয়ে এনে সরকারি কোষাগারে জমা করতে হবে। রাষ্ট্রের দীর্ঘমেয়াদি সংস্কার অত্যন্ত জরুরি, যাতে খুনি হাসিনার মতো করে ১৫ বছর ক্ষমতায় থেকে যাওয়ার মতো রাষ্ট্রকাঠামো তৈরি না হয়। আগামীর রাষ্ট্র হতে হবে জবাবদিহিমূলক, মানবিক ও অসাম্প্রদায়িক। 

মানববন্ধন কর্মসূচিতে সুজনের পক্ষ থেকে ১৯ দফা দাবি তুলে ধরা হয়। এতে রয়েছে হত্যা, সহিংসতা, লুটপাটে জড়িতদের চিহ্নিত করার জন্য জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে দ্রুত তদন্ত কমিটি গঠন; হত্যা ও সহিংসতায় জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনা; আন্দোলনে নিহতদের তালিকা তৈরি করে সংশ্লিষ্ট পরিবারগুলোকে সহায়তা ও ক্ষতিপূরণ দেওয়া; আহতদের সুচিকিৎসাসহ পুনর্বাসন; সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলায় জড়িতদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনা; রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহার ও সাম্প্রদায়িক রাজনীতি নিষিদ্ধ করা; সংবিধান সংশোধনের লক্ষ্যে রাজনৈতিক ঐকমত্য তৈরি করা ইত্যাদি।

এলিস/এমএ/

 

বন্যা মোকাবিলা এ মুহূর্তে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার: প্রধান উপদেষ্টা

প্রকাশ: ২৪ আগস্ট ২০২৪, ০৮:৪১ পিএম
আপডেট: ২৪ আগস্ট ২০২৪, ০৮:৪২ পিএম
বন্যা মোকাবিলা এ মুহূর্তে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার: প্রধান উপদেষ্টা
ছবি: বাসস

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও দেশবাসীকে বন্যা মোকাবিলায় সরকারের সঙ্গে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এই মুহূর্তে সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার বন্যা মোকাবিলা করা। 

বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা (এনজিও)’র প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ আহ্বান জানান। 

শনিবার (২৪ আগস্ট) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এনজিও প্রতিনিধিরা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেন। উপকূল ও দুর্গত এলাকায় কর্মরত ৪৪টি এনজিওর প্রধানরা বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।

পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, ‘প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, সরকার এই মুহূর্তে বন্যা মোকাবিলাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছে। আমাদের অব্যশই এ পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে। সবাই মিলে এ দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসতে হবে।’

ড. ইউনূস বন্যা মোকাবিলায় উদ্ধার কার্যক্রম ও ত্রাণ বিতরণসহ আনুষঙ্গিক কার্যক্রমের ক্ষেত্রে সমন্বয় বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, ‘বন্যা মোকাবিলায় সরকার, এনজিওসহ যারা যারা কাজ করছেন, তাদের সবার মধ্যে সমন্বয় বাড়াতে হবে। সম্ভব হলে জেলা পর্যায়েও বন্যা মোকাবিলার কাজ সমন্বিতভাবে করতে হবে।’

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, কোটি কোটি মানুষ বন্যায় উদ্ধার কার্যক্রম ও ত্রাণ নিয়ে এগিয়ে আসছে। তাদের মহৎ উৎসাহের যথার্থ ব্যবহার নিশ্চিত করা জরুরি। এজন্য আমাদের সবাইকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে দেশ। বন্যায় বিপর্যস্ত হয়েছে ১১টি জেলা। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে লাখ লাখ মানুষ।

বৈঠকে মুহাম্মদ ইউনূস বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পরে আরও বেশি কাজ করতে হবে বলে উল্লেখ করে বন্যা পরবর্তী খাদ্য ও স্বাস্থ্যঝুঁকিসহ সার্বিক পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব পক্ষকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।

ছাত্র-জনতার অভুত্থানের মাধ্যমে দেশে দ্বিতীয় বিপ্লব সংঘটিত হয়েছে উল্লেখ করে শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. ইউনূস বলেন, ‘তরুণরা আমাদের জন্য মহৎ সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে। দ্রুত এই সুযোগের সর্বোত্তম ব্যবহার করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, কেবল বন্যা মোকাবিলায় গুরুত্ব দিলে হবে না, কীভাবে দেশকে বন্যামুক্ত রাখা যায় সেদিকেও মনোযোগী হতে হবে।

আবদুল্লাহ আল মামুন/এমএ/

সাবেক এমপি সাদেক খান গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ২৪ আগস্ট ২০২৪, ০৭:৫৯ পিএম
আপডেট: ২৪ আগস্ট ২০২৪, ০৮:০০ পিএম
সাবেক এমপি সাদেক খান গ্রেপ্তার
ঢাকা-১৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাদেক খান। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা-১৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাদেক খানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাটের ওপর হামলা মামলার অন্যতম আসামি তিনি। 

শনিবার (২৪ আগস্ট) ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

জানা যায়, আওয়ামী লীগ সরকার পদত্যাগের পর পলাতক ছিল সাদেক খান। এরপর তার বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়। সেই মামলায় রাজধানীর পশ্চিম নাখালপাড়া থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশ।

এর আগে, ২০২৩ সালের ১ অক্টোবর মার্শা বার্নিকাটের গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় নয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে সম্পূরক অভিযোগপত্র জমা দেয় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। এতে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারের শ্যালক মোহাম্মদ ইশতিয়াক মাহমুদ ও মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি নাইমুল হাসান ওরফে রাসেলকে আসামি করা হয়। বাকি আসামিদের অনেকেই আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী।

২০১৮ সালের ৪ আগস্ট রাতে সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারের মোহাম্মদপুরের বাসায় নৈশভোজে অংশ নেন যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট। নৈশভোজ শেষে তিনি গাড়িতে ওঠার সময় হামলাটি হয়।

এই ঘটনায় করা মামলায় ২০২১ সালের মার্চে নয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছিলেন আদালত। তবে পরবর্তী সময়ে রাষ্ট্রপক্ষ অধিকতর তদন্তের আবেদন করে। আবেদনে বলা হয়, অভিযোগকারীসহ পাঁচজন আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। তাদের মধ্যে তিনজন আসামি হিসেবে বাদী বদিউল আলম মজুমদারের শ্যালক ইশতিয়াক মাহমুদের নাম উল্লেখ করেছেন। কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তা তার নাম উল্লেখ করেননি। তাই প্রকৃত অপরাধীকে চিহ্নিত করতে অধিকতর তদন্তের প্রয়োজন।

উল্লেখ্য, মার্শা বার্নিকাট ২০১৫ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তাকে বহনকারী গাড়ির ওপর হামলার তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে বাংলাদেশের কাছে একাধিকবার জানতে চেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। হামলার ঘটনাটিকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়ার এবং এ ব্যাপারে কার্যকর ও নিরপেক্ষ তদন্ত চেয়েছে তারা।

রাষ্ট্রদূতের গাড়িতে হামলার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিচার চেয়ে সেই সময় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কূটনৈতিক পত্রও পাঠিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। ওই কূটনৈতিক পত্রে বলা হয়, রাষ্ট্রদূতের নিরাপত্তা দলের সদস্যরা হামলাকারীদের মধ্যে দুই ব্যক্তিকে শনাক্ত করেন। হামলার সময় ওই দুই ব্যক্তি চিৎকার করে বলছিলেন, বদিউল আলম মজুমদার সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত।

গাড়িবহরের দিকে এগোনোর সময় তাদের বাধা দেওয়া হলে রাষ্ট্রদূতের নিরাপত্তা দলের দুই সদস্যকে ঘুষি মারেন হামলাকারীরা। গাড়িবহর চলে যাওয়ার সময় দুটি গাড়িতে লাঠি দিয়ে আঘাত করেন হামলাকারীরা। হামলার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে সে সময় বাংলাদেশ সরকার বিষয়টিকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলে বিবৃতি দেয়। এতে তদন্ত শেষে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়।

খাজা/এমএ/

তৃতীয় টার্মিনালের ৯৮ শতাংশ কাজ শেষ, দ্রুত শেষ করার নির্দেশ বেবিচক চেয়ারম্যানের

প্রকাশ: ২৪ আগস্ট ২০২৪, ০৭:৩৯ পিএম
তৃতীয় টার্মিনালের ৯৮ শতাংশ কাজ শেষ, দ্রুত শেষ করার নির্দেশ বেবিচক চেয়ারম্যানের
ছবি: সংগৃহীত

৯৮ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে উল্লেখ করে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ-বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের অবশিষ্ট কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন। 

শনিবার (২৪ আগস্ট) সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল পরিদর্শনের সময় এসব কথা বলেন তিনি। 

এসময় তিনি তৃতীয় টার্মিনালে নবনির্মিত চেক ইন কাউন্টার, ইমিগ্রেশন, স্ক্যানার, বোর্ডিং ব্রিজ, এরাইভাল, ডিপার্চার এবং এয়ারক্রাফ্ট পার্কিং এপ্রোন ও রোড নেটওয়ার্কসহ এই প্রকল্পের আওতায় নির্মিত অন্যান্য স্থাপনাসমূহ পরিদর্শন করেন। টার্মিনালের কাজের অগ্রগতি, কাজের মান এবং সময়মতো কাজ সম্পন্ন করার বিষয়ে কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে আলোচনা করেন। 

ইতোমধ্যে ৯৮ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে উল্লেখ করে বেবিচক চেয়ারম্যান জানান যে, দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও বৈশ্বিক যোগাযোগের গেটওয়ে হিসেবে এই টার্মিনালের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। অতঃপর তিনি তৃতীয় টার্মিনালের অবশিষ্ট কাজগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে শেষ করার জন্য গুরুত্বারোপ করেন। এছাড়া বেবিচক চেয়ারম্যান সার্বিক কাজের অগ্রগতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান। 

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন তৃতীয় টার্মিনালের কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত বিদেশি প্রতিনিধিরা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালকসহ বেবিচক এর বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ। 

অন্যদিকে আনসার সদস্যদের কর্মবিরতির পরবর্তী পরিস্থিতি দেখতে গত শুক্রবার রাতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পরিদর্শন করেন বেবিচক চেয়ারম্যান। এ সময় সার্বিক বন্যা পরিস্থিতিতে আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা বাধাগ্রস্থ হওয়ায় আকাশ পথে যাত্রীদের যাতায়াত বৃদ্ধি পেয়েছে উল্লেখ করে বেবিচক চেয়ারম্যান সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষকে কোন বাড়তি ভাড়া আদায় না করার বিষয়েও আহ্বান জানান। এছাড়া এয়ারলাইন্স কোম্পানিগুলোকে বাড়তি ফ্লাইট দিয়ে যাত্রীসেবা বৃদ্ধির ব্যাপারে অনুরোধ করেন এবং সে অনুযায়ী কোম্পানিগুলো ইতোমধ্যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন বলেও জানান তিনি।  

বেবিচক চেয়ারম্যান আরও বলেন, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কর্মরত অঙ্গীভূত আনসার সদস্যরা কর্মবিরতিতে চলে যাওয়ার পর বেবিচক কর্তৃপক্ষ বিমানবন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছে। এভিয়েশন সিকিউরিটি এবং বিমান বাহিনীর সহায়তায় পুরো কার্যক্রম নিরবচ্ছিন্ন রাখা সক্ষম হয়। বিমান বাহিনীর এই সহায়তার জন্য তিনি আন্তরিক ধন্যবাদ জানান বিমান বাহিনী প্রধানকে।  

তিথি/এমএ/