ঢাকা ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪

নজরুলের লেখনী নির্যাতিত মানুষকে প্রেরণা জোগাবে: মির্জা ফখরুল

প্রকাশ: ২৪ মে ২০২৪, ০৯:২৫ পিএম
আপডেট: ২৪ মে ২০২৪, ০৯:২৫ পিএম
নজরুলের লেখনী নির্যাতিত মানুষকে প্রেরণা জোগাবে: মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “জাগরণের কবি কাজী নজরুল উপমহাদেশের স্বাধীনতার প্রথম বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর। তিনি আমাদের জাতীয় কবি। তার কবিতা ও গান আমাদের মুক্তিসংগ্রাম এবং পরবর্তী সময়ে সব স্বৈরাচারবিরোধী সংগ্রামে সাহস জুগিয়েছে। তার ‘চল্ চল্ চল্’ গানটি আমাদের জাতীয় রণসংগীত হিসেবে পেয়ে আমরা গর্বিত। আমি বিশ্বাস করি, প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ঔপনিবেশিক শৃঙ্খল ছিন্ন করে দেশ থেকে নিপীড়ন-নির্যাতন ও বৈষম্য নির্মূল করতে তার লেখনীর আবেদন চিরদিন নির্যাতিত মানুষকে প্রেরণা জোগাবে। পাশাপাশি সংগীতে তার অবদান চিরকালীন ও চিরস্থায়ী হয়ে থাকবে।”

শুক্রবার (২৪ মে) এক বিবৃতিতে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫তম জন্মবার্ষিকী (২৫ মে) উপলক্ষে তার প্রতি শ্রদ্ধা এবং আত্মার মাগফিরাত কামনা করে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম।

তিনি আরও বলেন, কাজী নজরুল ইসলাম বাংলা সাহিত্যের এক অবিসংবাদিত কিংবদন্তি। তিনি একাধারে সাহিত্যিক, কবি, সংগীতজ্ঞ, সুরকার, সাংবাদিক, সম্পাদক, রাজনীতিবিদ এবং সৈনিক। তিনি অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে সর্বদা ছিলেন উচ্চকণ্ঠ। তার লেখা স্বাধীনতা, মানবতা ও বিপ্লবের কবিতা পাঠে মানুষের হৃদয়ে স্পন্দন জাগে, রক্তে শিহরণ তোলে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, পারিবারিক জীবনের নানা অভিঘাতের মধ্যেও তিনি নিরলসভাবে সাহিত্যচর্চা করেছেন। তার ক্ষুরধার লেখনীতে অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের মন্ত্র উচ্চারিত হয়। তিনি দেশের স্বাধীনতা ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ঔপনিবেশিক শাসক গোষ্ঠীর অন্যায়ের বিরুদ্ধে কলমকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে কারাগারে নির্যাতন সহ্য করতেও দ্বিধা করেননি। তার কবিতা ও গানে ভালোবাসা, মানবতা ও সাম্যের বাণী বিধৃত হয়েছে। তার কবিতার মূল উপজীব্য ছিল, মানুষের ওপর মানুষের অত্যাচার, সামাজিক অনাচার ও শোষণের বিরুদ্ধে সোচ্চার প্রতিবাদ।

এভারকেয়ারে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের খোঁজ নিলেন মির্জা ফখরুল

প্রকাশ: ২৯ জুন ২০২৪, ০১:০২ এএম
আপডেট: ২৯ জুন ২০২৪, ০১:০৫ এএম
এভারকেয়ারে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের খোঁজ নিলেন মির্জা ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি'র চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিতে রাতে এভারকেয়ার হাসপাতালে যান দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শুক্রবার (২৮ জুন) রাত সোয়া ৯টার দিকে বসুন্ধরার এ হাসপাতালে যান তিনি। ঘণ্টাখানেক সেখানে অবস্থান শেষে রাত ১০টার পর হাসপাতাল ত্যাগ করেন মির্জা ফখরুল। 

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানান।

এদিকে, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে বলে জানিয়েছেন তার মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা। তারা বলছেন, সিসিইউ সুবিধাসম্বলিত কেবিনে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখে বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে।

গত ২৩ জুন খালেদা জিয়ার হৃদযন্ত্রে পেসমেকার বসানো হয়। দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর চিকিৎসা চলছে। গত ২১ জুন মধ্যরাতে খালেদা জিয়ার শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি করা হয়।

সবুজ/এমএ/

স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ফ্যাসিবাদী শাসন উচ্ছেদের সংগ্রাম জোরদার করুন: ফয়জুল হাকিম

প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৪, ১০:০২ পিএম
আপডেট: ২৮ জুন ২০২৪, ১০:০২ পিএম
স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ফ্যাসিবাদী শাসন উচ্ছেদের সংগ্রাম জোরদার করুন: ফয়জুল হাকিম
জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সম্পাদক এবং বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশনের সভাপতি ফয়জুল হাকিম লালা। ফাইল ছবি

স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ফ্যাসিবাদী শাসন উচ্ছেদের সংগ্রাম জোরদার করার শ্রমিক-কৃষক নিপীড়িত জাতি ও জনগণের ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সম্পাদক এবং বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশনের সভাপতি ফয়জুল হাকিম লালা। 

তিনি বলেন, সাম্রাজ্যবাদী ভারত অসম ও অধীনতামূলক চুক্তি সম্পাদন করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে তার আধিপত্য এবং নিয়ন্ত্রণ অব্যাহত রেখে চলেছে। গদী রক্ষায় হাসিনা সরকার বিদ্যুৎখাতকে ক্রমান্বয়ে ভারত নির্ভর করে চলেছে। 

শুক্রবার (২৮ জুন) বিকালে খুলনায় আঞ্চলিক কার্যালয়ে ‘জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল-খুলনা জেলা শাখার উদ্যোগে’ এক কর্মীসভায় তিনি এসব কথা বলেন। এম হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন সুভাষ সাহা, আনোয়ার হোসেন, আবদুল মালেক, বরকত আলী, হংস শুভ্র হালদার, আলমগীর হোসেন এবং নজরুল ইসলাম প্রমুখ। 

ফয়জুল হাকিম লালা বলেন, ক্ষমতাসীন হাসিনা সরকারের মদদে বাংলাদেশ এখন দুর্নীতিবাজ লুণ্ঠনজীবীদের লুটপাটের স্বর্গভূমিতে পরিণত হয়েছে। সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা, সাবেক সেনাপ্রধান, রাজস্ব কর্মকর্তা, দুদক কর্মকর্তা, এমপি-মন্ত্রীসহ ক্ষমতাসীন দলের নেতা, সামরিক-বেসামরিক আমলা ও সিন্ডিকেট ব্যাবসায়ীদের ব্যাপক দুর্নীতি-লুটপাটে হাসিনা সরকারের তথাকথিত ‘উন্নয়নের মডেল’ আর ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ ধসে পড়েছে।

তিনি বলেন, গত দু’দশকে শেয়ার মার্কেট ও ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট, বিদ্যুৎ খাতে রেন্টাল-কুইক রেন্টাল কোম্পানিগুলোর লুটপাট, দ্রব্যেমূল্যর দামবৃদ্ধির মাধ্যমে সিন্ডিকেট ব্যাবসায়ীদের বাজারি শোষণ, মেগা প্রকল্পের নামে মেগা লুটপাট ও অর্থ পাচারের ঘটনা- এই সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের মদদেই হচ্ছে। 

ফয়জুল হাকিম বলেন, প্রতি মাসেই সীমান্তে ভারতের বিএসএফ গুলি করে বাংলাদেশি নাগরিক হত্যা করে চললেও শেখ হাসিনা সরকার তার কোনো প্রতিবাদ করছে না। জনগণের রাজনৈতিক স্বাধীনতা আত্মসাৎ করে আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদী শাসন দীর্ঘায়িত করার পেছনে ভারতের প্রত্যক্ষ মদদ আজ আর অজানা নয়।

শফিক/এমএ/

বাংলাদেশ ছাত্রপক্ষের প্রথম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ধ্বংস ও গণমাধ্যমের কন্ঠরোধ করছে সরকার

প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৪, ০৯:৪৭ পিএম
আপডেট: ২৮ জুন ২০২৪, ০৯:৪৭ পিএম
গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ধ্বংস ও গণমাধ্যমের কন্ঠরোধ করছে সরকার
ছবি: সংগৃহীত

গণতন্ত্রের অঙ্গীকার সমুন্নত করার প্রত্যয়ে সাম্য ও অধিকারভিত্তিক ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রপক্ষ'র প্রথম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনের বিজয়নগরস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শুভানুধ্যায়ী, উপদেষ্টা ও ছাত্রপক্ষ'র সদস্যদের নিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হয় শুক্রবার।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, সরকার প্রতিনিয়ত গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ধ্বংস করছে এবং গণমাধ্যম যেখানে সমাজের দর্পণ হওয়ার কথা সেখানে মুক্ত গণমাধ্যমের কন্ঠরোধ করছে। ছাত্র রাজনীতির ঐতিহ্য ও গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস ম্লান করার পেছনে সরকারকে অভিযুক্ত করেন। শীঘ্রই ছাত্র-শ্রমিক-জনতার জাগরণের মাধ্যমে এই স্বৈরতান্ত্রিক সরকারের পতন হবে বলে তিনি প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। 

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছাত্রপক্ষ'র তত্ত্বাবধায়ক ও এবি পার্টির সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, আধিপত্য ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের মাধ্যমে দেশের শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করে শিক্ষার্থীদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠন। ছাত্রপক্ষ'র নেতৃত্বে অচিরেই এই অপরাজনীতি রুখে দিয়ে নিরাপদ শিক্ষাঙ্গন ও শিক্ষার্থীদের ন্যায্য অধিকার আদায়ে নেতৃত্ব দিবে বাংলাদেশ ছাত্রপক্ষ। 

এ সময় ছাত্রপক্ষ'র প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে শুভেচ্ছা জানিয়ে সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, নতুন প্রজন্ম রাজনীতিমুখী হচ্ছে যা একটি বড় পরিবর্তন, রাষ্ট্রে যখন দুর্নীতি প্রতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছে তখন তরুণরাই আশার আলো। আগামীর সকল ছাত্র আন্দোলনে ছাত্রপক্ষ গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

ছাত্রপক্ষ'র আহ্বায়ক মুহাম্মদ প্রিন্স বলেন, শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড। কিন্তু দূর্ভাগ্যের বিষয় স্বাধীনতার পর থেকে জাতি গঠনের উপযোগী একটি কার্যকর শিক্ষাব্যবস্থা প্রণয়ন এবং শিক্ষাঙ্গনকে যোগ্য নাগরিক তৈরির কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে কোনো সরকার কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি, উল্টো ক্যাম্পাসসমূহের শিক্ষার পরিবেশ বিনষ্ট করেছে। শিক্ষার্থীদের ভাগ্যের পরিবর্তনের জন্য কাজ করবে ছাত্রপক্ষ।

সংগঠনের সদস্যসচিব আশরাফুল ইসলাম নির্ঝর বলেন, ছাত্রপক্ষ কোন ব্যক্তির দল নয়। এটি একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠন। আমরা নিজেদের দলে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার সঙ্গে সঙ্গে দেশের শিক্ষাঙ্গনে গণতন্ত্র রক্ষার আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যাবো।

প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা জানিয়ে আরও বক্তব্য রাখেন এবি পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা লে.কর্ণেল (অব.) দিদারুল আলম, জাতীয় নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ কর্ণেল (অব.) নাজিমুল ইসলাম, ছাত্রপক্ষ'র কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক আকিব হাসান, সহকারী সদস্যসচিব ফজলে এলাহী মোহন, সহকারী সদস্যসচিব সারাফ আনজুম বিভা, নুসরাত রহমান খান নিশাত, কেন্দ্রীয় সহকারী অর্থ সম্পাদক তানজিনা জুই, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জুবায়ের হাসিব, রফিকুল ইসলাম সৌরভ, ইসরাত জাহান এশা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক খালিদ সাইফুল্লাহ জিহাদ, ঢাকা কলেজের সমন্বয়ক কামরুল ইসলাম, জুবায়ের হাসিব, খালিদ হাসান প্রান্ত,শামিমুর রহমান, অর্পিতা শিরিন স্বর্নাসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

সবুজ/এমএ/

‘আ.লীগ ভারতের বন্ধু’ বলে সেবাদাস বানানোর চক্রান্ত চলছে: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৪, ০৮:৩৭ পিএম
আপডেট: ২৮ জুন ২০২৪, ০৮:৩৯ পিএম
‘আ.লীগ ভারতের বন্ধু’ বলে সেবাদাস বানানোর চক্রান্ত চলছে: ওবায়দুল কাদের
আ.লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বাইসাইকেল শোভাযাত্রার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ছবি: খবরের কাগজ

‘আওয়ামী লীগ ভারতের বন্ধু’ বলে সেবাদাস বানানোর চক্রান্ত চলছে। এ মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘বিদেশে আমাদের প্রভু নেই, আপনাদের (বিএনপির) প্রভু আছে। বিদেশে আমাদের বন্ধু আছে। ভারত আমাদের ৭১-এর পরীক্ষিত বন্ধু। বঙ্গবন্ধুকন্যা যা করেন বাংলাদেশের স্বার্থে করেন। স্বার্থ বিকিয়ে দিয়ে তিনি কোনো বন্ধুত্বে আবদ্ধ হন না।’

আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার (২৮ জুন) অনুষ্ঠিত বাইসাইকেল শোভাযাত্রা উদ্বোধনের পর ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।

রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ থেকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর পর্যন্ত এ শোভাযাত্রা হয়। ‘সুস্থতার জন্য সাইক্লিং’ নামে শোভাযাত্রার আয়োজন করেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম। 

বাইসাইকেল শোভাযাত্রার উদ্বোধন শেষে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ভারত বাংলাদেশের পরীক্ষিত বন্ধু। বঙ্গবন্ধুকন্যা যা করেন, বাংলাদেশের স্বার্থেই করেন। স্বার্থ বিকিয়ে দিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা কারও সঙ্গে কোনো বন্ধুত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হন না।

ভারত-বিরোধিতার নামে আজকে যারা আন্দোলনের ইস্যু খোঁজার চেষ্টা করছেন, তারা আবারও ভুল পথে হাঁটছেন উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সেই আইয়ুব খান থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগকে ভারতের বন্ধু বলে সেবাদাস বানানোর যারা চক্রান্ত করেছেন, সেই আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছে।’

বিরোধীদের সঙ্গে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি নয় জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা বিএনপি বা বিরোধী দলের কর্মসূচির পাল্টাপাল্টি কোনো কর্মসূচি দিতে যাচ্ছি না। আমাদের কর্মসূচি আগেই ঘোষিত হয়েছে। আওয়ামী লীগের ৭৫ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান বছরব্যাপী সারা দেশে চলবে।’

শোভাযাত্রা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান, ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদ প্রমুখ।

ভারতের রেল চলতে দেওয়া হবে না, ইসলামী আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৪, ০৮:১২ পিএম
আপডেট: ২৮ জুন ২০২৪, ০৮:১২ পিএম
ভারতের রেল চলতে দেওয়া হবে না, ইসলামী আন্দোলনের হুঁশিয়ারি
ছবি: সংগৃহীত

বুকের তাজা রক্ত দিয়ে হলেও বাংলাদেশের ওপর দিয়ে ভারতের রেল চলতে দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।

শুক্রবার (২৭ জুন) বাদ জুমা রাজধানীর বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে বিক্ষোভ মিছিলপূর্ব সমাবেশে এ হুঁশিয়ারি দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী। 

ভারতের সঙ্গে সব চুক্তি বাতিল এবং চিহ্নিত দুর্নীতিবাজদের গ্রেপ্তারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে এ বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল আয়োজন করে ইসলামী আন্দোলন ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ। মহানগর উত্তরের সভাপতি প্রিন্সিপাল মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম, কেন্দ্রীয় প্রচার ও দাওয়াহবিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম প্রমুখ। 

সমাবেশ থেকে ভারতের সঙ্গে চুক্তি বাতিলের দাবিতে আগামী ৫ জুলাই সারা দেশে জেলা ও মহানগরে বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা দেন মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ। তিনি বলেন, ‘বর্তমান ডামি সরকার দেশবিরোধী ১০টি সমঝোতা চুক্তি করেছে। এতে বাংলাদেশের ন্যূনতম কোনো স্বার্থ নেই। সব স্বার্থ ভারতের। শেখ হাসিনা দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে বাংলাদেশকে ভারতের করদরাজ্যে পরিণত করার সব আয়োজন সম্পন্ন করেছেন। অবিলম্বে ভারতের সঙ্গে দেশবিরোধী সব চুক্তি বাতিল করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী দেশটাকে ভারতের কাছে বিক্রি করে দিচ্ছেন।’