![নজরুলের লেখনী নির্যাতিত মানুষকে প্রেরণা জোগাবে: মির্জা ফখরুল](uploads/2024/05/24/1701623730.Fakhrul kk-1716564356.jpg)
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “জাগরণের কবি কাজী নজরুল উপমহাদেশের স্বাধীনতার প্রথম বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর। তিনি আমাদের জাতীয় কবি। তার কবিতা ও গান আমাদের মুক্তিসংগ্রাম এবং পরবর্তী সময়ে সব স্বৈরাচারবিরোধী সংগ্রামে সাহস জুগিয়েছে। তার ‘চল্ চল্ চল্’ গানটি আমাদের জাতীয় রণসংগীত হিসেবে পেয়ে আমরা গর্বিত। আমি বিশ্বাস করি, প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ঔপনিবেশিক শৃঙ্খল ছিন্ন করে দেশ থেকে নিপীড়ন-নির্যাতন ও বৈষম্য নির্মূল করতে তার লেখনীর আবেদন চিরদিন নির্যাতিত মানুষকে প্রেরণা জোগাবে। পাশাপাশি সংগীতে তার অবদান চিরকালীন ও চিরস্থায়ী হয়ে থাকবে।”
শুক্রবার (২৪ মে) এক বিবৃতিতে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫তম জন্মবার্ষিকী (২৫ মে) উপলক্ষে তার প্রতি শ্রদ্ধা এবং আত্মার মাগফিরাত কামনা করে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম।
তিনি আরও বলেন, কাজী নজরুল ইসলাম বাংলা সাহিত্যের এক অবিসংবাদিত কিংবদন্তি। তিনি একাধারে সাহিত্যিক, কবি, সংগীতজ্ঞ, সুরকার, সাংবাদিক, সম্পাদক, রাজনীতিবিদ এবং সৈনিক। তিনি অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে সর্বদা ছিলেন উচ্চকণ্ঠ। তার লেখা স্বাধীনতা, মানবতা ও বিপ্লবের কবিতা পাঠে মানুষের হৃদয়ে স্পন্দন জাগে, রক্তে শিহরণ তোলে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, পারিবারিক জীবনের নানা অভিঘাতের মধ্যেও তিনি নিরলসভাবে সাহিত্যচর্চা করেছেন। তার ক্ষুরধার লেখনীতে অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের মন্ত্র উচ্চারিত হয়। তিনি দেশের স্বাধীনতা ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ঔপনিবেশিক শাসক গোষ্ঠীর অন্যায়ের বিরুদ্ধে কলমকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে কারাগারে নির্যাতন সহ্য করতেও দ্বিধা করেননি। তার কবিতা ও গানে ভালোবাসা, মানবতা ও সাম্যের বাণী বিধৃত হয়েছে। তার কবিতার মূল উপজীব্য ছিল, মানুষের ওপর মানুষের অত্যাচার, সামাজিক অনাচার ও শোষণের বিরুদ্ধে সোচ্চার প্রতিবাদ।