ঢাকা ২৪ আষাঢ় ১৪৩১, সোমবার, ০৮ জুলাই ২০২৪

ভারত সফরে বাংলাদেশের সব স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়েছে সরকার : মান্না

প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০২:৫৬ পিএম
আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০৪:৩৭ পিএম
ভারত সফরে বাংলাদেশের সব স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়েছে সরকার : মান্না
ছবি : খবরের কাগজ

এবারের ভারত সফরে আওয়ামী লীগ সরকার দেশের সব স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন গণতন্ত্র মঞ্চের শীর্ষ নেতা ও নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। 

তিনি বলেন, ‘দেশের নিরাপত্তা ভারতের হাতে চলে গেছে। ভারত তথাকথিত নিরাপত্তার নামে বাংলাদেশের জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নেয়, মৌলিক অধিকার কেড়ে নেয়, বাংলাদেশে গণতন্ত্র বিকশিত হতে দেয় না।’

শুক্রবার (৫ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গণতন্ত্র মঞ্চ আয়োজিত ‘বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী ও নিরাপত্তা হুমকি সৃষ্টিকারী সমঝোতা স্মারকের’ প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলেন মান্না। 

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি বলেন, ‘১৫ বছর ধরে গায়ের জোরে এই সরকার ক্ষমতায় বসে আছে। আর ভারত এই সরকারকে ক্ষমতায় রাখার চেষ্টা করে। আমরা ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব রাখতে চাই কিন্তু ভারত আমাদের সঙ্গে বন্ধুত্বসুলভ আচরণ করছে না। তারা বাংলাদেশের মানুষের ভোটের অধিকার বন্ধ করে দিয়েছে।’  

তিনি বলেন, ‘সরকার এখন ভারতের সঙ্গে স্যাটেলাইট চুক্তি করেছে। ভারতের স্যাটেলাইট এখন বাংলাদেশের যেকোনো জায়গায় তদন্ত তদারকি করতে পারবে। সরকার তো ভারতকে রেল ট্রানজিট দেয়নি, সরকার সরাসরি করিডোর দিয়ে দিয়েছে। ভারতের ট্রেন বাংলাদেশে আসবে, এই ট্রেন মালবাহী ট্রেনও হতে পারে। ট্রেনের মধ্যে কী থাকবে আমরা সেটা জানি না।’ 

মান্না আরও বলেন, ‘যদি কোনো দেশ মনে করে এই মালবাহী ট্রেনের মধ্যে অস্ত্র আছে এবং তারা যদি বলে আমরা এই ট্রেনকে বাধা দেব; তার মানে হচ্ছে বাংলাদেশকে আপনারা (আওয়ামী সরকার) একদিকে ভারত ও চীনের যে সমস্যা চলছে তার জায়গা তৈরি করেছেন। ট্রানজিটের পাশাপাশি যেরকমভাবে স্যাটেলাইট সৃষ্টি করা হয়েছে এতে দেশের সমস্ত গোপন তথ্য ভারতের কাছে চলে যাবে। ভারতের সঙ্গে যে সমঝোতা স্মারক-চুক্তি করা হয়েছে, এগুলো তাড়াতাড়ি বাতিল করেন। তা না হলে পরিণতি খারাপ হবে।’ 

ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলুর সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, জেএসডি সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন প্রমুখ।

শফিকুল/সালমান/

ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানে সর্বোচ্চ সতর্কতার পরামর্শ জি এম কাদেরের

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৪, ০২:৪৭ পিএম
আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৪, ০২:৪৭ পিএম
ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানে সর্বোচ্চ সতর্কতার পরামর্শ জি এম কাদেরের
বিরোধী দলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জি এম কাদের

সব ধরণের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করে নিরাপত্তা বিধানে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সচেতন থাকার পরামর্শ দিয়েছেন বিরোধী দলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জি এম কাদের৷

গতকাল রবিবার বগুড়ায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব রথযাত্রায় বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে ৫ জনের মৃত্যুতে দুঃখ প্রকাশ করে তিনি এ কথা বলেন৷

সোমবার (৮ জুলাই) দুপুরে জাপার পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে তার এই বিবৃতি পাঠানো হয়৷

বিবৃতিতে নিহতদের আত্মার শান্তি কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন বিরোধী দলীয় নেতা।
 
শোকবার্তায় জি এম কাদের বলেন, ধর্মীয় অনুষ্ঠানে এমন শোকাবহ সংবাদে আমি ব্যক্তিগতভাবে মর্মাহত। এমন দুঃখজনক সংবাদের জাতি ব্যথিত। 

বগুড়ার দুর্ঘটনায় একইভাবে শোক প্রকাশ করেছেন জাতীয় পার্টি মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু।

জয়ন্ত সাহা/অমিয়/

সিনিয়র কয়েকজনকে বাদ দিয়ে ‘ভাঙা’ কমিটি জোড়া

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৪, ০১:০০ পিএম
আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৪, ০২:৪৪ পিএম
সিনিয়র কয়েকজনকে বাদ দিয়ে ‘ভাঙা’ কমিটি জোড়া
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

অবশেষে ঘোষণা করা হয়েছে বিএনপির ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ, চট্টগ্রাম, বরিশাল মহানগরের আংশিক কমিটি। চার মহানগরে মূলত দুই সদস্যের আংশিক আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিন সপ্তাহের বেশি সময় পর এ ঘোষণা এলেও খুব একটা পরিবর্তন হয়নি কমিটিতে। কেবল বাদ পড়েছেন চার শীর্ষ নেতা। যারা তিনজনই বয়স ও পদবিতে সিনিয়র ছিলেন। বলা চলে তুলনামূলক তারুণ্যকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে কেউ কেউ আছেন আগের অবস্থানে। কারও কারও পদোন্নতি হয়েছে।

গত ১৩ জুন আকস্মিকভাবে কমিটি ভেঙে দেওয়ার পর থেকেই দলের মধ্যে আলোচনা ছিল কয়েকজন সিনিয়রকে বাদ দিতে চান নীতিনির্ধারকরা। এ জন্যই কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। নতুন কমিটিতে বিলুপ্ত কমিটির একাধিক নেতাকে পুনর্বহাল করায় সেই সত্য প্রমাণিত হয়েছে বলে মনে করেন দলের অনেকে। বলা হচ্ছে, ভাঙা কমিটিই জোড়া দেওয়া হলো নতুন ঘোষণার মাধ্যমে। তবে নতুন কমিটিতে দায়িত্ব পাওয়া নেতারা বলছেন, এবার দলের আস্থার প্রতিদান দিতে চান তারা। 

বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কমিটিতে নতুন আহ্বায়ক হয়েছেন রফিকুল আলম মজনু। আগের কমিটিতে তিনি সদস্যসচিব ছিলেন। অর্থাৎ তার এক ধাপ পদোন্নতি হয়েছে। জানা গেছে, তার ভূমিকায় সন্তুষ্ট বিএনপির হাইকমান্ড।

খবরের কাগজকে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় রফিকুল ইসলাম মজনু বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। আমাকে যে আকাঙ্ক্ষা নিয়ে তারা মহানগরের দায়িত্ব দিয়েছেন, আমার জীবনের বিনিময়ে হলেও সে দায়িত্ব পালন করব। আগামী দিনে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকার পতনের আন্দোলন আরও জোরদার করব।’

তবে বাদ পড়েছেন আগের কমিটির আহ্বায়ক ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম। সমালোচকদের অনেকেই বলছেন তার প্রতি যে প্রত্যাশা ছিল, সেটি তিনি পূরণ করতে পারেননি। বিশেষ করে ২৮ অক্টোবরের পর নেতা-কর্মীদের থেকে বিচ্ছিন্ন ছিলেন এই সিনিয়র নেতা। কমিটির বিষয়ে তার প্রতিক্রিয়া জানতে কল দেওয়া হলেও পাওয়া যায়নি তাকে। এদিকে ঢাকা দক্ষিণে দুই সদস্যের আংশিক কমিটিতে সদস্যসচিব করা হয়েছে সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক তানভীর আহমেদ রবিনকে। বিগত আন্দোলনের সময় কয়েক মাস কারাবন্দি ছিলেন তিনি। দলীয় সূত্রমতে, দক্ষিণে দুই শীর্ষ নেতৃত্বকে বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও মহানগরের শীর্ষ নেতা মির্জা আব্বাসের পছন্দকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। 

অন্যদিকে ঢাকা উত্তরে আহ্বায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জাতীয়তাবাদী যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরবকে। তিনি প্রায় ১৬ মাস কারাভোগের পর সম্প্রতি মুক্ত হয়েছেন। তার নামে সাড়ে ৪০০ মামলা আছে বলে জানা গেছে। আর সদস্যসচিব হিসেবে আছেন আগের কমিটির সদস্যসচিব বিএনপির ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক ও ফুটবলার আমিনুল হক। তার পদোন্নতি বা পদাবনতি কিছুই হয়নি। বিলুপ্ত কমিটির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ বর্তমানে চিকিৎসার জন্য বিদেশে অবস্থান করছেন। এই কমিটিতে নেই আগের কমিটির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনারও। 

সাইফুল আলম নীরব বলেন, ‘যে আস্থা-বিশ্বাস রেখে আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তা রক্ষায় সবকিছু করব। বিজয় না হওয়ার আগে রাজপথ ছাড়ব না। আর যত দ্রুত সম্ভব সবার মতামত নিয়ে সবার সমন্বয়ে থানা এবং ওয়ার্ড কমিটি গঠন করা হবে।’ 

এদিকে ঢাকা মহানগরের নতুন কমিটি নিয়ে নেতা-কর্মীদের কাছ থেকে দুই ধরনের প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে। নয়াপল্টন পার্টি অফিসে আসা কয়েকজন নেতা-কর্মী বলেন, তরুণদের নেতৃত্বে ভালো কমিটি হয়েছে। আবার কেউ কেউ বলছেন, প্রবীণ-নবীন সমন্বয় না হওয়ায় মহানগর রাজনীতিতে বিভেদ বাড়বে। মহানগরে যারা ৫০ বছর ধরে রাজনীতি করেন তারা কার কাছে যাবেন? জুনিয়রদের সঙ্গে তাদের রাজনীতি করা কঠিন হয়ে পড়বে। একসময় তারা ঠিকানাবিহীন হয়ে হয়তো রাজনীতি থেকে হারিয়ে যাবেন। 

অন্যদিকে কমিটি ঘোষণার পর বিকেলে নয়াপল্টন দলীয় কার্যালয়ে নেতা-কর্মীদের নিয়ে হাজির হন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহবায়ক রফিকুল আলম মজনু, উত্তরের আহবায়ক সাইফুল আলম নীরব এবং সদস্যসচিব আমিনুল হক। তবে দক্ষিণের সদস্যসচিব তানভীর আহমেদ বিদেশ থেকে সন্ধ্যায় দেশে ফেরেন। রবিবার বিকেল ৪টার দিকে মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে নয়াপল্টন-নাইটিঙ্গেল মোড় পর্যন্ত শোডাউন করেন নেতা-কর্মীরা। এ সময় খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ বিভিন্ন দাবিতে স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত করে তোলেন।

চট্টগ্রাম মহানগরে দুই সদস্যের আংশিক কমিটিতে বিএনপির আহ্বায়ক করা হয়েছে এরশাদুল্লাহকে। আর সাবেক ছাত্রদল নেতা নাজিমুর রহমানকে সদস্যসচিবের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। নতুন সদস্যসচিব নাজিমুর রহমান খবরের কাগজকে বলেন, ‘সবাইকে নিয়ে কাজ করব। বিএনপি একটি বৃহত্তর পরিবার। সব ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। তৃণমূলকে সংগঠিত করা হবে। দল যে আস্থা রেখেছে তার সর্বোচ্চ প্রতিদান দেওয়ার চেষ্টা করব।’ চট্টগ্রাম মহানগর কমিটিতে রাখা হয়নি সাবেক আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনকে। 

দলের দায়িত্বশীল একাধিক নেতার মতে, মহানগরে অন্তর্ভুক্ত না হলেও আবদুস সালাম, আমান উল্লাহ আমান ও ডা. ফরহাদ হালিম বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পদে এখনো বহাল আছেন। এর পাশাপাশি দলের অন্য কোনো দায়িত্বে হয়তো তাদের দেখা যাবে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম মহানগরের সাবেক আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনকে নিয়ে নীতিনির্ধারকদের অন্য পরিকল্পনা থাকতে পারে। বিশেষ করে পেশাজীবী হলেও ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার ও ডা.শাহাদাত হোসেন দলের বিভিন্ন কার্যক্রমে বেশ সক্রিয়। ফলে তারা দলের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবেন এমন জায়গায় তাদের দেওয়া হবে। 

অন্যদিকে সাবেক আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান খান ফারুককে আবারও আহ্বায়ক, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মো. জিয়াউদ্দিন সিকদার জিয়াকে সদস্যসচিব ও সাবেক ছাত্রদল নেত্রী আফরোজা খানম নাসরিনকে ১ নং যুগ্ম আহ্বায়ক করে বরিশাল মহানগর বিএনপির তিন সদস্যের আংশিক আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। বাদ পড়েছেন বিলুপ্ত কমিটির সদস্যসচিব মীর জাহিদুল কবির। 

মনিরুজ্জামান খান ফারুক খবরের কাগজকে বলেন, ‘সবাইকে নিয়ে কাজ করতে চাই। অতীতের ভুল-ত্রুটি দূরে রেখে সামনে এগোতে চাই। যারা দায়িত্বে আসতে পারেননি কিন্তু পরীক্ষিত তাদের সঙ্গে একযোগে দায়িত্ব পালন করব। দলের চেয়ারপারসন ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান যেহেতু ভরসা রেখেছেন, তার প্রতিদান দিতে চাই।’ 

বরিশাল মহানগরে নতুন দায়িত্ব পাওয়া ১ নং যুগ্ম আহ্বায়ক আফরোজা খানম নাসরিন বলেন, ‘সবার কাছে দোয়া চাই। আর বলব, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মাঠের কাজের মূল্যায়নের ভিত্তিতেই আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন। দেশনেত্রীকে মুক্ত করার লক্ষ্যেই কাজ করব। দেশনায়ক তারেক রহমানের নির্দেশনায় ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে প্রতিরোধ গড়ে তুলব ইনশাআল্লাহ।’ 

ঘোষণার অপেক্ষায় যুবদলের কমিটি 
এদিকে বিলুপ্ত জাতীয়তাবাদী যুবদলের নতুন আহ্বায়ক কমিটিও চমক রেখেই প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জানা গেছে। আগামী দু-এক দিনের মধ্যে এ কমিটি ঘোষণা হতে পারে। 

ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশিদ হাবিব এবং যুবদলের সহসভাপতি নুরুল ইসলাম নয়ন ও ছাত্রদলের সাবেক সেক্রেটারি আকরামুল হাসানকে নিয়ে যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। যদিও যুবদলের সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম মুন্না, সিনিয়র সহসভাপতি মামুন হাসান, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, যুগ্ম সম্পাদক গোলাম মাওলা শাহিনও পদ পেতে তাদের লবিং-তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন।

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি, আবারও হাসপাতালে

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৪, ০৭:৪৫ এএম
আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৪, ০৭:৪৭ এএম
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি, আবারও হাসপাতালে
ফাইল ফটো

শারীরিক অসুস্থ বোধ করায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

রবিবার (৭ জুলাই) রাত ৩টা ৪৭ মিনিটের দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও বেগম খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।

পরে ভোর ৪টা ১২মিনিটে তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয় বলে জানান বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান।

তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, অসুস্থতা বোধ করায় ম্যাডামকে জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসকদের পরামর্শে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

এর আগে ২২ জুন রাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) ভর্তি করা হয় খালেদা জিয়াকে। রাতে মেডিকেল বোর্ড বৈঠক করে তার হৃৎপিণ্ডে পেসমেকার বসানোর সিদ্ধান্ত নেয়। সেদিন বিকেলেই এই যন্ত্র সফলভাবে স্থাপন করা হয়। তখন ১০ দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর ২ জুলাই বাসায় ফেরেন।

৭৯ বছর বয়সী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী হৃদরোগ, ফুসফুস, লিভার, কিডনি, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন।

খাজা/অমিয়/

কোটা ইস্যু রাজনৈতিকভাবে সমাধান করতে হবে : বাম জোট

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ১০:১৪ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ১০:১৪ পিএম
কোটা ইস্যু রাজনৈতিকভাবে সমাধান করতে হবে : বাম জোট
বাম গণতান্ত্রিক জোট

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে কোটা পুনর্বহালের ইস্যুতে সরকার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জনগণের প্রতিপক্ষ বানিয়ে তুলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। তারা বলেছেন, কোটার বিষয়টি রাজনৈতিক। এটি রাজনৈতিকভাবে সমাধান করতে হবে। 

রবিবার (৭ জুলাই) এক বিবৃতিতে এ মন্তব্য করেন তারা। 

যৌথ বিবৃতিতে বাম গণতান্ত্রিক জোট নেতারা বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযোদ্ধারা দেশের জন্য গৌরবের এবং শ্রদ্ধার বিষয়। এর সঙ্গে চাকরির কোটা সংরক্ষণকে মুখোমুখি দাঁড় করানো অপমানজনক। দেশের অনগ্রসর, পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠীর ক্ষেত্রে কোটা সংরক্ষণ একটি সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব আর বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মানুষের ক্ষেত্রে কোটা মানবিক দায়িত্বের অংশ। বেকারত্ব, সরকারি শূন্য পদসমূহে নিয়োগ না দেওয়া এবং নতুন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা না থাকায় ছাত্র-যুবসমাজের মধ্যে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে।’ 

ব্যক্তি-গোষ্ঠীস্বার্থে সরকার কোটা পদ্ধতি চালু রাখতে চায়: জি এম কাদের

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ১০:১৩ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ১০:১৪ পিএম
ব্যক্তি-গোষ্ঠীস্বার্থে সরকার কোটা পদ্ধতি চালু রাখতে চায়: জি এম কাদের
বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের। ফাইল ছবি

ব্যক্তিগত বা গোষ্ঠীগত স্বার্থ রক্ষা করার জন্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ব্যবহার করে সরকার কোটা পদ্ধতি চালু রাখতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের। তিনি বলেন, ‘তাদের (সরকার) উদ্দেশ্য হলো শক্তিশালী একটি অনুগত বাহিনী সৃষ্টি। তাই কোটাবিরোধী আন্দোলন অত্যন্ত যৌক্তিক।’

রবিবার (৭ জুলাই) গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপচারিতায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের এসব কথা বলেন। 

মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা নিয়ে বিতর্কের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি  বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান বা তাদের উত্তরাধিকারীদের কোটা পদ্ধতিতে সুযোগ দেওয়া সংবিধানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। মুক্তিযোদ্ধাদের এককালীন সুবিধা দেওয়া যেতে পারে। কিন্তু তা অন্য কাউকে বঞ্চিত করে বা বৈষম্যের শিকার করে নয়। একজন চাকরি পাওয়ার জন্য উপযুক্ত কিন্তু তাকে বঞ্চিত করে অন্য কাউকে চাকরি দেওয়াটা স্বাধীনতাযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী।’

সরকার কেন কোটা পদ্ধতি বহাল রাখতে চায়- এ প্রশ্নের উত্তরে জি এম কাদের বলেন, ‘তারা সুবিধাবাদী গোষ্ঠী তৈরি করতে অনুপযুক্তদের চাকরিতে নিয়োগ দিতে চেষ্টা চালাচ্ছে। অনুপযুক্তদের বিত্তশালী করা হচ্ছে। তারা যেন সরকারের প্রতি অনুগত থাকে। কারণ অনুপযুক্তরা জানে তারা এই চাকরি বা সম্মানের জন্য উপযুক্ত নয়। তাই সরকারের অনুগত হয়ে থাকবে। সারা দেশের মানুষকে বঞ্চিত করে শাসকগোষ্ঠী লাঠিয়াল বাহিনী তৈরি করতে চায়।’

জয়ন্ত/এমএ/