![প্রথমবার বিশ্বকাপ দলে জাকের ও রিশাদ](uploads/2024/05/14/Jaker-Rishad-1715676881.jpg)
বড় কোনো চমক ছাড়াই ঘোষিত হলো বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের স্কোয়াড। ইনজুরির শঙ্কা থাকলেও সহঅধিনায়ক হয়েই বিশ্বকাপে যাচ্ছেন তাসকিন আহমেদ। ঘোষিত ১৫ সদস্যের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে প্রথমবারের মতো জায়গা হয়েছে উইকেটকিপার ব্যাটার জাকের আলি অনিক ও লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন।
নাটকীয়ভাবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে শেষ মুহূর্তে ডাক পেয়েছিলেন জাকের আলি অনিক। যদিও, তার অভিষেক হয়েছিল ২০২৩ এশিয়ান গেমসে। শ্রীলঙ্কা সিরিজে ডাক পেয়ে পেয়েছিলেন পরিপূর্ণ জাতীয় দলের পরিবেশের অভিজ্ঞতা।
মূলত দীর্ঘদিন ধরেই বিপিএলে দাপুটে পারফরম্যান্সের স্বীকৃতিস্বরূপই দলে জায়গা হয়েছিল তার। জায়গা পেয়েই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিলেটে দল ৩ রানে হারলেও খেলেন ৬টি ছয় ও ৪টি চারে ৩৪ বলে ৬৮ রানের এক বিস্ফোরক ইনিংস। এরপর জিম্বাবুয়ে বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের তৃতীয়টিতে ৩৪ বলে ৪৪ এবং পঞ্চমটিতে শেষদিকে খেলেন ১১ বলে ২৪ রানের অপরাজিত ক্যামিও ইনিংস। এইসব ইনিংসেই জাতীয় দলে জায়গা সুনিশ্চিত হওয়ার পর এবার জায়গা মিলেছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের স্কোয়াডেও।
অন্যদিকে, রিশাদ হোসেন ব্যাট ও বল দুদিকেই দারুণ নৈপুণ্য দেখিয়ে নিজের জায়গা পাকাপোক্ত করেছে বিশ্বকাপের দলে। ২০২৩ সালে ঘরের মাঠে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি অভিষেক হওয়া রিশাদ দলের সঙ্গে নিউজিল্যান্ড সফরও করেছেন। নেপিয়ারে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ জয় পায় ৫ উইকেটে। ৩ ওভার হাত ঘুরিয়ে রিশাদ শিকার করেন ১টি উইকেট ২৪ রান খরচায়।
এরপর ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কা সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিতে দল ২৮ রানে হারলেও ৭ ছক্কায় তিনি করেন ৩০ বলে ৫৩ রান। যা এক ইনিংসে বাংলাদেশি ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ছয় হাঁকানোর রেকর্ড। একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষেই ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচেও খেলেন এক বিধ্বংসী ইনিংস। ১৮ বলে অপরাজিত ৪৮ রানের ইনিংস আর শিকার করেন ১৮ রানে ১ উইকেট। জয় নিয়ে মাঠ ছেড়ে হয়েছিলেন ম্যাচসেরাও।
বোলিংয়ের পাশাপাশি ব্যাট হাতেও দুরন্ত রিশাদ হোসেন য়েবার জায়গা নিশ্চিত করেছেন বিশ্বকাপেও তার স্থান। লেগ স্পিনারন নিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেটের হাহাকারটা শুরু থেকেই। বোলিংয়ের পাশাপাশি ব্যাট হাতেও দুর্দান্ত রিশাদ হয়তো সেই আক্ষেপটা এবার ভুলিয়ে দেবেন যুক্তরাষ্ট্র ও উইন্ডিজে অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপে।
বোলিংয়ে ১৪ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচে রিশাদের শিকার ১১ উইকেট আর ব্যাট হাতে করেছেন ১৩১.৬৬ স্ট্রাইকরেটে ৬ ইনিংসে ৭৯ রান। যেখানে ফিফটি একটি। আর জাকের ৯ ইনিংসে করেছেন ১৯৭ রান ১২৭.৯২ স্ট্রাইকরেটে। ফিফটি করেছেন একটি।