ঢাকা ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

জয়ের জন্য বাংলাদেশের দরকার ১১৪ রান

প্রকাশ: ১০ জুন ২০২৪, ১০:১৩ পিএম
আপডেট: ১০ জুন ২০২৪, ১০:৪১ পিএম
জয়ের জন্য বাংলাদেশের দরকার ১১৪ রান
ছবি- সংগ্রহীত

মুহূর্তে মুহূর্তে বদলেছে বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের প্রথম ইনিংসের রঙ। শুরুর ওভারের প্রথম তিন বলে ১১ রান তুলে ঝড়ের আভাস দেন ওপেনার কুইন্টন ডি কক। দক্ষিণ আফ্রিকার ওই দাপট শেষ সেখানেই। এরপর শুরু বাংলাদেশি বোলারদের দাপট। সেই দাপটে মাত্র ১১৩ রানে থেমে যায় প্রোটিয়াদের ইনিংস। ম্যাচ জিততে বাংলাদেশকে করতে হবে ১১৪ রান।

পাওয়ার প্লেতে চমক দেখাতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। তানজিম হাসান সাকিব-তাসকিন আহমেদদের দারুণ বোলিংয়ে পাওয়ার প্লেতে ৪ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ তোলে মাত্র ২৫ রান। রান দলীয় ৫০ রানের কোটা পার করতে তাদেরকে খেলতে হয় ৫৮ বল। এমন পরিসংখ্যানই স্পষ্ট করে দেয় ব্যাটিংয়ে কতটা ভুগতে হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকাকে।

২৪ রানে ৪ উইকেট হারানো দক্ষিণ আফ্রিকা ঘুরে দাঁড়ায় মূলত হেনরিখ ক্লাসেন ও ডেভিড মিলারের জুটিতে। ৫ম উইকেটে ৭৯ বলে তারা দুজন যোগ করেন ৭৯ রান। তাসকিন আহমেদের বলে ক্লাসেন বোল্ড হলে ভাঙে এই জুটি। আউট হওয়ার আগে ক্লাসেনের ব্যাটে আসে ৪৪ বলে ৪৬ রান। এছাড়া মিলারের ব্যাটে আসে ৩৮ বলে ২৯ রান।

দারুণ বোলিং করা তানজিম সাকিব ১৮ বলে শিকার করেন ৩ উইকেট। এছাড়া তাসকিন আহমেদ ১৯ রানে নেন দুই উইকেট। একটি উইকেট পকেটে ভরেন রিশাদ হোসেন।

দক্ষিণ কোরিয়াকে উত্তর কোরিয়া বলায় ক্ষমা চাইলো আইওসি

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০২:১৫ পিএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০২:১৫ পিএম
দক্ষিণ কোরিয়াকে উত্তর কোরিয়া বলায় ক্ষমা চাইলো আইওসি
ছবি : সংগৃহীত

সিন নদীতে জাহাজে করে চলছিল প্যারেড। একের পর এক অংশগ্রহণকারী দেশের অ্যাথলেটরা জাতীয় পতাকা হাতে পার হচ্ছিলেন সেই নদী। অন্যান্য দেশগুলোর মতো দক্ষিণ কোরিয়ার অ্যাথলেটরাও পার হয়েছিলেন সেই পানি পথ। বাকিসব দেশের মতো ধারাভাষ্যকাররা পরিচয় করিয়ে দেন দক্ষিণ কোরিয়াকেও। তবে করে বসেন বিরাট এক ভুল। দক্ষিণ কোরিয়ার বদলে বলে ফেলেন উত্তর কোরিয়া।

ফরাসি ভাষায় প্রথমে দক্ষিণ কোরিয়াকে বলা হয়, ‘রিপাবলিকে পপুলাইরে দেমোক্রাতিকে দে কোরে।’ সেখানে ঠিকঠাক বললেও ইংরেজিতে বলার সময় বলেন, ‘ডেমোক্রেটিক পিপলস রিপাবলিক অব কোরিয়া।’ এটি মূলত দক্ষিণ নয় উত্তর কোরিয়ার অফিশিয়াল নাম।

দক্ষিণ কোরিয়ার অফিশিয়াল নাম হচ্ছে রিপাবলিক অব কোরিয়া।

এমন এই বিরাট ভুলের পর জন্ম নেয় অনেক আলোচনা ও সমালোচনা। ব্যাথিত হয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার ক্রীড়ামন্ত্রী এক বিবৃতিতে এ ব্যাপারে ‘দুঃখ’ প্রকাশ করে বলেন, ‘২০২৪ প্যারিস অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঘোষণার সময় দক্ষিণ কোরিয়া দলকে উত্তর কোরিয়া দল হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়েছে।’

প্যারেডের সময় ধারাভাষ্যকারদের এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ভুলের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেছে খোদ ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিক কমিটি (আইওসি)। আইওসির অফিশিয়াল এক্স অ্যাকাউন্টে ক্ষমা প্রার্থনা করে কোরিয়ান ভাষাতেই পোস্ট করেছে।

যেখানে তারা বলেন, ‘উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সম্প্রচারের সময় দক্ষিণ কোরিয়া দলকে পরিচয় করিয়ে দিতে গিয়ে যে ভুলটি হয়েছে, এর জন্য আমরা আন্তরিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।’

সিন নদীতে কেন গোলাপ ছুড়লেন আলজেরিয়ানরা?

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০১:১৮ পিএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০১:১৮ পিএম
সিন নদীতে কেন গোলাপ ছুড়লেন আলজেরিয়ানরা?
ছবি : সংগৃহীত

পর্দা উঠেছে প্যারিস অলিম্পিকের। মূল ভেন্যুর বাইরে নদীতে আয়োজিত হয়েছে এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। সেই আয়োজনে জাহাজে করে নদীতে প্যারেডে অংশ নেওয়ার সময় ব্যতিক্রমী এক ঘটনা ঘটিয়েছেন আলজেরিনা অ্যাথলেটরা। সেসময় তারা সিন নদীতে গোলাপ ফুল ছুড়ে মারেন। এই ফুল ছোড়ার ঘটনার মধ্য দিয়ে ১৯৬১ সালে প্যারিসে ঘটা গণহত্যায় নিহতদের স্মরণ করেন আলজেরিয়ানরা।

মূলত আফগানিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা, আলবেনিয়া ও জার্মানি থেকে আসা অ্যাথলেটরা ভাগাভাগি করেন আফ্রিকান অ্যাথলেটদের বোট। আলজেরিয়ান অ্যাথলেটরা সেই বোট থেকেই গোলাপ ছুড়ে মারেন সিন নদীতে।

এই ফুল ছুড়ে তারা সম্মান প্রদর্শণ করেন ১৯৬১ সালের ১৭ অক্টোবরে এই সিন নদীতে ডুবিয়ে হত্যা করা আলজেরিয়ার মানুষকে। যাদেরকে হত্যা করার অভিযোগটা ঔপনিবেশিক ফ্রান্সের বিরুদ্ধে।

এ নিয়ে আলজেরিয়ান অলিম্পিক কমিটি এক বার্তায় জানিয়েছে, ‘আমাদের অধিকার আদায়ের লক্ষে শহীদ হওয়ার হওয়া ব্যক্তিদের স্মরণে অলিম্পিকের উদ্বোধনীতে সিন নদীতে আলজেরিয়ার প্রতিনিধি ফুল নিক্ষেপ করেছে। বিশেষ করে সেই ব্রিজ থেকে আমরা তাদের স্মরণ করেছি যেখানে তারা শহীদ হয়েছিল, সৃষ্টিকর্তা তাদের ক্ষমা করুন।’

গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি বোলিংয়ে দুর্দান্ত শরিফুল, আবারও ব্যর্থ সাকিব

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২:২৫ পিএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২:২৫ পিএম
বোলিংয়ে দুর্দান্ত শরিফুল, আবারও ব্যর্থ সাকিব
ছবি : সংগৃহীত

ফ্র্যাঞ্চাইজ লিগে আগে খেললেও গ্লোবাল টি-টোয়েন্টিতে খেলতে নেমেছিলেন প্রথমবারের মতো। যেখানে কিনা আবার অধিনায়ক হিসেবে পেয়েছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে। শুরুর ওভারে তাকেই বোলিংয়ে আনেন সাকিব। অধিনায়কের আস্থার প্রতিদানও দিয়েছেন তিনি।

৪ ওভার বোলিং করে মাত্র ১৬ রান খরচ করে শিকার করেছেন ১ উইকেট। তার এমন দারুণ পারফরম্যান্সের দিনেও অবশ্য নিষ্প্রভ ছিলেন সাকিব আল হাসান।  ব্যাটে-বলে দুই দিকেই হয়েছেন ব্যর্থ। ৪ ওভারে ৩০ রান দেওয়ার পর ব্যাট হাতে করতে পেরেছেন মাত্র ৩ রান। লিগ বদলালেও বদলায়নি আপনার ফর্ম। এমন দিনে তার দল বাংলা টাইগার্স ৩৩ রানে হেরেছে মন্ট্রিয়েল টাইগার্সের কাছে।

টস জিতে প্রতিপক্ষকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় বাংলা টাইগার্সের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। চল্লিশোর্ধ্ব রান করেন চারজন বোলার। অ্যাস্টন আগার ৪১, টিম সেইফার্ট ৪৪, দিলপ্রীত বাজওয়া ৪১ এবং বেন মানেনতি করেন ৪০ রান। এই চার ব্যাটারের নৈপুণ্যে ১৮৯ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় মন্ট্রিয়েল। বাংলা টাইগার্সের হয়ে ডেভিড ভিইসে নেন ৩ উইকেট, ১টি করে নেন শরিফুল, ডিলন হেলিঙ্গার ও নাভ পাভরেজা। সাকিব ছিলেন উইকেটশূণ্য।

জবাব দিতে নেমে ১৩ রান করে হজরতউল্লাহ জাজাই দলীয় ২৬ রানে আউট হলে মাঠে আসেন সাকিব। আরেক ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ খেলতে থাকেন চার-ছক্কার ইনিংস। সঙ্গ দিতে নেমে মাত্র ৩ রান করে আউট হন অধিনায়ক সাকিব। ৫০ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারানোর পর একমাত্র গুরবাজের ৩৯ বলে ৬৪ রানের ইনিংসটাই ছিল বলার মতো বাংলা টাইগার্সের। এই ইনিংস খেলতে গিয়ে তিনি ৬টি চার ও ৫টি ছক্কা হাঁকান। তার বিদায়ের পর শেষ হয়ে যায় জয়ের স্বপ্ন। ব্যর্থ হন ইফতিখার আহমেদ ও মোহাম্মদ ওয়াসিমরা দলকে জেতাতে। মন্ট্রিয়েলের বোলারদের তোপে পরাজিত হতে হয়েছে ৩৩ রানে। বাংলা টাইগার্স থামে ১৫৬ রানে। ২ উইকেট থাকলেও ওভার শেষ হয়ে যায়।

আয়ান আফজান খান নেন ৪টি উইকেট, দুটি নেন অ্যাস্টন আগার। ১টি করে নেন রায়মন রেইফার ও জহুর খান।

মন্ট্রিয়লের স্কোয়াডে থাকা বাংলাদেশি ক্রিকেটার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ভিসা জটিলতায় কানাডায় যেতে দেরি হওয়ায় কালকের ম্যাচটি খেলতে পারেননি।

ইরাকের বিপক্ষে ম্যাচের আগে যা বললেন আর্জেন্টিনার কোচ

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১:২০ এএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১:২০ এএম
ইরাকের বিপক্ষে ম্যাচের আগে যা বললেন আর্জেন্টিনার কোচ
ছবি : সংগৃহীত

মরক্কোর বিপক্ষে প্রায় দুই ঘন্টা পর গোল বাতিলের নাটকীয়তায় আর্জেন্টিনা হারে ২-১ ব্যবধানে। সেই অবিশ্বাস্য হারের স্মৃতি ভুলে আজ ইরাকের বিপক্ষে মাঠে নামবে হাভিয়ের মাশ্চেরানোর দল। সেই ম্যাচকে সামনে রেখেও তিনি কথা বলেছেন আগের ম্যাচে ঘটে যাওয়া সেই নাটকীয় কাণ্ড নিয়ে।

আর্জেন্টাইন কোচ বলেছেন, সেদিন যা হয়েছে, সেটা বিপজ্জনক এক দৃষ্টান্ত রেখে গেছে। ভবিষ্যতেও এমন কিছু আবার দেখা যায় কি না, সেই শঙ্কার কথাও বলেছেন তিনি।

প্রথম ম্যাচ হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামবে আর্জেন্টিনা। আগের ম্যাচে অবিশ্বাস্য হারের পর দলের অবস্থান সম্পর্কেও জানতে চাওয়া হয় তার কাছে। এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এই কয়েক ঘণ্টা ভালোই কেটেছে। নিশ্চিতভাবেই আগের ম্যাচটি শেষ হওয়ার পর আমাদের খারাপ লেগেছে। যে পরিস্থিতির ভেতর দিয়ে আমাদের যেতে হয়েছে, সেটা স্বাভাবিক ছিল না। তবে আমাদের মনোযোগ এখন পরের ম্যাচে। আমরা চেষ্টা করব ভালো খেলার ও ৩ পয়েন্ট আদায় করে নেওয়ার। এটি করতে পারলে আমরা পরবর্তী রাউন্ডে যাওয়ার জন্য লড়াই করতে পারব।’

উল্লেখ্য, মরক্কোর বিপক্ষে অতিরিক্ত সময়েন আর্জেন্টিনা দ্বিতীয় গোল করে ম্যাচ সমতায় নিয়ে আসার পর মরক্কোর দর্শকরা মাঠে বোতল ছুঁড়তে থাকেন এবং মাঠেও প্রবেশ করেন। এমন অবস্থায় খেলা স্থগিত হয়ে যায়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে রেফারি খেলোয়াড়দের মাঠে ফিরিয়ে আনেন। মাঠে গড়ায় ৩ মিনিটের অবশিষ্ট খেলা।

তার আগে শুরুতেই ভিএআর চেক করে বাতিল করে দেওয়া হয় আর্জেন্টিনার দ্বিতীয় গোলটি। প্রায় ঘন্টাদুয়েক পর রেফারির এমন সিদ্ধান্তে জন্ম নেয় অনেক আলোচনা ও সমালোচনা। নিশ্চিত ড্র হতে যাওয়া ম্যাচ আর্জেন্টিনা হারে ২-১ গোলে।

প্যারিস অলিম্পিক কেবল অংশগ্রহণেই কেন আনন্দ খোঁজা?

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ১০:৪১ এএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ১০:৪২ এএম
কেবল অংশগ্রহণেই কেন আনন্দ খোঁজা?
ছবি : সংগৃহীত

বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রীড়া আসর অলিম্পিক গেমসের ৩৩তম আসরের পর্দা উঠেছে গতকাল। ‘দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’খ্যাত এই আসরে রয়েছে বাংলাদেশেরও অংশগ্রহণ। তবে পক্ষকালজুড়ে ৩২টি ডিসিপ্লিনে ৩২৯ ইভেন্টের যে পদকের লড়াই হবে, তার কোনো একটিতে বাংলাদেশের কাউকে জয়ীর বেশে দেখাটা দূরকল্পনা। বাংলাদেশের ক্রীড়াবিদদের জন্য অলিম্পিক মানেই যে কেবল অংশ গ্রহণের আনন্দ! 

৯৮৪ সাল থেকেই নিয়মিত অলিম্পিকে যাচ্ছে বাংলাদেশ। প্যারিস অলিম্পিকের পাঁচজন দিয়ে বাংলাদেশের অলিম্পিয়ানের সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে ৫৪ জনে। কিন্তু গত ৩০ বছরে এদের কেউই কোনো পদক জয়ের কাছাকাছিও যেতে পারেননি। এই দৃশ্যপট বদলাচ্ছে না কেন? দেশের ক্রীড়াঙ্গনের অন্যতম সফল তারকা শুটার আবদুল্লাহ হেল বাকীর মতে, বাংলাদেশের খেলোয়াড়রাও সামর্থ্য রাখেন পদক জয়ের। তবে এজন্য প্রয়োজন দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা। উন্নত প্রশিক্ষণ আর বেশি বেশি আন্তর্জাতিক গেমে অংশগ্রহণ জরুরি বলেও মনে করেন তিনি। অন্যদিকে সাঁতারু মাহফুজা খাতুন শীলা বিশ্বাস করেন, অলিম্পিকে বাংলাদেশের চিত্রটা দিনে দিনে বদলাচ্ছে। তিন আসর ধরে একজন করে ক্রীড়াবিদ কোটা প্লেস অর্জন করে অলিম্পিকে খেলছেন। এই বিষয়টি উল্লেখ করে বাকীর মতো শীলাও বলছেন, দীর্ঘ মেয়াদে পরিকল্পনা গ্রহণ করলে বাংলাদেশও পারবে অলিম্পিকের পদক তালিকায় নিজেদের নাম তুলতে।

কমনওয়েলথ গেমসে দুটি রুপা ও একটি ব্রোঞ্জ জয়ী শুটার বাকী মনে করেন, অলিম্পিক পদক জয় বাংলাদেশের জন্য অসম্ভব কিছু নয়। তার কথায়, ‘শুটিংটা অনেক ক্লোজ। এবার রবিউল ইসলাম অংশ নিচ্ছেন। ও প্র্যাকটিসে ৬৩০ প্লাস স্কোর করে। এই স্কোর করতে পারলে ও নিশ্চিতভাবেই ফাইনালে খেলবে। আর ফাইনালে খেলতে পারলে তো যেকোনো কিছুই হতে পারে। এখন জরুরি হচ্ছে কম্পিটিশনের দিনে ওই স্কোরটা করা।’ কিন্তু বাংলাদেশের শুটারদের সেটাই যে করা হয় না। দায়টা খেলোয়াড়দের দেওয়ার উপায় নেই। কারণ এ ধরনের বড় গেমসে নার্ভ ধরে রাখার উপায় একটিই- বড় বড় মঞ্চে নিয়মিত খেলা। কিন্তু বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা যে সেই সুযোগটাই পায় না। বাকী যেমন একটা উদাহরণ দিলেন, ‘গলফ ও আর্চারি থেকে কোটা প্লেস অর্জন করে আমরা অলিম্পিকে খেলেছি। আমরা শুটাররাও কিন্তু কোটা প্লেস নিয়ে অলিম্পিকে যেতে পারি। কিন্তু কেন জানি ভাগ্যটা আমাদের পক্ষে থাকে না। যদি পাঁচটা কোটা প্রতিযোগিতা থাকে, তাহলে এগুলোর সবগুলোতে আমরা যেতে পারি না। কয়েকটি প্রতিযোগিতায় ২-৪ জন শুটার যায়, সেখানে হয়তো আরও ৮-১০ জন যাওয়া উচিত।’ 

এমনটা হলে হয়তো কোনো না কোনো শুটার ঠিকই কোটা প্লেস পেয়ে যেতেন। এবারই যেমন শুটার রবিউল ইসলাম কোটা প্লেস অর্জনের খুব কাছে চলে গিয়েছিলেন। আবদুল্লাহ হেল বাকী যোগ করে বলেন, ‘আমাদের নিয়মিত কোটা প্রতিযোগিতাগুলোতে অংশ নেওয়া উচিত। যদিও ফেডারেশন অনেক চেষ্টা করে। হয়তো অনেক ব্যয়বহুল এজন্য হয় না। সরকার, ক্রীড়া পরিষদ, অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন, স্পন্সর প্রতিষ্ঠান- সবাই মিলে যদি চেষ্টা করে, তাহলে হয়তো এই সমস্যা সমাধান সম্ভব।’ সঠিক পরিকল্পনা নিয়ে শুটিংয়ে হয়তো আসলেই পদকের কাছাকাছি যাওয়া সম্ভব। কিন্তু ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড ও সুইমিংয়ে? অলিম্পিকে অ্যাথলেটিক এবং সাঁতার ঘিরেই সবার আগ্রহ থাকে বেশি। খেলাধুলার প্রাণই যে এই দুই ডিসিপ্লিন। এসএ গেমসে জোড়া স্বর্ণজয়ী সাঁতারু শীলার কথায়, ‘ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড এবং সুইমিং ইভেন্টে ভালো করাটা অনেক কঠিন। এ জন্য অনেক ভালো প্ল্যানিং, দীর্ঘমেয়াদি ট্রেনিং দরকার। কারণ এখানে অনেক ভালো ভালো দেশ খেলে।’ তাই বলে অসম্ভবও মনে করেন না শীলা, ‘ভারত কিন্তু সঠিক পরিকল্পনা করে ঠিকই অনেক দূর এগিয়ে গেছে। আমার কাছে মনে হয়, উন্নত সুযোগ-সুবিধার মাধ্যমে ট্রেনিং করতে পারলে উন্নতি সম্ভব। সরকার, ফেডারেশন, অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনসহ সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে এজন্য।’

বাংলাদেশে শুটিং, সাঁতার, অ্যাথলেটিকসের মতো খেলাগুলো বেঁচে আছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মতো কিছু সংস্থার জন্য। এই জায়গাটায় বিভিন্ন ক্লাবের এগিয়ে আসা উচিত বলেও মনে করেন বাকী ও শীলা দুজনই। ‘সাঁতারের কথা যদি বলি, আমাদের এখানে বাহিনী এবং বিকেএসপির বাইরে কজন সাঁতারু বড় বড় গেমে যাচ্ছেন? এটা তো ক্লাবভিত্তিক খেলা হওয়া উচিত। কিন্তু আমাদের এখানে সাঁতারে ক্লাবের অস্তিত্ব কোথায়?’- বলেন শীলা।

সাঁতার-অ্যাথলেটিকসে যারা বিশ্বসেরা, তাদের থেকে প্রাকৃতিকগতভাবেই বাংলাদেশ কিছুটা পিছিয়ে। তবে শীলা বিষয়টি মানতে নারাজ, ‘সেটা হলে আমরা তো সাফ গেমসে স্বর্ণ পেতাম না। ভারত তো ঠিকই এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা একই আবহাওয়ায় বসবাস করি। আমাদের উচ্চতা-ওজন ওদের সঙ্গে খুবই মিল। আমাদের ন্যাচারাল কাঠামো আসলে খারাপ না। আসলে শুধু পরিকল্পিত পরিকল্পনা দরকার আমাদের।’