![জেলাবাসীর ভাগ্য পরিবর্তন করতে চান দিলীপ কুমার](uploads/2023/12/22/1703223929.Chuadanga-Dilip-Kumer.jpg)
বিশিষ্ট ব্যবসায়ী দিলীপ কুমার আগরওয়ালা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তিনি এরই মধ্যে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে (সদরের একাংশ-আলমডাঙ্গা) নির্বাচনি প্রচার শুরু করেছেন। দিলীপ কুমার আগরওয়ালা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক উপকমিটির সদস্য। এ ছাড়া তিনি ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। চুয়াডাঙ্গা-১ আসন থেকে নৌকার মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। মনোনয়ন না পেয়ে ঈগল প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন। নির্বাচনি হালচাল নিয়ে কথা হয় খবরের কাগজের চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি আফজালুল হকের সঙ্গে।
খবরের কাগজ: কেন আপনি সংসদ নির্বাচনে এলেন?
দিলীপ কুমার আগরওয়ালা: প্রধানমন্ত্রী অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করার জন্য দলের সদস্যদের ছেড়ে দিয়েছেন। যিনি ‘ভালো খেলোয়াড়’ তিনি বেরিয়ে আসবেন। জনগণের আশা-প্রত্যাশা যিনি পূরণ করতে পারবেন তিনি নির্বাচিত হবেন। এটিই হলো প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যাশা। সারা পৃথিবী আমাদের দেশের নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছে।
খবরের কাগজ: আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার সেলুন টানা তিনবারের এমপি। চতুর্থবারের মতো তিনি দলের মনোনয়ন পেয়েছেন। আমরা মনে করি, তিনি সাংগঠনিকভাবে অনেক শক্তিশালী। তারপরও আপনি কেন মনে করেন জনগণ আপনাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন?
দিলীপ কুমার আগরওয়ালা: আমি সংগঠনের (আওয়ামী লীগ) বাইরে না। আজকে যারা আমার সঙ্গে আছেন তারা প্রত্যকেই আওয়ামী লীগের লোক। তাদের সঠিক মূল্যায়ন করা হয়নি। প্রধানমন্ত্রী একটি কথা বলেছেন, আমি ১৫ বছরে দেশে যে উন্নয়ন করেছি তা এখন দৃশ্যমান। আমার এমপিরা কী উন্নয়ন করেছেন সেটা আমি চোখে দেখিনি, মুখে শুনেছি।
যারা স্বতন্ত্র তারাও আমার লোক, যারা এমপি তারাও আমার লোক। যদি এমপি তার এলাকায় ভালো উন্নয়ন করে থাকেন, জনগণ তাকে নির্বাচিত করে নিয়ে আসবেন। আর আমি সংসদ সদস্য না হলেও করোনাকালে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করেছি। জনগণের সেবা করেছি। আমি চুয়াডাঙ্গার মানুষের ভাগ্য পরিবর্তের জন্য আছি। সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেও আছি, না হলেও আছি।
খবরের কাগজ: নির্বাচনের পরিবেশ কেমন দেখছেন? প্রচার-প্রচারণায় কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে কি না?
দিলীপ কুমার আগরওয়ালা: প্রতীক পাওয়ার পর থেকে প্রচার-প্রচারণা করছি। এখন পর্যন্ত আমার ৫০ কর্মীকে আহত করা হয়েছে। নির্বাচনি কয়েক হাজার পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। হুমকির শেষ নেই। প্রতিটি ইউনিয়নে জনপ্রতিনিধি আছেন, তারাও হুমকি দিচ্ছেন। সংশ্লিষ্ট থানায় জিডিও করেছি। ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। প্রশাসন হয়তো নজর দেয়নি। প্রশাসনকে অনুরোধ করব, তারা যেন নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করে। মানুষ যেন নির্দ্বিধায় ভোট সেন্টারে যেতে পারেন এবং তাদের পছন্দের প্রতীকে ভোট দিতে পারেন। প্রশাসন যদি পুরোপুরি নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন না করে, তাহলে মিডিয়ার সামনে বসে আমার সব অভিযোগ সাবমিট করব। আমিই হব বাংলাদেশের এমন স্বতন্ত্র প্রার্থী, যিনি দেশের সব জায়গায় আওয়াজ তুলবে।
চুয়াডাঙ্গা শহরের সন্ত্রাসী কারা তা প্রশাসন জানে। কারা অস্ত্র নিয়ে চুয়াডাঙ্গা শহরে ঘুরে বেড়ায় তাও প্রশাসন জানে। প্রশাসন যদি তাদের গ্রেপ্তার বা শাস্তিমূলক আচরণ না করে, তাহলে আমি আমার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেব। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও প্রশাসনের কারণে আমি মনোনয়ন প্রত্যাহার করব। আর এটা যদি বাংলাদেশের সর্বপ্রথম কেউ আওয়াজ তোলে তাহলে আমি চুয়াডাঙ্গার সন্তান হিসেবে এই আওয়াজ তুলব।
খবরের কাগজ: আপনার রাজনৈতিক আদর্শ কে?
দিলীপ কুমার আগরওয়ালা: চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের বর্তমান এমপি তিনবারের সংসদ সদস্য। আমাদের এখানে সব থেকে বয়োজেষ্ঠ রাজনীতিক। ওনার হাত ধরেই জেলা আওয়ামী লীগের জন্ম। ওনার আদর্শে বিশ্বাসী হয়ে চলতে চাই। আমি তাকে অনুরোধ করব, যদি তার লোকজনকে বলে দেন, সবাই যদি ভোট সেন্টারে যেতে পারেন, এটা চুয়াডাঙ্গা ও দেশবাসীর জন্য হবে গর্বের।