![গান-কবিতায় কবি আবদুল গফ্ফার দত্তচৌধুরীকে স্মরণ](uploads/2024/06/08/abdul-gaffar-datta-chowdhur-1717816920.jpg)
সিলেটে কবি আবদুল গফ্ফার দত্তচৌধুরীর ১১২তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে তার নির্বাচিত কবিতাগ্রন্থের প্রকাশনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (৭ জুন) বিকেল ৪টায় জেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠানের শুরুতে আবদুল গফ্ফার দত্তচৌধুরী রচিত গানের প্রতিযোগিতা সম্পন্ন হয়।
আবদুল গফ্ফার দত্তচৌধুরী স্মৃতি পর্ষদ সিলেটের আয়োজনে বিকেল ৫টায় কবির নির্বাচিত কবিতাগ্রন্থের প্রকাশনার মোড়ক উন্মোচন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী বীর মুক্তিযোদ্ধা তবারক হোসেইন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ডিন (মানবিক অনুষদ) ড. আবুল ফতেহ ফাত্তাহ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. জফির সেতু, সিলেট মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ডেপুটি রেজিস্ট্রার, লেখক ও গবেষক মিহির কান্তি চৌধুরী, লিডিং ইউনিভার্সিটির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. মোস্তাক আহমাদ দীন।
এতে সভাপতিত্ব করেন কবি ও প্রাবন্ধিক এ কে শেরাম।
জান্নাতুল নাজনিন আশার সঞ্চালনায় সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন আবদুল গফ্ফার দত্তচৌধুরী স্মৃতি পর্ষদ, সিলেটের সভাপতি আলী মোস্তাফা চৌধুরী।
সভায় প্রধান অতিথি বলেন, কবি আবদুল গফ্ফার দত্তচৌধুরী একজন অসাম্প্রদায়িক মানুষ ছিলেন। ১৮ বছর বয়সে তিনি প্রথম সনেট লেখেন। আমি কবিকে সচক্ষে দেখেছি। তিনি চলে যাওয়ার পর যে সময় আমি শুনতে পেলাম তার সমস্ত কাব্যগ্রন্থ প্রকাশের জন্য তার একজন অনুরাগী বাংলা একাডেমির একজন কর্মকর্তার কাছে পৌঁছে দিয়েছেন। কিন্তু বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরও এসব পাণ্ডুলিপি প্রকাশ হয়নি। তখন আলী মোস্তফা চৌধুরীকে বললাম পাণ্ডুলিপি উদ্ধারের জন্য। এরপর ১৯৯৬ সালে পাণ্ডুলিপি উদ্ধারের পর কবির স্মারকগ্রন্থ প্রকাশ করা হয়। ১৯৯৬ সালে অনুষ্ঠানে জনসম্মুখে আবদুল গফ্ফার চৌধুরী প্রথম আত্মপ্রকাশ হয়। ওই আয়োজনের সঙ্গে থাকতে পারায় আমি নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করি।
তিনি বলেন, তার সুপুত্রের কারণে তিনি এখনো আমাদের বর্তমান প্রজন্মের কাছে পরিচিত। শিশুদের মধ্যে গানগুলো ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্যোগ ভালো। এর মাধ্যমে কবির গানগুলো সর্বসাধারণের কাছে পৌঁছাবে। তার গান, সনেট, নির্বাচিত কবিতার বইগুলো জাতীয় পর্যায়ে আলোচনার বিষয়। নজরুল, জসীম উদদীন, সুফিয়া কামালের পরই কবি আবদুল গফ্ফার দত্তচৌধুরী নাম উচ্চারণ করা উচিত ছিল। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য, আমরা সেটা করতে পারিনি।
আলোচনা শেষে শিশুশিল্পী ও আমন্ত্রিত শিল্পীরা বিভিন্ন পরিবেশনায় অংশ নেন। সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় ছিলেন হিমাংশু বিশ্বাস, সুকোমল সেন, বিজন কান্তি রায়, মিতালী বঙ্গবর্তী, সুস্মিতা চন্দ ঐশী।
পরে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সনদ ও পুরস্কার প্রদান করেন অতিথিরা।
শাকিলা ববি/অমিয়/