ঢাকা ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪

‘মঞ্চকুঁড়ি’ ও ‘মঞ্চমুকুল’ পদক পাচ্ছেন ৩৯০ জন

প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০৩:৫৬ পিএম
আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০৪:০৮ পিএম
‘মঞ্চকুঁড়ি’ ও ‘মঞ্চমুকুল’ পদক পাচ্ছেন ৩৯০ জন

পিপলস থিয়েটার অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে এবার ৩৯০ জন পাচ্ছেন ‘মঞ্চকুঁড়ি’ ও ‘মঞ্চমুকুল’ পদক। 

শুক্রবার (৪ জুন) সন্ধ্যা ৬টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় অনুষ্ঠিত হবে ‘মঞ্চকুঁড়ি’ ও ‘মঞ্চমুকুল’ পদক প্রদান অনুষ্ঠান।

এ অনুষ্ঠানে নাট্যালেখ্য: বাংলার মুখ, শিশুদের সংগীত ও নৃত্যানুষ্ঠান পরিবেশিত হবে এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ডাকঘর’ নাটকটি মঞ্চায়িত হবে। নাটকটি নির্দেশনায় রয়েছেন লিয়াকত আলী লাকী। 

এছাড়া লোক নাট্যদলের আয়োজনে ৬ জুলাই সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় দেওয়া হবে ‘লোক নাট্যদল পদক ২০২১-২২’। 

২৬২টি শিশু-কিশোর, আদিবাসী ও অবহেলিত শিশু-কিশোর ও যুবনাট্য সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত পিপলস থিয়েটার এসোসিয়েশন বিগত ৩৩ বছর ধরে নানা কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। 

এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, ৮৫টি আন্তর্জাতিক নাট্য উৎসবে অংশগ্রহণ, ১৫টি জাতীয় শিশু-কিশোর নাট্যোৎসবের আয়োজন, অন্যতম সর্ববৃহৎ ১০ম জাতীয় উৎসবে সর্বোচ্চ ১৩০টি দলের অংশগ্রহণ (একটি আন্তর্জাতিক উৎসব আয়োজন ও ৬টি যুব, অবহেলিত ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী শিশুনাট্য উৎসব আয়োজন), বিভাগীয় পর্যায়ে ২৭টি শিশু-কিশোর নাট্যোৎসব আয়োজন, ছয় শতাধিক শিশুনাট্য কর্মশালা পরিচালনা, ৭০টি স্কুলে স্কুল থিয়েটার কার্যক্রম, শিশুদের জন্য বড়দের নাটক, যুবনাট্য আন্দোলন (যুবদের নাট্যদল গঠন, কর্মশালা ও উৎসব আয়োজন), আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষকদের পরিচালনায় শিশুনাট্য কর্মশালা, শিক্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা (থিয়েটার ইন এডুকেশন), মঞ্চকুঁড়ি, মঞ্চমুকুল, মঞ্চসেনা ও শিশুনাট্য পদক প্রদান।

জয়ন্ত সাহা/ইসরাত চৈতী/

পাহাড়ি ফল বাহারি মেলা

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ১১:০৫ এএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ১১:০৫ এএম
পাহাড়ি ফল বাহারি মেলা
বেইলি রোডের শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রাম ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রে সাত দিনব্যাপী পাহাড়ি ফল মেলা শুরু হয়েছে। ছবি: খবরের কাগজ

কলার নাম সূর্যমুখী। মেঝের ওপর কাঁদি কাঁদি লাল রঙের সুস্বাদু এই কলা স্তূপ করে রাখা। মোচা অবস্থায় এরা সূর্যমুখী ফুলের মতোই সকাল থেকে সূর্যের গতিপথের দিকে ফিরে থাকে। বিশেষ রঙ আর বৈশিষ্ট্যের কারণে এ জাতের কলার নামকরণ করা হয়েছে সূর্যমুখী কলা।

আরও আছে চম্পা ফল। আকারে বাতাবি লেবুর মতো বড় সবুজ রঙের মসৃণ আবরণের এই ফল নজর কাড়ে প্রথম দর্শনেই। আছে বেতের বড় বড় ঝুড়ি ভর্তি রাম্বুটান, লংগান, আনারস, রাঙগুই আম, চিয়াংমাই আম, কিং অফ চাকাপাদ আম, লাল ড্রাগন ফল, বড় আকারের লটকন, পাকা পেঁপে, কাউফল, পেয়ারা, কাঁঠালসহ বিভিন্ন ধরনের রসালো ফল।

তবে এসব সুস্বাদু ফল কেউ কিনতে চাইলেই রাজধানী ঢাকার বাজারে খুঁজে পাবেন না। কারণ এসব ফলের বিশেষত্ব হলো এগুলো বৃহত্তর বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে সমতলের বেড়ে ওঠা কেমিক্যালযুক্ত ফল নয়, বরং সুদূর সবুজ পাহাড়ের প্রাকৃতিক তরতাজা ফল।  

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে শনিবার (৬ জুলাই) রাজধানীতে শুরু হয়েছে সপ্তাহব্যাপী পাহাড়ি ফলের মেলা।

যান্ত্রিক শহরের বুকে এ যেন এক টুকরো পাহাড়ের চিত্র। ঢাকার প্রাণকেন্দ্র বেইলি রোডের শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রাম ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রে করা হয়েছে এ মেলার আয়োজন। চলবে আগামী ১২ জুলাই শুক্রবার পর্যন্ত। সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে এই মেলা। 

শনিবার মেলায় ঘুরে দেখা যায় স্টলভর্তি থরে থরে সাজানো স্বাদে গুণে ভরপুর এসব ফল। পাহাড়ি ফলের স্বাদ ও গন্ধের টানে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ছুটে এসেছেন নানা বয়সী শত শত মানুষ। বেলা ১১ টায় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের  প্রধান অতিথি হিসেবে মেলা উদ্বোধন করার পরপরই মানুষ ভিড় করে কিনে নেন পাহাড়ি এসব ফল। 

স্টলভেদে এসব ফল মান ও আকৃতির উপর ভিত্তি করে বিক্রি হচ্ছে ভিন্ন ভিন্ন দামে। সূর্যমুখী কলা স্টলভেদে ২৫০-৩০০ টাকা ডজন, পাহাড়ি বড় জাতের লটকন ১০০-১২০ টাকা কেজি, চম্পা ফল সাইজ অনুযায়ী ১০০-১৫০ টাকা, পাহাড়ের জনপ্রিয় ও সুস্বাদু আম রাঙগুইর কেজি ১০০-১২০  টাকা, ব্যানানা ম্যাংগো ২৫০ টাকা, চিয়াং মাই ৬০০ টাকা, কিং অব চাকাপাদ আম ৮০০ টাকা, পাহাড়ি ড্রাগন ফল ৪০০ টাকা, পাহাড়ি পেঁপে ১০০-১২০ টাকা, আনারস প্রতি পিস ১৫-৪০ টাকা, রাম্বুটান ৪০০ টাকা কেজি। বিভিন্ন ফল বিভিন্ন দরে বিক্রি করা হচ্ছে। 

এগুলো ছাড়াও রয়েছে পাহাড়ে উৎপন্ন ঐতিহ্যবাহী বিন্নি চাল, জুমের চাল, বাঁশের কোরাল, জুমের মিষ্টিকুমড়া, পাহাড়ি কাজুবাদাম, আচার, পাহাড়ি মরিচ, পাহাড়ি মধু, চিংড়ির বালাচাও, পাহাড়ি নারিকেল, তেজপাতা, শুকনা রোজেলাসহ নানারকম পাহাড়ি খাবার।  
অনুমা বনরূপা ফলভাণ্ডারের বিক্রেতা সুদীপ্ত চাকমা বলেন, ‘পাহাড়ি এসব ফলের স্বাদ,গুণ ও গন্ধ সমতলের ফলের চেয়ে অনেক ভিন্ন। এসব ফল সম্পূর্ণ বিষমুক্ত আর টাটকা। কিছু কিছু ফল আছে, যেগুলো সমতলের চেয়ে পাহাড়ি মাটিতে বেশি ভালো হয়।’ আবার কিছু ফল আছে যেগুলো পার্বত্য অঞ্চলের স্থানীয় লোকজন ছাড়া দেশের অন্য এলাকার মানুষ চেনেন না। এই পাহাড়ি ফল মেলায় তার অংশগ্রহণ করার উদ্দেশ্য, পাহাড়ি ফলগুলোকে দেশের মানুষের কাছে তুলে ধরা।  

মিনাক্ষী স্টোরের মিনাক্ষী চাকমা খবরের কাগজকে বলেন, ‘পাহাড়ের মানুষের খাদ্যাভ্যাস আর চাষ পদ্ধতি দেশের অন্যান্য জায়গার মানুষের চেয়ে অনেক ভিন্ন। আমাদের পাহাড়ের জুমের চাল, বিন্নি চাল, জুমের মিষ্টিকুমড়া, বাঁশের কোরাল, পাহাড়ি মধু যে কেউ চাইলেই সহজে সংগ্রহ করতে পারে না। পাহাড়ি এলাকা ছাড়া অন্য বাজারে এসব পাওয়া যায় না। কিন্তু এ মেলায় এসে যে কেউ চাইলে সহজেই এগুলো কিনতে পারবেন। আমরা চাই আমাদের পাহাড়ি সংস্কৃতি ও খাবার সম্পর্কে মানুষ জানুক।’

মেলায় এসে পাহাড়ের জনপ্রিয় রাঙগুই আম কিনছিলেন সরকারি চাকরিজীবী ফারুক আহমেদ।

তিনি জানান, পাহাড়ি আবহাওয়া, মানুষ আর প্রকৃতির মতো পাহাড়ের ফলগুলোও অসাধারণ। কিন্তু ঢাকার ভেতর চাইলেও তো এসব ফল পাওয়া যায় না বা চাইলেই সহজে পাহাড়ে ঘুরতে যাওয়া যায় না। তাই মেলা থেকেই অপূর্ব স্বাদের এসব ফল কিনছি। বাসায় বাচ্চাদের পাহাড়ি ফলের স্বাদ ও গুণের সঙ্গেও পরিচয় করিয়ে দেওয়া যাবে।

আলিয়ঁসে শুরু হলো উত্তমের চিত্র প্রদর্শনী

প্রকাশ: ০৬ জুলাই ২০২৪, ১১:২২ এএম
আপডেট: ০৬ জুলাই ২০২৪, ০১:২১ পিএম
আলিয়ঁসে শুরু হলো উত্তমের চিত্র প্রদর্শনী

বহমান জীবনের নানা পর্বে সমস্যা ও সংকটের আবর্তে বিপর্যস্ত মানবসত্তার ভাবনার খোরাক জোগায় নতুন চিত্রকল্পের। প্রাত্যহিক মনস্তাত্ত্বিক অবক্ষয়ে শিল্পীর দুঃসহ মনোলোকে ধরা দেয় রূঢ় বাস্তবতা। শিল্পীমন তখন এই সংকটের মূল কারণ অনুসন্ধান করে, তীক্ষ্ণ রঙে সে আঁকতে চায় যাপিত জীবনের চালচ্চিত্র। রঙ-রেখার বিচিত্র কারুকার্যে জীবনবোধের সেই গল্পগুলো নিয়ে চিত্রশিল্পী উত্তম কুমার রায়ের ‘গল্পের বাস্তবতা’ শিরোনামের প্রদর্শনী শুরু হয়েছে।

শুক্রবার (৫ জুলাই) সন্ধ্যায় ঢাকার ধানমন্ডিতে আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দ্য ঢাকার লা গ্যালারিতে এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন বরেণ্য চিত্রশিল্পী মনিরুল ইসলাম।

এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভাস্কর অলক রায়, আর্ট বাংলা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শিল্পী অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউনুস এবং বুলবুল ললিতকলা একাডেমির সচিব ফজলুর রহমান।

প্রদর্শনীটি কিউরেট করেছেন মোস্তফা জামান।

প্রদর্শনী প্রসঙ্গে উত্তম কুমার রায় বলেন, ‘গল্পের বাস্তবতা-মূলত আমাদের সবার জীবনবোধ, পারিপার্শ্বিকতা, অভিজ্ঞতা অর্থাৎ বাস্তবতার প্রতিফলন। জীবনের যে চলমানতায় আমরা অবস্থান করছি সেই মুখরিত সময়ে আমাদের মনস্তাত্ত্বিক অবক্ষয়ের কথা বলতে চেয়েছি।’

‘গল্পের বাস্তবতা’ উত্তম কুমার রায়ের ১২তম একক চিত্র প্রদর্শনী। প্রদর্শনী চলবে ১৬ জুলাই পর্যন্ত। রবিবার ব্যতীত প্রতিদিন বেলা ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে প্রদর্শনীর দুয়ার। 

উত্তম কুমার রায় জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক উভয় ক্ষেত্রেই অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছেন। তিনি ২০১৭ সালে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির ২২তম জাতীয় চারুকলা প্রদর্শনীতে শ্রেষ্ঠ পুরস্কার (নিউ মিডিয়া) এবং ২০০৭ সালে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির ১৭তম জাতীয় চারুকলা প্রদর্শনীতে জাতীয় শ্রেষ্ঠ পুরস্কারে ভূষিত হন। উত্তম কুমার রায় ২০১৫ সালে জাপানের কিয়োটোতে আর্টিস্ট রেসিডেন্সিতে অংশ নিয়েছিলেন।

‘মঞ্চকুঁড়ি’ ও ‘মঞ্চমুকুল’ পদক পেল ৩৯০ জন
সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ততায় সারা দেশের ৩৯০ জন শিশুকে ‘মঞ্চকুঁড়ি’ ও ‘মঞ্চমুকুল’ পদক দিয়েছে পিপলস থিয়েটার অ্যাসোসিয়েশন। শুক্রবার সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় অনুষ্ঠিত হয় এই পদক প্রদান অনুষ্ঠান।

অনুষ্ঠানের শুরুতে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ড. মাহফুজা হেলালী এবং শিশুদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সামিয়া মুত্তাকিয়া মহুয়া। তাদের বক্তব্যের পর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ডাকঘর’ নাটকটি মঞ্চায়িত হয়। লিয়াকত আলী লাকীর নির্দেশনায় নাটকটি পরিবেশন করে পিপলস লিটল থিয়েটার।

এরপর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি শিশু-কিশোর সংগীত দল মেলোডি পরিবেশন করে। তারপর শিল্পকলা একাডেমি শিশু নৃত্যদল পরিবেশন করে সমবেত নৃত্য ‘অবহেলার মৃত্যু আর নয়’।

এরপর সমবেত সংগীত ‘মুক্ত জীবন গড়ে তোলার মঞ্চ মোদের তরণী’ ও ‘এ মাটি নয় জঙ্গিবাদের, এ মাটি মানবতার’ পরিবেশিত হয়।

পরে লিয়াকত আলী লাকীর পরিকল্পনা, গ্রন্থনা ও নির্দেশনা নাট্যালেখ্য ‘বাংলার মুখ’ পরিবেশন করে পিপলস লিটল থিয়েটার। 

এরপর পরিবেশিত হয় সমবেত নৃত্য ‘আমার পরিচয়’। মঞ্চকুঁড়ি সংগীত দল সমবেত কণ্ঠে পরিবেশন করে ‘আমরা সবাই মঞ্চকুঁড়ি নট নন্দনে ফুটব’; ‘মনের রঙ লেগেছে’।

পরে তারা ‘চলো বাংলাদেশ’ গানের সঙ্গে সমবেত নৃত্য পরিবেশন করেন।

আনন শিশুসাহিত্য পুরস্কার পাচ্ছেন আনোয়ারা সৈয়দ হক

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৮:৪৩ পিএম
আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৮:৪৪ পিএম
আনন শিশুসাহিত্য পুরস্কার পাচ্ছেন আনোয়ারা সৈয়দ হক
আনোয়ারা সৈয়দ হক

শিশু অধিকারবিষয়ক প্রতিষ্ঠান আনন ফাউন্ডেশন প্রবর্তিত ‘আনন শিশুসাহিত্য পুরস্কার-২০২৪’ পেতে যাচ্ছেন কথাসাহিত্যিক আনোয়ারা সৈয়দ হক। শিশুসাহিত্যে বিশেষ অবদান রাখায় তাকে এই পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছে।

আগামী ৬ সেপ্টেম্বর আনন ফাউন্ডেশনের ১২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত জাঁকজমকপূর্ণ একটি অনুষ্ঠানে আনোয়ারা সৈয়দ হকের হাতে এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে। 

আনন ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, পুরস্কারের মূল্যমান হিসাবে আনোয়ারা সৈয়দ হক নগদ ১ লাখ টাকা, একটি ক্রেস্ট ও সম্মাননাপত্র পাবেন। ‘শিশুর বিকাশে অবিচল আমরা’ এই স্লোগানটিকে সামনে রেখে আনন ফাউন্ডেশন ২০১২ সাল থেকে শিশুর বিকাশে ভূমিকা রেখে চলেছে।

গল্প, উপন্যাস ও ভ্রমণ কাহিনির পাশাপাশি আনোয়ারা সৈয়দ হক শিশুদের জন্যও নিয়মিত লিখছেন। তার শিশুসাহিত্যের মধ্যে উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলো হলো ছানার নানাবাড়ি, বাবার সাথে ছানা, ছানা এবং মুক্তিযুদ্ধ, পথের মানুষ ছানা, একজন মুক্তিযোদ্ধার ছেলে, আমাদের মুক্তিযোদ্ধা দাদাভাই, মন্টির বাবা, বঙ্গবন্ধু নির্বাচিত কিশোর গল্প, শ্রেষ্ঠ কিশোর গল্প, কিশোর উপন্যাসসমগ্র (৪ খণ্ড), নির্বাচিত কিশোর গল্প প্রভৃতি।

বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে অনন্য অবদানের জন্য তিনি ২০১৯ সালে রাষ্ট্রের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সম্মাননা একুশে পদক পেয়েছেন। এ ছাড়া ২০১০ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, ২০০৬ সালে কবীর চৌধুরী শিশুসাহিত্য পুরস্কার ছাড়াও ইউরো শিশুসাহিত্য পুরস্কার, অগ্রণী ব্যাংক শিশুসাহিত্য পুরস্কার, শিশু একাডেমি পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।

‘ঐতিহ্য আত্মস্থ করে কাব্যে নিজস্ব মুদ্রা তৈরি করেছেন অসীম সাহা’

প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২৪, ০৯:৪৪ পিএম
আপডেট: ০১ জুলাই ২০২৪, ০৯:৪৪ পিএম
‘ঐতিহ্য আত্মস্থ করে কাব্যে নিজস্ব মুদ্রা তৈরি করেছেন অসীম সাহা’
অসীম সাহা

বাংলা কবিতার ধ্রুপদী ঐতিহ্যকে আত্মস্থ করে কবিতায় নিজস্ব মুদ্রা তৈরি করেছেন কবি অসীম সাহা। ব্যক্তি মানুষের আর্তি থেকে সমষ্টি মানুষের আর্তনাদ, শোষণমুক্ত জগৎ গড়ার অঙ্গীকার ভাস্বর হয়েছে তার কবিতার ছত্রে ছত্রে। 

প্রয়াত কবি অসীম সাহা স্মরণে বাংলা একাডেমির স্মরণ সভায় কবি অসীম সাহার সহযাত্রী কবিরা স্মৃতিকাতর হয়ে পড়েন। বিষণ্নচিত্তে তারা স্মরণ করেন অসীম সাহার কাব্যজীবনের নানা অধ্যায়। ব্যক্তিমানুষকে ছাপিয়ে অসীম সাহা কীভাবে কবি হিসেবে খ্যাতির চূড়ায় আরোহণ করেছিলেন, সেই গল্পও শোনান তাদের কেউ কেউ। 

সোমবার (১ জুলাই) একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে স্মরণসভার শুরুতে অসীম সাহা স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। 

আয়োজনের প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা কবি কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, ‘অসীম সাহা ছিলেন খাপ না খাওয়া মানুষ। তিনি নিজ বিশ্বাস ও অনুভবের কথা কবিতায় তো বটেই, ব্যক্তিগত উচ্চারণ ও আচরণেও সরাসরি প্রকাশ করতেন। এ ছিল তার সারল্য ও দৃঢ়তারই লক্ষণ। তিনি বাংলা কবিতার ধ্রুপদী ঐতিহ্যকে আত্মস্থ করে কবিতায় নিজস্ব মুদ্রা তৈরি করেছেন। স্বচ্ছন্দ বিচরণ করেছেন সাহিত্যের বিভিন্ন ক্ষেত্রে।’

সভাপতির বক্তব্যে শিল্পী হাশেম খান বলেন, ‘কবি অসীম সাহা ছিলেন বহুমাত্রিক জ্যোতির্ময় ব্যক্তিত্ব। তিনি কবিতায় যেমন আমাদের মুগ্ধ করেছেন, তেমনি তার অনন্য জীবনসাধনায়ও সবাইকে আকৃষ্ট করেছেন। তার সৃষ্টিকে পাঠকের কাছে তুলে ধরতে স্থায়ী পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।’ 

সূচনা বক্তব্য দেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। আলোচনা করেন কথাসাহিত্যিক আনোয়ারা সৈয়দ হক, কবি দিলারা হাফিজ, কবি ফারুক মাহমুদ, কবি আসাদ মান্নান, কবি ইউসুফ রেজা, রাজনৈতিক বিশ্লেষক সুভাষ সিংহ রায়, প্রকাশক খান মাহবুব, কবি পিয়াস মজিদ প্রমুখ। অসীম সাহার কবিতা আবৃত্তি করেন বাচিকশিল্পী রূপা চক্রবর্তী ও মাসুম আজিজুল বাশার। 

অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর ৮৯তম জন্মদিন উদযাপিত

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৪, ০৯:৪৯ এএম
আপডেট: ২৪ জুন ২০২৪, ০৯:৫৩ এএম
অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর ৮৯তম জন্মদিন উদযাপিত
অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী

নিতান্ত সাদামাটা আয়োজনে উদযাপিত হলো দেশবরেণ্য বুদ্ধিজীবী, লেখক, শিক্ষক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর ৮৯তম জন্মদিন।

রবিবার (২৩ জুন) রাজধানীর ধানমন্ডিতে অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর বাসায় তাকে শ্রদ্ধা-শুভেচ্ছা জানাতে গিয়েছিলেন তার ছাত্র, অনুরাগী এবং বামধারার বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের শীর্ষ নেতারা। 

তাদের ফুলেল শ্রদ্ধায় সিক্ত হন  অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। তার ব্যক্তিগত সহকারী মযহারুল ইসলাম বাবলা জানান, রবিবার (গতকাল) বিকেলে বাম নেতারা ধানমন্ডির বাসভবনে আসেন। স্যারের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন তারা। দেশের চলমান রাজনৈতিক ও সামাজিক হালহকিকত নিয়েও কথাবার্তা হয়েছে বাম নেতাদের সঙ্গে।

রবিবার সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীকে শুভেচ্ছা জানাতে যান সিপিবির সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। এ ছাড়া বাসদ ও বাসদ-মার্কসবাদীর বেশ কজন নেতাও ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। 

বাবলা জানান, অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর জন্মদিন উপলক্ষে আগামী ২৯ জুন শনিবার বিকেল চারটায় বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তনে শুভেচ্ছা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এ অনুষ্ঠানে তিনি ‘ফিরে দেখা’ নামে একটি আত্মজৈবনিক বক্তব্য দেবেন। 

সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর জন্ম মুন্সীগঞ্জের বিক্রমপুরের বাড়ৈখালিতে। শৈশব কেটেছে রাজশাহীতে ও কলকাতায় বাবার চাকরি সূত্রে। ঢাকার সেন্ট গ্রেগরিজ স্কুল, নটর ডেম কলেজ আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি সাহিত্যে পড়াশোনা করেন তিনি। যুক্তরাজ্যের লিডস ও লেস্টার ইউনিভার্সিটিতে ইংরেজি সাহিত্য নিয়ে উচ্চতর গবেষণাও করেছেন। 

পড়াশোনা শেষে দেশে ফিরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন ১৯৫৭ সালে। শিক্ষকতার পাশাপাশি লেখালেখিতে সমান সক্রিয় সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। প্রবন্ধ, অনুবাদ, কলাম ও কথাসাহিত্য মিলিয়ে তার রচিত বই প্রায় ১১০টি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করার সময় তিনি ‘মাসিক পরিক্রমা’ (১৯৬০-৬২), ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পত্রিকা’ (১৯৭২), ‘ত্রৈমাসিক সাহিত্যপত্র’ (১৯৮৪) সম্পাদনা করেছেন। ‘নতুন দিগন্ত’ নামে একটি সাহিত্য পত্রিকার সম্পাদনা করছেন এখনো। ১৯৯৬ সালে একুশে পদকে ভূষিত হন সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। সাহিত্যকর্মে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ‘বাংলা একাডেমি স্বর্ণপদক’, ‘বিচারপতি ইব্রাহিম পুরস্কার’, ‘অলক্ত সাহিত্য পুরস্কার’, ‘বেগম জেবুন্নেসা ও কাজী মাহবুবউল্লাহ ফাউন্ডেশন পুরস্কার’সহ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বেশ কিছু পুরস্কার ও সম্মাননা তিনি পেয়েছেন।