![‘ঐতিহ্য আত্মস্থ করে কাব্যে নিজস্ব মুদ্রা তৈরি করেছেন অসীম সাহা’](uploads/2024/07/01/Ashim_Saha-1719848694.jpg)
বাংলা কবিতার ধ্রুপদী ঐতিহ্যকে আত্মস্থ করে কবিতায় নিজস্ব মুদ্রা তৈরি করেছেন কবি অসীম সাহা। ব্যক্তি মানুষের আর্তি থেকে সমষ্টি মানুষের আর্তনাদ, শোষণমুক্ত জগৎ গড়ার অঙ্গীকার ভাস্বর হয়েছে তার কবিতার ছত্রে ছত্রে।
প্রয়াত কবি অসীম সাহা স্মরণে বাংলা একাডেমির স্মরণ সভায় কবি অসীম সাহার সহযাত্রী কবিরা স্মৃতিকাতর হয়ে পড়েন। বিষণ্নচিত্তে তারা স্মরণ করেন অসীম সাহার কাব্যজীবনের নানা অধ্যায়। ব্যক্তিমানুষকে ছাপিয়ে অসীম সাহা কীভাবে কবি হিসেবে খ্যাতির চূড়ায় আরোহণ করেছিলেন, সেই গল্পও শোনান তাদের কেউ কেউ।
সোমবার (১ জুলাই) একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে স্মরণসভার শুরুতে অসীম সাহা স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
আয়োজনের প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা কবি কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, ‘অসীম সাহা ছিলেন খাপ না খাওয়া মানুষ। তিনি নিজ বিশ্বাস ও অনুভবের কথা কবিতায় তো বটেই, ব্যক্তিগত উচ্চারণ ও আচরণেও সরাসরি প্রকাশ করতেন। এ ছিল তার সারল্য ও দৃঢ়তারই লক্ষণ। তিনি বাংলা কবিতার ধ্রুপদী ঐতিহ্যকে আত্মস্থ করে কবিতায় নিজস্ব মুদ্রা তৈরি করেছেন। স্বচ্ছন্দ বিচরণ করেছেন সাহিত্যের বিভিন্ন ক্ষেত্রে।’
সভাপতির বক্তব্যে শিল্পী হাশেম খান বলেন, ‘কবি অসীম সাহা ছিলেন বহুমাত্রিক জ্যোতির্ময় ব্যক্তিত্ব। তিনি কবিতায় যেমন আমাদের মুগ্ধ করেছেন, তেমনি তার অনন্য জীবনসাধনায়ও সবাইকে আকৃষ্ট করেছেন। তার সৃষ্টিকে পাঠকের কাছে তুলে ধরতে স্থায়ী পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।’
সূচনা বক্তব্য দেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। আলোচনা করেন কথাসাহিত্যিক আনোয়ারা সৈয়দ হক, কবি দিলারা হাফিজ, কবি ফারুক মাহমুদ, কবি আসাদ মান্নান, কবি ইউসুফ রেজা, রাজনৈতিক বিশ্লেষক সুভাষ সিংহ রায়, প্রকাশক খান মাহবুব, কবি পিয়াস মজিদ প্রমুখ। অসীম সাহার কবিতা আবৃত্তি করেন বাচিকশিল্পী রূপা চক্রবর্তী ও মাসুম আজিজুল বাশার।