![রাবি ছাত্রলীগের দুপক্ষের সংঘর্ষ: ৪ নেতা বহিষ্কার](uploads/2024/05/15/rabi-1715754214.jpg)
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলে ছাত্রলীগের দুপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় শাখা ছাত্রলীগের চার নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ মে) রাতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম পান্থ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বহিষ্কৃত নেতারা হলেন- রাবি শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি শাহিনুল সরকার ডন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি নিয়াজ মোর্শেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান অপু, সাংগঠনিক সম্পাদক ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি কাব্বিরুজ্জামান রুহুল।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক সংগঠনের শৃঙ্খলা ও মর্যাদা পরিপন্থি কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগে তাদেরকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হলো। তাদের বিরুদ্ধে কেন পরবর্তী সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তার লিখিত জবাব উল্লিখিত ব্যক্তিদের আগামী সাতদিনের মধ্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দপ্তর সেলে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলো।
শাহিনুল সরকার ডন খবরের কাগজকে বলেন, ‘আমাদের কি দোষ ছিল, কি কারণে আমাদের বহিষ্কার করা হলো আমরা কিছুই জানি না। আমাদের সাতদিনের সময় দেওয়া হয়েছে কারণ দর্শানোর জন্য। আমরা লিখিত জবাব দেব।’
আশিকুর রহমান অপু খবরের কাগজকে বলেন, ‘আমাদের বিরুদ্ধে হঠাৎ কেন বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো আমি জানি না। সম্প্রতি এমন কোনো ঘটনার সঙ্গেও আমি সম্পৃক্ত না যেটা কোনো দৈনিকে প্রকাশিত হয়েছে। আমি মনে করছি এটা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমাদের নামে মিথ্যা, বানোয়াট তথ্য দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কাছে। আমি লিখিত জবাবের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কাছে সব খুলে বলব।’
তবে এ বিষয়ে বহিষ্কৃত অন্য দুই নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করলেও তারা সাড়া দেননি।
রাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু খবরের কাগজকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের সোহরাওয়ার্দী হলে গত তিন থেকে চারদিন ধরে বহিরাগত ও স্থানীয় সন্ত্রাসীদের সঙ্গে নিয়ে যারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছিল, শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বিনষ্ট করছিল, তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে। এর মাধ্যমে আবারও প্রমাণিত হলো ছাত্রলীগে অন্যায়কারীর জায়গা নেই, অন্যায়কারীর কোনো দল বা পরিচয় থাকতে পারে না। অন্যায়কারীর পরিচয় শুধুই অন্যায়কারী। ভবিষ্যতে কেউ শৃঙ্খলাবিরোধী কাজ করার আগে ভাবতে বাধ্য হবে এবং দলীয় ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় এমন কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখবে।’
দপ্তর সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম পান্থ খবরের কাগজকে বলেন, ‘সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ও মর্যাদা পরিপন্থি কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়ার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। তাদেরকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়নি। এই সাতদিন তারা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত হতে পারবে না। লিখিত জবাবের মাধ্যমে যদি তাদের জড়িত না থাকার প্রমাণ দিতে পারে তাহলে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হবে।’
সুমন/পপি/অমিয়/