ঢাকা ৯ ভাদ্র ১৪৩১, শনিবার, ২৪ আগস্ট ২০২৪

ঢাবিতে ছাত্রলীগ-আন্দোলনকারীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৪, ০৬:৫২ পিএম
ঢাবিতে ছাত্রলীগ-আন্দোলনকারীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
ছবি : খবরের কাগজ

কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় আবারও উত্তাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)। দুপক্ষই লাঠিসোঁটা, স্টাম্প, রড নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছেন। এ ঘটনায় তিনজন আহত হয়েছেন। 

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিকেল ৫টা ১০ মিনিটের দিকে রাজধানীর চাঁনখারপুল এলাকায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের সঙ্গে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া গুলিবর্ষণ ও কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ও ঢাকা কলেজের এক শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তারা হলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শুভ ও রাতুল, ঢাকা কলেজের শাফিন। তারা বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। 

ঢামেক হাসপাতাল সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এ ছাড়া রাজধানীর তাঁতি বাজার, নিউমার্কেট, সায়েন্সল্যাবসহ বিভিন্ন এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনায় সব মিলিয়ে অন্তত ৬০ জন আহতের খবর পাওয়া গেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) এলাকায় ছাত্রলীগ অবস্থান নিয়েছে। এ ছাড়া জগন্নাথ হল, কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার, ঢামেক, চাঁনখারপুলের শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিট এলাকা দখলে নিয়েছেন কোটা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাদের হাতে লাঠিসোঁটা, স্টাম্প, রড দেখা যায়।

এদিকে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার এলাকায় পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিকেল ৩টায় বিক্ষোভ মিছিল করার কথা থাকলেও, এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিট) বৈষম্যবিরেধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। 

আরিফ জাওয়াদ/সালমান/

টিএসসির গণত্রাণ কর্মসূচি: একদিনে সংগ্রহ ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা

প্রকাশ: ২৪ আগস্ট ২০২৪, ০১:১৪ এএম
টিএসসির গণত্রাণ কর্মসূচি: একদিনে সংগ্রহ ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা
ছবি: খবরের কাগজ

বন্যার্তদের সহযোগিতা করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) চলমান গণত্রাণ কর্মসূচিতে শুধু শুক্রবারে অনলাইন ও নগদ ১ কোটি ২৬ লাখ ২২ হাজার ১৭২ টাকা নগদ সংগ্রহ করা হয়েছে। 

শুক্রবার (২৩ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত হিসাব করে টাকার এ পরিমাণ জানা যায়। এ তথ্য গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন সমন্বয়ক নুসরাত তাবাসসুম।

এর আগে বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বিভিন্ন মাধ্যমে ১৪ লাখ ৬০ হাজার ১৭৩ টাকা সংগ্রহ করে।

এর আগে বুধবার (২১ আগস্ট) রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদারের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বন্যাকবলিত জেলায় রেসকিউ অপারেশন এবং ত্রাণ বিতরণ কর্মসূচি চালু এবং পাবলিক ফান্ড রেইজিং উদ্যোগ শুরুর কথা জানায়।

আরিফ জাওয়াদ/এমএ/

শাবিপ্রবিতে শিক্ষার্থীদের দুর্বৃত্তের হুমকি, নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি সেনাবাহিনীর

প্রকাশ: ২৩ আগস্ট ২০২৪, ০৭:০৫ পিএম
শাবিপ্রবিতে শিক্ষার্থীদের দুর্বৃত্তের হুমকি, নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি সেনাবাহিনীর
ছবি: খবরের কাগজ

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) মধ্যরাতে ছেলেদের হলগুলোতে দুর্বৃত্তদের মোটরসাইকেলে মহড়া এবং শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দিলে হলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। 

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) রাত ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। 

আতঙ্কিত শিক্ষার্থীরা সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করলে রাত ৩টার দিকে  তারা হলে আসেন এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আশ্বাস দেন। 

বিভিন্ন হলের একাধিক শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রাত ১২টার দিকে হঠাৎ ১০ থেকে ১২টা মোটরসাইকেলে করে হেলমেট পরা ২০ থেকে ২৫ জন হলগুলোর সামনে মহড়া দিয়ে যায়। এসময় তারা "হই হই রই রই ছাত্রলীগ গেল কই" স্লোগান দিতে থাকে।"

শিক্ষার্থীরা আরও জানান, মহড়া শেষে তারা হলের নিরাপত্তা কর্মীদের কাছে কালকের মধ্যে সকল শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগ করার নির্দেশ দিয়ে যায়।

শাহপরান হলের নিরাপত্তা কর্মীরা জানান, হঠাৎ রাত ১২টার দিকে ১০ থেকে ১২টা মোটরসাইকেলে করে ২০/২৫ জন এসে হলের সামনে বিভিন্ন মিছিল দিতে থাকে। মাস্ক ও হেলমেট পরা থাকায় তাদের কাউকেই ছিনতে পারিনি। এর মধ্যে মাস্ক ও হেলমেটধারী একজন এসে আমাকে বলে, হলের যারা আছে তারা হল থেকে যেনো জুমার নামাজের আগেই চলে যায়। এ কথা বলেই তারা বঙ্গবন্ধু হলের দিকে চলে যায়।

এদিকে আতঙ্কিত শিক্ষার্থীরা সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করলে রাত ৩টার দিকে সেনাবাহিনী হলে আসে এবং শিক্ষার্থীদের নিশ্চিন্তে হলে থাকার নির্দেশ দেয়। পাশাপাশি তারা শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন বলে আশ্বাস দেন। 

উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকার পতনের একে একে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ প্রায় সকল প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের পদত্যাগ দাবি তুলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা এবং পদত্যাগের পর থেকেই অবিভাবকহীনতায় ভুগছে শাবিপ্রবি। এতে করে পুরো ক্যাম্পাসজুড়েই বিরাজ করছে আতঙ্ক ও নিরাপত্তাহীনতা।

ইসফাক আলী/এমএ/

বন্যার্তদের সহযোগিতায় ঢাবিতে ‘গণত্রাণ’ সংগ্রহ, হলে হলে কার্যক্রম

প্রকাশ: ২৩ আগস্ট ২০২৪, ০২:৩৩ পিএম
বন্যার্তদের সহযোগিতায় ঢাবিতে ‘গণত্রাণ’ সংগ্রহ, হলে হলে কার্যক্রম
টিএসসিতে ত্রাণ প্যাকেজিংয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন স্বেচ্ছাসেবকরা। ছবি: খবরের কাগজ

বন্যার্তদের সহযোগিতা করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) দিনব্যাপী ‘গণত্রাণ’ সংগ্রহ এবং হলে হলে শিক্ষার্থীরা নানা কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন। কাপড় থেকে শুরু করে আর্থিক সহযোগিতা সংগ্রহ করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন শিক্ষার্থীরা। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ঢাবির ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) গণত্রাণ সংগ্রহ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্বেচ্ছাসেবকরা। 

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সরেজমিনে দেখা যায়, রাত ৯টা পর্যন্ত টিএসসিতে ত্রাণগুলো প্যাকেজিংয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন স্বেচ্ছাসেবকরা। এর মধ্যে একটি টিম বন্যার্তদের সহযোগিতায় রওনা হয়েছে। বাকি টিমগুলো যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

টিএসসিতে ত্রাণ দিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের ভিড়ও ছিল চোখে পড়ার মতো। সব পেশাজীবী যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী ভলান্টিয়ারদের হাতে ত্রাণ পৌঁছে দেন। মুড়ি, চিড়া, বিস্কুট, স্যালাইন, খেজুরসহ সামর্থ্য অনুযায়ী শুকনা খাবার ত্রাণ হিসেবে দিয়ে যাচ্ছেন। কেউ স্যানিটারি ন্যাপকিন দিচ্ছেন, কেউবা আবার নগদ অর্থ দিচ্ছেন। বুথে বসা শিক্ষার্থীরা খাতায় অনুদানের অঙ্ক লিখে টাকা জমা রাখছেন। এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে অনলাইনেও ত্রাণ উত্তোলনের কাজ করছেন।

মিরপুর থেকে ত্রাণ দিতে আসা তানভীর বলেন, ‘বিস্কুট, স্যালাইন, খেজুর নিয়ে এসেছি। আমরা যে যার জায়গা থেকে সামর্থ্য অনুযায়ী বন্যার্তদের জন্য এগিয়ে এসেছি। এই দুর্যোগ শুধু ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালীর মানুষের নয়। এই দুর্যোগ আমাদের সবার। দুর্যোগে সবাইকে একসঙ্গে লড়তে হবে।’

ভলান্টিয়ারদের তথ্য অনুযায়ী বুধবার (২১ আগস্ট) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এক হাজারের অধিক মানুষ বিভিন্ন খাবারসামগ্রী দিয়ে গণত্রাণ কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন। এ ছাড়া দুপুর পর্যন্ত ৫ লক্ষাধিক টাকা অনুদান হিসেবে এসেছে বলে জানান ভলান্টিয়াররা। 

এদিকে দুপুর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকটি হলে শিক্ষার্থীদের জামা-কাপড় সংগ্রহ করতে দেখা যায়। শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে বন্যার্তদের জন্য জামা-কাপড় দিয়ে যাচ্ছেন। অনেকে আবার পুরোনো কাপড়গুলো ওয়াশিং মেশিনে ধুয়ে ফ্যানে শুকিয়ে প্রস্তুত করে গুছিয়ে রাখছেন।

মাস্টারদা সূর্য সেন হলের শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম খবরের কাগজকে বলেন, ‘আমাদের সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। আমি কাছের এক বড় ভাইয়ের কাছে বন্যার্তদের সহযোগিতায় ২০০ পিস নতুন টি-শার্ট দিয়েছি। এভাবেই যদি সবাই এগিয়ে আসি, বন্যার্তদের কষ্ট কিছুটা হলেও লাঘব হবে। হয়তো আমরা পুরো ক্ষত মুছে দিতে পারব না, কিন্তু পাশে তো থাকতে পারি।’

আরিফ জাওয়াদ/ইসরাত চৈতী/

এমআইএসে থাকবে আন্দোলনে আহত-নিহতদের তথ্য

প্রকাশ: ২২ আগস্ট ২০২৪, ১১:২৪ পিএম
এমআইএসে থাকবে আন্দোলনে আহত-নিহতদের তথ্য
ছবি: সংগৃহীত

কোটা সংস্কার আন্দোলনে আহত ও নিহতদের তথ্য সংগ্রহে কাজ করছে সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (এমআইএস)। এ নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমানের সঙ্গে স্বাস্থ্যবিষয়ক কেন্দ্রীয় উপকমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায় স্বাস্থ্যবিষয়ক কেন্দ্রীয় উপকমিটি।

লিখিত বক্তব্যে স্বাস্থ্য উপকমিটির সদস্যসচিব তারেকুল ইসলাম বলেন, ‘হাসপাতালগুলো আহত এবং নিহতদের তথ্য আপলোড করতে পারবে। হাসপাতাল ছাড়াও আহত-নিহতদের তথ্য সংগ্রহে আমরা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদেরও তথ্য ইনপুট দেওয়ার ব্যবস্থা রাখার জন্য প্রস্তাব উত্থাপন করেছি। যাতে যারা হাসপাতালের লিস্টে নেই তারাও তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারে। এ ছাড়া নিকটস্থ সরকারি হাসপাতালেও প্রমাণ প্রদর্শনপূর্বক তথ্য দেওয়া যাবে। তবে তা ভেরিফিকেশনের মাধ্যমে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রতিটি উপজেলা ও সরকারি হাসপাতালকেন্দ্রিক ভলান্টিয়ার টিম দেওয়া হবে, যারা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবে।’

নিহতদের পরিচয় প্রমাণের (যাদের ডেথ সার্টিফিকেট নেই) জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নিতে উপজেলাভিত্তিক এবং সরকারি হাসপাতালকেন্দ্রিক কার্যক্রম পরিচালনায় প্রতিটি জেলার সিভিল সার্জনসহ সবাইকে নির্দেশনা দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়। এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্বাস্থ্যবিষয়ক কেন্দ্রীয় উপকমিটির অনেক সদস্যই উপস্থিত ছিলেন। এর আগে গত বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ১৭ সদস্যের এই কমিটি ঘোষণা দেওয়া হয়।

আরিফ জাওয়াদ/এমএ/

আন্দোলনের মুখে ভিসি-অধ্যক্ষসহ ৪ জনের পদত্যাগ

প্রকাশ: ২২ আগস্ট ২০২৪, ০৮:৪৪ পিএম
আন্দোলনের মুখে ভিসি-অধ্যক্ষসহ ৪ জনের পদত্যাগ

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) ভিসি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আইন অনুষদের ডিন।

আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট ব্যুরো ও ঢাবি প্রতিনিধি জানান-

ঢাকা: ঢামেকের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. শফিকুল আলম চৌধুরী ও উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. দেবেশ চন্দ্র তালুকদার পদত্যাগ করেছেন। বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) দুপুর দেড়টার দিকে পদত্যাগ করেন তারা।

পদত্যাগপত্রে তারা লেখেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে সরাসরিভাবে অবস্থান করে ছাত্র-জনতার কাছে নিজের আস্থা হারিয়ে আমি আমার অধ্যক্ষ পদ থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছি।’

এর আগে বেলা ১১টার দিকে অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. শফিকুল আলম চৌধুরী এবং উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. দেবেশ চন্দ্র তালুকদারের পদত্যাগ দাবিতে তাদের কক্ষের সামনে বিক্ষোভ করতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর পদত্যাগ করেন তারা।

ঢাবি প্রতিনিধি জানান, ঢাবির কলা অনুষদ, চারুকলা অনুষদের ডিনের পর শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে এবার পদত্যাগ করলেন আইন অনুষদের ডিন ও চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. রহমত উল্লাহ। আজ উপাচার্য বরাবর পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। কয়েক দিন ধরে অধ্যাপক ড. রহমত উল্লাহর পদত্যাগ দাবি করে আসছিলেন শিক্ষার্থীরা। কিন্তু তিনি পদত্যাগ করতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এতে শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে চেয়ারম্যান ও ডিন অফিসসহ বিভাগের সব ধরনের কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে অফিসগুলোয় তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। তার পদত্যাগের জন্য ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেন শিক্ষার্থীরা। 

এর আগে ১৯ আগস্ট কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুল বাছির ডিনের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেন। পদত্যাগের পর অধ্যাপক আবদুল বাছিরের অনুমতিতে তাকে নিয়ে কোরআন তেলাওয়াত ও হাত তুলে দোয়া করেন শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে ‘শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে স্বৈরাচারের পক্ষাবলম্বন’ করায় শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন একই দিনে পদত্যাগ করেন।

সিলেট ব্যুরো: সিকৃবির ভিসি প্রফেসর ডা. মো. জামাল উদ্দিন ভূঞা গতকাল বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে পাঠানো পত্রে তিনি লেখেন, ‘শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের জারি করা প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী আমি ২১ নভেম্বর ২০২২ সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস- চ্যান্সেলর (ভিসি) হিসেবে যোগদান করি। বর্তমানে আমার ব্যক্তিগত কারণে ভাইস চ্যান্সেলর পদ হতে অব্যাহতি চাচ্ছি।’ 

এর আগে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ভিসি মো. জামাল উদ্দিন ভূঞা রাতে ক্যাম্পাস থেকে পালিয়ে যান। গত ১১ আগস্ট থেকে সিকৃবির ভিসির পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। তাদের সঙ্গে আন্দোলনে যোগ দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও। এরপর ভিসির কুশপুতুল দাহ, প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেওয়াসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেন তারা। 

এর আগে ভিসির অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি নিয়ে খবরের কাগজে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল।