ঢাকা ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪

কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে রাবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০৪:৩৫ পিএম
আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০৪:৩৫ পিএম
কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে রাবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
ছবি: খবরের কাগজ

সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বহাল বাতিল, কোটা সংস্কারের দাবিসহ কয়েকটি দাবিতে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। 

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা। 

আন্দোলনের প্রথম থেকেই বৃষ্টি শুরু হলেও তা উপেক্ষা করেই আন্দোলন চালিয়ে যান শিক্ষার্থীরা।

এতে মহাসড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করেন তারা।

এর আগে সকাল সাড়ে ৯টা থেকেই শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে জমা হতে থাকেন।

বেলা পৌনে ১১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা। 

এরপর শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করেন। 

এ সময় বৃষ্টিতে ভিজেই শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে যান। 

পরে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন তারা। 

মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে কাজলা গেট হয়ে প্যারিস রোডে গিয়ে শেষ হয়।

বিক্ষোভ চলার সময় শিক্ষার্থীরা চারটি দাবি উত্থাপন করেন। 

দাবিগুলো হলো- ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সংস্কার করতে হবে, তবে কোটায় প্রার্থী না পাওয়া গেলে মেধাকোটায় শূন্যপদ পূরণ করতে হবে; ব্যক্তি তার জীবদ্দশায় সব ধরনের সরকারি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় একবার কোটা ব্যবহার করতে পারবেন, এর মধ্যে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা অন্তর্ভুক্ত থাক; প্রতি জনশুমারির সঙ্গে অর্থনৈতিক সমীক্ষার মাধ্যমে বিদ্যমান কোটার পুনর্মূল্যায়ন নিশ্চিত করতে হবে এবং দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। 

দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা এ আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন। 

এরই ধারাবাহিকতায় আগামীকাল শুক্রবার (৫ জুলাই) সকাল ১০টায় একই কর্মসূচি পালন করা হবে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।  

এ সময় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন লেখা-সংবলিত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন। 

কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা ‘সারা বাংলা খবর দে, কোটা পদ্ধতির কবর দে’, ‘দেশটা নয় পাকিস্তান, কোটার হোক অবসান’, ‘মেধাবীদের কান্না, আর না আর না’, ‘কোটা-বৈষম্য নিপাত যাক, মেধাবীরা মুক্তি পাক’, ‘মেধাবীদের যাচাই করো, কোটাপদ্ধতি বাতিল করো’, ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলায়, কোটা পদ্ধতির ঠাঁই নাই’, ‘১৮ এর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার’, ‘বৈষম্যর বিরুদ্ধে, লড়াই করো একসাথে’, ‘ঝড় বৃষ্টি আধার রাতে, আমরা আছি রাজপথে’ ইত্যাদি স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ করেন।

এ ছাড়া বিক্ষোভ চলার সময় বিখ্যাত কবিদের বিভিন্ন প্রতিবাদী কবিতা ও সংগ্রামী গান পরিবেশন করা হয়।

বিক্ষোভ কর্মসূচির মুখপাত্র ও রাকসু আন্দোলন মঞ্চের সদস্য সচিব আমানুল্লাহ আমান বলেন, ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছিল সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার। আমরা হাইকোর্টের বিচারকদের মতো জ্ঞান রাখি না। তবে আমরা এটা জানি, এক শতাংশের কম জনসংখ্যার জন্য ৩০ শতাংশ কোটা অন্যায্য। এটা বুঝতে পৃথিবীর কোনো আইন জানা লাগে না। আমাদের দাবিগুলো স্পষ্ট, আমাদের আইন বোঝার দরকার নেই। দাবি কিভাবে আদায় করতে হয় তা বঙ্গবন্ধু আমাদের শিখিয়েছেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের ধারাবাহিক আন্দোলন চলমান থাকবে।’

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা জানিয়ে আন্দোলনে অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান। 

এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিবেকের তাড়নায় শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে উপস্থিত হয়েছি। শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো যৌক্তিক। এই রাষ্ট্রের জন্মের পেছনে সমতাভিত্তিক সমাজব্যবস্থা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা করা অন্যতম প্রধান কারণ ছিল। রাষ্ট্রের চোখে সব নাগরিক সমান। এ ব্যাপারে কোনো বিভেদ সৃষ্টি করলে সেটা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের পরিপন্থী হবে। সংবিধানের নিয়ম অনুযায়ী, যারা সংখ্যাগরিষ্ঠ তারা রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে থাকবেন। আজকে জাতিকে মেধাশূণ্য করে এগিয়ে নেওয়ার যে চক্রান্ত করা হয়েছে, সেটি বাস্তবায়ন করতে দেওয়া যাবে না।’

হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্য ব্যবস্থা বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী অনিকেত বর্ধন আকাশ বলেন, ‘সবধরনের চাকরি থেকে কোটা প্রথার অবসান করা হোক। একজন মেধাবী শিক্ষার্থী কঠোর পরিশ্রম করেও চাকরি পাচ্ছেন না। অন্যদিকে একজন কোটাধারী অল্প নম্বর পেয়েও চাকরিতে যোগদানের সুযোগ পাচ্ছেন। যা সম্পূর্ণভাবে বৈষম্য। এ বৈষম্যের অবসান হোক।’

আন্দোলন কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী আজিজুর রহমান বলেন, ‘দেশের কোটা প্রথায় উপযোগী জনসংখ্যার সংখ্যা ১ শতাংশের কম কিন্তু তাদের জন্য কোটা ৫৬ শতাংশ। এমনিতেই দেশের চাকরির বাজার প্রতিযোগিতাপূর্ণ। সেখানে কোটায় অধিকাংশ সিট চলে যাওয়া আমাদের প্রতিযোগিতা আরও বাড়িয়ে দেয়। আমাদের দাবি, ২০১৮ সালে কোটা নিয়ে যে সিদ্ধান্ত এসেছিল তা পুনর্বহাল থাকুক।’

গত ৫ জুন সরকারি প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধাসহ অন্য কোটা বাতিল করে জারি করা পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। 

এতে সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল থাকবে। 

মুক্তিযোদ্ধা সন্তানের করা এক রিটের প্রেক্ষিতে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ এ রায় দেন।

সুমন/পপি/

এআই-ভিত্তিক জিপিটি প্ল্যাটফর্ম ‘জি ব্রেইন’-এর উদ্বোধন

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৪:২৮ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৪:২৮ পিএম
এআই-ভিত্তিক জিপিটি প্ল্যাটফর্ম ‘জি ব্রেইন’-এর উদ্বোধন

দেশের অন্যতম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি এবং প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অরিয়ন ইনফরমেটিকসের সার্বিক সহযোগিতায় জাতীয়ভাবে তৈরিকরা এআই-ভিত্তিক জিপিটি প্ল্যাটফর্ম ‘জি ব্রেইন’-এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে বাংলাদেশের সংবিধান, বাজেট এবং স্টার্টআপ- এ তিনটি জিপিটি নিয়ে নিজস্ব টুলসেটের ওপর জাতীয়ভাবে এ প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হয়েছে।

গত বুধবার আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল অডিটোরিয়ামে এ প্ল্যাটফর্মের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি বলেন, উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিজেদের সক্ষমতা তৈরির মাধ্যমে নিজস্ব প্রযুক্তি ব্যবহার করে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জকে আমাদের জয় করতে হবে। সেই লক্ষ্য অর্জনে এআই, ডেটা অ্যানালিটিক্স ও মেশিন লার্নিংয়ের মতো প্রযুক্তিতে দক্ষ মানবসম্পদ-সমৃদ্ধ স্মার্ট ও মেধাবী প্রজন্ম গড়ে তোলা হবে। এ জন্যই আমরা আজ এআই-নির্ভর জিপিটি প্ল্যাটফর্ম

‘জি ব্রেইন’ (www.gbrainbd.ai) উদ্বোধন করলাম। ভবিষ্যতে এটা মাইগ্রেট করে আমাদের ন্যাশনাল ডেটা সেন্টারে হোস্ট করা হবে এবং নিয়মিত আপডেটের মাধ্যমে এটাকে ব্যবহারবান্ধব করা হবে। সেই লক্ষ্য অর্জনে আমরা পাবলিক প্রাইভেট একাডেমিয়া পার্টনাশিপের ভিত্তিতে এই কাজটা করেছি। তিনি এ বিষয়ে সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটিকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এআইর ইতিবাচক প্রয়োগের মাধ্যমে সরকারের সব লক্ষ্য ও পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে।

বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ হচ্ছে ডেটা বা তথ্য-উপাত্ত। সেই ডেটা ব্যবহার করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা জেনারেটিভ এআই সাম্প্রতিক সময়ে সারা বিশ্বে প্রযুক্তির প্রভাব ও প্রসারের চিত্র বদলে দিয়েছে। বর্তমানে যে দেশ, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের কাছে যত সমৃদ্ধ ডেটা ও প্রযুক্তি আছে, সেই প্রতিষ্ঠান, সংস্থা বা দেশ তত বেশি সমৃদ্ধ হচ্ছে এবং দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে।

এ ছাড়া জিপিটি প্ল্যাটফর্ম জি ব্রেইন কীভাবে আমাদের জীবনে উপকারে আসতে পারে, তার বিভিন্ন দিক নিয়ে বিস্তারিত তথ্য-উপাত্ত অনুষ্ঠানে তুলে ধরা হয়।

কলি

বাউয়েটে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সুযোগ

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৪:২১ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৪:২১ পিএম
বাউয়েটে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সুযোগ

বাংলাদেশ আর্মি ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি (বাউয়েট) কাদিরাবাদ ক্যান্টনমেন্ট, নাটোর মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোগ্রাম চালু করেছে ফল সেমিস্টার ২০২১ সাল থেকে। এখানে আছে অত্যাধুনিক ল্যাবরেটরিসমৃদ্ধ মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ। বাউয়েটে পাঁচটি ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ের মধ্যে সবচেয়ে কম খরচে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সুযোগ পাচ্ছে মেধাবী শিক্ষার্থীরা। এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে চার বছরে ৯৫ হাজার থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা পর্যন্ত স্কলারশিপ পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।

ক্রেডিট আওয়ার এবং আসন সংখ্যা
চার বছরমেয়াদি মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে ডিগ্রি প্রাপ্তির জন্য ৮ সেমিস্টারে মোট ১৬১ ক্রেডিট সম্পন্ন করতে হবে। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন প্রাথমিকভাবে মাত্র ২০টি আসনে শিক্ষার্থী ভর্তির অনুমোদন দিয়েছে। ক্রমান্বয়ে আসন সংখ্যা বৃদ্ধি করার পরিকল্পনা রয়েছে। সেমিস্টারের সঙ্গে সমন্বয় করে শিক্ষার্থীদের চাহিদা অনুসারে আধুনিক যন্ত্রপাতিসমৃদ্ধ গবেষণাগারের সংখ্যাও বৃদ্ধি করা হচ্ছে।

অত্যাধুনিক ল্যাবরেটরি সুবিধাসমূহ
বাউয়েট বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় প্রকৌশল এবং প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে অন্যতম। এতে রয়েছে অত্যাধুনিক ল্যাব এবং ক্লাসরুম, যেখানে শিক্ষার্থীরা হাতে-কলমে শিক্ষার মাধ্যমে নিজেদের দক্ষতা বৃদ্ধি করে। মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীদের গবেষণার সুযোগ-সুবিধা বিবেচনা করে ১৩টি অত্যাধুনিক ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হয়েছে। ল্যাবরেটরিগুলো হচ্ছে- ১. ফাউন্ড্রি ল্যাব, ২. ওয়ার্কশপ ল্যাব, ৩. মেশিন টুলস ল্যাব, ৪. থার্মো ডায়নামিক্স ল্যাব, ৫. ফ্লুইড মেকানিক্স ল্যাব, ৬. মেকানিক্যাল ড্রইং ল্যাব, ৭. অটোক্যাড ল্যাব, ৮. মেটালার্জি ল্যাব, ৯. ফিজিক্স ল্যাব, ১০. কেমিস্ট্রি ল্যাব, ১১. ইইই ল্যাব, ১২. প্রোগ্রামিং ল্যাব এবং ১৩. নিউমেরিক্যাল ল্যাব। এ ছাড়া বাউয়েটের অন্য চারটি ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা সংবলিত ৩৬টি অত্যাধুনিক ল্যাবরেটরি রয়েছে।

চাকরির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার
বর্তমানে বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্বে আছেন কানাডা থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনকারী সহকারী অধ্যাপক ডক্টর মো. আলমোস্তাসিম মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘শিল্পোন্নত বাংলাদেশ হওয়ার পথে দেশে গড়ে উঠছে ভারী শিল্প ও অর্থনৈতিক অঞ্চলসমূহ। এই প্রক্রিয়ায় দেশে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। কিন্তু অধিক সংখ্যক ল্যাবের প্রয়োজন হওয়ায় হাতেগোনা কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোগ্রাম চালু করে। চাকরির ক্ষেত্রে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের চাহিদা আগামী তিন-চার বছরের মধ্যে কয়েকগুণ বেড়ে যাবে। দেশের বড় বড় কোম্পানি শিল্প উৎপাদনের মূল চালিকাশক্তি মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিচালিত সব প্রতিষ্ঠান ও প্রকল্পে বাউয়েটের শিক্ষার্থীদের চাকরির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার রয়েছে।

মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মিজানুজ্জামান বর্তমানে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন হিসেবে আছেন। তিনি বুয়েট থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিএসসি এবং এমএমসি ডিগ্রি অর্জন করেছেন।  এ ছাড়া শিক্ষকদের মধ্যে রয়েছে বুয়েট, বিইউপি, রুয়েট, কুয়েট থেকে পাস করা এক ঝাঁক তরুণ ও মেধাবী শিক্ষক।

এ ছাড়া রুয়েটের স্বনামধন্য প্রফেসররা উপদেষ্টা এবং খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে ক্লাস নেন। নিজস্ব আধুনিক ল্যাবরেটরির পাশাপাশি রুয়েটের ল্যাবরেটরিসমূহ ব্যবহার করার সুযোগ রয়েছে। শিক্ষার্থীদের বাস্তব জ্ঞান অর্জনের জন্য বিভিন্ন শিল্প-কারখানা নিয়মিত পরিদর্শন করানো হয়। চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদের শিক্ষাসফর এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাটাচমেন্ট হিসেবে চার সপ্তাহের ট্রেনিং করানো হয়। এ ছাড়া লিডারশিপ স্কিল ডেভেলপমেন্টের জন্য ক্লাস রুমের বাইরে রয়েছে ১৫টি সক্রিয় ক্লাব।

লেখক: ডেপুটি রেজিস্ট্রার, একাডেমিক এবং জনসংযোগ অফিসার, বাউয়েট, নাটোর।

কলি

যুক্তরাজ্যের সেরা স্কলারশিপ

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৪:১৭ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৪:১৭ পিএম
যুক্তরাজ্যের সেরা স্কলারশিপ

বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য আর্থিক সহায়তা নিশ্চিত করা দরকার। কেউ কেউ নিজ খরচে, আবার কেউ বৃত্তি নিয়ে বিদেশে পড়তে যান। যারা উচ্চশিক্ষার জন্য যুক্তরাজ্য যেতে চান, তাদের জন্য সেরা পছন্দের মাধ্যম হলো বৃত্তি। বৃত্তি শুধু আর্থিক বোঝার চাপ কমিয়ে দেয় না বরং একাডেমিক এবং ব্যক্তিগত উন্নয়নে আরও ফোকাস হওয়ার সুযোগ করে দেয়। আন্ডারগ্র্যাজুয়েট (স্নাতক) ছাত্রছাত্রীদের জন্য বৃত্তির সুযোগগুলো গ্রহণ করা দরকার। যুক্তরাজ্য ইম্পেরিয়াল কলেজ প্রেসিডেন্ট বৃত্তি, থিংক বিগ আন্ডারগ্র্যাজুয়েট স্কলারশিপ, আম্বার স্কলারশিপ, আন্ডারগ্র্যাজুয়েট গ্রেট স্টার্ট স্কলারশিপ ও ইউসিএল গ্লোবাল আন্ডারগ্র্যাজুয়েট স্কলারশিপ দেয় বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য। ভবিষ্যৎ সম্পর্কে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য, একাডেমিক লক্ষ্য এবং আর্থিক সংগতির সঙ্গে স্কলারশিপগুলো অনেকের জন্য ভালো হতে পারে।

১. ইম্পেরিয়াল কলেজ প্রেসিডেন্ট স্কলারশিপ
যুক্তরাজ্যর লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজ প্রেসিডেন্টের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট স্কলারশিপ সারা বিশ্বের শিক্ষার্থীদের জন্য। অসামান্য অবদান রাখা ছাত্রদের পুরস্কৃত করার জন্যই এই বৃত্তি। ইম্পেরিয়াল কলেজ স্নাতকে অধ্যয়ন করতে চাইলে আবেদন করতে হবে এ বৃত্তির জন্য।

আবেদনের যোগ্যতা: বিদেশি ছাত্র হতে হবে। ইম্পেরিয়াল কলেজে পূর্ণ সময়ের স্নাতক প্রোগ্রামের জন্য আবেদন করতে হবে। একাডেমিক ফলাফল ভালো করা এবং ভালো করার সম্ভাবনা প্রদর্শন করতে হবে। অন্য কোনো উল্লেখযোগ্য বৃত্তিপ্রাপ্ত হলে আবেদনের যোগ্য হবেন না।

বৃত্তির অর্থ: স্নাতকে অধ্যয়নের জন্য প্রতিবছর ১ হাজার পাউন্ড স্টার্লিং মিলবে। (১ পাউন্ড সমান ১৫০ টাকা ধরে ১ লাখ ৫০ হাজার বাংলাদেশি টাকা।)

যে যে নথি প্রয়োজন: একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট। পারসোনাল স্টেটমেন্ট। রেফারেন্স। ইংরেজি ভাষার দক্ষতার প্রমাণপত্র (যদি প্রযোজ্য হয়)।
অ্যাপ্লাই করতে কিউআর কোডটি স্ক্যান করুন।

২. থিংক বিগ আন্ডারগ্র্যাজুয়েট স্কলারশিপ
ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বৃত্তি থিংক বিগ আন্ডারগ্র্যাজুয়েট স্কলারশিপ। এ বৃত্তির লক্ষ্য হলো সেরা আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের সুযোগ দেওয়া, যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে আগ্রহী।

আবেদনের যোগ্যতা: বিদেশি ছাত্র হতে হবে। ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্ণ সময়ের জন্য স্নাতক প্রোগ্রামের আবেদনকারী শিক্ষার্থী হতে হবে। একাডেমিক শ্রেষ্ঠত্ব প্রদর্শন করতে হবে। নির্বাচিত প্রোগ্রামের জন্য প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণের পাশাপাশি ইংরেজি ভাষার দক্ষতা থাকতে হবে।

বৃত্তির অর্থ: প্রতিবছর ৫ হাজার থেকে ১০ হাজার পাউন্ড মূল্যের বৃত্তি।

যে যে নথি প্রয়োজন: একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট। পারসোনাল স্টেটমেন্ট। রেফারেন্স। ইংরেজি ভাষার দক্ষতার প্রমাণপত্র। 
অ্যাপ্লাই করতে কিউআর কোডটি স্ক্যান করুন।

৩. আন্ডারগ্র্যাজুয়েট গ্রেট স্টার্ট স্কলারশিপ
ওয়েস্টমিনস্টার ইউনিভার্সিটি দেয় আন্ডারগ্র্যাজুয়েট গ্রেট স্টার্ট স্কলারশিপ। এ বৃত্তিতে নিম্ন-আয়ের পরিবারের ছাত্রদের জন্য, যারা স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করতে চান। এ বৃত্তি তিন বছর পর্যন্ত দেওয়া হয়।

আবেদনের যোগ্যতা: ওয়েস্টমিনস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্ণ সময়ের একটি স্নাতক কোর্সের জন্য একটি অফার থাকতে হবে। পরিবারের আয় ২৫ হাজার পাউন্ড থাকতে হবে।

বৃত্তির অর্থ: প্রতিবছর ২৪০০ পাউন্ড মূল্যের বৃত্তি।

যে যে নথি প্রয়োজন: একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট। পারসোনাল স্টেটমেন্ট। রেফারেন্স (একাধিক)। পারিবারিক আয়ের সনদ।

অ্যাপ্লাই করতে কিউআর কোডটি স্ক্যান করুন। 

৪. ইউসিএল গ্লোবাল আন্ডারগ্র্যাজুয়েট স্কলারশিপ
ইউসিএল গ্লোবাল আন্ডারগ্র্যাজুয়েট স্কলারশিপ দেয় ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন (ইউসিএল)। পূর্ণ সময়ের স্নাতক অধ্যয়নের জন্য স্বল্প আয়ের পরিবারের বিদেশি শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করার জন্যই এ বৃত্তি।

আবেদনের যোগ্যতা: বিদেশি ছাত্র হিসেবে ফ্রি পড়াশোনার জন্য তালিকাভুক্ত হতে হবে। নিম্ন আয়ের পরিবারের সদস্য হতে হবে। ইউসিএলে পূর্ণ সময়ের স্নাতক ডিগ্রির জন্য আবেদনকারী হতে হবে। আর্থিক প্রয়োজনীয়তা প্রদর্শন করতে হবে। নির্বাচিত প্রোগ্রামের জন্য একাডেমিক প্রয়োজনীয়তা পূরণ করতে হবে। ইংরেজি ভাষার দক্ষতার প্রমাণপত্র দিতে হবে।

বৃত্তির অর্থ: সম্পূর্ণ টিউশন ফি মিলবে। বার্ষিক জীবনধারণের ব্যয় পাবেন। আংশিক ভ্রমণ খরচও মিলবে।

যে যে নথি প্রয়োজন: আর্থিক অবস্থার বিবরণী (যেমন পরিবারের আয়)। একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট। পারসোনাল স্টেটমেন্ট। রেফারেন্স (একাধিক)। ইংরেজি ভাষার দক্ষতার প্রমাণ।  অ্যাপ্লাই করতে কিউআর কোডটি স্ক্যান করুন।

৫. আম্বার স্কলারশিপ
যুক্তরাজ্যের কয়েকটি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় আম্বার স্কলারশিপ দেয়। বৃত্তিটি এমন ছাত্রদের জন্য যারা ব্যতিক্রমী একাডেমিক কৃতিত্বের অধিকারী। এই বৃত্তির লক্ষ্য শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন পূরণে আর্থিক সহায়তা দেওয়া।

আবেদনের যোগ্যতা: স্বীকৃত কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী হতে হবে। ন্যূনতম জিপিএ-৩ বা সমতুল্য থাকতে হবে। নিজে কমিউনিটির সঙ্গে সম্পৃক্ততা থাকতে হবে। একটি প্রবন্ধ জমা দিতে হবে।

বৃত্তির অর্থ: ১৫ হাজার পাউন্ডের বৃত্তি।

যে যে নথি প্রয়োজন: একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট। পারসোনাল স্টেটমেন্ট। রিকমেন্ডেশন লেটার। সম্প্রদায়ের সেবা বা সম্পৃক্ততার প্রমাণ। ইংরেজি ভাষার দক্ষতার প্রমাণ। অ্যাপ্লাই করতে কিউআর কোডটি স্ক্যান করুন।

স্কলারশিপের জন্য আবেদন কীভাবে
যুক্তরাজ্যের এই পাঁচ বৃত্তিতে আবেদনের কিছু সাধারণ পদক্ষেপ আছে। এগুলো হলো-
গবেষণা: এসব স্কলারশিপের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে অধ্যয়নের ক্ষেত্র, যোগ্যতার মানদণ্ডসহ সব বিষয়ে খোঁজ নিতে হবে।
কাগজপত্র প্রস্তুত করুন: ট্রান্সক্রিপ্ট, প্রবন্ধ এবং রিকমেন্ডশনের চিঠির মতো প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করে রাখুন।
আবেদন করুন: কিছু কিছু ক্ষেত্রে এক আবেদনেই অনেক বৃত্তির আবেদন হয়ে যায়। আবার কিছু কিছু বৃত্তির জন্য আলাদা আবেদনের প্রয়োজন।
সংগঠিত থাকুন: আবেদনপ্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে পরিকল্পনা করুন এবং সময়সীমার ওপর নজর রেখে চলুন।

 কলি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অদ্ভুত সব চত্বর

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৪:০৯ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৪:০৯ পিএম
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অদ্ভুত সব চত্বর
টুকিটাকি চত্বর

রাস্তার দুই ধার আর বিশাল ভবনের ফাঁকে ফাঁকে মনোহর সব দৃশ্য নজর কাড়ে। কোথাও হলুদ, কোথাও লাল কিংবা গোলাপি আবার কোথাও বা সবুজ ঘাস আর ফুলের বাহারি রং মিলেমিশে একাকার। নয়নাভিরাম সব ফুলের বাগান, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশ, সাজানো গোছানো অঙ্গন। আর এসব দৃশ্য ছাপিয়ে অনেকেরই চোখ কপালে ওঠার দশা। কারণ পুরো জায়গার আড্ডাস্থলের বাহারি সব নাম। ইবলিশ চত্বর! ভকেট চত্বর! রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসজুড়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে এমন সব অদ্ভুত নামের চত্বর।

চত্বরগুলো মূলত শিক্ষার্থীদের আড্ডাস্থল। এসব চত্বরই ক্যাম্পাসের প্রাণ। ক্যাম্পাস বন্ধ থাকলেও আড্ডার বিরাম নেই এসব চত্বরে। চত্বর ফাঁকা মানেই ক্যাম্পাস প্রাণহীন মরুভূমি। শিক্ষার্থীদের আড্ডায় এসব চত্বরে প্রাণ আসে। নিত্যনতুন অভিজ্ঞতা, রাজনীতি-অর্থনীতি, প্রেম-ভালোবাসা, বিরহ, ক্লাস-পরীক্ষা এমন কিছু বাদ যায় না চত্বরের আড্ডায়। চলুন এবার ক্যাম্পাস ঘুরে দেখি আর কী চত্বর রয়েছে এখানে।

টুকিটাকি চত্বর
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণকেন্দ্র হিসেবেই পরিচিত টুকিটাকি চত্বর। চারপাশে একাডেমিক ভবনগুলোর ঠিক মাঝে টুকিটাকি চত্বরের অবস্থান। রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের আনাগোনায় সবসময়ই সরগরম থাকে চত্বরটি। কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের মূল ফটকের সামনেই এর অবস্থান। জানা যায়, এখানে অবস্থিত টুকিটাকি জেনারেল স্টোরের নাম অনুসারেই এ চত্বরের নামকরণ হয়েছে।

ভকেট চত্বর
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে পরিচিত ও আলোচিত ভকেট চত্বর। কিছু শিক্ষার্থীর কাছে ভকেট চত্বরের পরিচিতি থাকলেও তা এখন প্রায় বিলুপ্ত। মন্নুজান হল ও সিরাজী ভবনের মাঝের জায়গাটি বর্তমানে জরিনার মার্কেট নামে পরিচিত, এই জায়গাতেই ছিল আলোচিত ভকেট চত্বর। 
জানা যায়, ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী শাহীন এই চত্বরের প্রতিষ্ঠাতা। ২০০৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর ভকেট কাউন্সিলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।

রোকেয়া চত্বর
ক্যাম্পাসের ছেলেমেয়েদের কাছে আগ্রহের জায়গা রোকেয়া চত্বর। বিশ্ববিদ্যালয়ের হৃদয় বলে পরিচিত এই চত্বর পশ্চিমপাড়ায় রোকেয়া হলসংলগ্ন বটতলায়। হলের সামনের গোল চত্বরের নামানুসারেই লোকমুখে এটি রোকেয়া চত্বর হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। সন্ধ্যাবেলা এখানে ভিড় জমে ওঠে বন্ধু-বান্ধব আর প্রেমিক জুটিদের আড্ডায়।

প্রেমবঞ্চিত চত্বর
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেমবঞ্চিত শিক্ষার্থীরা ২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠা করে প্রেমবঞ্চিত চত্বর। এই চত্বরটি বিশ্ববিদ্যালয়ের টুকিটাকি চত্বরের পাশেই অবস্থিত। ক্লাসের ফাঁকে ফাঁকে প্রেমবঞ্চিতরা এখানে আড্ডা জমান। প্রতিবছর ১৪ ফেব্রুয়ারি প্রেমের সুষম বণ্টনের দাবিতে তারা বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে থাকেন।
ইবলিশ চত্বর
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে পুরোনো ও জনপ্রিয় ইবলিশ চত্বর। ক্যাম্পাসের কাজলা গেট দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে সোজা উত্তরে আম বাগান পেরিয়ে বিশাল মাঠ। আর এই মাঠকেই বলা হয় ইবলিশ চত্বর। ১৯৮৩ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মামুনুর রশীদের লেখা, মলয় ভৌমিকের নির্দেশনা ও অনুশীলন নাট্যদলের প্রযোজনায় ইবলিশ নাটক কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে মঞ্চস্থ হয়। নাটকটি দর্শকপ্রিয় হওয়ায় ক্যাম্পাসে অভিনেতাদের ইবলিশ সম্বোধন করা হতো। ওই সময়ে নাট্যদলের কর্মীদের আড্ডার স্থান ছিল  এই ইবলিশ চত্বর। এই আড্ডার কারণেই  সবার মুখে মুখে স্থানটি ইবলিশ চত্বর হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।

প্রেম চত্বর
মন্নুজান হলের সামনের চত্বরটির নাম ছিল প্রেম চত্বর। জানা যায়, এখানে প্রকাণ্ড আকৃতির আমগাছ ছিল এবং জুটিরা নিরাপদে বসে চুটিয়ে সকাল-বিকেল প্রেমের আলাপে ব্যস্ত থাকত। আর এ কারণেই এই চত্বরের নাম হয় প্রেম চত্বর। তবে এখন সিরাজী ভবনের পেছনের দিকের সংকুচিত স্থানটিকে প্রেম চত্বর নামে ডাকেন শিক্ষার্থীরা। কারণ এখানে এখনো প্রেমিক জুটিদের মন দেওয়া-নেওয়া চলে নিরাপদেই।

ফোকলোর চত্বর
এটা ইবলিশ চত্বরের একাংশের নাম। এটি বহুল পরিচিত একটি চত্বর। ইবলিশ চত্বর নামটি বিলুপ্ত করার জন্য ১৯৯৮ সালে কৃষ্ণচূড়া এবং রাধাচূড়া গাছের চারা রোপণের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে এই চত্বরের নাম রাখা হয় ফোকলোর চত্বর। পরে ২০০৩ সালে একটি সাইনবোর্ড ঝুলানো হয়। কিন্তু আজও ইবলিশ চত্বর নামটি সবার মুখে মুখে রয়ে গেছে।

মিডিয়া চত্বর
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ফটকের সামনের জায়গাটি মিডিয়া চত্বর নামে পরিচিত। এই চত্বরটি রাবি রিপোর্টার্স ইউনিটির অস্থায়ী কার্যালয় বলা হতো। ক্যাম্পাসে স্থায়ী জায়গা পাওয়ার আগে তারা এখানে বসে কাজ করত। সারি সারি মেহগনি বাগানের ছায়ায় ঢাকা এই চত্বর।

বিসিএস চত্বর
কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের রিডিং রুমের দক্ষিণ পাশের ফুলের বাগানের স্থানটি বিসিএস চত্বর। এখানে শিক্ষার্থীরা বিসিএসসহ অন্যান্য চাকরির পরীক্ষার পড়াশোনা করে থাকেন। যার কারণে এই নামকরণ। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এই স্থানটিতে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের পদচারণা থাকে।

এ ছাড়া ক্যাম্পাসে আরও রয়েছে লোকপ্রশাসন চত্বর, জারজিস চত্বর, লিপু চত্বর, ক্যাম্পাস বাউলিয়ানা চত্বর, জোহা চত্বর, শহিদ মিনার চত্বর, বুদ্ধিজীবী চত্বর, স্বজন চত্বর, টিএসসিসি চত্বর, পলাশ চত্বর, ইতিহাস চত্বর, বিবি চত্বর, পাবনা চত্বর, নগর রাষ্ট্র, ইনফরমেশন অ্যান্ড নলেজ কর্নার, সংস্কৃতায়ন অঞ্চল, সিএসই নেটওয়ার্ক, অস্থিরপুর, এমজিএম শাহরিয়ার মেমোরিয়াল হাউস, পরিবহন মার্কেট, ফারসি চত্বরসহ আরও অনেক চত্বর।

কলি

প্রত্যয় স্কিম বাতিল কর্মসূচিতে অনড় জবি শিক্ষকরা

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৩:৫০ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৩:৫১ পিএম
প্রত্যয় স্কিম বাতিল কর্মসূচিতে অনড় জবি শিক্ষকরা
ছবি : খবরের কাগজ

সর্বজনীন পেনশন স্কিম সংক্রান্ত ‘বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন’ প্রত্যাহার এবং প্রত্যয় স্কিম বাতিল করে আগের পেনশন স্কিম চালু রাখার দাবিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষকদের কর্মসূচি চলছে।

রবিবার (৭ জুলাই) আবারও বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলন কর্মসূচি পালিত হয়। 

শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন কোনো আন্দোলন কর্মসূচি না থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কোর্সের ক্লাস-পরীক্ষা এবং অন্য দাপ্তরিক কাজ বন্ধ ছিল।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. শেখ মাশরিক হাসান বলেন, ‘এই স্কিমে ক্ষতিগ্রস্ত হবে ভেবেই শিক্ষকরা আন্দোলনে নেমেছেন। আমরা আমাদের জন্য আন্দোলন করছি না, আমাদের শিক্ষার্থীদের জন্যই এ আন্দোলন। এখন পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে আলোচনার জন্য ডাকেনি। আমাদের প্রত্যাশা, সরকার থেকে দ্রুত আলোচনার জন্য ডাকা হবে। তা না হলে আমাদের আন্দোলন চলবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। জ্ঞান সৃষ্টি এবং বিতরণ আমাদের মূল কাজ। ছাত্র-ছাত্রীরা আমাদের প্রাণ; বই ,খাতা, কলম, গবেষণা নিয়ে থাকতে চাই। শ্রেণিকক্ষ ও গবেষণাগারই আমাদের ঠিকানা। আমরা ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে ফিরতে চাই। শিক্ষকদের মান-মর্যাদা রক্ষা, বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষাকে  ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষার জন্য বৈষম্যমূলক পেনশন প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার চাই।’

গেল ১৩ মার্চ অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে প্রত্যয় স্কিমের প্রজ্ঞাপন জারির পর এটিকে বৈষম্যমূলক উল্লেখ করে এর বিরুদ্ধে সরব হন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। কিছু কর্মসূচি পালনের পরও দাবির বিষয়ে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় ১ জুলাই থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে যান তারা।

মুজাহিদ বিল্লাহ/জোবাইদা/অমিয়/