ঢাকা ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪

ভোক্তা-অধিকার ও স্কিনকেয়ার অ্যান্ড বিউটি প্রোডাক্টসের চুক্তি

প্রকাশ: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৪:২৫ পিএম
আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০২:০৩ এএম
ভোক্তা-অধিকার ও স্কিনকেয়ার অ্যান্ড বিউটি প্রোডাক্টসের চুক্তি
ছবি : বিজ্ঞপ্তি

জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও অ্যাসোসিয়েশন অব স্কিনকেয়ার অ্যান্ড বিউটি প্রোডাক্টস ম্যানুফ্যাকচার্স অ্যান্ড ইমপোর্টার্স অব বাংলাদেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।

বুধবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।  

অধিদপ্তরের পক্ষে মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান এবং অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে এর আহ্বায়ক আশরাফুল আম্বিয়া স্বাক্ষর করেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন রিমার্ক এইচবি লিমিটেড ও হারল্যানের পরিচালক চিত্রনায়ক শাকিব খান। আরও উপস্থিত ছিলেন অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান ও পরিচালক (কার্যক্রম ও গবেষণাগার) ফকির মুহাম্মদ মুনাওয়ার হোসেনসহ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের কর্মকর্তা, অ্যাসোসিয়েশনের অন্য সদস্যরা।

অনুষ্ঠানের শুরুতে অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক আশরাফুল আম্বিয়া বলেন, ‘মানসম্মত প্রসাধনী প্রস্তুতকরণ ও বাজারজাতকরণে দেশীয় উদ্যোক্তাদের অ্যাসোসিয়েশন উদ্বুদ্ধ করবে।’ তিনি ভোক্তা সাধারণকে সচেতন করার লক্ষ্যে অধিদপ্তরের প্রচারণামূলক কাজে সহযোগিতা করার দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, ‘ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ এবং ভোক্তা-অধিকারবিরোধী কার্য প্রতিরোধের লক্ষ্যে অধিদপ্তর মূলত তিন ধরনের কাজ করে থাকে; প্রতিরোধমূলক কার্যক্রম হিসেবে বাজার তদারকি, প্রতিকারমূলক কার্যক্রম হিসেবে অভিযোগ নিষ্পত্তি এবং ভোক্তা সাধারণকে সচেতন করার লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রচারণামূলক কার্যক্রম।’ অধিদপ্তরের প্রচারণামূলক কার্যক্রমে সবার সম্পৃক্ততা কামনা করেন তিনি। এ ছাড়া দেশীয় শিল্পকে এগিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি নকল-ভেজাল প্রসাধনী সংশ্লিষ্ট অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন।

অধিদপ্তরের সার্বিক কার্যক্রমের প্রশংসা করে শাকিব খান বলেন, ‘মানুষ ভালোবেসে প্রসাধনী কেনে নিজেকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার জন্য। কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ীর জন্য ভালোবাসার এই পণ্য যেন ত্বকের ক্যানসারের মতো বিভিন্ন রোগ না নিয়ে আসে।’ সে লক্ষ্যে অধিদপ্তর কর্তৃক ভোক্তা সাধারণকে সচেতন করার মহতি কার্যক্রমে তিনি পাশে থাকার আগ্রহ প্রকাশ করেন।

জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধিদপ্তর গৃহীত বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে সকলকে অবগত করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা প্রতিনিয়ত ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণে কাজ করে যাচ্ছি; কিন্তু এ ক্ষেত্রে সফল হতে হলে প্রয়োজন ভোক্তাদের সচেতনতা ও সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা। এই সচেতনতার অংশ হিসেবে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের আয়োজন করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ভোক্তাদের অধিকার নিশ্চিত করা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণ এবং প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের স্মার্ট বাংলাদেশের অংশ হিসেবে অধিদপ্তর যুগোপযোগী পদক্ষেপের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিচ্ছে এবং ভোক্তাদের সচেতন করার চেষ্টা করছে। অধিদপ্তরের নিজস্ব ফেসবুক পেজ, ইউটিউব চ্যানেল, সিসিএমএসের (Consumer Complaint Management System) মাধ্যমে অভিযোগ দায়ের করা এই পদক্ষেপেরই প্রকৃষ্ট উদাহরণ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে সহজে স্বল্প সময়ে অধিকসংখ্যক ভোক্তাকে সচেতন করা যাচ্ছে।’

আলোচনায় মহাপরিচালক অধিদপ্তর কর্তৃক পরিচালিত অভিযানে কসমেটিকস পণ্যের ক্ষেত্রে প্রাপ্ত অসঙ্গতি যথা কসমেটিকস পণ্যের মোড়কে আমদানিকারকের তথ্য এবং সর্বোচ্চ খুচরা বিক্রয় মূল্য, উপাদান, পরিমাণ, ব্যবহারবিধি, উৎপাদনের তারিখ ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ উল্লেখ না থাকা, প্রাইসগান মেশিনের সাহায্যে খুচরা বিক্রেতা নিজেই সর্বোচ্চ খুচরা বিক্রয় মূল্য প্রদান করা, আমদানিকারক কর্তৃক প্রদত্ত সর্বোচ্চ খুচরা বিক্রয় মূল্য কেটে অধিক মূল্য লেখা, বিদেশি পণ্য নকল করে দেশের অভ্যন্তরে তৈরি করে বিদেশি পণ্য হিসেবে বিক্রয় করা হয়, নকল কসমেটিকস পণ্যের ক্ষেত্রে সঠিক মানদণ্ড না থাকা এবং বিএসটিআই কর্তৃক নিষিদ্ধ/অনুমোদনহীন ফেস ক্রিম, হোয়াইটেনিং ক্রিমসহ অন্যান্য কসমেটিকস বিক্রির বিষয় তুলে ধরেন।

সভায় মহাপরিচালক বলেন, ‘সব কসমেটিকস প্যাকেটজাত। সেক্ষেত্রে মোড়কজাতকরণ বিধিমালা অনুসরণ করে পণ্য বিক্রির ব্যবস্থা নিতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় বিদেশি কসমেটিকসের ক্ষেত্রে আমদানিকারকের তথ্য থাকে না এবং আমদানিকারক কর্তৃক এমআরপি দেওয়া হয় না। এ ছাড়াও কসমেটিকস পণ্যে বিষাক্ত কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয় যা ভোক্তার ত্বকের ক্ষতি করছে।’

তিনি বলেন, ‘অধিদপ্তর ভোক্তার পাশাপাশি ব্যবসায়ীদেরও সুরক্ষা দেয়। দেশীয়ভাবে প্রসাধনী প্রস্তুতকরণ ও বাজারজাতকরণের উদ্যোগকে আমরা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে স্বাগত জানাই। কেননা এর মাধ্যমে দেশের বিপুল সংখ্যক কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘অ্যাসোসিয়েশন অব স্কিনকেয়ার অ্যান্ড বিউটি প্রোডাক্টস ম্যানুফ্যাকচার্স অ্যান্ড ইমপোর্টার্স অব বাংলাদেশের পক্ষ থেকে নকল কসমেটিকসের তথ্য দিলে অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে অভিযান পরিচালনা করার মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভোক্তা স্বার্থ বিবেচনায় জনসচেনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে অধিদপ্তর ও অ্যাসোসিয়েশনের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর, অধিদপ্তরের প্রচারণা কার্যক্রমের জন্য মাইলফলক হয়ে থাকবে।’

বিজ্ঞপ্তি/সালমান/

বেঙ্গল সিমেন্টের সিওও হলেন ড. খন্দকার আতাউর রহমান

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৫:৫৩ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৫:৫৩ পিএম
বেঙ্গল সিমেন্টের সিওও হলেন ড. খন্দকার আতাউর রহমান
ড. খন্দকার আতাউর রহমান রিফাত

দেশের অন্যতম নির্মাণসামগ্রী উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ প্রতিষ্ঠান বেঙ্গল সিমেন্ট লিমিটেডের চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) পদে যোগ দিয়েছেন ড. খন্দকার আতাউর রহমান রিফাত। 

সম্প্রতি আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে খন্দকার আতাউরকে স্বাগত জানান বেঙ্গল গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মো. মোরশেদ আলম (এমপি), ভাইস চেয়ারম্যান মো. জসিম উদ্দিন এবং প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। 

২৯ বছরের দীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি হুন্দাই সিমেন্ট, সিমেক্স সিমেন্ট, মেঘনা গ্রুপ, লাফার্জ-হোলসিম বাংলাদেশ, আমান সিমেন্ট, মেট্রোসেম গ্রুপে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।  

ড. খন্দকার আতাউর রহমান রিফাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স ও মাস্টার্স শেষ করে এমবিএ ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। 

বিজ্ঞপ্তি/সালমান/

পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্সের ২৮তম বার্ষিক সাধারণ সভা

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৫:১৪ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৫:১৪ পিএম
পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্সের ২৮তম বার্ষিক সাধারণ সভা
ছবি : বিজ্ঞপ্তি

পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ২৮তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার (৭ জুলাই) কোম্পানির চেয়ারম্যান সৈয়দ নাসিম মঞ্জুরের সভাপতিত্বে ভার্চ্যুয়ালি এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় কোম্পানির পরিচালক তপন চৌধুরী, আলমগীর শামসুল আলামিন, সিলভানা সিকদার, সাঞ্চিয়া চৌধুরী, পারভিন আখতার, রোজিনা আফরোজ, শফিকুল ইসলাম খান, সংসদ সদস্য লে. কর্নেল (অব.) মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বীর প্রতীক, জাকির আহমেদ খান, মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ শাহরিয়ার আহসান, কোম্পানি সচিব এসএম মিযানুর রহমানসহ শেয়ারহোল্ডাররা যুক্ত ছিলেন।

২০২৩ সালে কোম্পানিটি প্রিমিয়াম আয় করেছে ৩০৫.৫০ কোটি টাকা এবং কর পরবর্তী মুনাফা অর্জন করেছে ৪৮.৬০ কোটি টাকা। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে ২০২৩ সালের জন্য ৩০ শতাংশ ডিভিডেন্ড (২০ শতাংশ ক্যাশ ও ১০ শতাংশ স্টক)-সহ অন্যান্য সব আলোচ্যসূচি অনুমোদন করা হয়। কোম্পানির সামগ্রিক সাফল্যের জন্য শেয়ারহোল্ডাররা সন্তোষ প্রকাশ করেন।

এ সময় কোম্পানিটির চেয়ারম্যান পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের পক্ষে শেয়ারহোল্ডারদের তাদের সর্বাত্মক সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানান। তিনি কোম্পানির সার্বিক সাফল্যের জন্য সর্বস্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের প্রশংসা করেন এবং ভবিষ্যতেও তাদের এ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার পরামর্শ দেন।

বিজ্ঞপ্তি/সালমান/

‘বেস্ট ক্লাইমেট ফোকাস ব্যাংক’ স্বীকৃতি পেল ইবিএল

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৪:৫৫ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৪:৫৫ পিএম
‘বেস্ট ক্লাইমেট ফোকাস ব্যাংক’ স্বীকৃতি পেল ইবিএল
ছবি : বিজ্ঞপ্তি

সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত ২৪তম জাতীয় সম্মেলন ও গ্রিন এক্সপোতে ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসিকে (ইবিএল) বেস্ট ক্লাইমেট ফোকাস ব্যাংক হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

পরে ইবিএলের প্রধান কার্যালয়ে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলী রেজা ইফতেখারের হাতে পুরস্কারের ট্রফি তুলে দেন গ্রিন টেক ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক লুতফর রহমান।

এ সময় গ্রিন টেক ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা একিউএম কিবরিয়া ও পরিচালক (অর্থ) ইমরুল করিম; ইবিএলের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ শাহীন, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং প্রধান ঝুঁকি কর্মকর্তা এম খোরশেদ আলম এবং ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রধান সাইফুল ইসলামসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞপ্তি/সালমান/

রপ্তানি প্রনোদনা কমানোর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে টেক্সটাইল ও অ্যাপারেল খাতে: বিটিএমএ সভাপতি

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০১:২৫ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০১:২৫ পিএম
রপ্তানি প্রনোদনা কমানোর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে টেক্সটাইল ও অ্যাপারেল খাতে: বিটিএমএ সভাপতি

বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন বলেছেন, টেক্সটাইল খাতসহ সব ধরনের রপ্তানিতে দ্বিতীয়বারের নগদ সহায়তা কমিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের অজুহাতে এই প্রণোদনা কমানো হলে টেক্সটাইল খাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। এতে অনেক প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করার সক্ষমতা হারিয়ে ফেলবে। টেক্সটাইল খাত বাঁচানোর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের এ সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানান তিনি।

শনিবার (৬ জুলাই) বিটিএমএ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। 

তিনি বলেন, দেশে ৫১৯টি স্পিনিং মিল, ৯৩০টি উইভিং মিল এবং ৩২২টি ডাইং-প্রিন্টিং-ফিনিশিং মিল রয়েছে। গত চার দশকে এ খাতে মোট বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল প্রায় ২২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থাৎ আড়াই লাখ কোটি টাকারও বেশি, যা একক খাত হিসেবে বাংলাদেশে সর্বোচ্চ। জিডিপিতে টেক্সটাইল এবং অ্যাপারেল সেক্টরের অবদান প্রায় ১৩ শতাংশ।

তিনি বলেন, গত ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে দেশের মোট রপ্তানি আয়ের প্রায় ৮৬ শতাংশ টেক্সটাইল ও অ্যাপারেল সেক্টর থেকে অর্জিত হয়েছে, যাতে বিটিএমএ সদস্যরা প্রায় ৭০ শতাংশের জোগানদাতা। বর্তমানে বিটিএমএর সদস্য মিলগুলো তৈরি পোশাক শিল্পের মধ্যে নিট খাতের প্রয়োজনীয় সুতার প্রায় ৯০ শতাংশ এবং উইভিংয়ে ৪৫ শতাংশ সরবরাহ করছে। এ ছাড়াও বিটিএমএর সদস্য মিলগুলো ডেনিম, হোম টেক্সটাইল ও টেরি টাওয়ালের শতভাগ দেশীয় চাহিদা পূরণ করে রপ্তানি আয়ে ব্যাপক অবদান রাখছে। বিটিএমএর সদস্য মিলগুলোর তৈরি ডেনিম পোশাক যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ব্যাপকভাবে সমাদৃত।

তিনি বলেন, দুঃখের বিষয় এ সেক্টরটি বিগত ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে জ্বালানিসংকটের জন্য স্বাভাবিক উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছে না। বিগত কয়েক মাস যাবৎ তীব্র গ্যাসসংকটের কারণে মিলগুলো উৎপাদন ক্ষমতার মাত্র ৪০ থেকে ৫০ শতাংশের বেশি ব্যবহার করতে পারছে না। এতে সুতা ও কাপড়ের উৎপাদন ব্যাপকভাবে হ্রাস পাওয়ায় উৎপাদন খরচ প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। এতে প্রতিযোগী দেশগুলোর সঙ্গে এ খাতের প্রতিযোগিতার সক্ষমতা মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন হচ্ছে। এর প্রভাব পড়ছে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে। টেক্সটাইলশিল্পে উৎপাদন খরচ বাড়াতে আমাদের স্থানীয় বাজারও বিদেশিদের হাতে চলে যাচ্ছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

এ খাতের বর্তমানে চ্যালেঞ্জ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইডিএফ ফান্ডের পরিমাণ ৩০ মিলিয়ন ডলার থেকে কমিয়ে ২০ মিলিয়ন ডলার করা হয়েছে। ব্যাংক সুদের হার বেড়ে প্রায় ১৪ দশমিক ৫ শতাংশ হওয়ায় আগের চাইতে ৪৮ থেকে ৬৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সঙ্গে শ্রমিক মজুরি ৭০ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে। একই সঙ্গে ডলারসংকটের কারণে ওয়ার্কিং ক্যাপিটালের প্রায় ৪০ শতাংশ ঘাটতি হয়েছে। তুলা ও অন্যান্য কাঁচামাল আমদানিতে এলসি খুলতে ব্যাংগুলোর অনীহা লক্ষ্য করা যাচ্ছে বলে তিনি জানান।

এদিকে রপ্তানির তথ্যে ১০ বিলিয়ন ডলারের গরমিল ধরা পড়ার পর বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হয়। সরকারের সংশ্লিষ্টরা একপক্ষ অন্যপক্ষকে দায়ী করে চলেছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে দেওয়া তথ্য কতটা ঠিক তা খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এরই মধ্যে এনবিআরের কর্মকর্তাদের নিয়ে এ বিষয়ে কাজ করতে একাধিক কমিটি গঠন করা হয়েছে। এনবিআর সূত্রে জানা যায়। 

সূত্র জানায়, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)- কোনো পক্ষই এর দায় নিজেদের কাঁধে নিতে চাচ্ছে না।

জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ-প্রাইম ব্যাংক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর

প্রকাশ: ০৬ জুলাই ২০২৪, ০৫:৪৫ পিএম
আপডেট: ০৬ জুলাই ২০২৪, ০৫:৪৫ পিএম
জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ-প্রাইম ব্যাংক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর

জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের (এনপিএ) সঙ্গে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে বেসরকারি প্রাইম ব্যাংক পিএলসি।

গত বুধবার (৩ জুলাই) এই দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এ সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

অনুষ্ঠানে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের (এনপিএ) নির্বাহী চেয়ারম্যান কবিরুল ইজদানী খান এবং প্রাইম ব্যাংক পিএলসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হাসান ও রশীদ নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।

এই সমঝোতা চুক্তির ফলে এখন থেকে প্রাইম ব্যাংক জাতীয় পেনশন স্কিমের আওতায় পেনশনধারীদের কাছ থেকে অনলাইন ও অফলাইনে মাসিক কিস্তি সংগ্রহ করতে পারবে।

অর্থ সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। 

এ ছাড়াও জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ ও প্রইম ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞপ্তি/অমিয়/