রংপুরে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র জালিয়াতির অভিযোগে চক্রের ৪৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৮০টি ডিভাইস উদ্ধার করা হয়।
শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মনিরুজ্জামান এসব তথ্য জানান।
তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা দল ও থানা পুলিশ বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) রাত থেকে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রশ্নপত্র জালিয়াতি চক্রের পাঁচ সদস্যসহ এবং শুক্রবার পরীক্ষা চলাকালে পরীক্ষার হল থেকে তিনজন শিক্ষক ও ১১ শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে ৮০ ডিভাইস, অসংখ্য মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। এই চক্রটি রংপুরসহ বিভিন্ন জেলায় ও দেশে প্রশ্নপত্র জালিয়াতি চক্রের সঙ্গে জড়িত।
মনিরুজ্জামান জানান, প্রতিটি ডিভাইসের ওপর শিক্ষার্থীদের নাম লেখা একটি করে খাম রয়েছে। হলে ঢোকার পরে খুব দূরে চক্রের সদস্য্রা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে অন্য সদস্যদের সরবরাহ করে। পরে তারা কন্টাক্ট করা শিক্ষার্থীদের ডিভাইসের মাধ্যমে প্রশ্নের উত্তরগুলো জানিয়ে দেয়। এর বিনিময়ে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে চক্রটি মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নেয়। চক্রটির সদস্যদের গ্রেপ্তারের পর তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হল থেকে পরীক্ষার্থীদের এবং সহায়তাকারী শিক্ষকদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের রিমান্ডে নিয়ে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তবে গ্রেপ্তার ৪৬ জনের নাম-পরিচয় জানাননি তিনি।
এ বিষয়ে রংপুর প্রাথমিক বিভাগীয় শিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক মুজাহিদুল ইসলাম জানান, জালিয়াতিতে যদি শিক্ষক এবং শিক্ষা ডিপার্টমেন্টের কোনো কর্মকর্তার জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ঘটনায় পরীক্ষা স্থগিত বা বাতিল হবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটিকে আমরা প্রশ্নপত্র ফাঁস বলতে পারছি না। চক্রটি প্রশ্নপত্র জালিয়াতির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কাছে ডিভাইসের মাধ্যমে উত্তর সরবরাহ করেছে। তারপরও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সব সিদ্ধান্ত নেওয়ার মালিক।
এ সময় জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
রানা/জোবাইদা/