ঢাকা ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪

ভালোবাসায় মাতৃভাষা কিশোরগঞ্জের চার শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নেই শহিদ মিনার

প্রকাশ: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:০৬ পিএম
আপডেট: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:০৬ পিএম
কিশোরগঞ্জের চার শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নেই শহিদ মিনার

কিশোরগঞ্জের ২৭৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১৩৭টি মাদ্রাসা ও ২০টি মাধ্যমিক স্কুলে নেই শহিদ মিনার। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জায়গাসংকট, অর্থনৈতিক অভাবসহ নানা জটিলতায় এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের প্রতিবছর ভাষাশহিদ স্মরণে ফুল দিতে ছুটতে হয় অন্যত্র।

কোনো কোনো প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা চার-পাঁচ কিলোমিটার দূরে গিয়ে ভাষাশহিদদের স্মরণে ফুল দিয়ে আসে।

কোনো কোনো প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নেই শহিদ মিনার নির্মাণের জায়গা। শহরের বেশির ভাগ স্কুলে জায়গাসংকটের কথা বলছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে তমালতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শোলাকিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ জেলা শহরের বেশ কয়েকটি স্কুলে জায়গাসংকটের জন্য শহিদ মিনার নির্মাণ করা সম্ভব হচ্ছে না। বাকি স্কুলগুলোতে জায়গাসংকট না থাকলেও স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শহিদ মিনার নির্মাণের জন্য কোনো বরাদ্দ নেই। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলার হাওর অধ্যুষিত অঞ্চল মিঠামইন উপজেলায় ৮০ ভাগ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোনো শহিদ মিনার নেই। ২১ ফেব্রুয়ারিতে ফুল দিতে যেতে হয় সদর উপজেলায়।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেলায় মোট প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে ১ হাজার ৩২৮টি। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ১৪৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পাকুন্দিয়ায় ১৯৪টি, কটিয়াদিতে ১১৯টি, হোসেনপুরে ১১০টি, করিমগঞ্জে ১২৫টি, ভৈরবে ৯১টি, কুলিয়ারচরে ৭৪টি, নিকলিতে ৬০টি, বাজিতপুরে ১১১টি, অষ্টগ্রামে ৮৩টি, মিঠামইনে ৭৫টি, ইটনায় ৭৩টি ও তাড়াইলে ৭০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেলায় মোট মাদ্রাসা রয়েছে ১৪৫টি। কারিগরি স্কুলের সংখ্যা ১৭টি। উচ্চমাধ্যমিক/কলেজ রয়েছে ৪৫টি, স্কুল এবং কলেজ ২০টি ও জুনিয়র স্কুল রয়েছে ৪৫টি। এর মধ্যে ১৩৭টি মাদ্রাসা ও ২০টি মাধ্যমিক স্কুলে নেই শহিদ মিনার। বেশির ভাগ জুনিয়র স্কুল ও স্কুল অ্যান্ড কলেজে নেই শহিদ মিনার।

জেলা শহরের স্বনামধন্য ও প্রাচীন স্কুল সরকারি আদর্শ শিশু বিদ্যালয়। পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডে অবস্থিত। ১৯৬৭ সালে এই স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। স্কুল প্রাঙ্গণে পর্যাপ্ত জায়গা থাকলেও ভাষাশহিদ স্মরণে নেই শহিদ মিনার। স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের ফুল দিতে যেতে হয় গুরুদয়াল কলেজ প্রাঙ্গণে নির্মিত শহিদ মিনারে।

সরকারি আদর্শ শিশু বিদ্যালয়ে নাসিফা আফরিন জুঁই তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে। তিন বছরে তিনবারই অভিভাবক নিয়ে শহিদ মিনারে ফুল দিতে গেছে। সে জানায়, স্কুল প্রাঙ্গণে যদি একটি শহিদ মিনার থাকত, তাহলে আর কষ্ট করে গুরুদয়াল কলেজে যেতে হতো না। স্কুলের সবাইকে নিয়ে শহিদ মিনারে ফুল দেওয়া যেত। শিশু বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী জুঁই চায়, তাদের স্কুলে একটি শহিদ মিনার নির্মাণ করা হোক।

মো. ওয়াসি সরকারি আদর্শ শিশু বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। ওয়াসির মা সাদিয়া আশরাফ খবরের কাগজকে বলেন, ‘নির্দিষ্টসংখ্যক স্কাউট ছেলেমেয়েদের ২১ ফেব্রুয়ারিতে ফুল দেওয়ার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় গুরুদয়াল কলেজ মাঠে। তবে ছোট বাচ্চাগুলোকে নিয়ে আমরাই শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে যাই। স্কুলে শহিদ মিনার থাকলে হয়তো গুরুদয়াল কলেজের মাঠে ফুল দিতে যেতে হতো না। আমার বাচ্চা তো এ বছর পড়লেই শেষ। অন্য স্কুলে ভর্তি হবে সামনের বছর। তবে এই প্রাচীন স্কুলে এখনো শহিদ মিনার নির্মিত হয়নি, এটি দুঃখজনক। বাচ্চারা শহিদ মিনারের তাৎপর্য ও ভাষা আন্দোলন সম্পর্কে জানার আগ্রহ প্রকাশ করবে এবং জানবে- আমরা অভিভাবকরা তাই চাই। এ জন্য স্কুলে শহিদ মিনার নির্মাণ করা জরুরি। যেন সব বাচ্চা এই বাংলা ভাষাকে ভালোবাসে। মানসিকভাবে বাংলা ভাষার তাৎপর্য অনুধাবন ও ভাষার প্রতি সম্মানবোধ ছোটবেলা থেকে গড়ে ওঠে।’

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মজিব আলম খবরের কাগজকে বলেন, ‘সরকারিভাবে শহিদ মিনার নির্মাণে আমাদের কোনো বরাদ্দ দেওয়া হয় না। প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শহিদ মিনার নির্মাণের জন্য আমরা পদক্ষেপ নিচ্ছি। যেসব স্কুলে শহিদ মিনার নেই, সেই স্কুলগুলোতে শহিদ মিনার নির্মাণের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। শিক্ষানুরাগী বা এলাকার দানশীল কোনো ব্যক্তি যদি শহিদ মিনার নির্মাণে সহযোগিতা করেন, তাহলে আমরা আমাদের নিজস্ব তৎপরতায় সেই কাজ করতে চাই। এ বছর আমরা প্রত্যেকটি স্কুলে শহিদ মিনার নির্মাণ করার চেষ্টা করব।’

কাউন্সিলর আজাদের বাড়ির সিসি ক্যামেরার ফুটেজ প্রকাশের দাবি

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:১৩ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:১৩ পিএম
কাউন্সিলর আজাদের বাড়ির সিসি ক্যামেরার ফুটেজ প্রকাশের দাবি
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করছেন শেখ তাহমিনা রহমান। ছবি : খবরের কাগজ

সিলেট সিটি করপোরেশনের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের টানা পাঁচবারের কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদের বাসায় হামলার ঘটনাকে ‘নাটক’ দাবি করে স্থানীয় এক শ্রমিকের স্ত্রী বলেছেন, ‘গরুর হাটের টাকা ভাগ-বাটোয়ারাকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট ঝামেলা শ্রমিকদের ওপর চাপাতে কাউন্সিলর আজাদ নাটক মঞ্চস্থ করেছেন। তার বাড়ির সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করলে সত্য জানা যাবে।’ এ সময় তিনি ওই ফুটেজ প্রকাশের দাবি জানান। 

রবিবার (৭ জুলাই) দুপুরে সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এমন দাবি করেন টিলাগড়ের কল্যাণপুর এলাকার শেখ নাঈমুর রহমান রাব্বির স্ত্রী শেখ তাহমিনা রহমান। 

তার দাবি অনুযায়ী, কোরবানির পশুর হাটের পারিশ্রমিক চাওয়ায় কাউন্সিলরের লোকজন হামলা করে শিশুসহ কয়েকজনকে আহত করেন। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তে কাউন্সিলরের বাসার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ যাচাই করতে হবে। যদিও চোরাকারবারিদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় গত ২৭ জুন তার বাড়িতে হামলা হয়েছিল বলে দাবি করেছিলেন কাউন্সিলর আজাদ। তবে খবরের কাগজের অনুসন্ধানে উঠে এসেছিল, কোরবারির হাটের চোরাই গরুর লাভের টাকার ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরেই এই হামলা।

লিখিত বক্তব্যে তাহমিনা রহমান বলেন, ‘টিলাগড় গরুর বাজারের শ্রমিক হিসেবে আমার স্বামী শেখ নাঈমুর রহমান রাব্বি এবং স্থানীয় সামাদ, নাসির, রিয়াজ, বুরহান, রুবেলসহ আরও অনেকে কাজ করেছেন। কিন্তু বাজারের মূল ব্যক্তি কাউন্সিলর আজাদ তাদের পারিশ্রমিক দেননি। টাকা চাওয়ায় উল্টো ক্ষিপ্ত হন।’

শেখ তাহমিনার অভিযোগ, ‘এরই জের ধরে গত ২৭ জুন কাউন্সিলরের ভাতিজা চিহ্নিত সন্ত্রাসী সাদিকুর রহমান আজলার নেতৃত্বে আমাদের বাসাসহ অন্তত তিন শ্রমিকের বাসায় হামলা হয়। এমনকি আমার কোলের শিশুকে কেড়ে নিয়ে মাটিতে ছুড়ে মারে।’ 

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, ‘রাত প্রায় ২টার দিকে হঠাৎ করে আজলা, অনিল, আজিজুর, নাঈম, জুনেদ, আব্দুল্লাহর নেতৃত্বে একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী বাহিনী আমাদের বাসার দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে ভাঙচুর চালায়। অস্ত্র ঠেকিয়ে আমার স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেয়। সম্ভ্রমহানির চেষ্টা চালায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘পরদিন প্রাণভয়ে আমরা সুনামগঞ্জে বাবার বাড়িতে চলে যাই। সেখানেও তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে আবারও সিলেট শহরে এসে গোপনে এক আত্মীয়ের বাসায় আশ্রয় নিই।’ একই রাতে সন্ত্রাসীরা গরুর বাজারের বকেয়া টাকা চাওয়া শ্রমিক সামাদের শাপলাবাগের বাসায় ও নাসিরের বাসায় একইভাবে অতর্কিত হামলা ও ভাঙচুর করেছে বলে দাবি করেন তিনি।

মুন্সীগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যানকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৭:০০ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৭:০০ পিএম
মুন্সীগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যানকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা
পাঁচগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের সুমন হালদার

মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার পাঁচগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের সুমন হালদারকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।

রবিবার (৭ জুলাই) দুপুর ১টার দিকে পাঁচগাঁও আলহাজ ওয়াহিদ আলী উচ্চবিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে। বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনকেন্দ্রিক দ্বন্দ্বের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। 

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, এ দিন সকাল ১০টা থেকে পাঁচগাঁও ওয়াহেদ আলী উচ্চবিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচন চলছিল। নির্বাচনে বিজয়ী সভাপতি প্রার্থী দেওয়ান মনিরুজ্জামানের পক্ষে ছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান সুমন হালদার। অপর প্রার্থী মিলনের সমর্থক নূর মোহাম্মদ ক্ষিপ্ত হয়ে দুপুর ১টার দিকে বিদ্যালয়ের মাঠে ইউপি চেয়ারম্যান সুমনের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করে তাকে মাঠে ফেলে দিয়ে প্রকাশ্যে বুকে গুলি করে পালিয়ে যান। সুমনকে প্রথমে টঙ্গিবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে ঢাকা নেওয়ার পথে বেলা ২টার দিকে তার মৃত্যু হয়। 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসলাম খান। 

তিনি জানান, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে প্রকাশ্যে ইউপি চেয়ারম্যানকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। তবে তাদের পরিচয় নিশ্চিত করেননি পুলিশ সুপার। 

প্রবাসীর স্ত্রীকে মারধর করে বাড়ি ছাড়া, দুই সন্তান নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায়

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৫:৫৭ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৫:৫৭ পিএম
প্রবাসীর স্ত্রীকে মারধর করে বাড়ি ছাড়া, দুই সন্তান নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায়
ছবি: খবরের কাগজ

চট্টগ্রামের লোহাগড়া থানার বড়হাতিয়া এলাকার প্রবাসীর স্ত্রীকে মারধর করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। স্বামীর বড় দুই ভাই ও তাদের পরিবাবার মিলে বেধব মারধর করে হাত ভেঙে দিয়ে ঘর থেকে বের করে দেয় অপর ভাইয়ের পরিবারকে। দুই সন্তান নিয়ে ভুক্তভোগী পরিবার চট্টগ্রাম শহরের আত্নীয়ের বাসায় রয়েছেন। ভয়ে তিনি নিজ বাড়িতে যাচ্ছেন না, চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে তিনি। এ ঘটনায় চট্টগ্রামের লোহাগাড়া থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত ৩ জুলাই এ ঘটনার পর লোহাগাড়া থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী ফেরদৌসী বেগম (৩৩)। মামলায় মোহাম্মদ হারুন (৫৬), মোহাম্মদ আকতার (৫১) শাহিনা আক্তার রুবি (৪২), রুবি আক্তার (৪৯) আসামি করা হয়। 

মামলার বিবরণে জানা যায়, ওই এলাকার প্রবাসী মোহাম্মদ আজমের স্ত্রী ফেরদৌসী বেগম (৩৩) বসত ঘরে ছাদে পানি জমাকে কেন্দ্র করে ভাসুরের সঙ্গে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ের তাকে পিটিয়ে জখম করেন। বেধব মারধরের কারণে ফেরদৌসী বেগমের বাম হাতের কব্জির হাড় ভেঙে যায়। তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা নেওয়ার পর আসামিদের ভয়ে আর বাড়ি যাচ্ছেন না। 

ফেরদৌসী বেগমের অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ে আফিফা জান্নাত (১৩) ও মাদ্রাসায় প্রথম শ্রেণিতে পড়ুয়া নাজিফা বিনতে আজমকে (৬) নিয়ে  চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছেন। তিনি বর্তমানে চট্টগ্রাম শহরের আত্নীয়ের বাড়িতে অবস্থান করছেন। প্রবাসি আজম বিদেশে থাকায় তার দুই ভাই আসামি হারুন ও আকতার পৈত্রিক সম্পত্তি জবর দখল করার জন্য আজমের পরিবারকে বাড়িভিটে ছাড়া করা হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। 

এ বিষয়ে বড়হাতিয়া এলাকার আজিজ ডাক্তার পাড়ার সর্দার মোহাম্মদ বাদশা বলেন, আজমের বউ ফেরদৌসীকে আসামিরা আমার সামনেই বেধব মারধর করেন। আমি তাদের ক্ষান্ত করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হই। তারা আমার গায়েও হাত তুলে। আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। 

ফেরদৌসী বেগম খবরের কাগজকে বলেন, আমাকে প্রাণে মেরে ফেলতে চেয়েছিল আসামিরা। আমার চিৎকার শুনে পাড়ার সর্দারসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেছেন। তারা আমাকে ও আমার সন্তানদের বাড়িভিটে ছাড়া করতে চাইছে। আমি এর বিচার চাই। তাদের ভয়ে আমি বাড়িতে যেতে পারিছি না। দুই সন্তানকে নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি। আমি বাড়ি গেলে আমার সন্তান ও আমার উপর আবার আঘাত করবে আসামিরা। বিভিন্ন মাধ্যমে আমাকে হুমকি দিচ্ছে আসামিরা। 

এ বিষয়ে লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রাশেদুল ইসলাম খবরের কাগজকে বলেন, বাড়ির ছাদে পানি প্রবাহকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ের বাদির উপর আক্রমণ করে আসামিরা। ফেরদৌসী বেগমের দায়ের করা মামলায় একজন আমাসিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের ধরার জন্য প্রচেষ্টা আছে।

আবদুস সাত্তার/এমএ/

কসবায় ক্রেনে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ২ জনের মৃত্যু

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৪:০৬ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৪:৪৫ পিএম
কসবায় ক্রেনে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ২ জনের মৃত্যু
দুর্ঘটনা কবলিত ট্রাক। ছবি: খবরের কাগজ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় কাটা গাছ ক্রেনে করে ট্রাকে উঠানোর সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বাপ্পি (২৫) ও পারভেজ (২৪) নামে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। 

রবিবার (৭ জুলাই) দুপুর দেড়টার দিকে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের মনকাশাইর নামক এলাকায় এ দুর্ঘটনার ঘটে। 

এই দুজনের মধ্যে একজন ক্রেনের চালক এবং অপরজন হেলপার।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ খবরের কাগজকে বলেন, মহাসড়ক প্রশস্ত করার কাজ শুরু হয়েছে। তাই সড়কের পাশে গাছ কাটা হচ্ছে। দুপুরে কাটা গাছের অংশ ক্রেনে করে ট্রাকে উঠানো হচ্ছিল। এ সময় পাশের বিদ্যুতের তারে ক্রেনটি লেগে গিয়ে ক্রেনের চালক ও হেলপারের মৃত্যু হয়।

তিনি আরও বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে।

জুয়েল রহমান/ইসরাত চৈতী/অমিয়/

সেন্টমার্টিন-টেকনাফ রুটে ট্রলার চলাচল শুরু

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৪:০৩ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৪:০৩ পিএম
সেন্টমার্টিন-টেকনাফ রুটে ট্রলার চলাচল শুরু
ছবি : খবরের কাগজ

সেন্টমার্টিন থেকে টেকনাফে দীর্ঘ ৩৩ দিন পর যাত্রী ও পণ্যবাহী ট্রলার চলাচল শুরু হয়েছে।

রবিবার (৭ জুলাই) সকালে সেন্টমার্টিন জেটি ঘাট থেকে টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপ জেটিঘাটে তিনটি সার্ভিস ট্রলার নিরাপদে পৌঁছেছে।

সেন্টমার্টিন থেকে যাত্রীরা জানান, দীর্ঘদিন পর টেকনাফ সেন্টমার্টিন নৌরুটে যাত্রীবাহী সার্ভিস ট্রলার চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। বাংলাদেশের নাফ নদী দিয়ে নিরাপদে টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপ জেটি ঘাটে পৌঁছেছি। যদি গোলারচরটি খনন করা হয় তাহলে সাগরের বড় বড় ঢেউ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে এবং সহজে পণ্যবাহী ট্রলার যাতায়াত করতে পারবে।

টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটের ট্রলার মালিক সমিটির সভাপতি আব্দুর রশিদ বলেন, সকালে সেন্টমার্টিন জেটিঘাট থেকে তিনটি সার্ভিস ট্রলার যাত্রীসহ টেকনাফের উদ্দেশে রওনা দিয়েছি। আমরা নিরাপদে টেকনাফে পৌঁছতে পেরেছি।

তিনি বলেন, ‘আগে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন যে নৌরুট ছিল সেটি যদি খনন করা হয় তাহলে আমাদের যাতায়াতে সুবিধা হবে। তখন আমাদের মায়ানমারের জলসীমানা আর ব্যবহার করতে হবে না। সেন্টমার্টিনে চাকরিরত সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের যাওয়া আসা করতে অসুবিধা হবে না। তবে তাদের চাকরির আইডি কার্ড অবশ্যই সঙ্গে থাকতে হবে।’

মায়ানমারে নিজেদের মধ্যে চলামান সংঘাতের কারণে গত ৫ জুন থেকে এ নৌরুটে সার্ভিস ট্রলার চলাচর বন্ধ ছিল।

মো. শাহীন/জোবাইদা/অমিয়/