![মায়ানমারের মর্টার শেলের শব্দে কাঁপছে টেকনাফ সীমান্ত](uploads/2024/03/01/1709290630.taknef-photo.jpg)
মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যে আরাকান আর্মি ও সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষে মর্টার শেল ও গুলির শব্দ শুনতে পাচ্ছে টেকনাফের হোয়াইক্যং সীমান্তের লোকজন।
বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার (১ মার্চ) সকাল ১১টা পর্যন্ত টেকনাফের হ্নীলা ওয়াব্রাং, মৌলভী বাজার, ফুলের ডেইল ও হোয়াইক্যং উনচিপ্রাং, কানজরপাড়া সীমান্তের ওপার থেকে থেমে থেমে ভারী আওয়াজের মর্টারশেলের ভয়ংকর শব্দে কাঁপছে সীমান্ত এলাকা।
জানা যায়, নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষায় মায়ানমার সরকারি বাহিনীর সঙ্গে আরাকান আর্মির সংঘর্ষ চলছে। হোয়াইক্যং ও হ্নীলা সীমান্তের পুবে মায়ানমার কুমিরহালি, নাইচদং, কোয়াংচিগং, শিলখালী, নাফপুরায় সংঘর্ষ চলছে। টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং থেকে শাহপরীরদ্বীপ পর্যন্ত ৫৪ কিলোমিটার নাফনদীতে বিজিবি ও কোস্টগার্ডের সদস্যরা টহল বৃদ্ধি করেছে।
হোয়াইক্যং কানজরপাড়া দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘হোয়াইক্যং উনচিপ্রাং পুলিশ ফাঁড়ির পূর্বে সীমান্তে মায়ানমারের ওপার থেকে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টা ২০ মিনিটের পর থেকে ভয়ংকর শব্দে কেঁপে উঠছে সীমান্ত এলাকা।
হ্নীলা ফুলের ডেইল এলাকার বাসিন্দার তারেক মোহাম্মদ রনি বলেন, ‘শুক্রবার সকাল ১১টার সময় মায়ানমারের ওপারে একটা মর্টারশেলে বিস্ফোরণ হলো। বিকট শব্দ শুনে মনে হচ্ছে জীবনে প্রথম শুনলাম।’
টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘গত রাত থেকে থেমে থেমে মায়ানমারের ওপার থেকে ভারী মর্টারশেলের শব্দ শুনতে পাই। কিছুক্ষণ বন্ধ থাকলেও আবারও মর্টারশেলের শব্দে সীমান্ত আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে জেলে ও চাষিরা। তাদের খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।’
কোস্ট গার্ড চট্টগ্রাম পূর্বজোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট তাহসিন রহমান বলেন, ‘মায়ানমারে চলমান যুদ্ধের কারণে সীমান্তের নাফনদে আমাদের টহল চলমান রয়েছে। আমরা নতুন করে বাংলাদেশে কোনো অনুপ্রবেশকারীকে ঢুকতে দেব না। এ ছাড়া মায়ানমার থেকে অনুপ্রবেশকালে ২০০-এর বেশি অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাকে প্রতিহত করেছি।’
বিজিবির টেকনাফ-২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘সীমান্ত অনুপ্রবেশ ঠেকানোর পাশাপাশি যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিজিবি সদস্যরা প্রস্তুত রয়েছে।’
মো. শাহীন/জোবাইদা/