![মায়ানমারের মর্টারশেলের শব্দে কেঁপে উঠছে সীমান্ত এলাকা](uploads/2024/03/03/1709460356.taknaf-22.jpg)
টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ও হ্নীলা ইউনিয়নের সীমান্তে মায়ানমারের ওপারে শনিবার রাত থেকে থেমে থেমে ভারী মর্টারশেলের বিকট শব্দে কেঁপে উঠছে সীমান্ত এলাকা।
রবিবার (৩ মার্চ) ভোররাত এবং সকালে টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের হারাংঙ্গা ঘুনা, উত্তরপাড়া, লম্বাবিল, উনচিপ্রাং, কাঞ্জরপাড়া, হ্নীলা ইউনিয়নের মোলভীপাড়া, ওয়াব্রাং, ফুলের ডেইল, চৌধুরীপাড়া থেকে শোনা যায় মায়ানমারের গুলি ও মর্টারশেলের বিকট শব্দ। সেটি থেমে থেমে চলছে।
কয়েকদিন ধরে মায়ানমারে সংঘাত বেড়ে যাওয়ায় সীমান্তে গোলাগুলির শব্দ পুনরায় বেড়ে গেছে।
জানা যায়, টেকনাফের হোয়াইক্যং ও হ্নীলা ইউনিয়নের বাংলাদেশ সীমান্তের পূর্বে মায়ানমার কুমিরহালি, নাইচদং, কোয়াংচিগং, শিলখালী, নাফপুরা- এই গ্রামগুলোতে গৃহযুদ্ধ চলছে। টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়ন থেকে শাহপরীর দ্বীপের দূরত্ব ৫৪ কিলোমিটার। নাফ নদে বিজিবি ও কোস্টগার্ডের সদস্যরা নিয়মিত নদী এবং সীমান্ত সড়কে টহল বাড়িয়েছে।
হোয়াইক্যং সীমান্তে বসবাসকারী জেলে মানিক বলেন, ‘শনিবার রাত থেকে মর্টারশেলের ভারী শব্দে আতঙ্কে আছে লোকজন। আমার বাড়ির পেছনে একদম কাছে মায়ানমার সীমান্ত। কখন মর্টারশেল ছুটে এসে পড়ে তার কোনো বিশ্বাস নেই। দিন-রাত ভয়ে থাকি। পরিস্থিতি কখন শান্ত হবে কে জানে!’
হোয়াইক্যং ইউপি সদস্য সিরাজুল মোস্তাফা লালু বলেন, ‘আমার বাড়ির পেছনে ২০০ মিটার পর্যন্ত হবে মায়ানমার সীমান্ত। ছাদে উঠলে দেখা যায় মায়ানমার সীমান্ত এলাকা। গত রাত থেকে রবিবার দুপুর পর্যন্ত মর্টারশেলের বিকট শব্দ হয়েছে। মায়ানমারে সংঘাত যত দিন থাকবে তত দিন সীমান্ত এলাকার লোকজন ভয়ে দিন কাটাবে।’
হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলী খবরের কাগজকে বলেন, ‘বিগত ১০-১২ দিন হবে। আমার ইউনিয়নের পার্শ্ববর্তী দেশ মায়ানমার। সীমান্তের কাছে যারা বসবাস করছে তারা আতঙ্কে রয়েছে। বিশেষ করে মায়ানমারের ওপারে ব্যাপক গোলাগুলি ও ভারী অস্ত্রের শব্দ শোনা যায়। কেননা মায়ানমারের গৃহযুদ্ধ চলমান রয়েছে।’
বাংলাদেশ কোস্টগার্ড চট্টগ্রাম পূর্ব জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা বলেন, ‘ওপারের চলমান যুদ্ধের পরিস্থিতিতে নাফ নদ দিয়ে সীমান্তে অনুপ্রবেশের সম্ভাবনা থেকে আমরা (কোস্টগার্ড) নাফ নদে টহল জোরদার রেখেছি। নতুন করে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।’
এদিকে শাহপরীর দ্বীপ সীমান্তে গোলার শব্দ পাওয়া না গেলেও এখনো দ্বীপের জেটিঘাটে মানুষের চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সেখানকার দোকানি মো. নাছির।
তিনি বলেন, ‘কয়েকদিন ধরে এই সীমান্তে কোনো গুলির শব্দ পাওয়া যাচ্ছে না। তবে নাফ নদে কোস্টগার্ড এবং সীমান্তে বিজিবি টহল রয়েছে। কিন্তু জেটিঘাট বন্ধ থাকায় আমাদের ব্যবসার ব্যাপক লোকসান হচ্ছে।’
শাহীন/জোবাইদা/অমিয়/