ঢাকা ১৮ আষাঢ় ১৪৩১, মঙ্গলবার, ০২ জুলাই ২০২৪

পঞ্চগড়ে রাতের আঁধারে খেত থেকে চুরি হচ্ছে পেঁয়াজ

প্রকাশ: ০৫ মার্চ ২০২৪, ০৪:২৪ পিএম
আপডেট: ০৫ মার্চ ২০২৪, ০৪:২৪ পিএম
পঞ্চগড়ে রাতের আঁধারে খেত থেকে চুরি হচ্ছে পেঁয়াজ
পেঁয়াজ তুলে পাতাগুলো কেটে ফেলে রাখে চোরেরা। ছবি : খবরের কাগজ

অস্বস্তির বাজারে যখন বেড়েছে পেঁয়াজের দাম, ঠিক সে সময়ে কৃষকের খেত থেকেই রাতের আঁধারে চুরি হচ্ছে পেঁয়াজ। এতে আতঙ্ক আর দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কয়েকটি গ্রামের কৃষকরা। আর এই পেঁয়াজ চুরি ঠেকাতে খেতে রাত জেগে পাহাড়া দিচ্ছেন অনেকে।

আর্থিক স্বচ্ছলতা পেতে এবার পেঁয়াজ আবাদে ঝুঁকেছেন এ অঞ্চলের মানুষ। তবে মুড়িকাটা পেঁয়াজ তোলার মৌসুমে নতুন এ আতঙ্ক ও দুশ্চিন্তায় দিন পার করছেন কৃষকরা।

কৃষকরা বলছেন, রাতের অন্ধকারে খেত থেকেই চুরি হচ্ছে তাদের কষ্টের ফসল। প্রথমবারের মতো এমন কাণ্ড দেখে ইতোমধ্যে চুরি ঠেকাতে অনেকেই রাতে পাহাড়া দিচ্ছেন।

তারা বলছেন, রাতে তিন থেকে চার কাঠা জমিতে লাগানো পেঁয়াজ তুলে পাতাগুলো কেটে ফেলে রাখে চোরেরা। এক কাঠা জমিতে প্রায় আট থেকে ৯ মণ পেঁয়াজ হয়ে থাকে। ৮০ টাকা কেজি দরে বর্তমান নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। এক কাঠা জমিতে কমপক্ষে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকার পেঁয়াজ বিক্রি হয় বলে জানান তারা। 

তা ছাড়া, রসুনের দামও অনেক বেশি। অনেকের পেঁয়াজের পাশাপাশি রসুনও চুরি হয়েছে। অনেক কৃষক ধান বিক্রি করে পেঁয়াজ চাষ করেছেন বলে জানান তারা। চুরি হয়ে যাওয়ায় এখন আসল টাকাও নেই। 

এই অবস্থায় অনেক কৃষক দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। তারা জানান, রাতে অনেকে পাহারা দিলেও বাড়তি ব্যায় মেটাতে পাহারাদার রাখার ব্যবস্থা করতে পারছেন না অধিকাংশ কৃষক। এ বিষয়ে প্রশাসন বা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও অস্বস্তিতে রয়েছেন। রাতের অন্ধকারে কারা এসব চুরি করছেন তাদেরকে আইনে আওতায় আনা দুরুহ ব্যাপার মনে করছেন তারা। 

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায, এ বছর জেলায় পাঁচ উপজেলায় মোট এক হাজার ৯০০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের আবাদ হয়েছে। 

তেঁতুলিয়া উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে উপজেলায় গত বছর পেঁয়াজের আবাদ হয়ে ছিল  ১৮০ হেক্টর।  চলতি বছরে ২১৫ হেক্টর  জমিতে পেঁয়াজের আবাদ হয়েছে। 

উপজেলার ভজনপুর ইউনিয়নের ডাক্তারপাড়া গ্রামের কৃষক মকবুল হোসেন বলেন, ‘আমি গরিব মানুষ। মানুষের জমি জমা নিয়ে আমি কোনরকম কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করি। আমি এক বিঘা জমির বর্গা নিয়ে তাতে আলু, রসুন ও পেঁয়াজের আবাদ করেছি। পেঁয়াজ চাষ করেছি দুই কাঠার মতো। অনেক কষ্ট করে সেচ দিয়ে পেঁয়াজ বড় করেছি। ঘরে তুলবো পেঁয়াজ এমন সময় রাতের আধারে আমার খেত থেকে পেঁয়াজ চুরি হয়েছে। এতে আমি বিপাকে পড়েছি।’

একই কথা বলেন ওই ইউনিয়নের ভদ্রেশ্বর ব্রম্মতোল গ্রামের কৃষক বিপ্লব কুমার রায়। তিনি বলেন, ‘আমি ভাল জাতের পেঁয়াজের আবাদ করছিলাম। হঠাৎ রাতের আধারে আমার খেত থেকে পেঁয়াজ চুরি করে নিয়ে গেছে। সকালে খেতে গিয়ে দেখি পুরো খেত ফাঁকা। শুধু পড়ে আছে পেয়াজের গাছগুলো৷ যার এটা করেছে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানাই প্রশাসনের কাছে।’

এ বিষয়ে কৃষক আব্দুল জলিল বলেন, ‘বাজারে পেঁয়াজের দাম অনেক। তাই এবার পেঁয়াজের আবাদ করছি কিন্তু যেভাবে পেঁয়াজ চুরি হচ্ছে এতে আমি দুশ্চিন্তায় পড়েছি। রাতে কয়েক বার করে খেতে গিয়ে পাহারা দিতে হচ্ছে। আমরা অনেকে আতঙ্কে আছি৷’ 

এদিকে এমন চুরি ঘটনায় বাজারের ঊর্ধ্বগতিকে দায়ী করছেন কৃষি বিভাগ। তবে চুরি ঠেকাতে কৃষকদের ফলন উত্তোলন পর্যন্ত মাঠ পরিদর্শনসহ সচেতন থাকার পরামর্শ দেন এই কর্মকর্তা।

তেঁতুলিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তামান্না ফেরদৌস বলেন, আমরা কৃষকদের বিভিন্ন ফসলের পাশাপাশি পেঁয়াজের বীজও বিনামূল্য দিয়েছি। দিন দিন এ উপজেলায় পেঁয়াজের আবাদ বাড়ছে। বিভিন্ন মাধ্যমে শুনেছি উপজেলার ভজনপুর ও বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামে পেঁয়াজ চুরির ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাটি অনেক দুঃখজনক। শুরু থেকে কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে আসছি। যেহেতু এখন পেঁয়াজ তোলার সময় হয়েছে তাই কৃষকদের পেঁয়াজ খেতে বেড়া বাদ নেট দিয়ে ঘিরে রাখার পাশাপাশি নজরদারির বিষয়ে সচেতন ও পরামর্শ দিচ্ছি।   

রনি মিয়াজী/জোবাইদা/অমিয়/

রূপগঞ্জে জঙ্গি আস্তানা থেকে ৩ বোমা উদ্ধার, পালিয়েছে জঙ্গিরা

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৯:২৮ পিএম
আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৯:২৮ পিএম
রূপগঞ্জে জঙ্গি আস্তানা থেকে ৩ বোমা উদ্ধার, পালিয়েছে জঙ্গিরা
নারায়গঞ্জের রূপগঞ্জের বরপা এলকায় জঙ্গি আস্তানা থেকে উদ্ধার হওয়া বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ধ্বংস করা হয়। ছবি: খবরের কাগজ

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের বরপা এলাকায় একটি জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালিয়ে শক্তিশালী তিনটি বোমা উদ্ধার করেছে ডিএমপির অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিট (এটিইউ)৷ এ জঙ্গি আস্তানাটি আনসার আল ইসলামের সদস্যের বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। 

এটিইউ জানিয়েছে, অভিযানে কাউকে আটক করা না গেলেও তদন্তে বেড়িয়ে এসেছে হামলার পরিকল্পনায় কারা ছিলেন চারতলা সে বাড়িতে। জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে মঙ্গলবার (২ জুলাই) সকাল সাড়ে দশটা থেকে উপজেলার বরপা এলাকার প্রবাসী জাকির হোসেনের চারতলা ভবনটি ঘিরে রাখে ডিএমপির অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিট। এরপরই পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা এসে স্থানীয়দের সরিয়ে নেয়।

সরেজমিনে দেখা যায়, দুপুর দেড়টার দিকে অভিযান শুরু হয়ে চলে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত। এসময় ভবনের তিন তলার একটি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার করা হয় শক্তিশালী তিনটি বোমা। সাড়ে তিন ঘন্টাব্যাপী চলা এ অভিযানে একে একে  বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ধ্বংস করা হয় বোমাগুলো।

অভিযান শেষে ডিএমপির অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিট (এটিইউ) এর পুলিশ সুপার সানোয়ার হোসেন জানায়, বিস্ফারিত বোমাগুলো আইইডি বা আইডি বোমা। আর এই বাড়িতে বোমা তৈরি করা হতো। এগুলো অন্য কোথাও বিস্ফোরণ ঘটানোর পরিকল্পনা করে বাড়িতে রাখা হয়েছিলো। ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের পরিকল্পনা করেছিলেন হামলার। এছাড়া দেশীয় অস্ত্রও উদ্ধার করা হয় বলে জানান এটিইউ পুলিশ সুপার।

ঘটনার বর্ণনায় পুলিশের এটিইউ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সানোয়ার হোসেন বলেন, গত ৫ জুন নরসিংদীতে এক অভিযানে একটি রাইফেলসহ একজন জঙ্গি গ্রেপ্তার হন৷ পরে ৯ জুন নেত্রকোনায় একটি জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালানো হয়৷ এটি আনসার আল ইসলামের একটি প্রশিক্ষণ শিবির ছিল৷ সেখানে নতুন জঙ্গি সদস্যদের বিস্ফোরক তৈরি ও তথ্য-প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো৷ এরই ধারাবাহিকতায় দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চলে৷ গত সোমবার কক্সবাজার থেকে এক নারী জঙ্গি সদস্য গ্রেপ্তার হন৷ তিনি নেত্রকোনার ওই জঙ্গি আস্তানা থেকে পালাতে সক্ষম হয়েছিলেন৷ তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রূপগঞ্জের বরপা এলাকায় আরেকটি জঙ্গি আস্তানা চিহ্নিত হয়৷

তিনি বলেন, চারতলা ভবনে মোট ২০টি কক্ষ রয়েছে৷ একটি ফ্ল্যাট তালাবদ্ধ ছিল৷ এটি গত দুদিন যাবৎ তালাবদ্ধ৷ আনসার আল ইসলামের দুজন পুরুষ সদস্য সার্বক্ষণিক এ ফ্ল্যাটে থাকতেন৷ তাদের মধ্যে একজন নেত্রকোনার জঙ্গি আস্তানাটিতে প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলেন৷ কয়েকদিন আগে ওই পুরুষদের একজনের স্ত্রী পরিচয়ে এক নারীও ফ্ল্যাটে থাকা শুরু করেন৷ নারীর সঙ্গে দুইজন শিশু সন্তানও ছিল৷ তবে তাদের কাউকে ফ্ল্যাটে পাওয়া যায়নি৷ তারা আগেই পালিয়ে গেছেন৷

বাড়িটিতে বোমা তৈরি হতো জিানিয়ে তিনি বলেন, ফ্ল্যাটের একটি কক্ষে তথ্য ও প্রযুক্তিগত কাজ হতো, অন্য কক্ষে আইইডি (ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস) তৈরির কাজ হতো৷ ফ্ল্যাটে তিনটি আইইডিসহ এসব তৈরির সরঞ্জামাদি পাওয়া গেছে৷ এখান থেকে তিনটি আইইডির একটি ফ্ল্যাটের ভেতর এবং বাকি দু’টি উচ্চমাত্রা ও বহনে ঝুঁকিমুক্ত হওয়ায় বাইরে এনে খালি জায়গায় বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিষ্ক্রিয় করা হয়৷ এছাড়া মোড়কে মোড়ানো দু’টি চাপাতি ও কিছু ছুরি পাওয়া গেছে৷

এটিইউ এর পুলিশ সুপার আরো জানায়, বিগত সময় নেত্রকোনা ও  কক্সবাজার থেকে গ্রেপ্তার হওয়া জঙ্গি সদস্যের দেয়া তথ্য মতে রূপগঞ্জের এই বাড়িটিকে শনাক্ত করা হয়। তবে। বাড়িতে থাকা আনসার আল ইসলামের সদস্যরা আগে পালিয়েছে। তদন্তে তাদের নাম বেড়িয়ে এসেছে। তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনী ব্যবস্থা নিতে মামলা হবে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

দিনভর অভিযানে থাকা রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি দিপক চন্দ্র সাহা বলেন, অভিযান ঢাকার করা হলেও থানা পুলিশের একটি দল তদন্ত থাকবে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের পর এটিইউ সহযোগিতায় যারা এর সঙ্গে জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান তিনি।

বিল্লাল হোসাইন/এমএ/

হালদায় আবারও ভেসে উঠল মরা ডলফিন ও মা-মাছ

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৮:৫৩ পিএম
আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৮:৫৩ পিএম
হালদায় আবারও ভেসে উঠল মরা ডলফিন ও মা-মাছ
ছবি : খবরের কাগজ

দেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজননকেন্দ্র হালদা নদীতে এবার মৃত মা-মাছ ও ডলফিন ভেসে উঠেছে। গতকাল সোমবার (১ জুলাই) রাত সাড়ে ১২টার দিকে নদীর রাউজান অংশের পশ্চিম গুজরা ইউনিয়নের আজিমের ঘাট এলাকার স্থানীয়রা মাছ দুটি পানিতে ভাসতে দেখেন। এর মধ্য দিয়ে গত কয়েক দিনে হালদায় ছয়টি মা-মাছ ও দুটি ডলফিন মরে ভেসে উঠল। 

আজিমের ঘাটে ডিম সংগ্রহকারীরা জানান, রাতে ৭০ থেকে ৮০ কেজি ওজনের একটি ডলফিন ও ৭ থেকে ৮ কেজি ওজনের একটি মা-মাছ ভাসতে দেখা যায়। কিন্তু মাছগুলো কেউ উদ্ধার করেননি।

হালদা ডিম সংগ্রহকারী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক রোশাঙ্গীর আলম খবরের কাগজকে বলেন, ‘একটি চক্র হালদার শাখা খাল হালদা কূপে বিষ প্রয়োগ করছে। যার কারণে হালদায় মা-মাছ ও ডলফিন মারা যাচ্ছে। আগে চিংড়ির জন্য বিষ প্রয়োগ করত। এখন বড় মাছের জন্য বিষ দিচ্ছে। চক্রটিকে ধরার জন্য আমরাও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। রাত গভীর হলে এই কাজ করে- তাই ধরা সম্ভব হচ্ছে না। এ ছাড়া গত কোরবানি ঈদে ট্যানারির বর্জ্য ও বিষ হালদায় এসে পড়েছে। সেখান থেকেও মা-মাছ এবং ডলফিন মৃত্যুর কারণ হতে পারে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ বি এম মশিউজ্জামান খবরের কাগজকে বলেন, ‘আমরা হালদার দূষণের উৎসের খোঁজে কাজ করে যাচ্ছি। সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে হালদায় ডলফিন ও মা-মাছের মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কী কারণ মারা যাচ্ছে সেটি পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে বের হবে।’ 

এদিকে হালদার দূষণ কী কারণে হচ্ছে তা খতিয়ে দেখার জন্য পরিবেশ ও মৎস্য বিভাগ পাঁচ সদস্যের আলদা দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। 

নারীকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় বখাটের ছুরিকাঘাতে যুবক আহত

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৮:৪৭ পিএম
আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৮:৪৭ পিএম
নারীকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় বখাটের ছুরিকাঘাতে যুবক আহত
আহত মো. আব্দুর রহিম

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় বখাটের ছুরিকাঘাতে এক যুবক গুরুতর জখম হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

মঙ্গলবার (২ জুলাই) সকালে উপজেলার মাদার্শা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। আহত যুবক উপজেলার মাদার্শা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের চেয়ারম্যান ঘাটা এলাকার মৃত সৈয়দ হোসেনের ছেলে মো. আব্দুর রহিম।

অভিযুক্ত মো. আবিদ (২০) ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মুদি দোকানি ইউসুফ সওদাগরের ছেলে। তবে আবিদ ৫ নম্বর ওয়ার্ডে বসবাস করে। স্থানীয়রা আহত আব্দুর রহিমকে সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে রেফার্ড করেন চিকিৎসকরা।

আহত আব্দুর রহিমের ভাই মহিন জানান, মুদি দোকানি ইউসুফ সওদাগরের ছেলে আবিদ এলাকায় বখাটে হিসেবে পরিচিত। সে একই এলাকার এক নারীকে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করে আসছিল। বিষয়টি আব্দুর রহিম আবিদের মা-বাবাকে জানানোর জন্য তাদের বাসায় গেলে আবিদ ও তার মা ক্ষুব্ধ হয়। পরে আবিদ আব্দুর রহিমের বাড়িতে গিয়ে গালিগালাজ করে। একপর্যায়ে আবিদ তার পকেট থেকে ছুরি বের করে আব্দুর রহিমের বুকে আঘাত করে। এ সময় আব্দুর রহিম ঠেকাতে গেলে ছুরিটি তার বাম হাতের এক পাশ দিয়ে ঢুকে অন্য পাশ দিয়ে বের হয়ে যায়।

অভিযুক্ত আবিদের বাবা মো. ইউসুফ সওদাগর বলেন, ‘প্রথমে আমার ছেলেকে তারা ৪-৫ জন মিলে প্রকাশ্যে মারধর করেছে। পরে আমার ছেলে আত্মরক্ষার্থে ছুরিকাঘাত করেছে এটা সত্য। এটা আমরা সামাজিকভাবে সমাধান করব।’

শুঁড় দিয়ে তুলে আছাড় মেরে ব্যবসায়ীকে মারল হাতি

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৮:১৪ পিএম
আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৮:১৪ পিএম
শুঁড় দিয়ে তুলে আছাড় মেরে ব্যবসায়ীকে মারল হাতি
হাতির আক্রমণে নিহত মাসুদুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

কিশোরগঞ্জ জেলা শহরে হাতির আক্রমণে মাসুদুর রহমান (৪৫) নামে এক ঔষধ ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) বিকেল ৩টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

এর আগে সোমবার (১ জুলাই) সন্ধ্যায় শহরের নগুয়া পুরাতন বাসস্ট্যান্ডে নিজ মালিকানাধীন ঔষধের দোকানে তিনি হাতির আক্রমণের শিকার হন। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। এরপর শহিদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে আবারও তাকে মঙ্গলবার (২ জুলাই) ভোররাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়।

নিহত মো. মাসুদুর রহমান ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার সিংরইল গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে। তিনি ব্যবসা সূত্রে কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের নগুয়া এতিমখানা এলাকায় বসবাস করছিলেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (১ জুলাই) সন্ধ্যায় জেলা শহরের নগুয়া পুরাতন বাসস্ট্যান্ডে এআর ফার্মা নামক ফার্মেসিতে মো. মাসুদুর রহমান বসে ছিলেন। এ সময় একটি হাতি তার ফার্মেসিতে চাঁদার জন্য শুঁড় এগিয়ে দিলে মো. মাসুদুর রহমান ১০ টাকা দেন। টাকা পেয়ে হাতিটি সামনে কিছুটা এগিয়ে যাওয়ার পর চাঁদা নিয়ে অন্য এক দোকানির সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় শোরগোল শুনে মো. মাসুদুর রহমান ফার্মেসি থেকে বের হলে হাতিটি শুঁড় দিয়ে তাকে তুলে এনে ফার্মেসির সামনে আছাড় মারে। এতে পাকা সড়কে পড়ে গিয়ে মাথায় গুরুতর আঘাত পান মো. মাসুদুর রহমান।

এ ঘটনায় হাতিসহ মাহুত রিয়াজকে আটক করেছে কিশোরগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ। এ ব্যাপারে অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ  (ওসি) গোলাম মোস্তফা।

তাসলিমা আক্তার মিতু/এমএ/ 

নোয়াখালীতে সড়ক দুর্ঘটনায় বিএনপি-জামায়াতের ২ নেতা নিহত

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৭:৪৩ পিএম
আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৭:৪৩ পিএম
নোয়াখালীতে সড়ক দুর্ঘটনায় বিএনপি-জামায়াতের ২ নেতা নিহত
ছবি: সংগৃহীত

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে অটোরিকশা ও ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী বিএনপি ও জামায়াতের দুই নেতা নিহত হয়েছেন। 

মঙ্গলবার (২ জুলাই) দুপুর ১টায় রাজনৈতিক মামলায় জেলা আদালতে হাজিরা দিয়ে ফেরার পথে আবদুল্লাহ মিয়ার হাটের সুলতান নগরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, সূবর্ণচর উপজেলার চর আমানউল্যা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাটাবুনিয়া গ্রামের মৃত সুলতান আহমদের ছেলে জামাল উদ্দিন গাজী (৫৫) ও চরবাটা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত মাওলানা নুরুল উল্যার ছেলে হাফিজ উল্যাহ (৫৭)।

এরমধ্যে জামাল উদ্দিন গাজী চর আমানউল্যা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ও হাফিজ উল্যাহ চরবাটা ইউনিয়ন জামায়াতের নেতা। তাদের মরদেহ ২৫০ শয্যার নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে রাখা হয়েছে।

চর আমানউল্যা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য (ইউপি মেম্বার) হোসেন আহাম্মদ দুলাল খবরের কাগজকে বলেন, জামাল গাজী ও হাফিজ উল্যাহ পরস্পরের আত্মীয়। মঙ্গলবার সকালে একটি রাজনৈতিক মামলায় হাজিরা দিতে তারা মোটরসাইকেলযোগে নোয়াখালী জেলা শহরে যান।

তিনি আরও বলেন, দুপুরে ফেরার পথে সোনাপুর-সূবর্ণচর সড়কের সুলতান নগরে প্রথমে সিএনজিচালিত অটোরিকশার ধাক্কায় দুজন ছিটকে পড়ে যান। পরে ট্রাকের ধাক্কায় মারাত্মক আহত হন। তাদেরকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতালে নিলে গাজীকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেলে হাফিজ উল্যাও মারা যান।

চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাউছার আলম ভূঁইয়া দুর্ঘটনায় দুইজনের মৃত্যুর বিষয়টি খবরের কাগজকে নিশ্চিত করেন। 

তিনি বলেন, খবর পেয়ে সুরতহাল তৈরি করতে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

ইকবাল হোসেন মজনু/এমএ/