ঢাকা ১৮ আষাঢ় ১৪৩১, মঙ্গলবার, ০২ জুলাই ২০২৪

মৌলভীবাজার মেহেরপুর ও মাদারীপুরে ভোক্তা অধিকারের অভিযান

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৪, ১০:৫৭ এএম
আপডেট: ২০ মার্চ ২০২৪, ১০:৫৭ এএম
মৌলভীবাজার মেহেরপুর ও মাদারীপুরে ভোক্তা অধিকারের অভিযান

দেশের সকল বিভাগ ও জেলা পর্যায়ে বাজার তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এরই অংশ হিসেবে সংস্থাটি মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) মৌলভীবাজার, মেহেরপুর ও মাদারীপুরে অভিযান চালায়। এ সময় একাধিক প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়। প্রতিনিধিদের পাঠানো প্রতিবেদন-

মৌলভীবাজার 
মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার মুন্সিবাজারে খাবারে নিষিদ্ধ রং ব্যবহার ও পণ্য বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগে জরিমানা করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ভোক্তার মৌলভীবাজার জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক শফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে বাজার তদারকি করা হয়। এ সময় দুটি প্রতিষ্ঠানকে ১৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
সংস্থাটির মৌলভীবাজার জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক শফিকুল ইসলাম জানান, অভিযানে খাদ্যপণ্যের সঙ্গে নিষিদ্ধ রং মেশানো, প্যাকেটজাত পণ্যের গায়ে উৎপাদন, মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ ও মূল্য না লেখাসহ বিভিন্ন অনিয়মের দায়ে মুন্সিবাজারের ফুড গার্ডেনকে ১৫ হাজার টাকা, পারভেজ স্টোরকে দুই হাজার টাকাসহ ১৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

মেহেরপুর
মেহেরপুরে একটি সেমাই কারখানায় অভিযান চালিয়ে জনপ্রিয় একটি প্রতিষ্ঠানের মোড়কে পণ্য প্যাকেটজাত করার অপরাধে মা এন্টারপ্রাইজকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। প্রতিষ্ঠানটিকে খোলাবাজার থেকে নিম্নমানের সেমাই কিনে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বনফুল নামে প্যাকেটজাত করে বিক্রি করার অভিযোগে এই জরিমানা করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সংস্থাটির উপপরিচালক সজল আহমেদ এ অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় জব্দ করা সেমাই মাদ্রাসা ও এতিম খানায় বিতরণ করা হয়।

উপপরিচালক সজল আহমেদ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গোভিপুর গ্রামে মা এন্টারপ্রাইজ নামে একটি কারখানায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ সেমাই বনফুল নামে একটি কোম্পানির মোড়কে প্যাকেটজাত করা অবস্থায় পাওয়া যায়। এ সময় প্রতিষ্ঠানটিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাসহ সেমাইগুলো জব্দ করা হয়।

মাদারীপুর
মাদারীপুরের শিবচর উপজেলায় একটি ভেজাল গুড়ের কারখানাসহ তিনটি তরমুজের দোকানে অভিযান পরিচালনা করেছে ভোক্তা অধিকার ও সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এ সময় ২৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার কাঁঠালবাড়ি ইউনিয়নের দোতারা গ্রামে মো. ফজলু খানের বাড়িতে ও পাঁচ্চর বাজারের তিনটি তরমুজের দোকানে এ অভিযান চালানো হয়। অভিযানটি পরিচালনা করেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক জান্নাতুল ফেরদাউস।

হালদায় আবারও ভেসে উঠল মরা ডলফিন ও মা-মাছ

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৮:৫৩ পিএম
আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৮:৫৩ পিএম
হালদায় আবারও ভেসে উঠল মরা ডলফিন ও মা-মাছ
ছবি : খবরের কাগজ

দেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজননকেন্দ্র হালদা নদীতে এবার মৃত মা-মাছ ও ডলফিন ভেসে উঠেছে। গতকাল সোমবার (১ জুলাই) রাত সাড়ে ১২টার দিকে নদীর রাউজান অংশের পশ্চিম গুজরা ইউনিয়নের আজিমের ঘাট এলাকার স্থানীয়রা মাছ দুটি পানিতে ভাসতে দেখেন। এর মধ্য দিয়ে গত কয়েক দিনে হালদায় ছয়টি মা-মাছ ও দুটি ডলফিন মরে ভেসে উঠল। 

আজিমের ঘাটে ডিম সংগ্রহকারীরা জানান, রাতে ৭০ থেকে ৮০ কেজি ওজনের একটি ডলফিন ও ৭ থেকে ৮ কেজি ওজনের একটি মা-মাছ ভাসতে দেখা যায়। কিন্তু মাছগুলো কেউ উদ্ধার করেননি।

হালদা ডিম সংগ্রহকারী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক রোশাঙ্গীর আলম খবরের কাগজকে বলেন, ‘একটি চক্র হালদার শাখা খাল হালদা কূপে বিষ প্রয়োগ করছে। যার কারণে হালদায় মা-মাছ ও ডলফিন মারা যাচ্ছে। আগে চিংড়ির জন্য বিষ প্রয়োগ করত। এখন বড় মাছের জন্য বিষ দিচ্ছে। চক্রটিকে ধরার জন্য আমরাও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। রাত গভীর হলে এই কাজ করে- তাই ধরা সম্ভব হচ্ছে না। এ ছাড়া গত কোরবানি ঈদে ট্যানারির বর্জ্য ও বিষ হালদায় এসে পড়েছে। সেখান থেকেও মা-মাছ এবং ডলফিন মৃত্যুর কারণ হতে পারে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ বি এম মশিউজ্জামান খবরের কাগজকে বলেন, ‘আমরা হালদার দূষণের উৎসের খোঁজে কাজ করে যাচ্ছি। সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে হালদায় ডলফিন ও মা-মাছের মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কী কারণ মারা যাচ্ছে সেটি পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে বের হবে।’ 

এদিকে হালদার দূষণ কী কারণে হচ্ছে তা খতিয়ে দেখার জন্য পরিবেশ ও মৎস্য বিভাগ পাঁচ সদস্যের আলদা দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। 

নারীকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় বখাটের ছুরিকাঘাতে যুবক আহত

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৮:৪৭ পিএম
আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৮:৪৭ পিএম
নারীকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় বখাটের ছুরিকাঘাতে যুবক আহত
আহত মো. আব্দুর রহিম

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় বখাটের ছুরিকাঘাতে এক যুবক গুরুতর জখম হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

মঙ্গলবার (২ জুলাই) সকালে উপজেলার মাদার্শা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। আহত যুবক উপজেলার মাদার্শা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের চেয়ারম্যান ঘাটা এলাকার মৃত সৈয়দ হোসেনের ছেলে মো. আব্দুর রহিম।

অভিযুক্ত মো. আবিদ (২০) ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মুদি দোকানি ইউসুফ সওদাগরের ছেলে। তবে আবিদ ৫ নম্বর ওয়ার্ডে বসবাস করে। স্থানীয়রা আহত আব্দুর রহিমকে সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে রেফার্ড করেন চিকিৎসকরা।

আহত আব্দুর রহিমের ভাই মহিন জানান, মুদি দোকানি ইউসুফ সওদাগরের ছেলে আবিদ এলাকায় বখাটে হিসেবে পরিচিত। সে একই এলাকার এক নারীকে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করে আসছিল। বিষয়টি আব্দুর রহিম আবিদের মা-বাবাকে জানানোর জন্য তাদের বাসায় গেলে আবিদ ও তার মা ক্ষুব্ধ হয়। পরে আবিদ আব্দুর রহিমের বাড়িতে গিয়ে গালিগালাজ করে। একপর্যায়ে আবিদ তার পকেট থেকে ছুরি বের করে আব্দুর রহিমের বুকে আঘাত করে। এ সময় আব্দুর রহিম ঠেকাতে গেলে ছুরিটি তার বাম হাতের এক পাশ দিয়ে ঢুকে অন্য পাশ দিয়ে বের হয়ে যায়।

অভিযুক্ত আবিদের বাবা মো. ইউসুফ সওদাগর বলেন, ‘প্রথমে আমার ছেলেকে তারা ৪-৫ জন মিলে প্রকাশ্যে মারধর করেছে। পরে আমার ছেলে আত্মরক্ষার্থে ছুরিকাঘাত করেছে এটা সত্য। এটা আমরা সামাজিকভাবে সমাধান করব।’

নোয়াখালীতে সড়ক দুর্ঘটনায় বিএনপি-জামায়াতের ২ নেতা নিহত

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৭:৪৩ পিএম
আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৭:৪৩ পিএম
নোয়াখালীতে সড়ক দুর্ঘটনায় বিএনপি-জামায়াতের ২ নেতা নিহত
ছবি: সংগৃহীত

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে অটোরিকশা ও ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী বিএনপি ও জামায়াতের দুই নেতা নিহত হয়েছেন। 

মঙ্গলবার (২ জুলাই) দুপুর ১টায় রাজনৈতিক মামলায় জেলা আদালতে হাজিরা দিয়ে ফেরার পথে আবদুল্লাহ মিয়ার হাটের সুলতান নগরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, সূবর্ণচর উপজেলার চর আমানউল্যা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাটাবুনিয়া গ্রামের মৃত সুলতান আহমদের ছেলে জামাল উদ্দিন গাজী (৫৫) ও চরবাটা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত মাওলানা নুরুল উল্যার ছেলে হাফিজ উল্যাহ (৫৭)।

এরমধ্যে জামাল উদ্দিন গাজী চর আমানউল্যা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ও হাফিজ উল্যাহ চরবাটা ইউনিয়ন জামায়াতের নেতা। তাদের মরদেহ ২৫০ শয্যার নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে রাখা হয়েছে।

চর আমানউল্যা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য (ইউপি মেম্বার) হোসেন আহাম্মদ দুলাল খবরের কাগজকে বলেন, জামাল গাজী ও হাফিজ উল্যাহ পরস্পরের আত্মীয়। মঙ্গলবার সকালে একটি রাজনৈতিক মামলায় হাজিরা দিতে তারা মোটরসাইকেলযোগে নোয়াখালী জেলা শহরে যান।

তিনি আরও বলেন, দুপুরে ফেরার পথে সোনাপুর-সূবর্ণচর সড়কের সুলতান নগরে প্রথমে সিএনজিচালিত অটোরিকশার ধাক্কায় দুজন ছিটকে পড়ে যান। পরে ট্রাকের ধাক্কায় মারাত্মক আহত হন। তাদেরকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতালে নিলে গাজীকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেলে হাফিজ উল্যাও মারা যান।

চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাউছার আলম ভূঁইয়া দুর্ঘটনায় দুইজনের মৃত্যুর বিষয়টি খবরের কাগজকে নিশ্চিত করেন। 

তিনি বলেন, খবর পেয়ে সুরতহাল তৈরি করতে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

ইকবাল হোসেন মজনু/এমএ/

রমেকের আবাসিক ভবন থেকে চিকিৎসকের লাশ উদ্ধার

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৭:১৪ পিএম
আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৭:১৪ পিএম
রমেকের আবাসিক ভবন থেকে চিকিৎসকের লাশ উদ্ধার
ছবি : খবরের কাগজ

রংপুর মেডিকেল কলেজের (রমেক) আবাসিক ভবন থেকে মো. আখতারুজ্জামান নামে এক চিকিৎসকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) সকালে শেখ রাসেল পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন ডরমেটরি ভবনে ছয়তলার একটি কক্ষ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। 

আখতারুজ্জামান নীলফামারী সদর উপজেলার নীলপাড়া গ্রামের মোজাম্মেল হকের ছেলে।

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আরিফুজ্জামান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

রংপুর মেডিকেল কলেজের উপাধাক্ষ অধ্যাপক মো. মাহফুজুর রহমান জানান, আক্তারুজ্জামান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ও হাসপাতালের (বিএসএমএমইউ) নিউরো সার্জারি বিভাগের মেডিকেল অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি রংপুর মেডিকেলের পোস্ট গ্র্যাজুয়েটের একজন শিক্ষার্থী। তিন দিন আগে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য তিনি রংপুরে এসেছিলেন। হার্ট অ্যাটাকে তার মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

চোখ রাঙাতে শুরু করেছে সাঙ্গু, বন্যাতঙ্কে সাতকানিয়াবাসী

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৬:৫৭ পিএম
আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৬:৫৭ পিএম
চোখ রাঙাতে শুরু করেছে সাঙ্গু, বন্যাতঙ্কে সাতকানিয়াবাসী
ছবি: খবরের কাগজ

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার ইতিহাসে গত বছরের স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার রেশ না কাটতেই আবার চোখ রাঙাচ্ছে বন্যা। পাহাড়ি ঢলে সাঙ্গু নদীর পানি ক্রমশঃ বাড়ছে। সাঙ্গু নদীর পানি এখনো বিপৎসীমা অতিক্রম না করলেও শাখা খালগুলোর পানি উপচে প্লাবিত হচ্ছে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের সাতকানিয়ার কেরানিহাট এলাকাসহ নিন্মাঞ্চল। টানা বর্ষণ ও মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির কারণে বন্যার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। রবিবার (৩০ জুন) রাত থেকে পাহাড়ি ঢল ও প্রবল বৃষ্টির কারণে বিভিন্ন নদীর ও খালের পানি বাড়ার পাশাপাশি নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে শুরু করেছে। 

সরেজমিনে দেখা যায়, হাঙ্গর খালের পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে উপজেলার ছদাহা ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি এলাকার লোকালয়ে প্রবেশ করেছে। এ ছাড়াও পাহাড়ি ঢলের পানি কেরানিহাট-বান্দরবান মহাসড়কের দস্তিদার হাট অংশের উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকলে উপজেলার নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়ে দেখা দিতে পারে ভয়াবহ বন্যা।

সাঙ্গু নদীর বাজালিয়া অংশের চৌধুরী পাড়াস্থ বাঁধটির কাজ অসম্পূর্ণ থেকে যাওয়ায় জনমনে দেখা দিয়েছে শংকা। কয়েক দফা বরাদ্দের পরও বাঁধটির কিছু অংশ অসম্পূর্ণ থেকে যাওয়ায় বন্যাতঙ্কে দিনপার করছে স্থানীয়রা। বিগত বছরগুলোতে এ বাঁধ দিয়ে নদীর পানি লোকালয়ে প্রবেশ করার ফলে নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়ে বন্যা দেখা দেয়। সাঙ্গুর পানি লোকালয়ে প্রবেশ ঠেকাতে বাঁধটির কাজ সম্পন্ন করার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

বাজালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাপস কান্তি দত্ত বলেন, পাহাড়ি ঢলে সাঙ্গু নদীতে ভেসে আসা জ্বালানি কাঠ সংগ্রহে ব্যাস্ত লোকজনকে সতর্ক করা হচ্ছে। এ ছাড়াও নদীর তীরে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ও সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নেওয়ার জন্য মাইকিং করা হয়েছে। আশ্রয়ার্থীদের জন্য খাবারেরও ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

জানতে চাইলে পানি উন্নয়ন বোর্ড চট্টগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী শওকত ইবনে সাহীদ খবরের কাগজকে সাঙ্গু নদীর পানি এখনো বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি। তবে শাখা খালগুলোর পানি উপচে নিচু এলাকা প্লাবিত হতে পারে। খালগুলোর পানি তারা হিসাব করেন না।

এমএ/