ঢাকা ২০ আষাঢ় ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ০৪ জুলাই ২০২৪

প্রত্যন্ত অঞ্চলে সংস্কৃতিকেন্দ্র গড়ে উঠুক

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪, ১০:৫৪ এএম
আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪, ১০:৫৪ এএম
প্রত্যন্ত অঞ্চলে সংস্কৃতিকেন্দ্র গড়ে উঠুক

সংস্কৃতির বড়ই অভাব। সংস্কৃতি মানুষের মনের খোরাক। সংস্কৃতি বলতে আমরা বুঝি একটি অঞ্চলের দীর্ঘদিনের আচার, ব্যবহার, রীতিনীতি, চালচলন; যা ওই সমাজ কর্তৃক নির্ধারিত ও পরিচালিত। অর্থাৎ মানুষ যা কিছুই করে তাই সংস্কৃতি। অন্যদিকে অপসংস্কৃতি হলো এমন কিছু যা ওই সমাজের লোকদের চোখে দৃষ্টিকটু ও সমাজের রীতিনীতির পরিপন্থি ও হানিকর এমন কিছু আচার আচরণ। আমাদের সমাজে এই অপসংস্কৃতি দিন দিন বেড়েই চলেছে।  

দেশে সংস্কৃতির অভাবেই যত অনিয়ম-দুর্নীতি হচ্ছে। এমনিতেই বিশ্বায়নের যুগে সারা বিশ্বে জাতীয় সংস্কৃতি টিকে থাকার সংকটের মুখে পড়েছে। বাঙালি সংস্কৃতিও তার স্বকীয়তা টিকিয়ে রাখতে পারছে না। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার যে ধারা, তা পুরোপুরি পালটে ফেলে স্কুল-কলেজ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সম্পৃক্ত করে সামগ্রিক সাংস্কৃতিক জাগরণ সৃষ্টি করতে হবে। 

সাংস্কৃতিক জোট, দল ও  নাট্য ফেডারেশনের মতো সংগঠনগুলোও বছরের পর বছর ধরে রুটিন ওয়ার্কের মতো একই ধারায় একই নাটক পরিবেশন করে যাচ্ছে। এখন মানুষ আর এসব গ্রহণ করছে না। নতুনত্ব আর পাওয়া যাচ্ছে না। মানুষের মনের মধ্যেও সংস্কৃতি আর কাজ করে না। এটাও সত্যি, অসংখ্য সাংস্কৃতিক সংগঠন থাকলেও তাদের অনুষ্ঠান করার মতো জায়গা নেই। নেই কোনো মঞ্চশালা, পাঠাগার বা ক্লাব। বিনোদনের কোনো জায়গা নেই। ফলে মানুষ নেশার জগতে ঢুকে গেছে। মাদকে আসক্ত হচ্ছে। তরুণ সমাজকে বাঁচাতে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে সংস্কৃতিকেন্দ্র গড়ে তুলতে হবে। 

নিপাতন সন্ধি
হাতিরপুল, ঢাকা

অবশেষে জেরিনের চোখের পানির অবসান

প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৪, ১০:৫৯ এএম
আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৪, ১০:৫৯ এএম
অবশেষে জেরিনের চোখের পানির অবসান

অমাবস্যার কালো আঁধার কেটে গিয়ে অবশেষে চাঁদের মুখে হাসি ফুটেছে। ঈদের দিন সকালবেলা জেরিন সাততলা বস্তি থেকে এক টুকরো গোশতের জন্য গুলশানের আলিশান অট্টালিকার দরজায় দরজায় ঘুরে বেড়ায়। সারা দিন ঘোরার পরও তার বিড়ম্বিত ভাগ্যে মেলেনি এক টুকরো গোশত। এ ঘটনাটি এনটিভির ক্যামেরায় ধরা পড়ে। সেদিন জেরিনের মতো অনেক অসহায় মানুষও তেমন জোটাতে পারেনি গরুর গোশত। 

সে দৃশ্য দেশের মানুষকে কাঁদিয়েছে। যেখানে লুটেরা একটা খাসি কেনেন ১৫ লাখ টাকা দিয়ে। লাখ লাখ টাকা দামের গরু হরহামেশাই বিক্রি হচ্ছে; সেখানে জেরিনরা বছরে একবার এক টুকরো গরুর গোশতের জন্য কাঁদবে তা মেনে নেওয়া যায় না। অসহায় জেরিন তার মা-বাবার সঙ্গে সাততলা বস্তির ছোট একটা ঘরে ভাড়া থাকে। ঈদের দিন সকালে তাই জেরিন বের হয়েছিল এক টুকরো মাংসের খোঁজে। সবাই পরে দেবে বলে শুধু তাড়িয়েই দিয়েছিল। 

কোথাও গোশত না পেয়ে জেরিন বসে বসে কাঁদছিল। পড়ন্ত বিকেলে তার ছল ছল চোখের জল ধরা পড়ে এনটিভির ক্যামেরায়। অবশেষে গ্রিস ও ওমানপ্রবাসী আলাউদ্দিন আর নাজিমদ্দিন অসহায় জেরিনের পরিবারকে তিন কেজি গরুর গোশত এবং নগদ ১০ হাজার টাকা পাঠিয়েছেন। তাতে করে জেরিনের মায়ের চিকিৎসা এবং তার পড়ালেখা করার একটা উপায় হলো। আর তার চাঁদের মুখে উঁকি দিল প্রশান্তির একটা হাসি। 

তাওহীদ হোসাইন নাঈম
শিক্ষার্থী, ইদ্রিস আলী মাদবর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, মুন্সীগঞ্জ 
[email protected]

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ কেন

প্রকাশ: ০৩ জুলাই ২০২৪, ১০:৪৫ এএম
আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২৪, ১০:৪৫ এএম
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ কেন

ঈদের পর দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে। কবে ক্লাস চালু হবে তা অনিশ্চিত। সাধারণ ছাত্ররা কেন এর ভুক্তভোগী হবে। কয়েক দিন ধরেই সরকারের দেওয়া ‘প্রত্যয়’ পেনশন স্কিমের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা আন্দোলন করে যাচ্ছেন। ভালো কথা! শিক্ষকদের কল্যাণের বিপক্ষে গেলে অবশ্যই তারা দাবি আদায়ে আন্দোলন করতে পারেন। তাই বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস বন্ধ করে দিয়ে সাধারণ ছাত্রদের জীবন বিপদে ফেলে দেওয়ার কোনো অর্থ হতে পারে না। 

শিক্ষকরা বিকল্প উপায়ে প্রতিবাদ করতে পারেন। তা ছাড়া শিক্ষকদের কল্যাণের পরিপন্থী সিদ্ধান্ত সরকারই-বা কেন নেবে। মাঝখানে ভুক্তভোগী হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় একযোগে এই আন্দোলন করে যাচ্ছে। তাহলে শিক্ষার পরিবেশ কবে ফিরে আসবে। বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকলে শিক্ষকের এবং সরকারেরও তেমন ক্ষতি হবে না। ক্ষতিটা হবে শিক্ষার্থীদের। তাই অবিলম্বে সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে সমঝোতায় আসুক। বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়া হোক।

নিপাতন সন্ধি
হাতিরপুল, ঢাকা

বাংলাদেশ-ভারত ট্রেন চলাচল চালু হোক

প্রকাশ: ০৩ জুলাই ২০২৪, ১০:৪৩ এএম
আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২৪, ১০:৪৩ এএম
বাংলাদেশ-ভারত ট্রেন চলাচল চালু হোক

কলকাতা থেকে ট্রেন চলে যাবে ত্রিপুরার আগরতলা। কলকাতা থেকে আগরতলা যেতে সময় লাগে ৩৮ ঘণ্টা। এখন সময় লাগবে মাত্র ৫ ঘণ্ট। ট্রেন বাংলাদেশের ওপর দিয়ে ত্রিপুরা গেলে সমস্যা কী? বরং ত্রিপুরাবাসী উপকৃত হবে। মানুষের উপকার করা মানুষেরই দায়িত্ব। 

সুতরাং এ নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করা হিংসার বহিঃপ্রকাশ। হিংসা পরিত্যাগ করে মানুষকে ভালোবাসতে শিখতে হবে। দুই দেশের মানুষের মনটা প্রশস্ত করা উচিত। ট্রেন চলে রেলপথ দিয়ে, বাস চলে সড়কপথ দিয়ে। তা হলে সমস্যা কোথায়? 

লিয়াকত হোসেন খোকন 
রূপনগর, ঢাকা
[email protected]

রাস্তা দখল করায় যানজটের সৃষ্টি

প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২৪, ১০:৫৭ এএম
আপডেট: ০১ জুলাই ২০২৪, ১০:৫৭ এএম
রাস্তা দখল করায় যানজটের সৃষ্টি

ঢাকা বাংলাদেশের রাজধানী হলেও রাস্তা খুবই সংকীর্ণ ও সরু। অতিরিক্ত বাস, প্রাইভেট কার, রিকশা ও অন্যান্য যানবাহনের কারণে রাস্তায় চলাচল করাই বেশ কঠিন হয়ে গেছে। তার পরও কিছু কিছু রাস্তায় দেখা যায় রাস্তা দখল করে ভ্যান, রিকশা দাঁড়িয়ে আছে। প্রশস্ত রাস্তা থাকলেও এক পাশ দিয়ে কিছু গাড়ি চলাচল করছে। নিত্যদিনের এ রকম ঘটনা দেখা যাচ্ছে ঢাকার বাংলামোটর থেকে হাতিরপুল পর্যন্ত প্রধান সড়কে। এই সড়কের দুই পাশে অনেক টাইলসের দোকান গড়ে ওঠায় রাস্তার দুই পাশে অনেক ভ্যান, পিকআপ ও রিকশা দাঁড়িয়ে থাকে। এদের ড্রাইভারও খুঁজে পাওয়া কঠিন। রাস্তা দখল করে এসব যানবাহন প্রতিনিয়ত জায়গা দখল করে রেখেছে।  এই সড়কের রাস্তা দখলের চিত্র সিটি করপোরেশন বা পুলিশ কি দেখে না? দেখেও তারা না দেখার ভান করে। কারণ চারদিকে টাইলস ও অন্য ব্যবসায়ীদের সুবিধার্থে এই সুবিধাগুলো পুলিশ দিয়ে থাকে। এর কি কোনো পরিত্রাণ নেই। এভাবে রাস্তা দখল করে থাকায় যানজটসহ মানুষের স্বাভাবিক চলাচলে ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। এর থেকে জনগণ মুক্তি চায়। তাই সিটি করপোরেশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, ঢাকার রাস্তা দখল করে থাকা যানবাহনগুলো অপসারণসহ যানজটমুক্ত রাস্তা বজায় রাখুন। 

নিপাতন সন্ধি
হাতিরপুল, ঢাকা

লাগাতার অবহেলায় পরিস্থিতি খারাপ

প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২৪, ১০:৫৫ এএম
আপডেট: ০১ জুলাই ২০২৪, ১০:৫৫ এএম
লাগাতার অবহেলায় পরিস্থিতি খারাপ

সম্প্রতি বাংলাদেশের কোনো এক জেলা শহরের জজ কোর্টে গিয়ে বেশ করুণ অভিজ্ঞতা হলো। উকিলবাবুর সঙ্গে বার লাইব্রেরিতে বসে প্রয়োজনীয় কিছু কথা বলা দরকার ছিল, কিন্তু বসার জায়গায় প্রস্রাবের এত ঝাঁঝালো গন্ধ নাকে আসছিল যে, থেকে থেকে গা গুলিয়ে উঠছিল। বার লাইব্রেরিসংলগ্ন উকিলবাবুদের জন্য চিহ্নিত শৌচাগার থেকে গন্ধটি বাতাসে ছড়াচ্ছিল। শুনলাম, শৌচাগারটি কালেভদ্রে পরিষ্কার করা হয়। লাগাতার অবহেলায় পরিস্থিতি এতটা খারাপ হয়েছে। ভাবতে অবাক লাগে, উকিলবাবুরা এ ব্যাপারে এতটা উদাসীন কী করে থাকতে পারেন। তারা কি তাদের প্রতিবাদের ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন? বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা শহরের এমন বার লাইব্রেরির সভাপতির উচিত বিষয়টির প্রতি নজর দেওয়া। 

লিয়াকত হোসেন খোকন 
রূপনগর, ঢাকা
[email protected]