![নোয়াখালীতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৬](uploads/2024/05/18/nowakhali-1716006747.jpg)
নোয়াখালী সরকারি কলেজে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে দুই সভাপতিসহ ছয়জন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (১৭ মে) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কলেজের শহীদ অধ্যাপক আবুল হাসেম ছাত্রাবাস বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
সংঘর্ষে নোয়াখালী কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আবু নাঈম তানিম, বেগমগঞ্জের একলাশপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি আবু বকর ছিদ্দিক সানিসহ ছয় নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। তাদের বিভিন্ন ক্লিনিক ও হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
নোয়াখালী কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আবু নাঈম তানিম বলেন, ‘সন্ধ্যায় কলেজ ছাত্রাবাসের হলরুমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ছাত্রলীগের মতবিনিময় সভার আয়োজন ছিল। এতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেওয়ারও কথা ছিল। কিন্তু সভার আগমুহূর্তে বেগমগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম রাতুল ও একলাশপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আবু বকর ছিদ্দিক সানির নেতৃত্বে শতাধিক বহিরাগত যুবক এসে আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। পরে কলেজের শিক্ষক ও স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে মতবিনিময় সভা স্থগিত করা হয়েছে।’
অন্যদিকে বেগমগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম রাতুল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে বিকেলে মাইজদীতে আমাদের একটা কর্মসূচি ছিল। এতে কলেজ ছাত্রাবাসের নেতা-কর্মীরা আসতে চাইলে ছাত্রলীগ নেতারা ফটকে তালা দিয়ে তাদের আটক করে রাখেন। খবর পেয়ে আমাদের জুনিয়র ব্যাচের ছাত্রলীগকর্মীরা সেখানে গেলে তাদের ওপর কলেজ ছাত্রলীগ নেতাদের নির্দেশে হামলা করা হয়। এতে আমাদের অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছে।’
কলেজের শহীদ অধ্যাপক আবুল হাসেম ছাত্রাবাসের হোস্টেল সুপার রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক গিয়াস উদ্দিন সংঘর্ষের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কলেজের ছাত্রাবাস বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শুক্রবার রাত ৯টার মধ্যে সব আবাসিক শিক্ষার্থীকে ছাত্রাবাস ত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. মোর্তাহীন বিল্লাহ বলেন, ‘সংবাদ পেয়ে পুলিশের একাধিক টিম উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় পুলিশ সচেষ্ট রয়েছে। ক্যাম্পাস ও আশপাশে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।’
ইকবাল হোসেন/ইসরাত চৈতী/