![সিলেটে এক সপ্তাহে সাপের কামড়ে আহত ১২](uploads/2024/06/23/1712462547.slyet-medacal-news-1719130064.jpg)
সিলেটে চলমান বন্যা পরিস্থিতিতে গত এক সপ্তাহে বিভিন্ন প্রজাতির সাপের কামড়ে আহত হয়ে ১২ জন রোগী সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন বিষধর কোবরা সাপের কামড়ে গুরুতর আহত অবস্থায় ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিউতে চিকিৎসাধীন। অন্যরা চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
তবে এই রোগীদের মধ্যে কেউই চন্দ্রবোড়া সাপ বা রাসেলস ভাইপারের কামড়ে আহত হননি বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এ দিকে সারাদেশের বিভিন্ন এলাকায় চন্দ্রবোড়া বা রাসেলস ভাইপার সাপ ইতোমধ্যে পাওয়া গেছে। তাই চলমান এই বন্যা পরিস্থিতিতে সিলেটের মানুষের মধ্যেও রাসেলস ভাইপার আতঙ্ক আছে। চলমান এই বন্যা পরিস্থিতিতে সিলেটে কোম্পানিগঞ্জ, গোয়াইঘাট ও জৈন্তাপুরর মানুষ বেশি আক্রান্ত হয়েছেন। তাই সাপের উপদ্রবও এই তিন উপজেলাতে বেশি ছিল। সাপের কামড়ে আহত ১২ জন এই তিন উপজেলার ছিলেন বলে জানান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার (১৫ জুন) থেকে এক সপ্তাহের মধ্যে ১২জন রোগী বিভিন্ন প্রজাতির সাপের কামড়ে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। এরমধ্যে ১১ জন রোগীই বিষধর সাপের কামড়ের ছিলেন না। তাদের চিকিৎসা দিয়ে কাউকে সঙ্গে সঙ্গে আবার কাউকে এক থেকে দুই দিন ভর্তি রেখে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে গত ২০ জুন জৈন্তাপুর উপজেলা থেকে একজন কোবরা সাপের কামড়ে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। তিনি বর্তমানে আইসিউতে চিকিৎসাধীন আছেন।
রবিবার (২৩ জুন) তাকে আইসিইউ থেকে ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হবে।
এ ব্যাপারে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ ও অধ্যাপক ডা. শিশির রঞ্জন চক্রবর্ত্তী খবরের কাগজকে বলেন, 'আমরা ভেবেছিলাম চলমান বন্যা পরিস্থিতিতে সাপের কামড়ের রোগী আরও বেশি আসবেন। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার এখন পর্যন্ত অনেক কম রোগী আসছেন। সাপের কামড়ের রোগীদের চিকিৎসা দিতে আমরা সার্বিকভাবে প্রস্তুত আছি। তাই সাপ কামড়ালে আতঙ্কিত না হয়ে দ্রুত যেকোনো সরকারি হাসপাতালে রোগীকে নিয়ে যেতে হবে।'
শাকিলা ববি/জোবাইদা/অমিয়/