![চট্টগ্রামে ৫ সেক্টরে প্রশিক্ষণ দিতে আগ্রহী কোরিয়া](uploads/2024/07/05/ctg-korea-1720159588.jpg)
চট্টগ্রামের জনশক্তিকে পেইন্টিং, ওয়েল্ডিং, মেকাট্রনিক্স, আইটি ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল অটোমেশন সেক্টরে প্রশিক্ষণ দিতে আগ্রহী কোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (কোইকা)।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) নগরের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের চেম্বার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় কোইকার ডিরেক্টর জেনারেল জংমিন পার্ক এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে কাজ করছে কোরিয়া। আগামী ৫ বছরে বাংলাদেশ থেকে কোরিয়া বিভিন্ন সেক্টর বিশেষ করে পেইন্টিং, ওয়েল্ডিং, মেকাট্রনিক্স, আইটি এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল অটোমেশন সেক্টরে প্রশিক্ষণ দেবে ও কর্মী নেবে।’
এরই অংশ হিসেবে চট্টগ্রামে কী পরিমাণ জনশক্তি আছে তা গবেষণার মাধ্যমে বের করে শিল্পের চাহিদানুযায়ী প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের ম্যানুফ্যাকচারিং খাতের আজকের এই অবস্থানে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে কোরিয়া। আগামীতেও বাংলাদেশ তথা চট্টগ্রামে উৎপাদনশীল খাতগুলোতে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে কাজ করবে কোরিয়া।’
চেম্বার সভাপতি ওমর হাজ্জাজ বলেন, ‘দেশের তৈরি পোশাক খাত আজকের এই অবস্থানের পেছনে রয়েছে কোরিয়ার অবদান। কারিগরি শিক্ষার উন্নয়নেও কাজ করছে কোরিয়া। আমাদের প্রচুর জনশক্তি থাকলেও রয়েছে টেকনিক্যাল দক্ষতার অভাব। কোরিয়ার এ ধরনের উদ্যোগের ফলে শিল্পের চাহিদানুযায়ী দক্ষ জনশক্তি যেমন গড়ে উঠবে, তেমনি বিভিন্ন দেশেও এসব দক্ষ জনশক্তি রপ্তানি করা যাবে। চট্টগ্রামে শিল্পকারখানাগুলোতে সেক্টরভিত্তিক জনশক্তির প্রয়োজনীয়তা নির্ণয় করতে যৌথভাবে কোইকার সঙ্গে একটা ডাটাবেজ তৈরিতে গবেষণা করার ঘোষণা দেন।’
জনশক্তি কমর্সংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. মঞ্জুরুল হাফিজ বলেন, ‘সরকার দেশের জনশক্তিকে জনসম্পদে পরিণত করতে কাজ করে যাচ্ছে। এ জন্য বর্তমান সরকার কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষাব্যবস্থার ওপর জোর দিচ্ছেন। কোইকার এ ধরনের উদ্যোগ দক্ষ জনশক্তি রপ্তানি এবং অভ্যন্তরীণ দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কোইকার ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর ইয়াং হিউনও, যুক্তরাষ্ট্রের ওকালোহমা ইউনিভার্সিটি প্রফেসর নামছুল লি, মেকানিক্যাল ডিজাইন এক্সপার্ট জং ইয়েন পার্ক, সাংকোংওয়াং ইউনিভার্সিটি প্রফেসর চাং ইয়াপ কিম, চেম্বার পরিচালক অঞ্জন শেখর দাশ, মাহফুজুল হক শাহ, নাজমুল করিম চৌধুরী শারুন, বাংলাদেশ-কোরিয়া টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার প্রিন্সিপাল ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ নুরুজ্জামান প্রমুখ।
ইফতেখারুল/ইসরাত চৈতী/