ঢাকা ২৪ আষাঢ় ১৪৩১, সোমবার, ০৮ জুলাই ২০২৪

গাইবান্ধায় ২৮ হাজার পরিবার পানিবন্দি, বিশুদ্ধ পানির সংকট

প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০২:৫৩ পিএম
আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০৩:০৮ পিএম
গাইবান্ধায় ২৮ হাজার পরিবার পানিবন্দি, বিশুদ্ধ পানির সংকট
ছবি : খবরের কাগজ

গাইবান্ধায় করতোয়া, ঘাঘট, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বেড়েই চলেছে। দুইদিন ধরে ঘাঘট ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপৎসীমার ওপরে। অবিরাম বৃষ্টি ও উজানের ঢলে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। অবনতি হচ্ছে বন্যা পরিস্থিতির। ২৮ হাজারের বেশি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। তারা খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকটে পড়েছেন। বিশেষ করে দুর্গম চরাঞ্চল ও নদীতীরবর্তী এলাকার পরিস্থিতি আরও বেশি করুণ।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয়ের তথ্য অনুসারে, জেলার চার উপজেলায় ২৭টি ইউনিয়নে বন্যার্ত পরিবারের সংখ্যা ২৮ হাজারেও বেশি। প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিতরণের জন্য ৪০০ মেট্রিক টন (জিআর) চাল ও নগদ ১০ লাখ টাকা মজুত রয়েছে। এর মধ্যে তিন হাজার ৫০টি শুকনো খাবারের প্যাকেট ও ১৬৫ মেট্রিক টন চাল চার উপজেলায় বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। 

শুক্রবার (৫ জুলাই) গাইবান্ধা পাউবোর নিয়ন্ত্রণকক্ষের দেওয়া তথ্য অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ফুলছড়ি উপজেলার তিস্তামুখঘাট পয়েন্টে ২৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৮৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। একই সঙ্গে ঘাঘট নদীর পানি জেলা শহরের নতুন ব্রিজ পয়েন্টে ২৬ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। করতোয়ার পানি গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার চকরহিমাপুর পয়েন্টে ২৩ সেন্টিমিটার বেড়েছে। 

অন্যদিকে তিস্তার পানি কমতে শুরু করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় তিস্তার পানি সুন্দরগঞ্জ উপজেলাসংলগ্ন রংপুরের কাউনিয়া পয়েন্টে ২৬ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৬২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। 

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সকাল ৯টা থেকে শুক্রবার (৫ জুলাই) সকাল ৯টা পর্যন্ত গাইবান্ধায় নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি ও কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ২৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

ফুলছড়ি উপজলোর গুপ্তমনি চর এলাকার বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার থেকে তার ঘরের ভেতর তিন থেকে চার ফুট পানি। নলকূপ ও শৌচাগার ডুবে গেছে । পানিতে ভেসে গেছে হাঁস-মুরগি। গরু-ছাগল নিয়ে মহাবিপদের মধ্যে আছেন। বুধবার সকাল থেকে বৃস্পতিবার সকাল পর্যন্ত তারা শুকনো খাবার খেয়ে আছেন। বৃষ্টির মধ্যেই নৌকা নিয়ে বালাসিঘাট এলাকায় বাজারে শুকনো খাবার ও পানি কিনতে এসেছেন।

একই গ্রামের সাজু মিয়া জানান, শুধু তারা নয়, তাদের মতো অনেক পরিবার পানিবন্দি। তারা সামান্য খাবার খেয়ে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন। আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে পারছেন না বাড়ি-ঘরে আসবাবপত্র রেখে। এ মুহূর্তে তাদের শুকনো খাবার ও পানি খুবই দরকার।

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুল হক জানান, নদ-নদীর পানি বাড়লেও আপাতত বড় বন্যার আশঙ্কা নেই। ব্রহ্মপুত্র নদে পানি বাড়ার কারণ উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল। এ পানি ঘাঘট নদীতে প্রবেশ করেছে। একই কারণে করতোয়ার পানিও বৃদ্ধি পাচ্ছে। বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের কোনো ক্ষতি হয়নি। তবে বৃষ্টির কারণে বাঁধের বিভিন্ন এলাকায় রেইনকাট হয়েছে। সেগুলো মেরামত করা হচ্ছে।

গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ রসুল জানান, ত্রাণ বিতরণ ও উদ্ধার কার্যক্রমের জন্য নৌকা, স্পিডবোট প্রস্তুত রয়েছে। জেলা ও উপজেলায় নিয়ন্ত্রণকক্ষ খোলা হয়েছে। ইউনিয়নভিত্তিক বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। প্রতিটি উপজেলায় মেডিকেল টিম, কৃষি টিম, স্বেচ্ছাসেবক টিম এবং লাইভস্টোক টিম গঠন করা হয়েছে।

রফিক খন্দকার/জোবাইদা/

জৈন্তাপুরে চিনির লাইনে ধরা পড়ল চেতনানাশক ওষুধ

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৪, ০১:৫৫ পিএম
আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৪, ০১:৫৫ পিএম
জৈন্তাপুরে চিনির লাইনে ধরা পড়ল চেতনানাশক ওষুধ
ছবি : বিজ্ঞপ্তি

সিলেটের সব সীমান্ত এখন চোরাই চিনির লাইন হিসেবে পরিচিতি। এ পথে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে মাদকসহ নানা অবৈধ পণ্যও ধরা পড়ছে। শনিবার (৬ জুলাই) মধ্যরাতে সীমান্ত উপজেলা জৈন্তাপুরে চোরাই চিনির বিরুদ্ধে অভিযানে ধরা পড়ছে আমদানি নিষিদ্ধ চেতনানাশক ওষুধ। 

তাছাড়া পৃথক আরেকটি অভিযানে ১০৫ বস্তা চোরাই চিনি জব্দ করে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।  

রবিবার (৭ জুলাই) বিকেলে জৈন্তাপুর থানার মিডিয়া সেল থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

পৃথক দুটি অভিযানে ১০৫ বস্তা চোরাই চিনি, ১৩৮ বোতল চেতনাশক ওষুধ জব্দের ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে।

মামলায় চিনির সঙ্গে আটক তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তাছাড়া, চোরাচালানে ব্যবহার করা একটি মোটরসাইকেল ও একটি নৌকা জব্দ করা হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে চোরাই চিনির লাইন হিসেবে পরিচিতি জৈন্তাপুর উপজেলার নিজপাট মাহুতহাটি গ্রামের রাস্তা দিয়ে চোরাকারবারি চক্রের সদস্যরা টমটমে করে ভারতীয় ১৩৮ বোতল চেতনানাশক ওষুধ পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাচ্ছিল। খবর পেয়ে উপ-পরিদর্শক (এসআই) আশরাফুল আলমের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে দুটি কাটুনে ভারতীয় ১৩৮ বোতল চেতনানাশক ওষুধ জব্দ করে। এ সময় চোরাকারবারিরা তাদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি ফেলে পালিয়ে যায়। পরে মোটরসাইকেলের মালিকানা সূত্র ধরে দুজনকে শনাক্ত করা হয়।

এ ঘটনায় রবিবার (৭ জুলাই) উপজেলার লামনী গ্রামের কুতব উদ্দিন (৩২) ও ভিত্রিখেল কন্যাখাই গ্রামের তোফায়েল আহমেদের (২৫) বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। 

এর পর রাত ১টায় জৈন্তাপুর থানার এসআই আব্দুল লতিফের নেতৃত্বে পুলিশের আরেকটি দল ডুলটিরপাড় এলাকার সারী নদীর পূর্বপাড়ে অভিযান চালিয়ে ১০৫ বস্তা ভারতীয় চিনিবোঝাই নৌকা জব্দ করে। এ সময় কটাই মিয়া (৪৬), সিরাজ (৫১) ও আতিক (২১) নামের তিনজনকে আটক করে। তাদের বাড়ি গোয়াইনঘাট উপজেলায়। তাদের সঙ্গে থাকা আরেকজন পালিয়ে যায়। 

জৈন্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম খবরের কাগজকে বলেন, চোরাই চিনির পথে এখন মাদকসহ নানা অবৈধ পণ্য আসছে। এর আগে আরও একটি অভিযানে চিনির সঙ্গে মাদকও উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার রাতে পৃথক দুটি অভিযানে ১৩৮ বোতল ভারতীয় চেতনানাশক ওষুধ ও ১০৫ বস্তা চিনি জব্দের ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা করা হয়েছে। আটক তিনজনকে চিনি চোরাচালান মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে বিকেলে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। চেতনানাশক ওষুধ চোরাচালানের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

উজ্জ্বল মেহেদী/জোবাইদা/অমিয়/

সৌদিতে বাংলাদেশি শ্রমিকের মৃত্যু

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৪, ০১:৫১ পিএম
আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৪, ০১:৫১ পিএম
সৌদিতে বাংলাদেশি শ্রমিকের মৃত্যু
মো. ফরিদ মিয়া

সৌদি আরবের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশে মো. ফরিদ মিয়া (২৮) নামে এক বাংলাদেশি শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (৬ জুলাই) স্থানীয় সময় রাত ১১টায় রাজধানী দাম্মামের বাসায় অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়।

মো. ফরিদ মিয়া কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার গুণধর ইউনিয়নের খয়রত গ্রামের বাসিন্দা। তার বাবার নাম মো. আবদুল কাদির। 

ফরিদের ছোট ভাই নয়ন মিয়া বলেন, ফরিদ গ্রামে কৃষিকাজের পাশাপাশি অটোরিকশা চালাতেন। আড়াই বছর আগে তিনি সৌদি আরবে যান। সেখানে নির্মাণ কাজে সুপারভাইজারের দায়িত্ব পান তিনি। গত বছর তাকেও তিনি সৌদিতে নিয়ে যান।

রবিবার (৭ জুলাই) বিকেলে ফরিদের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, শোকে পরিবারের সবাই কাতর। 

লাশ কবে আসছে এই খবর জানার জন্য লোকজন বাড়িতে ভিড় জমায়। 

তার বাবা আব্দুল কাদির বলেন, ‘ফরিদ আমার বড় ছেলে। বাড়িতেও পরিশ্রমী ছিল। সংসারের উন্নত করার জন্য বিদেশে গিয়েছিল। প্রথমে কষ্ট করলেও সেখানে পরে তার ভাল অবস্থান তৈরি হয়। মেজো ভাইটাকে তার কাছে নিয়ে যায়। ছোট ভাই সুজনকে মালয়েশিয়ায় পাঠায়। আমার ছেলে নেই। সংসারই এখন এলোমেলো হয়ে গেল। আমি কি করে সব সামলাবো। আমার ছেলের লাশ দ্রুত দেশে নিয়ে আসতে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করি।’

তাসলিমা মিতু/জোবাইদা/অমিয়/

সাতক্ষীরায় সন্তানকে পানিতে ডুবিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার মা

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৪, ০১:৪৯ পিএম
আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৪, ০১:৪৯ পিএম
সাতক্ষীরায় সন্তানকে পানিতে ডুবিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার মা

সাতক্ষীরায় তিন মাসের সন্তানকে পানিতে ডুবিয়ে হত্যার অভিযোগে মা সুরাইয়া ইয়াসমিনকে (৩০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

রবিবার (৭ জুলাই) রাত ১১টার দিকে সাতক্ষীরা পৌরসভার রইচপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সুরাইয়া ইয়াসমিন ওই গ্রামের মুজাফফর হোসেনের মেয়ে ও খুলনার গিলাতলার মুছা শেখের স্ত্রী। তিনি বাবার বাড়িতেই দুই সন্তানকে নিয়ে থাকতেন।

স্থানীয়রা জানান, সুরাইয়া ইয়াসমিনের শিশু মেয়ে মমতাজ খাতুনকে দুপুর ২টা থেকে পাওয়া যাচ্ছিল না। অনেক খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাড়ির পুকুর থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়।

তারা জানান, সুরাইয়া মাঝে মাঝেই মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন। এর আগে তিনি তার ছেলেকে দুই বার খাবারের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছিলেন। রাতে পুলিশ এসে সুরাইয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি মেয়েকে পুকুরের পানিতে ডুবিয়ে হত্যার কথা স্বীকার করে। পরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সাতক্ষীরা সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাজরিয়া হোসাইন বলেন, শিশুটির লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যার কথা স্বীকার করায় ইয়াসমিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

নাজমুল শাহাদাৎ/জোবাইাদা/অমিয়/

বিষের বোতল নিয়ে পুলিশ সদস্যের বাড়িতে কলেজছাত্রীর অনশন

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৪, ০১:১০ পিএম
আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৪, ০১:১০ পিএম
বিষের বোতল নিয়ে পুলিশ সদস্যের বাড়িতে কলেজছাত্রীর অনশন
ছবি : খবরের কাগজ

ঢাকার ধামরাইয়ে বিয়ের দাবিতে বিষের বোতল নিয়ে এক পুলিশ সদস্যের বাড়িতে অনশনে বসেছেন এক কলেজছাত্রী। বিয়ে না হওয়া পর্যন্ত তিনি এ বাড়ি ছাড়বেন না। যদি বিয়ে না করে তাহলে বিষ পান করে আত্মহত্যা করবেন বলে জানান অনশনরত তরুণী।

রবিবার (৭ জুলাই) দুপুরের দিকে উপজেলার বাইশাকান্দা ইউনিয়নের বেরশ গ্রামের ঘটনা এটি।

জানা যায়, উপজেলার বাইশাকান্দা ইউনিয়নের বেরশ গ্রামে পুলিশ সদস্য সুব্রত বৈরাগী বাড়িতে সকালে অবস্থান নেন ওই তরুণী। তাকে বাড়িতে দেখে সুব্রত বৈরাগী পালিয়ে যায়। 

সুব্রত ওই গ্রামের গণেশ বৈরাগীর ছেলে। তিনি বর্তমানে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী থানায় কর্মরত আছেন বলে জানা গেছে।

অনশনরত তরুণী মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার কাট্রাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি সাভারে ভাড়া বাসায় পরিবারের সঙ্গে বসবাস করেন। তিনি লালমাটিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অনার্স শেষ বর্ষের ছাত্রী।

অনশনরত তরুণী বলেন, ‘এক বছর আগে পুলিশ সদস্য সুব্রতর সঙ্গে তার পরিচয় হয়। পরিচয় থেকে প্রেম। আমি প্রথম দিকে পাত্তা দেইনি কিন্তু আমাকে কলেজে গিয়ে মাঝে মধ্যে বিরক্ত করে। এই নিয়ে কলেজে তাকে আটকিয়েছিল। এরপর সে আমাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। পরে আমি রাজি হই। আমাদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় বেড়াতে নিয়ে বিয়ের কথা বলে সুব্রত আমার সঙ্গে  শারীরিক সম্পর্ক করে। তবে আমি তাকে বার বার নিষেধ করার পরও সে আমার কথা মানেনি। এতদিন পর্যন্ত ভালোভাবেই চলছিল।’

তিনি বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার বিয়ের কথা বলে সুব্রত। কিন্তু এর পর থেকে সুব্রত আর আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে না। পরে আমি নিরুপায় হয়ে আজ সকালে ওদের বাড়িতে অবস্থান নিই। কিন্তু সুব্রতর মা-বাবা ও বোন আমাকে পিটিয়ে ঘর থেকে বের করে দেয়। শেষে সুব্রতর বাবা কয়েকদিন পরে বিয়ে দেবে বলে জানান।’ 

তরুণী আরও বলেন, ‘এখন যদি সুব্রত আমাকে বিয়ে না করে তাহলে আমি এই বাড়িতে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করবে। এলাকার লোকজন বসবে বলে জানিয়েছে। তারা যদি সঠিক বিচার না করে, তাহলে আমি বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করবে।’

এই বিষয়ে স্থানীয়রা বলেন, ‘তরুণী প্রেমের সর্ম্পকের কথা আমাদের জানিয়েছেন। আমরা এই বিষয়ে নিয়ে পুলিশ সদস্যর বাবার সঙ্গে কথা বলি কিন্তু ছেলের বাবা মানতে নারাজ। তরুণী আমাদের ছেলের সঙ্গে অন্তরঙ্গ কিছু ছবিও দেখান।’

তবে অনশনের ব্যাপারে বাইশাকান্দা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান মিজান বলেন, ‘মেয়ের সঙ্গে সুব্রতর দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্ক আছে। এর আগেও আমার কাছে বিচার চেয়েছিল। সুব্রত হাজির হয়নি। তবে আমি চাই মেয়েটাকে বিয়ে করুক।’

এ বিষয়ে বাইশাকন্দা ইউনিয়নের বিট পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. ফয়েজ উদ্দিন  বলেন, ‘বিষয়টি আমি জানি না। ভুক্তভোগী যদি অভিযোগ করেন তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

রুহুল আমিন/জোবাইদা/অমিয়/

টাঙ্গাইলে বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষ মেলা উদ্বোধন

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৪, ১২:৩৩ পিএম
আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৪, ০২:১৪ পিএম
টাঙ্গাইলে বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষ মেলা উদ্বোধন
ছবি: খবরের কাগজ

টাঙ্গাইলে ‘বৃক্ষ দিয়ে সাজাই দেশ, সমৃদ্ধ করি বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্য নিয়ে সাত দিনব্যাপী বৃক্ষরোপণ অভিযান এবং বৃক্ষ মেলা উদ্বোধন করা হয়েছে।

সোমবার (৮ জুলাই) সকালে শহরের শহিদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে প্রধান অতিথি হিসেবে মেলার উদ্বোধন করেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. ছানোয়ার হোসেন।

৮ জুলাই থেকে শুরু হওয়া এ বৃক্ষ মেলা আগামী ১৪ জুলাই শেষ হবে। 

এ উপলক্ষে সোমবার সকালে টাঙ্গাইল বন বিভাগের আয়োজনে এবং জেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে একটি র্যালি বের হয়। 

র্যালিটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহিদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

জেলা প্রশাসক কায়ছারুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এস এম সিরাজুল হক আলমগীর, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন খান তোফা, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসান বিন মোহাম্মদ আলী, টাঙ্গাইল প্রেস ক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন টাঙ্গাইলের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদুজ্জামান। 

পরে শিক্ষার্থীদের মধ্যে শতাধিক গাছের চারা বিতরণ করা হয়।

জুয়েল রানা/পপি/অমিয়/