![হীরার ব্যবসা বন্ধ করছে যুক্তরাজ্যের খনি কোম্পানি ডি বিয়ার্স](uploads/2024/05/15/De-Beers-1715759187.jpg)
ব্রিটিশ খনি জায়ান্ট অ্যাংলো আমেরিকান তার প্রতিদ্বন্দ্বী বিএইচপি থেকে ৩ হাজার ৪০০ কোটি (৩৪ বিলিয়ন) পাউন্ডের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার পর এবার নিজেদের ব্যবসাকে ভাঙার পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছে।
কোম্পানিটি বলেছে, তারা তাদের হীরার কোম্পানি ডি বিয়ার্সের কার্যক্রম, অ্যাংলো আমেরিকান প্ল্যাটিনাম এবং এটির ইস্পাত তৈরির কয়লার ব্যবসাসহ ফার্মের প্রধান অংশ বিক্রি বা আলাদা করবে। খবর বিবিসির।
ব্রিটিশ সম্প্রচার মাধ্যমটির খবরে বলা হয়, এই পদক্ষেপের মাধ্যমে কোম্পানিটি তার অবশিষ্ট অংশ নিয়ে তামা, লোহার আকরিক ও ফসলের পুষ্টির (বিভিন্ন ধরনের সার ও ওষুধ) ব্যবসায় মনোনিবেশ করবে।
১০৭ বছর বয়সী কোম্পানি অ্যাংলো আমেরিকান পিএলসি, তাদের বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে অর্থ পরিশোধের চাপের মধ্যে পড়েছে। কারণ, কোম্পানিটি অস্ট্রেলিয়াভিত্তিক বিএইচপি থেকে একটি অধিগ্রহণ প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছে।
অ্যাংলো আমেরিকানের প্রধান নির্বাহী ডানকান ওয়ানব্লাড এক বিবৃতিতে লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জকে বলেছেন, আমরা আশা করছি, মৌলিকভাবে একটি সরল ব্যবসা কার্যক্রমের কর্মক্ষমতা এবং খরচ হ্রাসে ধাপে ধাপে পরিবর্তনের মাধ্যমে কোম্পানি বাজারে তাদের টেকসই বৃদ্ধিমূলক মূল্য সৃষ্টি করবে।’
কোম্পানিটি বলেছে, ক্লিন এনার্জির (পরিবেশবান্ধব জ্বালানি) বৈশ্বিক পরিবর্তন থেকে লাভবান হওয়ার জন্য ব্যবসাটিকে সর্বোত্তম অবস্থানে আনার লক্ষ্যেই এই ঝক্কি-ঝামেলা সহ্য করতে হচ্ছে।
অ্যাংলো আমেরিকান আরও বলেছে, তারা আশা করছে, প্রতিষ্ঠানের পুনর্গঠনের ফলে তাদের খরচ ১ দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলার (১ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন পাউন্ড) কমবে।
এর আগে গত সোমবার প্রতিদ্বন্দ্বী কোম্পানি বিএইচপি থেকে একটি ক্রমবর্ধমান মূল্যের অধিগ্রহণ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে অ্যাংলো আমেরিকান। কোম্পানিটি বলেছে, এটি তাদের শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ‘অত্যন্ত অ-আকর্ষণীয়’। কারণ এই প্রস্তাবটিতে বিএইচপি কোম্পানিটিকে উল্লেখযোগ্যভাবে অবমূল্যায়ন করে চলেছে।
খবরে বলা হয়, বিএইচপি তাদের তামার কার্যক্রম বাড়ানোর জন্য অ্যাংলো আমেরিকানকে কিনতে চায়।
তামা বিদ্যুৎ পরিচালনের জন্য ব্যবহৃত হয় এবং কিছু অর্থনীতি (দেশ) নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও বৈদ্যুতিক যানবাহনে (ইভি) আরও রূপান্তরিত হওয়ায় ধাতুপণ্যটির চাহিদা দিন দিন বাড়ছে।
অ্যাংলো আমেরিকান চিলি ও পেরুতে দুটি তামার খনির মালিক, যেখানে বিএইচপিরও কিছু কার্যক্রম রয়েছে।
চুক্তিটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় দুটি খনির কোম্পানিকে একত্র করত, তবে এই কার্যক্রম বাস্তবতার মুখ দেখলে, তামাশিল্প উল্লেখযোগ্য প্রতিযোগিতামূলক বাধাগুলোর মুখোমুখি হতে পারত।
এর আগে এক খবরে বলা হয়, বিএইচপি অ্যাংলো আমেরিকানকে কিনে নেওয়ার মাধ্যমে অ্যাংলোর প্ল্যাটিনাম এবং দক্ষিণ আফ্রিকার লোহা আকরিকের বিভাগগুলোকে স্বতন্ত্র কোম্পানি হিসেবে গড়ে তোলারও পরিকল্পনা করেছে। কিন্তু অ্যাংলো আমেরিকানের মতে, বিএইচপির এই পরিকল্পনা সুযোগ সন্ধানী এবং কোম্পানির ভবিষ্যৎ সম্ভাবনাকে অবমূল্যায়িত করেছে।