শেরপুরে সরকারিভাবে অভ্যন্তরীণ বোরো ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়েছে।
শনিবার (২৫ মে) দুপুরে শেরপুর সদর উপজেলা খাদ্য গুদামে এ সংগ্রহ অভিযানের উদ্বোধন করা হয়। উপজেলা সংরক্ষণ ও চলাচল কর্মকর্তার কার্যালয় এর আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ছানুয়ার হোসেন ছানু।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজাবে রহমতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক নাজমুল হক ভূঁইয়া প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বলেন, ‘শেখ হাসিনার সরকার কৃষিবান্ধব সরকার। এই সরকার থাকলে কৃষকের উন্নতি হয়। কারণ, এই সরকার কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নের কথা ভাবেন। সাধারণ কৃষকরা যেন খুব সহজে গুদামে সরাসরি ধান দিয়ে লাভবান হতে পারেন সে জন্যই এই ব্যবস্থা। তবে, ধান দিতে এসে কেউ যেন হয়রানি বা প্রতারণার শিকার না হন, সেদিকে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। একই সঙ্গে কৃষকরা যেন হয়রানি না হন সেজন্য বিশেষ করে জেলা খাদ্য বিভাগকে সজাগ থাকতে হবে।’
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে শেরপুর জেলায় ৪৫ টাকা দরে ২১ হাজার ২১৩ মেট্রিক টন সেদ্ধ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। এর মধ্যে সদর থেকে ১৫ হাজার ৬৫৮ মেট্রিক টন, নালিতাবাড়ীতে ২ হাজার ৫১৭ মেট্রিক টন, নকলায় ৬৯৭ মেট্রিক টন, শ্রীবরদীতে ৫৬৭ মেট্রিক টন ও ঝিনাইগাতীতে ১ হাজার ৭৭৪ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহ করা হবে।
আবার ৩২ টাকা দরে ১০ হাজার ৩৬৬ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। এর মধ্যে সদর থেকে ২ হাজার ৭১২ মেট্রিক টন, নালিতাবাড়ীতে ২ হাজার ৬৯ মেট্রিক টন, নকলায় ১ হাজার ৪১ মেট্রিক টন, শ্রীবরদীতে ১ হাজার ৯৯৫ মেট্রিক টন ও ঝিনাইগাতীতে ১ হাজার ৬৪৯ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ করা হবে।
এবার ‘কৃষকের অ্যাপে’র মাধ্যমে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান সংগ্রহ করা হবে। এখন পর্যন্ত জেলায় কৃষকের অ্যাপে নিবন্ধিত কৃষকের সংখ্যা ২৩ হাজার ৫৮৭ জন। আর শেরপুর সদর ও ঝিনাইগাতী উপজেলায় ‘খাদ্যশস্য সংগ্রহ ব্যবস্থাপনা সিস্টেম’ এফপিএস সফটওয়্যারের মাধ্যমে মিলারদের কাছ থেকে চাল সংগ্রহ করা হবে। জেলায় চুক্তিযোগ্য সেদ্ধ চালকলের মধ্যে ১৪৪টি হাসকিং ও ২৪টি অটোসহ মোট ১৬৮টি।