![চীনের সয়াবিন আমদানি ১২ শতাংশ কমেছে](uploads/2024/06/11/soya-1718088957.jpg)
চলতি বছরের মে মাসে চীনের সয়াবিন আমদানি কমেছে। চীনের শুল্ক বিভাগের তথ্যমতে, গত মাসে দেশটি ১ কোটি ২ লাখ ২০ হাজার টন সয়াবিন আমদানি করেছে। এটি এক বছর আগের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ১২ (১১ দশমিক ৬০) শতাংশ কম। কিন্তু গত এপ্রিল মাসের আমদানির চেয়েও বেশি। খবর রয়টার্সের।
ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থাটির খবরে বলা হয়, ভালো ক্রাশ মার্জিনের (প্রক্রিয়াকরণ থেকে প্রাপ্ত মুনাফার পরিমাণ) কারণে এই সময়ে ব্রাজিলের সয়াবিনের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ কারণে এপ্রিলের তুলনায় মে মাসে চীনের সয়াবিন আমদানি বেড়েছে।
চীনের শুল্ক বিভাগের দেওয়া তথ্য থেকে রয়টার্সের হিসাব অনুযায়ী, ২০২৩ সালের মে মাসে বিশ্বের বৃহত্তম সয়াবিন আমদানিকারক দেশটির আমদানি আগের রেকর্ড করা ১ কোটি ১৫ লাখ ৬০ হাজার টন থেকে ১১ দশমিক ৬০ শতাংশ কম ছিল। সেই সঙ্গে এটি চীনের ১ কোটি ২০ লাখ টন আমদানি লক্ষ্যমাত্রার থেকেও কম।
চীনের শুল্ক বিভাগ জেনারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অব কাস্টমসের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, বছরের প্রথম পাঁচ মাসে দেশটিতে মোট ৩ কোটি ৭৩ লাখ ৭০ হাজার টন সয়াবিন আমদানি হয়েছে, যা এক বছর আগের একই সময়ের তুলনায় ৫ দশমিক ৪০ শতাংশ কম।
রয়টার্স জানায়, বিশ্বের বৃহত্তম শূকরের মাংসের বাজার চীন। দেশটিতে ক্রমবর্ধমান শূকরের দাম, সয়াবিনের চাহিদা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে, যা পশুখাদ্যের জন্য চূর্ণ করে ‘সয়ামিলে’ (পশু-পাখির খাদ্য) পরিণত করা হয়। শীর্ষ উৎপাদক ব্রাজিল থেকে সবচেয়ে বেশি সয়াবিন আমদানি করা হয়। তবে সাধারণ মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত ব্রাজিল তাদের উৎপাদিত সয়াবিনের বেশির ভাগই চীনে পাঠায়।
কিন্তু এই মৌসুমে হওয়া বন্যা ব্রাজিলের ফসল উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটিয়েছে। ফলে দেশটির উৎপাদনের পরিমাণ কমে গেছে এবং সদ্য কাটা সয়াবিন শুকানো এবং স্টোরেজ ইউনিটে পাঠানোকে প্রভাবিত করেছে।
সাংহাইভিত্তিক কৃষি পরামর্শক সংস্থা জেসিআইয়ের বিশ্লেষক রোজা ওয়াং বলেছেন, ‘শুল্ক বিভাগের ১ কোটি ২ লাখ ২০ হাজার টন সয়াবিন আমদানির তথ্য, আমাদের আনুমানিক ১ কোটি ২০ লাখ টন থেকে সামান্য কম। কারণ কিছু জাহাজ হয়তো এসেছে, কিন্তু (এখনো) শুল্ক ছাড়পত্র সম্পূর্ণ করতে পারেনি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জুন মাসের আমদানি পরিসংখ্যানে বেশি পণ্য আসার বিষয়টি দেখতে পারি। তবে ব্রাজিলের বন্যার প্রভাব বিবেচনা করে, আমরা জুন মাসের জন্য প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ টনের একটি ছোট পরিমাণ আমদানির অনুমান করছি।’
সর্বশেষ সরকারি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম উৎপাদক দেশ আর্জেন্টিনায়, কৃষকরা সয়াবিন বিক্রির বিলম্বিত কার্যক্রমকে দ্রুত চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। বৈশ্বিক বাজারে উচ্চমূল্য এবং চলমান ফসল কাটার জন্য উন্নত আবহাওয়া এই প্রবণতায় সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।