ঢাকা ৫ মাঘ ১৪৩১, রোববার, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫

বাহরাইনের বিজয়ে প্রবাসী বাংলাদেশিদের আনন্দ র‍্যালি

প্রকাশ: ০৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:০৯ এএম
আপডেট: ০৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:১৪ এএম
বাহরাইনের বিজয়ে প্রবাসী বাংলাদেশিদের আনন্দ র‍্যালি
ছবি: খবরের কাগজ

কুয়েতে অনুষ্ঠিত মধ্যপ্রাচ্যে ফুটবলের সর্ববৃহৎ আয়োজন গালফ কাপ-এর ২৬তম আসরে বাহরাইন চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স বাহরাইন জাতীয় ফুটবল দলকে এবং বাহরাইন সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

শনিবার (৪ জানুয়ারি) এই ফাইনাল ম্যাচটি বাংলাদেশ দূতাবাসের সহযোগিতায় এবং মুক্তা সিনেমা হল কর্তৃপক্ষ ও বাহরাইন ক্রিকেট ফেডারেশনের যৌথ উদ্যোগে বাহরাইনের জোফের শপিংমলের মুক্তা সিনেমা হলের বড় পর্দায় সরাসরি দেখানো হয়।

এ ম্যাচটি উপভোগ করতে এবং বাহরাইন টিমকে সমর্থন জানাতে এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স এ কে এম মহিউদ্দিন কায়েস, বাহরাইন ক‍্যাপিটাল গভর্নরেটের পরিচালক ইউসুফ লরি, মুক্তা সিনেমা হল ও বাহরাইন ক্রিকেট ফেডারেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, বাহরাইনের নাগরিক ও বাংলাদেশের কয়েক শ প্রবাসী। 

উপস্থিত দর্শকরা এত সুন্দর আয়োজনের জন্য বাংলাদেশ দূতাবাসসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। এছাড়া বাহরাইন জেতায় খেলা শেষে প্রবাসী বাংলাদেশিরা আনন্দ র‍্যালি বের করেন।

মেহেদী/অমিয়/

বাহরাইনে ‘বাংলাদেশ ফেস্টিভ্যাল ২০২৫’ উদ্বোধন

প্রকাশ: ১১ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:৫২ এএম
আপডেট: ১১ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:০৭ এএম
বাহরাইনে ‘বাংলাদেশ ফেস্টিভ্যাল ২০২৫’ উদ্বোধন
বাহরাইনে ‘বাংলাদেশ ফেস্টিভ্যাল ২০২৫’ উদ্বোধন।

বাংলাদেশ ও বাহরাইনের মধ্যকার কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণ জয়ন্তী এবং বর্তমানে বাংলাদেশে চলমান ‘যুব উৎসব’ উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে বাহরাইনে প্রথমবারের মতো প্রসিদ্ধ ডানা মলে তিন দিনব্যাপী ‘বাংলাদেশ ফেস্টিভ্যাল ২০২৫’ এর জমকালো আয়োজনের উদ্বোধন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) লুলু হাইপার মার্কেট কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় এই আয়োজনের উদ্বাধন করা হয়। 

তারুণ্যের শক্তিতে সমৃদ্ধ নতুন বাংলাদেশের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং বৈচিত্র্যের সমাহার বিদেশীদের নিকট তুলে ধরতেই এ ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করা হয়েছে।

জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটিতে বাহরাইন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত আন্ডার সেক্রেটারি পলিটিক্যাল অ্যাফেয়ার্স ও মহাপরিচালক (দ্বিপাক্ষিক) রাষ্ট্রদূত শেখ আব্দুল্লাহ বিন আলী আল খালিফা, বাহরাইন শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দেশীয় ও বৈদেশিক বাণিজ্য বিষয়ক সহকারী আন্ডার সেক্রেটারী শেখ হামাদ বিন সালমান আল খালিফা, বাহরাইনের শ্রম বাজার নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (এলএমআরএ) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিবরাস মোহাম্মদ তালিব এবং বাহরাইন প্রতিনিধি পরিষদের সংসদ সদস্য মুহাম্মদ জানাহিসহ বাহরাইন সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধান ও প্রতিনিধি, রাষ্ট্রদূত এবং কূটনৈতিক কোরের অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগণ এবং প্রবাসী বাংলাদেশীরা উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধন শেষে বাংলাদেশের আকর্ষণীয় পর্যটন স্পটগুলোর এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের নিদর্শন সম্বলিত দৃশ্যসমূহের একটি বিশেষ আলোকচিত্র বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। পরে বাহরাইনের বাংলাদেশ স্কুলের শিক্ষার্থীদের তিনটি মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক নৃত্য পরিবেশনা অতিথিদের মুগ্ধ করে। এ ছাড়া চোখ ধাঁধানো বাংলাদেশি চিত্র প্রদর্শনী, সুস্বাদু খাবার এবং হরেক রকমের দেশীয় স্টল তৈরি করেছিল বাহরাইনে এক টুকরো বাংলাদেশের আবহ।

বাংলাদেশ দূতাবাসের চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স এ. কে. এম. মহিউদ্দিন কায়েস তার স্বাগত বক্তব্যে বলেন, ‘তিন দিন ব্যাপী বাংলাদেশ ফেস্টিভ্যালটি আয়োজন করা হয়েছে, বিদেশের মাটিতে আমাদের দেশের সমৃদ্ধ সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য তুলে ধরার জন্য।’ তিনি আগত অতিথিদের ধন্যবাদ জানান।

প্রবাসীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, দেশের সম্মান বাড়লে আমাদের সকলের সম্মান বেড়ে যায়, তাই তারুণ্যের শক্তিতে বলীয়ান হয়ে দূতাবাসের পাশাপাশি সকলে মিলে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য কাজ করার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানের গেস্ট অব অনার বাহরাইন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত আন্ডার সেক্রেটারি পলিটিক্যাল অ্যাফেয়ার্স ও মহাপরিচালক (দ্বিপাক্ষিক) রাষ্ট্রদূত শেখ আব্দুল্লাহ বিন আলী আল খালিফা তার বক্তব্যে দূতাবাসের এরকম উৎসব আয়োজনের জন‍্য চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্সের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং এ আয়োজনের মাধ্যমে বাহরাইন ও বাংলাদেশের মধ্যকার বন্ধুত্বের সম্পর্ক আরো দৃঢ় ও টেকসই হবে মর্মে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

তাওফিক/ 

মেক্সিকোতে বাংলাদেশের নতুন রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী

প্রকাশ: ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:০৩ পিএম
আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৪ পিএম
মেক্সিকোতে বাংলাদেশের নতুন রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী
মুশফিকুল ফজল আনসারী। ছবি: সংগৃহীত

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (সিনিয়র সচিব পদমর্যাদার) এম মুশফিকুল ফজল আনসারীকে মেক্সিকোতে বাংলাদেশের নতুন রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

গত ৯ ডিসেম্বর মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মদ নাজমুল হক স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।

গত রবিবার আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে অফিস আদেশ প্রকাশ করা হয়।

অফিস আদেশে বলা হয়, পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত মুশফিকুল ফজল আনসারীকে মেক্সিকোতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত পদে বাংলাদেশ দূতাবাস মেক্সিকো সিটিতে নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

গত ২১ অক্টোবর তাকে অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দেয়। এ সময় তাকে জ্যেষ্ঠ সচিব পদমর্যাদায় রাষ্ট্রদূত হিসেবে পদায়নের লক্ষ্যে তার চাকরি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করা হয়।

রবিউল/নাবিল/

বাংলাদেশ-বাহরাইন ফ্রেন্ডশিপ ক্রিকেট কাপ অনুষ্ঠিত

প্রকাশ: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:২২ পিএম
আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:২২ পিএম
বাংলাদেশ-বাহরাইন ফ্রেন্ডশিপ ক্রিকেট কাপ অনুষ্ঠিত
বাংলাদেশ ও বাহরাইন ক্রিকেট দল। ছবি: সংগৃহীত

বাহরাইনের রাজধানী মানামায় বাংলাদেশ-বাহরাইন ফ্রেন্ডশিপ ক্রিকেট কাপ-২০২৪ আয়োজিত হয়েছে।

শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) বাহরাইনের প্রসিদ্ধ আলবা ক্লাব মাঠে বাংলাদেশ দূতাবাস ও বাহরাইন ক্রিকেট ফেডারেশন যৌথভাবে এ ফ্রেন্ডশিপ ক্রিকেট কাপের আয়োজন করে।

প্রাণবন্ত ও আনন্দঘন পরিবেশে শত শত প্রবাসী বাংলাদেশি ক্রিকেটপ্রেমীর পাশাপাশি বাহরাইনের বিভিন্ন প্রান্ত হতে বিদেশি অনেক দর্শক বাংলাদেশ ও বাহরাইনের মধ্যে অনুষ্ঠিত এই বিশেষ প্রীতি ম্যাচটি উপভোগ করার জন্য অনেক উৎসাহ নিয়ে মাঠে উপস্থিত হন। 

বাহরাইনের মাটিতে এটি ছিল একটি ভিন্নধর্মী আয়োজন এক আয়োজন যা ইতোপূর্বে আর কখনও বাহরাইনে দেখা যায়নি।

বাংলাদেশ ও বাহরাইনের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী এবং রাজা হামাদ বিন ঈসা আল খলিফার তার সিংহাসনে উপবিষ্ট হওয়ার রজতজয়ন্তীকে বিশেষভাবে স্বরণীয় করে রাখার লক্ষ্যে যৌথভাবে এই ফ্রেন্ডশিপ ক্রিকেট ম্যাচটির আয়োজন করা হয়।

দ্বিতীয়ত, ১৬ই ডিসেম্বর বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবস আবার এই দিনটি হল বাহরাইনের জাতীয় দিবস, তাই উভয় দেশের নিকট বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ এই দিনটিকে একটু ভিন্নভাবে উদযাপনের জন্য আয়োজন করা হয়েছে এই প্রীতি ম্যাচটি।

ম্যাচটি উপভোগ করার জন্য বিদেশি আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে ছিলেন বাহরাইন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এশিয়ান ও প্যাসিফিক বিষয়ক প্রধান রাষ্ট্রদূত মুনিরা নোফাল আল দোসেরি, বাহরাইন প্রতিনিধি পরিষদের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ হুসেন জানহি, বাহরাইন ক্রিকেট ফেডারেশনের উপদেষ্টা বোর্ডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মনসুর, প্রেসিডেন্ট সামি আলি, রাষ্ট্রদূত, কূটনৈতিক মিশনের উপ-প্রধান এবং কূটনৈতিক কোরের কর্মকর্তা, মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি এবং বাহরাইন সরকারের অন্যান্য সংস্থা কর্মকর্তা ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ীরা। 

এছাড়া, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (ICC) এর উন্নয়ন ম্যানেজার এবং বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুল শুভেচ্ছা বার্তা প্রেরণ করেন।

দেশটির বাংলাদেশ দূতাবাসের চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স এ কে এম মহিউদ্দিন কায়েস তার স্বাগত বক্তব্যে উপস্থিত সকল প্রবাসীসহ বিদেশি অতিথিদের বাংলাদেশ-বাহরাইন ফ্রেন্ডশিপ ক্রিকেট কাপ-২০২৪ ম্যাচটি উপভোগ করার জন্য আগত সকলকে স্বাগত জানান। বিশেষভাবে ম্যাচে অংশগ্রহণকারী উভয় দলকে তিনি অভিনন্দন জানান। 

তিনি তার বক্তব্যে বলেন, আজকের ম্যাচটি ছিল ক্রীড়াঙ্গন এবং দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্ব প্রকাশের একটি অন্যতম আয়োজন এবং এটি দুই দেশের কূটনীতি ও বন্ধুত্বের ৫০ বছর পূর্তিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে।

বাহরাইন ক্রিকেট ফেডারেশনের উপদেষ্টা বোর্ডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মনসুরও উভয় দলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ম্যাচটি বাংলাদেশ ও বাহরাইনের মধ্যে সুদৃঢ় সম্পর্ক ফুটিয়ে তোলার অন্যতম মাধ্যম।

বাহরাইন ক্রিকেট ফেডারেশনের সভাপতি সামি আলি বলেন, এই খেলায় উভয় দলের প্রতিযোগিতামূলক অংশগ্রহণ এবং খেলোয়াড়দের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ ছিল বিষেশভাবে লক্ষণীয়। এ ছাড়া, এই প্রীতি ম্যাচের মাধ্যমে অনুধাবন করা যায় যে, কীভাবে ক্রিকেটের সীমানা পেরিয়ে মানুষকে বন্ধুত্বের সূত্রে একত্রিত করা যায়।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এশিয়ান ও প্যাসিফিক বিষয়ক প্রধান রাষ্ট্রদূত মুনিরা নোফাল আল দোসেরি তার বক্তব্যে বাংলাদেশ ও বাহরাইনের মধ্যে দীর্ঘ ও স্থায়ী বন্ধুত্বকে আরও সুদৃঢ় করার নিমিত্তে এমন একটি চমৎকার আয়োজনের জন্য দূতাবাস এবং বাহরাইন ক্রিকেট ফেডারেশনকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানান এবং আগামী বছরগুলিতে দুই দেশের মধ্যে অব্যাহত সহযোগিতার বিষয় বিশেষভাবে উল্লেখ করেন।

বাহরাইন প্রতিনিধি পরিষদের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ হুসেন জানহি তার বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশ ও বাহরাইনের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে লক্ষ্যে ২০২৪ সালের জুন থেকে চলমান ধারাবাহিক বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও কার্যক্রমের জন্য বাংলাদেশ দূতাবাসের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচটি দুই দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় এবং বন্ধুত্বের জন্য একটি অন্যতম প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

ম্যাচটিতে ছিল উত্তেজনাপূর্ণ প্রতিযোগিতা যেখানে উভয় দলই তাদের ব্যতিক্রমী দক্ষতা এবং নৈপুণ্য প্রদর্শন করে। 

দুই দলের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শেষে বাহরাইন দল চ্যাম্পিয়ন কাপ লাভ করে।

বাংলাদেশ দূতাবাস এবং বাহরাইন ক্রিকেট ফেডারেশন উভয় দলকে অভিনন্দন জানায় এবং খেলোয়াড়, কোচ, আম্পায়ার, কর্মকর্তা, দর্শক এবং স্পনসরসহ ফ্রেন্ডশিপ ক্রিকেট কাপের সাফল্যে অবদান রাখার জন্য সকলের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। 

বাংলাদেশ ও বাহরাইনের মধ্যে বন্ধন আরও মজবুত করতে ভবিষ্যতে এরকম আরও অনেক নানামুখী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে বলে জানানো হয়।

নাবিল/এমএ/

বিজয় দিবসে হেলসিংকিতে ফিনল্যান্ড বিএনপির আলোচনা সভা

প্রকাশ: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৩৬ পিএম
বিজয় দিবসে হেলসিংকিতে ফিনল্যান্ড বিএনপির আলোচনা সভা
ছবি: খবরের কাগজ

বিজয় দিবস উপলক্ষে হেলসিংকির কনতুলা কেরহো মিলনায়তনে আলোচনা সভা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ফিনল্যান্ড শাখা।

মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাতটার দিকে ফিনল্যান্ড বিএনপির সভাপতি কামরুল হাসান জনির সভাপতিত্বে, সাধারণ সম্পাদক জামান সরকারের পরিচালনায় এবং সাংগঠনিক সম্পাদক সামসুল গাজীর সঞ্চালনায় এ আলোচনা সভায় দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। 

আলোচনা সভার সার্বিক পরিচালনায় ছিলেন ফিনল্যান্ড বিএনপির অন্যতম সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রবিউল ইসলাম।

বিজয় দিবসের এ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন খোকন বলেন, আজ ২০২৪ সালের প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে আমরা নতুন সম্ভাবনাময় বাংলাদেশের প্রথম বিজয় দিবস উদযাপন করছি। যদি আবার আমরা সেই পুরনো চেতনার আলোয় আলোকিত হতে চাই তবে এই চেতনায় জড়িত থাকবে নতুন দিনের আহ্বান, নতুন সম্ভাবনা।

সমাবেশে আনোয়ার হোসেন খোকন ভার্চুয়াল মাধ্যমে যুক্ত হয়ে আরও বলেন, আমরা যেন সব রকম ভেদাভেদ ভুলে একসঙ্গে কাজ করে দেশকে সমৃদ্ধির পথে নিয়ে যেতে পারি।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে বিজয় দিবসকে ১৯৭১ সালে 'ভারতের ঐতিহাসিক বিজয়' বর্ণনা করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী একটি স্ট্যাটাস দেয়ার তীব্র নিন্দা জানিয়ে আনোয়ার হোসেন খোকন বলেন, তার এই বক্তব্য বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও মুক্তিযুদ্ধের প্রতি অসম্মান ও অমর্যাদাকর। এটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ। আর ভারত ছিল এই বিজয়ের মিত্র এর বেশি কিছু নয়।

সভাপতির ভাষনে ফিনল্যান্ড বিএনপির সভাপতি কামরুল হাসান জনি বলেন, ১৬ ডিসেম্বর আমাদের গৌরবের, বিজয়ের, আর আনন্দ-অশ্রু-মাখা এক মুক্তির দিন। আজ থেকে ঠিক ৫৩ বছর আগে এই দিনে আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ বিজয়ের পতাকায় আকাশ-বাতাসে উদ্ভাসিত হয়েছিল। দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পরে আমরা পেয়েছিলাম স্বাধীনতা। যা আজও আমাদের হৃদয়ে অমর সত্ত্বার মতো বাস করে।

ফিনল্যান্ড বিএনপির প্রধান উপদেষ্টা মো. আবদুর রশিদ বলেন, আমাদের যুব সমাজ, আমাদের তরুণ প্রজন্ম আজ আশার আলো জ্বালিয়ে রেখেছে। আজকের প্রজন্মকে নিয়ে আমাদের যতটা আশা তার দ্বিগুণ সম্ভাবনা রয়েছে তাদের মধ্যে।

ফিনল্যান্ড বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি মবিন মোহাম্মদ দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আজকের এই দিনে আমরা প্রতিজ্ঞা করতে পারি আমাদের যে লক্ষ্য দুর্নীতিমুক্ত সমাজ, সুশাসন এবং ন্যায় প্রতিষ্ঠা। সেই লক্ষ্যে আমরা একতাবদ্ধ থাকবো। প্রতিটি মানুষ যেন পায় নিজের মর্যাদা, নিজের পরিচয়, এবং নিজের স্বাধীনতা।

সহসভাপতি রুবেল ভূঁইয়া বলেন, বিজয় দিবসের চেতনা আমাদেরকে শুধু অতীতের সংগ্রামের কথা মনে করিয়ে দেয় না বরং আমাদের সামনে একটি নতুন দিনের সম্ভাবনার দিগন্ত উন্মুক্ত করে দেয়।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আসলাম ফকির লিটন বলেন, গত ১৬ বছরের আওয়ামী সরকার যেভাবে এ দেশের মানুষের ওপর জুলুম-নির্যাতন, নিপীড়ন-অত্যাচার ও হত্যা-গুম-খুন চালিয়েছে তার অবসান ঘটেছে তারেক রহমানের নেতৃত্বে ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মাধ্যমে।

এতে আরও বক্তব্য রাখেন, সহ সভাপতি বদরুম মনির ফেরদৌস, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোকলেসুর রহমান চপল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহেদি হাসান লিউ, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, ফিনল্যান্ড হিন্দু ঐক্য পরিষদের সভাপতি টিটপ সাহা ও স্থানীয় লিবারেল পার্টির নেত্রী তাসলিমা জামান। 

এ সময়  অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- সহ সভাপতি এনাজুল হক, তাপস খান, আরিফুল ইসলাম, এন জামান ভূঁইয়া, আবদুল্লাহ আল মাসুদ, আবুল কালাম আজাদ, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক সাব্বির লস্কর, সহ দপ্তর সম্পাদকঃ লিটন দেওয়ান, পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ক সম্পাদক রাফাত ঢালী, মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা জেসমিন স্মৃতি, সুরাইয়া হাসান,  সহ-মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা খাদিজা পারভীন, আসমা আকতার গাজী, সানজিদা আল আমিন, ইয়াসমিন আক্তার, শারমীন সুলতানা, সুচনা খানম, হালিম শেখ, মো. রকিবুল ইসলাম রুবেল, সাফাত ঢালী, সালমান মাহিব, রাশেদুজ্জামান রাতুল, মাজহারুল ইসলাম, রাশাদ ঢালী, ইমরান আলম, মাহদি হাসান মুনিম, মো. আল আমিন, মানিক, শিপু আহমেদ, পিয়াল, ছাত্রনেতা আলাদিন আল জাঈদ প্রমুখ।

মেহেদী

জেনেভায় বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনে বিজয় দিবস উদযাপিত

প্রকাশ: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৮ পিএম
আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:১১ পিএম
জেনেভায় বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনে বিজয় দিবস  উদযাপিত
ছবি : সংগৃহীত

জেনেভাস্থ বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন, সুইজারল্যান্ডে বিভিন্ন ক্যান্টনে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণে উৎসবমুখর পরিবেশে মহান বিজয় দিবস উদযাপন হয়েছে।

সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে চ্যান্সেরিতে স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত তারেক মো. আরিফুল ইসলামের উপস্থিতিতে জাতীয় সংগীত ও পতাকা উত্তোলন করে উদযাপনের সূচনা করা হয়।

সন্ধ্যায় মিশনের মিলনাতয়নে বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যদের পরিবারসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতিতে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনার শুরুতে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর শহিদ এবং জুলাই-আগস্ট ছাত্র-শ্রমিক-জনতার আন্দোলনে শহিদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন এবং দোয়া করা হয়।

স্থায়ী মিশনের কর্মকর্তা রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা এবং পররাষ্ট্র উপদেষ্টার দেওয়া বাণী পাঠ করেন। মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং জুলাই-আগস্টের ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে নির্মিত বিশেষ প্রামাণ্যচিত্র ‘আধার পেরিয়ে’ প্রদর্শন হয়।

মুক্ত আলোচনায় প্রবাসী বাংলাদেশিরা মহান মুক্তিযুদ্ধে সকল শহিদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পরে
বাংলাদেশে একটি বৈষম্যহীন সমাজ, ভোটাধিকার, বাক-স্বাধীনতা এবং ন্যায়-বিচার প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে প্রকৃত মুক্তি অর্জিত হবে বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

স্থায়ী প্রতিনিধি তার বক্তব্যে গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতায় স্মরণ করেন। মহান মুক্তিযুদ্ধের শহিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং যারা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা করেছেন। একইসঙ্গে তিনি জুলাই-আগস্টের বৈপ্লবিক ছাত্র-শ্রমিক-জনতার আন্দোলন ও গণঅভ্যুত্থানের সকল শহিদ ও অংশগ্রহণকারী সকল লড়াকু সৈনিক ও আহতদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তিনি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সুইজারল্যান্ড প্রবাসী বাংলাদেশিদের অবদানের কথা উল্লেখ করেন। তিনি মূল্যবোধ ও নৈতিকতার আলোকে ন্যায্যতা ও ন্যায়বিচার ভিত্তিক অন্তর্বর্তীমূলক একটি বৈষম্যহীন সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনের জন্য সকলকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠান শেষে আগতদের জন্য আপ্যায়নের ব্যবস্থা করা হয়।

জোবাইদা/