![তুরস্কে ভূমিকম্পের বছরপূর্তিতে প্রার্থনা সমাবেশে প্রতিবাদ](uploads/2024/02/07/1707276361.A-year-on-from-Turkeys-eart.jpg)
দক্ষিণ-পূর্ব তুরস্কে গতকাল মঙ্গলবার প্রলয়ঙ্করী ভূমিকম্পের এক বছর পূর্তিতে প্রার্থণা সমাবেশে একত্রিত হন দশ হাজারেরও বেশি মানুষ। অনেকে এ সময় সরব হয়েছিলেন প্রতিবাদেও। ঘটনার পরপর সরকারের অবহেলার বিষয়টি নিয়ে আক্ষেপ জানান তারা।
গত বছর হয়ে যাওয়া ৭.৮ মাত্রার ওই ভূমিকম্প ছিল আধুনিক তুরস্কের ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়ানক বিপর্যয়। শহরতলি ও শহরের বেশকিছু অংশ মাটির সঙ্গে মিশে গিয়েছিল। সব মিলিয়ে প্রাণ হারান ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ। লাখ লাখ মানুষ হয়ে পড়েন বাস্তুচ্যুত। তুরস্কের প্রতিবেশী দেশ সিরিয়াও কেঁপে উঠেছিল ভূমিকম্পে। সেখানে মারা যান ৫ হাজার ৯০০ জন।
তুরস্কে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল দক্ষিণ-পূর্বের প্রদেশ হাতায়ে। গতকাল জড়ো হওয়া প্রতিবাদকারীদের অনেকেই সে দিনের কথা স্মরণ করে সরকার ও স্থানীয় কর্মকর্তাদের পদত্যাগ দাবি করেন। কর্মকর্তারা যাতে স্মরণ অনুষ্ঠানে হাজির না হন, সে দাবি জানান। কর্মকর্তাদের বক্তব্যের সময়ও আওয়াজ করে বাধা দেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফাহরেত্তিন কোচা বক্তব্য রাখার সময় প্রতিবাদকারীদের অনেকে একত্রে বলে ওঠেন, ‘কেউ কি আমার কথা শুনতে পাচ্ছেন?’ মূলত এর মধ্য দিয়ে ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকাপড়াদের আকুতির কথা সবাইকে মনে করিয়ে দেন তারা। সেখানকার বাসিন্দারা বলেন, ‘অনেক মানুষ ভবন ধসে পড়ায় মারা যাননি। তারা মারা গিয়েছিলেন ঠান্ডায় ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা অবস্থায় উদ্ধারের জন্য অপেক্ষা করতে করতে।’
প্রার্থনা সমাবেশের পর শহরের ভেতর দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীতে ফুল ছুড়ে ফেলেন মানুষ। ভূমিকম্পে স্বজন হারানো মার্ভে গার্সেলকে ফুল ছুড়ে ফেলার সময় মৃত স্বজনদের নাম নিতে দেখা যায়।
তিনি বলেন, ‘সেদিন এই মানুষদের সঙ্গে কেউ ছিল না। এই মানুষদের কষ্ট হলো তাদেরকে উদ্ধার করা যায়নি। এই মানুষদের কষ্ট যে তাদের স্বর কেউ শোনেনি।’ সূত্র : রয়টার্স