![ফ্রান্সে অতি ডানপন্থি দল কেন নির্বাচনে এগিয়ে](uploads/2024/07/05/france-1720151721.jpg)
ফ্রান্সে গত রবিবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনের প্রথম দফায় ৩৩ শতাংশ ভোট নিয়ে এগিয়ে আছে অতি ডানপন্থি দল ন্যাশনাল র্যালি (এনআর)।
২৮ শতাংশ ভোট নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে ফ্রান্সের বামপন্থি জোট নিউ পপুলার ফ্রন্ট (এনপিএফ)। আর ২১ শতাংশের কাছাকাছি ভোট নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁর দল।
সংসদের নিয়ন্ত্রণ যাতে ডানপন্থিদের হাতে চলে না যায়, তাই ফ্রান্সের মধ্যপন্থি ও বামপন্থি দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মাখোঁ। আগামী রবিবার দ্বিতীয় দফার ভোটে নিশ্চিত হবে অনেক কিছুই। জানা যাবে- কে আসতে চলেছেন ক্ষমতায়?
প্রশ্ন হলো ফরাসিদের অতি ডানপন্থি এনআর নির্বাচনের প্রথম দফায় কীভাবে এত ভোট পেল? কেন মানুষ তাদের সমর্থন করছে?
ভোট দেওয়ার আগে ভোটারদের বিবেচনায় নেওয়া বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে- জীবনযাত্রার ব্যয়সংক্রান্ত সংকট, যা তাদের ক্রয় ক্ষমতাকে প্রভাবিত করছে। পাশাপাশি বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি, স্বাস্থ্যসুবিধা নিয়ে অনিশ্চয়তা ও ক্রমবর্ধমান অপরাধ নিয়েও শঙ্কিত ফরাসিরা। তারা এ বিষয়গুলোকে ‘নিরাপত্তাহীনতা’ বলে উল্লেখ করছে।
সামগ্রিকভাবে ফ্রান্সের অর্থনীতি ভালো হলেও প্রধান শহর থেকে দূরে বসবাসরত মানুষরা মনে করছেন, তারা উপেক্ষিত, কারণ সব তহবিল ও মনোযোগ শুধু শহরগুলোকে ঘিরে।
ফ্রান্সের কিছু স্থানে বেকারত্বের হার অনেক বেশি। এটির হার ২৫ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে বলে মনে করা হয়। দেশটির অনেকের জন্য আবাসন ব্যবস্থা বেশ ব্যয়বহুল হয়ে পড়েছে। বরাদ্দ সংকুচিত করার কারণে কোনো কোনো এলাকার স্কুলগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। এ ছাড়া স্থানীয় স্বাস্থসেবা কেন্দ্রগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনেকেই বিরক্ত।
অধ্যাপক থমাস পিকেটি সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে বলেন, উপেক্ষিতরাই ডানপন্থিদের দিকে ঝুঁকছেন।
পিকেটি নিজের লেখা এক বইয়ে জানান, ছোট শহরগুলোর শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং পরিষেবা পেতে জনসাধারণকে ভোগান্তির মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে; ট্রেন লাইনগুলো বন্ধ হয়ে গেছে, হাসপাতালগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। বড় শহরগুলো থেকে দূরে থাকলেও আপনার শিশুদের শিক্ষিত করা কঠিন।’
এ ছাড়াও এনআর-এর অভিবাসীবিরোধী অবস্থানও অনেকের নজর কেড়েছে। ফ্রান্সের অনেকেই এখন অভিবাসী ইস্যুটি নিয়ে উদ্বিগ্ন। সূত্র: বিবিসি