![নিরাপদ এলাকায় ইসরায়েলের হামলা, নিহত ১২](uploads/2024/07/04/KHan-Yunis-1720061564.jpg)
ফিলিস্তিনের পূর্ব খান ইউনিসে একটি নিরাপদ এলাকায় বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে ১২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের ৯ জনই একই পরিবারের সদস্য।
গত মঙ্গলবার (২ জুলাই) দেইর আল-বালাহতে ওই হামলার ঘটনা ঘটে। বুধবার (৩ জুলাই) সকালেও মধ্য গাজার এলাকাগুলোতে ইসরায়েলি বোমা হামলা অব্যাহত ছিল।
এসব হামলার মুখে বাস্তুচ্যুতির ঘটনাও ঘটছে। জাতিসংঘ বলছে, ইসরায়েল এলাকা ত্যাগের জন্য বাধ্য করায় ২ লাখ ৫০ হাজারের মতো ফিলিস্তিনিকে দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিস ছাড়তে হয়েছে। গাজার মোট বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা ১৯ লাখে পৌঁছেছে বলেও অনুমান করা হচ্ছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি রিক পিপারকর্ন বলেছেন, ‘খান ইউনিসের ইউরোপিয়ান হাসপাতাল থেকে মাত্র তিনজন রোগী ছাড়া শত শত অসুস্থ ও আহত মানুষ পালিয়েছে। ইসরায়েলি স্থল অভিযান থেকে হাসপাতালটিকে রক্ষা করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।’
এদিকে, ইসরায়েলের সেনাদের ওপর যুদ্ধের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। টানা ৯ মাস যুদ্ধের পর সৈন্যরা ক্লান্ত বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলি কমান্ডাররা। গাজা উপত্যকায় কর্মরত চার সামরিক ব্রিগেডের কমান্ডারকে উদ্ধৃত করে এ খবর জানিয়েছে ইসরায়েলি গণমাধ্যম। তারা বলেছেন, ইসরায়েলি সেনাদের মধ্যে ক্লান্তি বিরাজ করছে। টানেল ও অবকাঠামো ধ্বংস করতে সময় লাগে।
গাজায় যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান সৌদি আরবের
সৌদি আরবের স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধ করতে রাজনৈতিক ও মানবিক ফ্রন্টে নিজেদের ‘জোরালো চেষ্টা’র কথা পুনর্ব্যক্ত করছে সৌদি আরব।
সৌদি বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, জেদ্দায় ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের নেতৃত্বে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকের পরে ওই বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। বৈঠকে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে আরও বৈশ্বিক স্বীকৃতি অর্জনের লক্ষ্যে উদ্যোগগুলোকে সমর্থন করার জন্য দেশটির আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা পর্যালোচনা করা হয়েছে। সূত্র: আল-জাজিরা