![পাওনা টাকা চাওয়ায় কুপিয়ে হত্যা, ২ যুবকের মৃত্যুদণ্ড](uploads/2024/05/15/Rajshahi_Adalot-1715769376.jpg)
রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় পাওনা টাকা চাওয়ায় মোবাইলফোন দোকানের সেলসম্যানকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে দুইজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং একজনকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (১৫ মে) রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহা. মহিদুজ্জামান এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আমিনুল ইসলাম ওরফে শাওন (৩০) নাটোরের লালপুর উপজেলার কাজিপাড়ার মৃত সানাউল্লাহর ছেলে ও মাসুদ রানা (২৬) বালিতিতা ইসলামপুর গ্রামের আকমল হোসেনের ছেলে। এ ছাড়া মেহেদী হাসান রকি (২৫) নামে অপর এক আসামিকে তিন বছর কারাদণ্ড দেন আদালত।
মামলা সূত্রে জানা যায়, নিহত জহুরুল ইসলাম (২৩) বাঘা উপজেলার মনিগ্রাম বাজার এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি উপজেলার পানিকুমড়া বাজারের মেহেদী হাসান মনির টেলিকম ও ইলেক্ট্রনিকসের দোকানে সেলসম্যান হিসেবে চাকরি করতেন। ২০২১ সালের ৫ জানুয়ারি একটি আমবাগানে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। বিক্রি করা স্মার্টফোনের পাওনা টাকা চাওয়ায় তাকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এন্তাজুল হক বাবু জানান, আসামি মাসুদ রানা ও শাওন নিহত জহুরুলের কাছ থেকে ব্যবহারের জন্য বাকিতে তিনটি স্মার্টফোন কিনেছিলেন। জহুরুল তাদের টাকার জন্য চাপ দিতেন। কিন্তু মাসুদ ও শাওন টাকা জোগাড় করতে পারছিলেন না। তাই তারা জহুরুলকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় টাকা দেওয়ার নাম করে কৌশলে একটি আমবাগানে ডাকা হয়। জহুরুল সেখানে গেলে শাওন ও মাসুদ তাকে কুপিয়ে হত্যা করে। এরপর জহুরুলের কাছে থাকা ২৮টি স্মার্টফোন ও নগদ ২৫ হাজার টাকা লুট করে পালিয়ে যায়। এরপর মোবাইল ফোনগুলো অন্য আসামি রকির কাছে রাখেন।
তিনি আরও জানান, ওই বছরের ৬ জানুয়ারি বাঘার তেথুলিয়া শিকদারপাড়া গ্রাম থেকে তার রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে তার ভাই বাদী হয়ে থানায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশের তদন্তে দুইজনের নাম পাওয়া যায়। পরে পুলিশ তদন্ত করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। রাষ ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
এনায়েত করিম/সালমান/