ঢাকা ৫ ভাদ্র ১৪৩১, মঙ্গলবার, ২০ আগস্ট ২০২৪

ভিকারুননিসায় ১৬৯ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিলের রায় আপিলে বহাল

প্রকাশ: ১৫ জুলাই ২০২৪, ১২:০৪ পিএম
ভিকারুননিসায় ১৬৯ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিলের রায় আপিলে বহাল

রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের স্কুল শাখায় প্রথম শ্রেণির ১৬৯ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিলের রায় বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। 

রবিবার (১৪ জুলাই) এ-সংক্রান্ত লিভ টু আপিল খারিজ করেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের তিন বিচারপতির বেঞ্চ। ফলে ১৬৯ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিলে হাইকোর্টের রায় বহাল থাকল বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

শুনানিতে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের পক্ষে বক্তব্য উপস্থাপন করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ রাফিউল ইসলাম। রিট আবেদনকারীদের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট শাহ মনজুরুল হক ও ব্যারিস্টার মুস্তাফিজুর রহমান খান।

ভিকারুননিসায় ভর্তি নিয়ে বয়সের নিয়ম না মানার অভিযোগ এনে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হওয়া ১৬৯ শিক্ষার্থীর পক্ষে দুই শিক্ষার্থীর মা গত ১৪ জানুয়ারি রিটটি করেন। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২৩ জানুয়ারি রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এরই ধারাবাহিকতায় ২৮ ফেব্রুয়ারি শিক্ষার্থীদের ভর্তি বাতিলসংক্রান্ত একটি স্মারক হাইকোর্টে উপস্থাপন করে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। 

মাউশির ওই আদেশ মতে, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির ক্ষেত্রে বয়সের ঊর্ধ্বসীমা অনুসরণ করেনি। ১ জানুয়ারি ২০১৭ সালের আগে জন্মগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের ভর্তি করার প্রক্রিয়া ছিল বিধিবহির্ভূত। এসব ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ২০১৫ সালে জন্মগ্রহণকারী ১০ জন ও ২০১৬ সালে জন্মগ্রহণকারী শিক্ষার্থী সংখ্যা ১৫৯ জন। এসব শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল করে শিগগিরই মাউশিকে অবহিত করার অনুরোধ করা হলো। এরপর স্কুল কর্তৃপক্ষ ১৬৯ জনের ভর্তি বাতিল করে। এ নিয়ে রিটের শুনানি নিয়ে ১৬৯ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল বহাল রাখেন এবং অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে এক সপ্তাহের মধ্যে শূন্য আসনে ভর্তি নিতে গত ৬ মার্চ আদেশ দেন হাইকোর্ট।

শেখ হাসিনা, আ.লীগের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ ট্রাইব্যুনালে

প্রকাশ: ১৯ আগস্ট ২০২৪, ০৯:১৪ পিএম
শেখ হাসিনা, আ.লীগের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ ট্রাইব্যুনালে
শেখ হাসিনা

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার নেতৃত্বাধীন ১৪-দলীয় জোটের নেতা হাসানুল হক ইনু, রাশেদ খান মেনন, আনোয়ার হোসেন মঞ্জুসহ ২৭ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। 

মামলায় সদ্য সাবেক পাঁচ মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামাল, আনিসুল হক, হাছান মাহমুদ ও জাহাঙ্গীর কবির নানককেও আসামি করা হয়েছে। একই সঙ্গে দল হিসেবে আওয়ামী লীগ এবং যুবলীগ ও ছাত্রলীগসহ এর সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোকে এতে আসামি করা হয়েছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর মিরপুরে শিক্ষার্থী আলভীকে হত্যার ঘটনায় এই অভিযোগ আনা হয়েছে। 

সোমবার (১৯ আগস্ট) ধানমন্ডিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে এ অভিযোগ দাখিল করা হয়। নিহত আলভীর পরিবারের পক্ষে আইনজীবী আসাদ উদ্দিন এ অভিযোগ করেন।

এদিকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় মিরপুরে দুজনকে হত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে আরও দুটি অভিযোগ আনা হয়েছে। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান অভিযোগ দুটি এজাহার হিসেবে রেকর্ড করতে নির্দেশ দিয়েছেন। মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) এই নির্দেশ দেন আদালত।

এ তথ্য নিশ্চিত করে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বেঞ্চ সহকারী আবু আবদুল্লাহ মামলার নথির বরাত দিয়ে জানান, শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার আগের দিন গত ৪ আগস্ট মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বরে নবম শ্রেণির ছাত্র লিটন হাসানের হত্যার ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ ১৪৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে এই অভিযোগ আনা হয়েছে। নিহতের ভাই মো. মিলন আদালতে এই অভিযোগ আনেন।

আর মিরপুরের-১১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সহসভাপতি আবদুল্লাহ কবিরকে হত্যার অভিযোগে অন্য মামলাটি করা হয়। কবিরের স্ত্রী আফসানা আক্তার এই মামলা করেন। এতে শেখ হাসিনাসহ ৬৭ জনকে আসামি করা হয়। মামলায় উল্লেখ করা হয়, গত ৪ আগস্ট মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বরে কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা করছিলেন বিএনপি নেতা আবদুল্লাহ কবির। সেখানে আন্দোলনকারীদের ওপর নির্বিচার গুলি চালানো হলে গুলিবিদ্ধ হয়ে পরে মারা যান কবির।

এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীর শেরেবাংলা নগর এলাকায় কাঠমিস্ত্রি তারিক হোসেনকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা হয়েছে। সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ফারহা দিবা ছন্দার আদালতে এই মামলা করা হয়। শেখ হাসিনাসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে এই মামলা করা হয়। নিহত তারিকের মা ফিদুশি খাতুন এ মামলা করেন।

আদালত তার জবানবন্দি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করার নির্দেশ দেন। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত ৫ আগস্ট কর্মস্থল থেকে ফেরার পথে শেরেবাংলা নগর থানার সামনে রাস্তায় গুলিবিদ্ধ হন তারিক হোসেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৯ আগস্ট তিনি মারা যান।

শেখ হাসিনা ছাড়া মামলার অন্য আসামিরা হলেন সদ্য সাবেক পাঁচ মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামাল, আনিসুল হক, হাছান মাহমুদ ও জাহাঙ্গীর কবির নানক, সদ্য সাবেক দুই প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত ও জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, সাবেক ডিআইজি হারুন অর রশীদ ও সাবেক অতিরিক্ত যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার।

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ ও নিবন্ধন বাতিল চেয়ে রিট

প্রকাশ: ১৯ আগস্ট ২০২৪, ০৫:২৬ পিএম
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ ও নিবন্ধন বাতিল চেয়ে রিট
হাইকোর্ট

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও নিবন্ধন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট করেছে মানবাধিকার সংগঠন সারডা সোসাইটি। ছাত্র-জনতাকে নির্বিচারে হত্যার দায়ে এ রিটটি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

সোমবার (১৯ আগস্ট) সারডা সোসাইটির পক্ষে রিটটি করেন এর নির্বাহী পরিচালক আরিফুর রহমান মুরাদ ভূঁইয়া।

এ ছাড়া, রিটে যেসব প্রতিষ্ঠান শেখ হাসিনার নামে রয়েছে সেগুলোর নাম পরিবর্তনও চাওয়া হয়েছে।

দেশ সংস্কারের লক্ষ্যে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ সর্বনিম্ন তিন বছর এবং বিদেশে পাচার করা ১১ লাখ কোটি টাকা ফেরত আনতে ও বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের বদলি চাওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে রিটকারী আরিফুর রহমান মুরাদ ভূঁইয়া বলেন, রিটের এই বিষয়গুলোতে রুল ও আদেশ চাওয়া হয়েছে।

বিচারপতি কে এম আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনটির ওপর শুনানি হবে বলে জানা গেছে।

অমিয়/

সিলেটে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ ৩০০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

প্রকাশ: ১৯ আগস্ট ২০২৪, ০৪:৪১ পিএম
সিলেটে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ ৩০০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা
সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড পলিমার সায়েন্স বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী রুদ্র সেনকে (২২) হত্যার অভিযোগে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ ৩০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। 

সোমবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে সিলেটের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন আব্দুল মোমেনের আদালতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শাবিপ্রবি শাখার সমন্বয়ক হাফিজুল ইসলাম (২৪) বাদী হয়ে এ মামলা করেন। 

আদালতে জমা দেওয়া এজাহার অনুসারে, এ মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, সিলেট পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র, শাবিপ্রবির সদ্য সাবেক উপাচার্য, সাবেক একাধিক সংসদ সদস্য, আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীসহ অজ্ঞাত আরও ৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

বাদী পক্ষের আইনজীবী আব্দুর রব জানিয়েছেন, আদালত অভিযোগটি এফআইআর হিসেবে নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার বাদী হাফিজুল ইসলাম খবরের কাগজকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘আমরা চাই সুষ্ঠু তদন্তের ভিত্তিতে যেন আমাদের ভাই রুদ্র হত্যার বিচার করা হয়।’

গত ১৮ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে শাবিপ্রবিতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষ হয়। 

সেদিন পুলিশের ধাওয়ায় নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে সিলেট নগরীর সুরমা আ/এ এবং বাগবাড়ী এতিম স্কুলের রোডের সংযোগস্থল খাল পার হতে গিয়ে ডুবে মারা যান রুদ্র। 

শাকিলা ববি/পপি/

চট্টগ্রামে হাসিনার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় মামলায় কাদের, হাছান মাহমুদসহ আসামি ১০৮

প্রকাশ: ১৯ আগস্ট ২০২৪, ০৪:১৭ পিএম
আপডেট: ১৯ আগস্ট ২০২৪, ০৫:০৭ পিএম
চট্টগ্রামে হাসিনার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় মামলায় কাদের, হাছান মাহমুদসহ আসামি ১০৮
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

চট্টগ্রামে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা হয়েছে। এই মামলায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসানসহ ১০৮ জনকে আসামি করা হয়েছে। 

রবিবার (১৮ আগস্ট) রাতে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় মামলাটি করেন আন্দোলনে নিহত কলেজছাত্র ও ছাত্রদল নেতা ওয়াসিম আকরামের মা জোসনা বেগম।

এর আগে গত ১৬ আগস্ট মহানগরের চান্দগাঁও থানায় হাসিনা-নওফেলসহ ৩৪ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা হয়। এতে চসিকের দুই কাউন্সিলর ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতাদের আসামি করা হয়েছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নগরীর বহদ্দারহাট এলাকায় গুলিতে নিহত কলেজ ছাত্র তানভীর ছিদ্দিকীর (১৯) চাচা মোহাম্মদ পারভেজ বাদী হয়ে সেই মামলাটি করেন। তার তিন দিন পর আরও একটি হত্যা মামলা হলো হাসিনা ও তার মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে। এটি হাসিনার বিরুদ্ধে চট্টগ্রামে হওয়া দ্বিতীয় মামলা। 

এই মামলায় শেখ হাসিনা ও সাবেক তিন মন্ত্রী ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন, চসিক মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী, সাবেক এমপি মহিউদ্দিন বাচ্চু, যুবলীগ নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর, চসিকের কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন, প্যানেল মেয়র আবদুস ছবুর লিটন, কাউন্সিলর এসরারুল হক এসরারুল, মোবারক আলী, হারুন অর রশীদ, মোরশেদুল আলম, নুর মোস্তফা টিনু, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, আশরাফুল আলম, গিয়াস উদ্দিন, জহুর লাল হাজারী, হাসান মুরাদ বিপ্লব, জিয়াউল হক সুমন, পুলক খাস্তগীর, নুরুল আলম মিয়া, মোহাম্মদ ওয়াসিম, আবদুস সালাম মাসুম, জাকারিয়া দস্তগীর, মো. ফিরোজ।

তাছাড়া, আরও আসামি করা হয়েছে, চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নুরুল আজিম রনি, মো. ইসমাইল, মো. দেলোয়ার, এন এইচ মিন্টু, মোহন ঘোষ, মো. আলী, ভূবন ঘোষ, আরহাম খান, ইসমাইল উদ্দিন লিটন, দৌলত খান, এনামুল হক মানিক, নুর মোহাম্মদ, মো. সোহেল, নেজাম উদ্দিন, মো. আমজাদ হোসেন, ইরফানুল আলম তুষার, ইব্রাহিম খলিল, জয়নাল উদ্দিন জাহেদ, নুর নবী সাহেদ, শহীদুল ইসলাম, সাগর দাস, জাহেদ হোসেন, জি  এম তৌশিফ, সাদ্দাম হোসেন ইভান, দেবাশীষ পাল দেবু, মো. জাবেদ, মহিউদ্দিন, মো. জাফর, মো. আলী (সাহেদ), মহিম আজম, দিদারুল আলম, মো. ইলিয়াছ, মো. আলী, মো. ইসহাক, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, দিদারুল আলম মাসুম, মো. মাসুম, জিহান আলী খান, মহিউদ্দিন শাহ, মুজিবুর রহমান রাসেল, মোহাম্মদ রাশেদসহ আরও ১০৮ জন।

এ মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও ১০০ থেকে ১৫০ জনকে। 

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ১৬ জুলাই বিকাল ৩টা থেকে ৪টার মধ্যে নিহত ওয়াসিম আকরাম পাঁচলাইশ থানার মুরাদপুর এলাকার বারকোড রেস্টুরেন্টের সামনে ছিল। এ সময় ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন শান্তিপূর্ণভাবে চলছিল। আন্দোলনের মধ্যেই আসামিদের প্রত্যেক্ষ ও পরোক্ষ ইন্ধনে সারাদেশের আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের ক্যাডাররা অস্ত্রসস্ত্রসহ ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালায় এবং চরম বিশৃঙ্খলা করে।

সেদিন বিকাল ৪টা নাগাদ ছাত্রদল নেতা ওয়াসিম আকরামের ওপর আসামিদের নির্দেশে এবং তাদের মুহুর্মুহু বোমা বিস্ফোরণ ও লাঠিসোঁটা, হকিস্টিক, কিরিচ এবং মারাত্মক আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে সমাবেশে আক্রমণ করা হয়। 

এক পর্যায়ে সন্ত্রাসী আসামিদের নির্বিচারে ছোড়া গুলিতে ওয়াসিমের বুকে ও নাভীতে বিদ্ধ হয়। পরে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। তাকে উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। 

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সন্তোষ কুমার চাকমা বলেন,মুরাদপুরে শিক্ষার্থীদের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে কলেজছাত্র ওয়াসিম আকরাম নিহতের ঘটনায় তার মা বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেছেন।

গত ১৬ জুলাইয়ের আন্দোলনে মহানগরের মুরাদপুরে গুলিতে নিহত ওয়াসিম আকরাম চট্টগ্রাম কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র এবং ওই কলেজের ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক। তার বাড়ি কক্সবাজার জেলার পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে। তার বাবা শফিউল আলম সৌদি প্রবাসী। তারা দুই ভাই ও তিন বোন। 

চট্টগ্রাম ব্যুরো/জোবাইদা/অমিয়/

চট্টগ্রাম-১৫ আসনের সাবেক এমপি নদভীসহ ৭৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশ: ১৯ আগস্ট ২০২৪, ০১:৪৫ পিএম
আপডেট: ১৯ আগস্ট ২০২৪, ০১:৪৫ পিএম
চট্টগ্রাম-১৫ আসনের সাবেক এমপি নদভীসহ ৭৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা
আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দিন নদভী

চট্টগ্রাম-১৫ (লোহাগাড়া-সাতকানিয়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের (আইআইইউসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দিন নদভীসহ ৭৩ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।

এ মামলায় লোহাগাড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খোরশেদ আলম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মো. সালাহ উদ্দিন হিরু ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি রিদওয়ানুল হক সুজনকেও আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

রবিবার (১৮ আগস্ট) উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা সিরাজুল ইসলামের ছেলে মো. জাহেদ বাদী হয়ে চট্টগ্রাম চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেন।

আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) ফার্স্ট ইনফরমেশন রিপোর্ট (এফআইআর) হিসেবে গণ্য করার নির্দেশ দেন।

মামলার বাদী মো. জাহেদ এজাহারে পৃথক দুটি ঘটনার কথা উল্লেখ করেন। এর মধ্যে প্রথম ঘটনাটি ঘটেছে চলতি বছরের ১ আগস্ট ও দ্বিতীয়টি ৪ আগস্ট।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের (১ আগস্ট) আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে লোহাগাড়া উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের নুইরগ্গা ডেবা এলাকায় অশ্লীল গান ও নাচের আয়োজন করেন। এমতাবস্থায় এলাকার সচেতন মহল তাদের এসব অশ্লীল গানের আসর বন্ধ করতে অনুরোধ করেন। এ সময় আসামিরা প্রকাশ্যে গুলি করে প্রাণনাশের হুমকি দেয়।

অন্যদিকে, গত (৪ আগস্ট) উপজেলার বটতলী স্টেশনে চৌধুরী প্লাজার সামনে শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে মিছিল করার প্রস্তুতি নেন। ওই মুহূর্তে আসামিরা আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ছাত্র-জনতার মিছিলে গুলি ছুড়ে ও আশপাশের দোকানপাট ভাঙচুর করে। এ ছাড়া একাধিক ব্যক্তি মালিকানাধীন ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করার চেষ্টা চালায়।

এ পর্যায়ে আসামিরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে ধাওয়া করে হাসনাত নামক একজনকে মাথায় ও পিঠে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে এবং মৃত ভেবে ফেলে রাখে। এ ছাড়া আর কখনো আন্দোলনে অংশগ্রহণ করলে গুলি করে জানে মেরে ফেলবে ও মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে কারাগারে পাঠানোর হুমকি দেন।

মামলার বাদী মো. জাহেদ খবরের কাগজকে বলেন, মামলার এজাহারে উল্লেখিত আসামিরা দলীয় প্রভাব খাটিয়ে এলাকায় বিভিন্ন সময় ত্রাস সৃষ্টি করত। তাদের মতের বিরুদ্ধে গেলেই মারধর ও প্রাণনাশের হুমকি দিত। এ ছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন অংশ নেওয়ায় ভিকটিম হাসনাতকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। তাই আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

আরিফুল ইসলাম/জোবাইদা/অমিয়/