![সেচ মৌসুমে বিদ্যুতের চাহিদা ১৭ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট](uploads/2023/12/28/1703781761.electricity.jpg)
২০২৪ সেচ মৌসুমে (জানুয়ারি থেকে এপ্রিল) বিদ্যুতের সামগ্রিক চাহিদা ১৭ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গ্যাসের চাহিদা ১৭৬০ এমএমসিএফডি এবং ন্যূনতম ১৫৪০ এমএমসিএফডি ও ফার্নেস অয়েলের চাহিদা ১ লাখ ৫৪ হাজার ৯৫০ মেট্রিক টন এবং ডিজেলের চাহিদা ১৫ হাজার ৬০০ মেট্রিন টন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বর্তমানে মোট সেচ সংযোগের সংখ্যা ৪ লাখ ৮৭ হাজার ৮৫১টি। সেচ সংযোগের অপেক্ষমাণ আবেদন সংখ্যা ৯ হাজার ৪৩২টি। তাই আসন্ন সেচ মৌসুমে বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য গ্যাস, ফার্নেস অয়েল ও ডিজেল সরবরাহ বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।
বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত আন্তমন্ত্রণালয় পর্যালোচনা সভায় এসব তথ্য তুলে ধরেন বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। আসন্ন সেচ মৌসুমে সেচ পাম্পগুলোতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের লক্ষ্যে বিদ্যুৎ ভবনে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় মোট ১৭টি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভায় বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, গত সেচ মৌসুমে এপ্রিল মাসে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা ছিল ১৬ হাজার মেগাওয়াট। আসন্ন ২০২৪ সালে সেচ মৌসুমে বিদ্যুতের সামগ্রিক চাহিদা ১৭ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শুধু সেচের জন্য জানুয়ারি ২০২৪-এ ৩৪৭ মেগাওয়াট, ফেব্রুয়ারি ২০২৪-এ ৮৬৫ মেগাওয়াট, মার্চ ২০২৪-এ ১৯৪৯ মেগাওয়াট, এপ্রিল ২০২৪-এ ২৫৯০ মেগাওয়াট, মে ২০২৪-এ ২৫৯০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে। আসন্ন সেচ মৌসুমে গ্যাসের চাহিদা ১৭৬০ এমএমসিএফডি এবং ন্যূনতম ১৫৪০ এমএমসিএফডি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ছাড়াও ফার্নেস অয়েলের চাহিদা ১ লাখ ৫৪ হাজার ৯৫০ মেট্রিক টন এবং ডিজেলের চাহিদা ১৫ হাজার ৬০০ মেট্রিন টন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে জ্বালানি বিভাগ থেকে জানানো হয়, ফার্নেস অয়েল ও ডিজেলের কোনো ঘাটতি নাই এবং চাহিদা মোতাবেক সরবরাহ করা হবে।
বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো: হাবিবুর রহমান বলেন, রাত্র ১১টার পর থেকে পরের দিন সকাল ৭টা পর্যন্ত অফ পিক আওয়ারে সেচ পাম্প ব্যবহারের বিষয়ে প্রচার ও বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা/কোম্পানিগুলোতে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা আবশ্যক। সেচ পাম্পে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ তদারকির জন্য মনিটরিং কমিটি গঠন করতে হবে।
আন্তমন্ত্রণালয় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের সচিব মো: নূরুল আলম, পিডিবির চেয়ারম্যান মো: মাহবুবুর রহমান, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ রেলপথ মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিভাগের আওতাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দপ্তর প্রধানরা।