![ড. ইউনূসকে নিয়ে সিনেটরদের চিঠি দুর্ভাগ্যজনক: অ্যাটর্নি জেনারেল](uploads/2024/01/24/1706109272.amin_uddin.jpg)
ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে হয়রানি বন্ধের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পাঠানো যুক্তরাষ্টের ১২ সিনেটরের চিঠিতে বাংলাদেশের বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলা দুর্ভাগ্যজনক বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ (এএম) আমিন উদ্দিন।
বুধবার (২৪ জানুয়ারি) সুপ্রিম কোর্টে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘কোনো দেশের বিচার প্রক্রিয়া না জেনে কোনো ধরনের মন্তব্য বা প্রতিক্রিয়া দেওয়া সঠিক নয়। প্রধানমন্ত্রীর কাছে এ সংক্রান্ত চিঠি দেওয়া সমুচিত নয়। কারণ তিনি বিচার বিভাগের কেউ নন। প্রকাশ্য আদালতে ড. ইউনূসের মামলার বিচার হয়েছে। এটা নিয়ে কারও কোনো বক্তব্য বা প্রতিক্রিয়া থাকলে বাতিল করার ব্যবস্থা রয়েছে। সেখানে তারা তাদের বক্তব্য দিতে পারেন। বহির্বিশ্বের যেসব ব্যক্তি বা সংস্থা ড. ইউনূসের মামলা নিয়ে কথা বলছেন, তারা বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থা সম্পর্কে কিছু জানেন না অথবা কেউ তাদের প্রভাবিত করে এসব কাজ করাচ্ছেন।’
এদিকে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে হয়রানি বন্ধের আহ্বান জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ১২ সিনেটরের চিঠি দেশে বিচার ব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ। ওই চিঠি ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি। কারণ বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থা স্বাধীন। ড. ইউনূস দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় আদালত তাকে সাজা দিয়েছেন। আইনি সুযোগ নিয়ে তিনি এখন জামিনে।’
ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে হয়রানি বন্ধের আহ্বান জানিয়ে গত সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে চিঠি পাঠান যুক্তরাষ্ট্র পার্লামেন্টের ১২ জন সিনেটর। চিঠিতে বলা হয়, এক দশকের বেশি সময় ধরে অধ্যাপক ইউনূস বাংলাদেশে দেড় শতাধিক ভিত্তিহীন মামলার মুখোমুখি হয়েছেন। এগুলোর মধ্যে সম্প্রতি দেশের শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগের মামলায় মুহাম্মদ ইউনূসের ছয় মাসের কারাদণ্ডের রায়ও রয়েছে। খ্যাতনামা সংস্থাগুলো বলেছে, বিচারপ্রক্রিয়ার গতি এবং বারবার ফৌজদারি কার্যধারার ব্যবহার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিচারব্যবস্থার অপব্যবহারের ইঙ্গিত দেয়। চলমান রাজনৈতিক প্রতিহিংসার মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক দেশে এ ধরনের প্রচেষ্টাকে অবমূল্যায়ন করা উচিত নয়।