![গ্যাস না দিলে টাকা ফেরত দিতে হবে : নসরুল হামিদ](uploads/2024/02/15/1708010182.1705834885.Nasrul_Hamid2.jpg)
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, ‘বিতরণ কোম্পানিগুলোকে জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। চুক্তি থাকবে, গ্যাস না দিলে টাকা ফেরত দিতে হবে।’
বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) পেট্রোবাংলা অডিটোরিয়ামে গ্যাসের চাহিদা ও সরবরাহবিষয়ক এক সেমিনারে এ কথা বলেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিতরণ কোম্পানি টাকা নেয়, গ্যাস দেয় না। গ্যাস না দিলে টাকা দিতে হবে। যে কোম্পানি কাজ পারবে না, তাকে বাদ দেওয়া হবে। বক্স থেকে বের হয়ে আসতে হবে। কেউ কাউকে জায়গা ছাড়তে চায় না। বাপেক্স ১০০ বছর ধরে কাজ করবে। বাপেক্সের একটি প্রতিযোগী থাকা উচিত।’
নসরুল হামিদ বলেন, ‘এখন যারা বাইরে আছেন, তাদের সবাইকে সঙ্গে রাখতে হবে। ১৯৮০ সালে টু-ডি করা হয়েছে। ৩৯ বছর পর থ্রি-ডি, তাহলে এতদিন কেন বসে থাকলেন। জ্বালানিতে যারা ছিলেন, তারা টেকনিক্যাল পারসন। তারা বলতেন, সম্ভাবনা নেই। আর সমালোচনা নয়। আসুন, একসঙ্গে দেশের জন্য কাজ করি।’
তিনি বলেন, ‘২০২৮ সালের মধ্যে ১০০ গ্যাসকূপ খনন করতে চান ভালো কথা, কোনটি কখন করতে চান, টাইমলাইন থাকতে হবে। সাফল্য দেখে মূল্যায়ন করা হবে। সাফল্য জিরো, আপনিও জিরো, আপনি বাদ পড়ে যাবেন। স্মার্ট বাংলাদেশ কি শুধু টেকনোলজি? টেকনোলজির সঙ্গে নিরবচ্ছিন্ন, কোয়ালিটি জ্বালানিও স্মার্ট বাংলাদেশের অংশ।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘রিজার্ভ কমে আসায় দেশীয় গ্যাসফিল্ডের উৎপাদন কমতে শুরু করেছে। দুই-তিন বছর কমবে, পরে আবার বাড়বে। কীভাবে ঘাটতি সামাল দেওয়া যায়, তার পরিকল্পনা থাকতে হবে। ৪৮ কূপ খনন প্রকল্পের মাধ্যমে আগামী দুই বছরে ৫০০ এমএমসিএফডি গ্যাস পাব। কিন্তু দুই বছরে চাহিদা ২ হাজার এমএমসিএফডি বাড়বে। ২০২৯-৩০ সালের দিকে গ্যাসের চাহিদা হতে পারে ৬ হাজার ৬৫৫ এমএমসিএফডি। অন্যদিকে নিজস্ব খনিতে মজুত কমে যাচ্ছে। বিকল্প জ্বালানির চিন্তাও আমাদের করতে হচ্ছে। দেশীয় গ্যাস আমদানি করা এলএনজির সঙ্গে মিশিয়ে মিশ্রিত গ্যাসের প্রতি কিউবিক মিটার ক্রয়মূল্য ২৪ দশমিক ৮০ টাকা এবং গড়ে বিক্রয় করা হয় প্রতি কিউবিক মিটার ২১ দশমিক ৪১ টাকা। এই ঘাটতি সুষম উন্নয়ন ব্যাহত করতে পারে। তা ছাড়া বিদ্যুতে চাহিদামতো গ্যাস দিতে পারলে ভর্তুকি প্রায় ৭০ শতাংশ কমে যাবে।’
সেমিনারে পেট্রোবাংলা, বিতরণ কোম্পানিগুলোর বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তা, বুয়েট ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত ছিলেন।
এমএ/